Home Blog Page 528

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তারেক রহমানের ফোন দেওয়ার গুজব

সম্প্রতি, ‘জাতীয় পার্টিকে তারেক জিয়ার ফোন, হঠাৎ লোভে পড়ে গেল জিএম কাদের’ শীর্ষক থাম্বনেইল যুক্ত একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টি

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তারেক জিয়ার ফোন করার দাবিটি সঠিক নয়। বরং, অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও সমন্বয়ের মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের ‍শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, ভিডিওটির শুরুতে উপস্থাপক বলেন, ‘সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগের কৃষিমন্ত্রীর পিছুহটা নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। এদিকে, নির্বাচন বর্জন নিয়ে কঠিন হুঁশিয়ারী দিলেন তারেক জিয়া।’ এরপর উপস্থাপক পুরো ভিডিওটি দেখার জন্যে দর্শকদের অনুরোধ করে একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের দুটি ভিডিও, ওবায়দুল কাদেরকে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের ফোন কল করা নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিওর কিছু অংশ এবং তারেক রহমানের দেওয়া অনলাইন বিবৃতির একটি ভিডিও দেখান। যার সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবিগুলোর সাথে কোনো মিল নেই। 

ভিডিও যাচাই ১

আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা প্রথম ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Voice Bangla নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২০ ডিসেম্বর ‘একরাতের মধ্যে সব বিএনপি নেতাকে মুক্তি প্রস্তাব’ সমালোচনার মুখে পিছু হটলেন কৃষিমন্ত্রী? I Mostofa শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর প্রথম ভিডিওটির সাথে উক্ত ভিডিওর ১৩ সেকেন্ড থেকে ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে উক্ত ভিডিওর কোথাও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে তারেক জিয়ার ফোন করার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া একটি বক্তব্যকে নিয়ে মূলত এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

ভিডিও যাচাই ২

দ্বিতীয় ভিডিওটিও একই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের হওয়ায় তার Voice Bangla নামক ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত চ্যানেলে গত ২১ ডিসেম্বর কেন শেখ হাসিনা নৌকাকে বিজয়ী করতে দেশব্যাপী নির্বাচনী সফর করছেন না? Mostofa Feroz I Voice Bangla শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটির সাথে আলোচিত ভিডিওর দ্বিতীয় ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও দেখা যায়, ভিডিওটি মূলত ৫ জেলার নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেওয়াকে নিয়ে তৈরি করা। যার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ৩

আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা তৃতীয় ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা BAYANNO.TV লেখা লোগোটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Bayanno TV এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৭ ডিসেম্বর জাপা মহাসচিবের ফোন কল নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে যা বললেন ওবায়দুল কাদের | Obaidul Quader শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-এর ভিডিওর সাথে হুবহু মিল পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner

কিন্তু উক্ত ভিডিওটি মূলত জাতীয় পার্টির মহাসচিব তাকে ফোন করেছিলেন এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করার একটি ভিডিও। যা আলোচিত দাবির সাথে সম্পর্কিত নয়।

ভিডিও যাচাই ৪ 

সর্বশেষে উপস্থাপক নির্বাচন বর্জন নিয়ে তারেক জিয়া কি হুশিয়ারী দিয়েছেন তা জানাতে তারেক রহমানের একটি ভিডিও দেখান। ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে Tarique Rahman এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ২০ ডিসেম্বর ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন এবং ‘অবৈধ সরকার’ এর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা | 20 December 2023 শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো তারেক রহমানের ভিডিওটির সাথে উক্ত বিবৃতি দেওয়ার ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি মূলত ভিডিওটির মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। 

এছাড়াও, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তারেক রহমানের ফোন দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রচার করে Bayanno TV নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল। উক্ত ভিডিওটির সাথে মোস্তফা ফিরোজ নামের একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের দুটি ভিডিও এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে তারেক রহমানের অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার ভিডিও যুক্ত করে অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় ‘জাতীয় পার্টিকে তারেক জিয়ার ফোন, হঠাৎ লোভে পড়ে গেল জিএম কাদের’ শীর্ষক চটকদার থাম্বনেইল যুক্ত আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিগুলোর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘জাতীয় পার্টিকে তারেক জিয়ার ফোন, লোভে পড়ে গেল জিএম কাদের’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কুড়িগ্রামের রাধাপদ রায়কে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের বিশেষ কিছু কথা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও টিকটকে প্রচার করা হয়েছে। 

পল্লীকবি

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটিতে বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন দাবি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার অধিবাসী রাধাপদ রায়। 

মূলত, সামাজিক মাধ্যম টিকটকে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটিতে দেখা যায় একজন প্রবীণ ব্যক্তি কয়েকজন লোকের উপস্থিতিতে একটি কবিতার কিছু লাইন আবৃতি করছেন এবং কবিতার এই উদ্ধৃতাংশে তিনি বলেন, “যারা কলম ধরা শিখেছে তারাই দেশ নষ্ট করেছে। আমি পল্লীকবি, কবিতা বানাই। কিন্তু আমার কবিতা তো কেউ শুনবে না।” প্রকৃতপক্ষে এই লাইনের ভিত্তিতেই তাকে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন দাবিতে টিকটকে প্রচার করা হয়েছে। 

একই ভিডিও পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সংসদ ভেঙে প্রধানমন্ত্রীকে পিটার হাসের পদত্যাগের নির্দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর নতুন নির্বাচন ঘোষণা দেওয়ার গুজব

সম্প্রতি, ‘সংসদ ভেঙে পদত্যাগের নির্দেশ দিলো পিটার হাস নতুন নির্বাচন এর ঘোষণা দিলো হাসিনা’ শীর্ষক থাম্বনেইল এবং একই তথ্য সম্বলিত শিরোনামে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

সংসদ ভেঙে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেকুন  এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সংসদ ভেঙে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করার দাবিটিও সঠিক নয়। বরং, অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার দুটি ভিডিওকে সমন্বয়ের মাধ্যমে তার সাথে চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায় ভিডিওটির উপস্থাপক কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবি করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে তাকে পদত্যাগের মাধ্যমে সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও তিনি ভিত্তিহীভাবে নানা তথ্য তুলে ধরেন যার প্রেক্ষিতে তিনি কোনো তথ্যসূত্র উপস্থাপন করেন না। এরপর তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে দুটি ভিডিও দেখান যার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ১

আলোচিত ভিডিওতে দেখানো প্রথম ভিডিওর সূত্র অনুসন্ধানে ভিডিওতে দৈনিক ইত্তেফাক এর লোগো এবং ‘৪০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি’ লেখাটির মিরর ইমেজের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Daily Ittefaq এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৮ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে নতুনভাবে নির্বাচন দিতে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহ্বান | Election | Election News শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Youtube

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো প্রথম ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে এর হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও দেখা যায়, প্রতিবেদনটি মূলত সম্প্রতি ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেওয়া যৌথ এক বিবৃতিকে নিয়ে করা। যেখানে তারা সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান। উক্ত প্রতিবেদনের কোথাও এই আহ্বান জানানোর সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটারে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়নি। 

ভিডিও যাচাই ২

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো রুমিন ফারহানার ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে ভিডিওটির ডান পাশে উপরে থাকা Rumeen’s Voice লেখাটির মিরর ইমেজের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Rumeen’s Voice নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভারতে গেলেন কেন? Rumeen’s Voice । রুমিন ফারহানা । Rumeen Farhana শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো রুমিন ফারহানার ভিডিওর সাথে উক্ত ভিডিওর শুরু থেকে ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশের হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে ভিডিওটির কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা কিংবা পিটার হাসের নির্দেশের বিষয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়না। 

এছাড়াও, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা কিংবা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রদানের দাবিটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

মূলত, গত ১৭ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক যৌথ বিবৃতি পাঠান। উক্ত বিবৃতির মাধ্যমে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ ভেঙে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। উক্ত ঘটনায় জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র নেত্রী রুমিন ফারহানার একটি ভিডিও যুক্ত করে ‘সংসদ ভেঙে পদত্যাগের নির্দেশ দিলো পিটার হাস নতুন নির্বাচন এর ঘোষণা দিলো হাসিনা’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিগুলোর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি মূলত অধিক ভিউ পাবার আশায় কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, সংসদ ভেঙে প্রধানমন্ত্রীকে পিটার হাসের পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর নতুন নির্বাচন ঘোষণা করার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হাসান মাহমুদকে জুতা পেটা এবং ওবায়দুল কাদেরকে গণধোলাই দেওয়ার ভুয়া দাবি প্রচার

সম্প্রতি, ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিওর মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, ভোটের মাঠে নেমেই তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ জুতা পেটার শিকার হয়েছেন এবং নির্নাচনী প্রচারণার মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে।

জুতা পেটা

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার বার। ভিডিওটিতে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটির টাইটেল এবং থাম্বনেইলে ভোটের মাঠে নেমে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের জুতা পেটা খাওয়া এবং ওবায়দুল কাদেরের গণধোলাই খাওয়ার দাবি করা হলেও ভিডিওতে ভিন্ন ব্যক্তি ও ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

ভিডিও যাচাই ০১

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ৮ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির শুরুতে মঞ্চে থাকা একজন ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে তবে মঞ্চে থাকা ব্যানারে মোরশেদ নামক লেখা দেখা যায়।

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Independent TV এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ ডিসেম্বর “অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের পথসভা চলাকালে তাকে আলাউদ্দিন আলু নামে এক ব্যক্তি জুতা ছুঁড়ে মারে। 

অর্থাৎ, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে নয়, নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমকে জুতা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে।

ভিডিও যাচাই ০২

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Times Report নামক ফেসবুক পেজে গত ২৫ ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর নীলফামারী- ৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল ভোট চাইতে গেলে জনগণের তোপের মুখে পড়েন।

তবে উক্ত ভিডিওর কোথাও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে লাঞ্ছিত করার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের জুতা পেটা খাওয়া এবং ওবায়দুল কাদেরকে গণধোলাই খেয়েছেন দাবিতে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে বিএনপি- জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের তথ্যের প্রচার হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ জুতা পেটা এবং ওবায়দুল কাদের গণধোলাই খেয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দুই নেতার বিষয়ে প্রচারিত তথ্যগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৬ ডিসেম্বর নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের পথসভা চলাকালীন সময়ে আলাউদ্দিন আলু নামে এক ব্যক্তি তাকে জুতা ছুঁড়ে মারে। এছাড়া, গত ২৫ ডিসেম্বরে নীলফামারী-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল ভোট চাইতে গেলে জনগণের তোপের মুখে পড়েন। এই দুই ঘটনার ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিগুলো প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ জুতা পেটা খেয়েছেন এবং ওবায়দুল কাদের গণধোলাই এর শিকার হওয়ার দাবিতে ইন্টারনেটে ভিন্ন ব্যক্তি এবং ঘটনার একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

কাতারের রাস্তার ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, “দেখ উন্নয়নের শত্রুরা। এটা বিদেশ নয়। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহা সংগ্রামে উন্নয়নের নমুনা।” শীর্ষক ক্যাপশনে জাঁকজমকপূর্ণ একটি রাস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে মোঃ শাহজালাল প্রধান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) এখন অবধি প্রায় ৫ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ১৬ হাজার রিয়্যাক্ট পাওয়া এই রিল ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ৪৬০০ এর অধিক মানুষ।

কাতারের রাস্তার

একই ভিডিও ফেসবুকের আরেক পোস্টে  দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাঁকজমকপূর্ণ রাস্তার ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং কাতারের রাস্তার ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টের কমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে দেখা যায় একাধিক নেটিজেন ভিডিওতে থাকা রাস্তাটি কাতারের দোহা‍য় অবস্থিত কর্নিশ রোড দাবি করে কমেন্ট করেছেন। 

Comments by netizens.

সে সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের আপলোডকৃত কাতারের দোহার কার্নিশ রোডের একাধিক ভিডিও পাওয়া যায় (, , , )। উক্ত ভিডিওগুলোতে থাকা কাতারের কার্নিশ রোডের অবকাঠামোর সাথে আলোচ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে থাকার রাস্তার অবকাঠামোগত মিল পাওয়া যায়। 

Video Comparison: Rumor Scanner.

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য কাতার প্রবাসী মো. ইউসুফ নিশানের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নিশান নিশ্চিত করেন, ভিডিওটি কাতারের কার্নিশ রোডে ধারণকৃত।

এছাড়া তিনি ভিডিওটির একটি ফ্রেমে কাতারের দোহায় অবস্থিত সিটি সেন্টার শপিং মল দেখা যাচ্ছে বলে জানান। সে সূত্র ধরে গুগল ম্যাপে সিটি সেন্টার শপিং মলের একাধিক ছবি ও ভিডিও (,) খুঁজে বের করা হয়। ছবিগুলোর সাথে আলোচ্য ভিডিওটির উক্ত ফ্রেম মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটিতে দোহার সিটি সেন্টার শপিং মলই দেখা যাচ্ছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner.

মূলত, বাংলাদেশের রাস্তা দাবিতে জাঁকজমকপূর্ণ একটি রাস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রাস্তাটি মূলত কাতারের দোহায় অবস্থিত কার্নিশ রোডের। 

সুতরাং, কাতারের একটি রাস্তার ভিডিওকে বাংলাদেশের রাস্তা দাবি করে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন না করার গুজব 

গত ২৩ ডিসেম্বর Viral News Today নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন করবে না সিইসি, পিটার হাসের ভারত সফরের রহস্য’’ শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

 সিইসি

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটিতে সাড়ে ৬ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বার, মন্তব্য করা হয়েছে অর্ধ শতাধিক।

পরবর্তী আরেকটি পেজ থেকে ভিডিওটি প্রচার করা হয়। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন না করার কোনো ঘোষণা দেননি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে সংবাদপাঠ অংশের পর বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের পুরোনো কিছু ছবি দেখানো হয়।

ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচন করবেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে এর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

এবিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিটি’র সত্যতা পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Rumeen Farhana’s Voice নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৩ ডিসেম্বর ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভারতে গেলেন কেন? ৭ তারিখের আগেই কি তাহলে সরকারের পতন হচ্ছে?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rumeen Farhana’s Voice

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র রুমিন ফারহানার বক্তব্যের অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটিতে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের চলমান ভারত সফরের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করেন এবং এর সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত দাবির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

তাছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র অনলাইন সংস্করণে গত ২২ ডিসেম্বর ‘বড়দিনের ছুটি কাটাতে দিল্লি গেলেন পিটার হাস’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বড়দিনের ছুটি কাটাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর  দিল্লিতে যান। কূটনৈতিক সূত্রগুলো ওইদিন সন্ধ্যায় বড়দিনের ছুটির সময় পিটার হাসের ঢাকার বাইরে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি সস্ত্রীক সকালে দিল্লি গেছেন বলে বিমানবন্দর সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে পিটার হাসের ভারত সফরের রহস্য ফাঁস হওয়ার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে পিটার হাসের ভারত সফরের উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো সূত্রে জানা যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত বিষয়গুলো সঠিক নয়।

মূলত, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যও দিয়েছেন। এরমধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর পিটার হাস সস্ত্রীক ভারত সফরে যান। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েও ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ডিসেম্বর Viral News Today নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘শেখ হাসিনার নির্বাচন করবে না সিইসি, পিটার হাসের ভারত সফরের রহস্য ফাঁস’ শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়,  উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্লিপ ও পুরোনো ছবি যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিগুলো প্রচার করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটগ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন করবেন না শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আইপিএলে বাবর আজমের দর নিয়ে শোয়েব আখতারের মন্তব্য বিকৃত করে প্রচার

0

সম্প্রতি, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার “বাবর আজম আজ যদি আইপিএলের নিলামে উঠতো, তাহলে তার দাম হতো ৩০-৩৫ কোটি: শোয়েব আকতার” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন বলে ফেসবুকের কিছু পোস্টে দাবি করা   করা হয়েছে।

বাবর আজমের দর

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়,  শোয়েব আখতার বাবর আজমের আইপিএলের নিলামে  দাম হতো ৩০-৩৫ কোটি শীর্ষক মন্তব্য করেননি বরং ২০২২ সালে বাবর আজমের দর অনুমান করতে গিয়ে শোয়েব আখতারের করা একটি মন্তব্য বিকৃত করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে  শোয়েব আখতার বাবর আজমকে নিয়ে এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি। 

তবে, ২০২২ সালের ২৯ মার্চ প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে “আইপিএলে বাবরের দাম হতো ১৫ থেকে ২০ কোটি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Source: প্রথম আলো

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে আইপিএল উপলক্ষে Sports Keeda তে হরভজন সিংয়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান করেন শোয়েব আখতার। সেই অনুষ্ঠানেই শোয়েব আখতার জানান- তাঁর ধারণা, আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলে নিলামে বাবরকে নিয়ে টানাটানি হত। আর সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপিতে তাঁকে কিনতে হত।

উক্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে, Sports Keeda এর ওয়েবসাইটে “IPL 2022: CSK v KKR | Match Preview ft. Harbhajan Singh & Shoaib Akhtar | Match ki Baat” শীর্ষক শিরোনামের একটি ওয়েবপেজে মূল অনুষ্ঠানের ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওতে দেখা যায়, শোয়েব আখতার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- বাবর আজমের দাম ১৫ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা হতে পারত।

মূলত, ২০২২ সালে আইপিএল উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতার বলেন তাঁর ধারণা, আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর আজমকে ১৫ থেকে ২০ কোটি রুপিতে কিনতে হত। ২০২২ সালে শোয়েব আখতারের সে মন্তব্যটিই বিকৃত করে সম্প্রতি শোয়েব আখতার বাবর আজম আইপিএল নিলামে ওঠার সুযোগ পেলে ৩০-৩৫ কোটি রুপি দর উঠত শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার “বাবর আজম আজ যদি আইপিএলের নিলামে উঠতো, তাহলে তার দাম হতো ৩০-৩৫ কোটি” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

তারেক রহমানকে গালাগালি করায় সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার হওয়ার গুজব  

সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী তারেক জিয়াকে গালাগাল করায় গ্রেফতার সেনাবাহিনীর হাতে– শীর্ষক শিরোনামে এবং থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গালাগালি করার কারণে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

শেখ হাসিনার গ্রেফতার

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গালাগালি করার অভিযোগে সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেনি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি যুক্ত করে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও। 

ভিডিও যাচাই- ১

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসভায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় এবং ভিডিওটিতে বেসরকারি চ্যানেল ২৪ এর লোগো লক্ষ্য করা যায়। সেই লোগো’র সূত্র ধরে অনুসন্ধানে চ্যানেল ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ নভেম্বর “নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ)

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

ভিডিওটি থেকে জানা যায়, (১২ নভেম্বর) নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সমালোচনা করে কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আরে বেটা সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরা আয়, আমরা তোকে দেখি। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া এখন জেলে। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি। তাদের নেতা কই? তাদের কথা মানুষ শোনে না। বিএনপি হত্যাকারী। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। খালেদার ছেলে খুনি তারেক জিয়া। গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানকে হত্যা করেছে। এত টাকা কোথায় পায়? অস্ত্র চোরাচালানি করে। মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত। পালিয়ে থাকে লন্ডনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যায় না। মানুষ যদি সঙ্গে না থাকে তবে আন্দোলন হয় না। বিএনপি একটি সন্ত্রসী দল, আর জামায়াত হলো যুদ্ধাপরাধী দল। তাদের কথা এ দেশের মানুষ শোনে না। তাদের কিছু লোক আছে তারাই নাচানাচি করে।’

ভিডিও যাচাই- ২

আলোচিত ভিডিওটির এই অংশে বিএনপি’র সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে Rumeen’s Voice নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ নভেম্বর “প্রধানমন্ত্রী আক্রমণাত্মক, অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন কেন?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ

উক্ত ভিডিওটিতে দেওয়া রুমিন ফারহানার বক্তব্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা রুমিন ফারহানার বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর নরসিংদীর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করা তিনি বক্তব্য দেন। 

এছাড়া ভিডিওটিতে রুমিন ফারহানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দাবি হওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি। 

ভিডিও যাচাই- ৩

আলোচিত ভিডিওটির এই অংশে একজনকে বক্তব্য দিতে দেখা যায় এবং ভিডিওটিতে BANGLA NEWS নামক একটি লোগোও দেখা যায়। লোগো এবং বক্তার বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Bangla News নামক একটি ফেসবুক পেজে গত ১৬ অক্টোবর “শেখ হাসিনা ঘুমের ঘরে তারেক রহমানকে স্বপ্নে দেখে, ক্ষমতার চেয়ার টগবগ করে।” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ)

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ১৬ অক্টোবর নয়াপল্টনে যুবদলের ডাকা সমাবেশে যোগদানের জন্য নেতাকর্মীরা জড়ো হয় । সেই সমাবেশে আসা যুবদলের এক কর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমালোচনা করা উক্ত বক্তব্যটি দেন।

এছাড়া, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার হলে অবশ্যই তা গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার কথা। কিন্তু উক্ত দাবিগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশ্বস্ত সূত্রে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের তথ্য প্রচার হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেটে “প্রধানমন্ত্রী তারেক জিয়াকে গালাগাল করায় গ্রেফতার সেনাবাহিনীর হাতে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত দাবিগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গালাগালি করার অভিযোগে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছেদাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

কেক খেয়ে বাচ্চারা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হচ্ছে দাবিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি “বাজারে নতুন কেক এসেছে। লুপো কোম্পানির কোন ট্যাবলেট আছে এতে। যে খাবার খেলে বাচ্চাদের প্যারালাইসিস হয়।” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কেক

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয় বরং লুপো কোনো ঔষধ কোম্পানি নয়, এটি মূলত তুর্কির সোলেন কোম্পানির এক ধরনের কেক। এই কেক বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় না এবং এই কেক খেয়ে শিশুদের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ার দাবিটিও সত্য নয়।

কেকের ছবি যাচাই

অনুসন্ধানের শুরুতে দাবিকৃত পোস্টগুলোতে দুইটি কেকের ছবি লক্ষ্য করা যায়। উক্ত ছবিগুলোর মূল সূত্র অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ইরানের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ‘Fararu’ এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর “Contaminated Cakes with Pills; Validity and Falsehood of Ongoing News” (স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির সাথে দাবিকৃত পোস্টে সংযুক্ত একটি ছবির মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেসময় ইরানের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কেকে ট্যাবলেট খুঁজে পায়। ট্যাবলেটযুক্ত কেকের বেশকিছু ছবি এবং ভিডিও সেসময় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে একই বিষয়ে ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে ইরানের তিনটি প্রদেশের স্কুলে বিতরণ করা কেকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট (ঔষধ) পাওয়া গিয়েছিল। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেসময় জানিয়েছিল, এর কারণ অনুসন্ধান তাদের ক্ষমতার বাইরে, তবে অনানুষ্ঠানিক রিপোর্ট অনুযায়ী ওই ট্যাবলেটগুলো মাদকজাতীয়, আসক্তিমূলক অথবা বিষাক্ত হতে পারে। এই ঘটনায় কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা বিষক্রিয়ার তথ্য সেসময় জানা যায়নি। 

অর্থাৎ, ২০১৯ সালে ইরানের উক্ত ঘটনার একটি ছবি আলোচ্য দাবির সাথে প্রচার করা হচ্ছে।

শিশুর ছবি যাচাই

দাবিকৃত পোস্টগুলোতে অসুস্থ এক শিশুর ছবি সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়। উক্ত শিশুর পরিচয় জানতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। কাছাকাছি দাবিতে একই শিশুর ছবি ২০২০ সালের ভারতের একটি ফেসবুক আইডিতে (আর্কাইভ) এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তানের একটি ফেসবুক আইডিতে (আর্কাইভ) পোস্ট করা হয়।  তবে শিশুটি কী রোগে আক্রান্ত এবং তার জাতীয়তা কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য মিলেনি।

লুপো কোম্পানির ট্যাবলেট ও বাজারের নতুন কেক

ওপেন সোর্স অনুসন্ধানে লুপো নামের কোনো ঔষধ কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বিস্তারিত অনুসন্ধানে, তুর্কির সোলেন (Şölen) কোম্পানির লুপো (Luppo) নামের কেক খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এই কেকে ট্যাবলেট (ঔষধ) পাওয়া এবং তা খেয়ে শিশুদের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়া সম্পর্কিত কোনো তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে দেখা যায়, লুপো কেকটি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় না। রিউমর স্ক্যানার টিম দেশের জনপ্রিয় কয়েকটি সুপারশপ ঘুরেও এই কেক খুঁজে পায়নি।

এছাড়া, ২০২০ সালে ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম সমজাতীয় একটি দাবি খণ্ডন করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ভারতে একই দাবি কিছুটা ভিন্নভাবে ছড়িয়েছিলো। দাবি করা হচ্ছিলো, “লুপো নামের চায়নিজ কোম্পানি ভারতের বাজারে এক ধরনের কেক ছেড়েছে, যার মধ্যে ট্যাবলেট রয়েছে এবং তা খেয়ে শিশুরা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হচ্ছে।” তবে বুমের অনুসন্ধানে জানা যায়, লুপো কেক চায়নিজ নয় বরং তুর্কির সোলেন (Şölen) কোম্পানির একটি পণ্য। এই কেক ভারতে পাওয়া যায় না এবং এই কেক খেয়ে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ার দাবিটিও সত্য নয়। 

বুম ছাড়াও সমজাতীয় দাবি খণ্ডন করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা স্নুপস এবং তুর্কির ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা তেয়িত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। স্নুপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসাগতভাবে ট্যাবলেটের মাধ্যমে এমনভাবে শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের প্যারালাইসিস ঘটানো সম্ভব নয়।

মূলত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “বাজারে নতুন কেক এসেছে। লুপো কোম্পানির কোন ট্যাবলেট আছে এতে। যে খাবার খেলে বাচ্চাদের প্যারালাইসিস হয়।” শীর্ষক একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, লুপো নামের কোনো ঔষধ কোম্পানি নেই। লুপো মূলত তুর্কির সোলেন কোম্পানির এক ধরনের কেক। এই কেক বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় না এবং এই কেক খেয়ে শিশুদের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়াও চিকিৎসাগতভাবে সম্ভব না। এছাড়া, দাবিগুলোর সাথে ২০২০ সালে ইরানে ঘটা ভিন্ন এক ঘটনার ছবি প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, “বাজারে নতুন কেক এসেছে। লুপো কোম্পানির কোন ট্যাবলেট আছে এতে। যে খাবার খেলে বাচ্চাদের প্যারালাইসিস হয়।” শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সাকিব আল হাসান ব্যাঙ্গার নামে কোনো মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নেননি

সম্প্রতি, বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ব্যাঙ্গার (Banger) নামে একটি মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন।  

Alpine Ascent নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ৩৯ সেকেন্ডের প্রচারিত ভিডিওটিতে সাকিবকে পুরোটা সময়ই দেখা যায়। তার সদৃশ কন্ঠে বলতে শোনা যায়, “হ্যালো ভাই, আমি সাকিব আল হাসান, আমার কাছে আপনার জন্য উপহার আছে। বাংলাদেশে একটি নতুন সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মোবাইল ক্যাসিনো খোলা হয়েছে। Banger, এখন তারা নতুন খেলোয়াড় খুঁজছে এবং সে কারণেই তারা সবাইকে একটি বড় বোনাস দেয়। এটা খুব সহজ। অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করুন। এক মিনিটের মধ্যে নিবন্ধন করুন। একটি আমানতও করুন এবং আপনার ব্যালেন্সে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা বোনাস পান। ভাই, আপনি গেম খেলতে পারেন এবং বড় উইন করতে পারেন। এখানে এক হাজারটিরও বেশি গেম রয়েছে। অথবা শুধু আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে বোনাস তুলে নিন, এটা আপনার ব্যাপার৷ অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং আমার সাথে খেলুন।”

সাকিব আল হাসান

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই ভিডিওটি ফেসবুকে এডের মাধ্যমে প্রচার করছে পেজটি৷ মেটার এড লাইব্রেরির তথ্য বলছে, গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ সংক্রান্ত অন্তত তিনটি পোস্ট এডের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকিব আল হাসান কর্তৃক ব্যাঙ্গার নামে কোনো মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং নগদের একটি বিজ্ঞাপনে সাকিবের অংশ নেওয়ার ভিডিও ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সাকিব আল হাসানের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ০৮ জুন ‘নগদ’ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে কাজের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেবে। শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওতে সাকিবের পোশাক, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তুর সাথে আলোচিত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া  ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

তবে এই ভিডিওতে সাকিব ব্যাঙ্গার  (Banger) নামে কোনো অ্যাপ্লিকেশনের বিষয়ে কথা বলেননি। তাকে ভিডিওতে বাংলাদেশের ডিজিটাল আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান নগদ এর বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। 

অর্থাৎ, ভিন্ন একটি ভিডিওতে সাকিবের কন্ঠস্বরে নকল কন্ঠস্বর বসিয়ে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

তাছাড়া, আলোচিত ভিডিওতে সাকিবের কথিত যে কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে তার সাথে সাকিবের মূল কন্ঠস্বরের দৃশ্যমান মিল পাওয়া যায়নি। কথিত এই কন্ঠস্বরটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে Banger নামে কোনো মোবাইল ক্যাসিনোর সাথে সাকিবের সম্পৃক্ততার তথ্য গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি। এই নাম ছাড়া সাকিবের সাথে অন্য কোনো ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক রয়েছে কিনা সে বিষয়টি অনুসন্ধানে গত নভেম্বরে প্রকাশিত গণমাধ্যম খবর থেকে জানা যায়, বাবু৮৮ (BABU88) নামে একটি অনলাইন ক্যাসিনো ও ক্রিকেট এক্সচেঞ্জ সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে দেশ সেরা অলরাউন্ডারকে। এর আগে ২০২২ সালে অনলাইন জুয়া প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ সংগঠন বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন সাকিব। পরে অবশ্য বিসিবির মুখে পরে সেই চুক্তি বাতিল করেন।

Alpine Ascent নামের যে পেজে আলোচিত ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে সেটি ২০২১ সালের ০১ জুলাই খোলা হয় Abyy-Store নামে। পরের বছর নাম বদলে রাখা হয় Thuốc xoang đông y gia truyền। সর্বশেষ চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো নাম বদলে পেজটির নাম রাখা হয় Alpine Ascent। সর্বশেষ নাম পরিবর্তনের পর পেজের আগের কার্যক্রমও সরিয়ে ফেলা হয়েছে পেজ থেকে। 

পেজটি তিনটি দেশ (ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং একটি দেশের নাম হাইড রাখা হয়েছে) থেকে পরিচালিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ পরিচালনা করছে না৷ 

Screenshot: Facebook 

পেজটির ঠিকানা জার্মানির বার্লিন এবং যোগাযোগের জন্য জার্মানিরই একটি মোবাইল নাম্বার (+49 7684 5784) দেওয়া রয়েছে। আমরা উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে সংযোগ বন্ধ পেয়েছি। 

মূলত, সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ব্যাঙ্গার (Banger) নামে একটি মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন। ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে এডের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে যাতে সাকিবের কথিত কন্ঠের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে টাকা উপার্জনে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকিব আল হাসান ব্যাঙ্গার নামে কোনো মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নেননি। বাংলাদেশের ডিজিটাল আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান নগদ এর একটি বিজ্ঞাপনে সাকিবের অংশ নেওয়ার ভিডিও ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, পূর্বে সাকিব আল হাসান অর্থ উপার্জনের অ্যাপ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, সাকিব আল হাসান ব্যাঙ্গার মোবাইল ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা৷

তথ্যসূত্র