Home Blog Page 377

ইসরায়েলকে সমর্থন করে ম্যাকডোনাল্ডস এই গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি

0

সম্প্রতি, মার্কিন ফাস্টফুড প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে একটি গ্রাহক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দাবিতে ইন্টারনেটে একটি গ্রাহক বিজ্ঞপ্তির ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিতে যা দাবি করা হয়েছে, “গাজায় গণহত্যায় এ পর্যন্ত ৩০,০০০ বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। আইডিএফকে (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) অভিনন্দন!

আমরা বলতে গর্ববোধ করি যে ম্যাকডোনাল্ডস ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে, বিশেষ করে যখন গাজাবাসীর বাকি অংশ ক্ষুধার্ত থাকে।

আমরা শুধুমাত্র এড়িয়ে চলি। আপনাদের ধন্যবাদ।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটি ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ দেয়নি বরং স্কটল্যান্ডের প্রো-প্যালেস্টাইন অ্যাক্টিভিস্টরা প্রতিবাদস্বরূপ এই গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটি বানিয়েছে।

এই বিষয়ে সত্যতা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে palestine.solidarity নামক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৪ মার্চ প্রকাশিত একটি পোস্টে একই ধরনের গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

পরদিন ২৫ মার্চ Art Workers for Palestine Scotland নামক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একটি পোস্টে আলোচিত গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিসহ আরও একাধিক যুব যুক্ত খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Instagram

উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, Art Workers for Palestine Scotland একটি প্রো-প্যালেস্টাইন গ্রুপ যারা চিত্র শিল্পের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার বর্বরতা তুলে ধরে। 

ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি থেকে জানা যায়, এই গ্রাহক ছবি ম্যাকডোনাল্ডস’র স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের ব্রাঞ্চ থেকে তোলা। গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটির ছবি প্রকাশ করে পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, “আপনাদের নিজের জন্য প্রিন্ট করুন! অ্যাকাউন্টের বায়োতে ​​পিডিএফ দেওয়া আছে! এটিই ম্যাকডোনাল্ডস’র পণ্য বয়কটের জোয়ার বড় রূপ দেওয়ার সময়! এই গ্রাহক বিজ্ঞপ্তির স্টিকারগুলো গ্লাসগো শহরের ম্যাকডোনাল্ডসের আশেপাশে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পোস্টার বা স্টিকার প্রিন্ট করতে আমাদের লিঙ্কট্রিতে দেওয়া একটি পিডিএফ সংগ্রহ করুন।

আরব ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবারও আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

মূলত, প্রো-প্যালেস্টাইন গ্রুপ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটকে কেন্দ্র মার্কিন ফাস্ট ফুড প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস বয়কটের প্রচারণা বাড়াতে প্রতিবাদস্বরূপ একটি গ্রাহক বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে প্রচার করে। উক্ত গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজায় গণহত্যায় এ পর্যন্ত ৩০,০০০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অভিনন্দন। আমরা বলতে গর্ববোধ করি যে, গাজাবাসী ক্ষুধার্ত অবস্থায় ম্যাকডোনাল্ডস ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে। উক্ত বিজ্ঞপ্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর উক্ত গ্রাহক বিজ্ঞপ্তিটিই ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ দিয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করায় মুসলিম কিছু দেশ ম্যাকডোনাল্ডসকে বয়কট ঘোষণা করেছে। 

সুতরাং, মার্কিন ফাস্ট ফুড প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গ্রাহক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সংশোধন/ Correction

২৯ জুন, ২০২৪ : প্রতিবেদনটির প্রথম সংস্করণে Art Workers for Palestine Scotland নামের গ্রুপ কর্তৃক এই বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এই গ্রুপের আগেই ভিন্ন একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একই বিজ্ঞপ্তি পাওয়ায় বিষয়টি উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হয়।

হিজাব পরে যাওয়ায় আড়ংয়ে ঢুকতে না দেওয়ার ভুয়া দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, হিজাব পরে যাওয়ায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো-রুমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক নারীকে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

হিজাব

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হিজাব পরে যাওয়ায় আড়ংয়ের শো-রুমে ঢুকতে না দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা বরং ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে মাস্ক পরে না আসায় আড়ংয়ের শোরুমে ঢুকতে না দেওয়ার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি আড়ংয়ের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছেন।  

ওই ব্যক্তি বলেন, আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনারা যে মাস্ক পরে রয়েছেন এটা মাস্ক আর এই নেকাব মাস্ক না কেন? আমি এটার ব্যাখ্যা চাচ্ছি আপনাদের কাছে৷ আপনার এটা মাস্ক হয় কীভাবে? আপনার এটা কি কোনো মেডিক্যাল অর্থরাইজেশন আছে কি না?… আপনি আমাকে ঢুকতে দেন নাই রেজিষ্ট্রেশন করার পরেও, তাই না? নেকাব কেন মাস্ক না আর আপনারটা কেন মাস্ক এটা আমাকে ব্যাখ্যা দেন প্লিজ! 

তিনি আরও বলেন, আমি এখন গুলশান আড়ংয়ে আছি৷ আমার এখানে একটা জিনিস চেঞ্জ করবো। আমার ওয়াইফ মাস্কটা নিয়ে আসে নাই, বাচ্চাটা আছে। এখন তার নেকাবটাকে মাস্ক বলতে চাচ্ছে না তারা৷ বাট তারা যেটা পরে আছে সেটা কীভাবে মাস্ক হয়? আমি এই জিনিসটা সবার কাছে প্রশ্ন করছি! 

এই ব্যক্তি এবং আড়ং কর্তকর্তার কথপোকথন থেকে বুঝা যাচ্ছে, মাস্ক না আনায় আড়ংয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

পরবর্তীতে ফেসবুকে ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানে সালের ‘শাবীব তাশফি’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টের ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়,, “এদেরকে থামানোর মতো কেউই কি নেই? কাপড়ের মাস্ক মুখে লাগিয়ে সেলসম্যানরা হরদম ডিউটি করছে। অথচ মুখে নিক্বাব লাগানো থাকার কারণে বোরকাবৃত মহিলাদেরকে আড়ং ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না! কিছুদিন আগে এক ভাই পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তার স্ত্রীকে আড়ংয়ের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর আজ এই ভাইয়ের ভিডিওটা সামনে এলো। কর্তৃপক্ষের মূল আপত্তি কি মাস্ক না পড়ায়? নাকি নিক্বাব আর হিজাবেই আপত্তি? এরা তো আল্লাহর বিধান অথবা দুনিয়ার বিজ্ঞান কোনোটাই মানছে না। এদের রব্ব কি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউ? অফিসের বসরাই কি এদের রব্ব? প্লিজ, এদেরকে থামান! আমাদের স্ত্রী, বোনদেরকে এরা পদে-পদে হেনস্তা করছে। দিনদিন এদের ধৃষ্টতা বহুগুণে বেড়েই চলেছে।”

পরবর্তীতে উক্ত পোস্টের মন্তব্যঘর পর্যবেক্ষণ করে নিজেকে ভিডিওর আলোচিত নারীর আত্মীয় দাবি করা শহীদুল হাসান নামের এক ব্যক্তির একটি মন্তব্য পাওয়া যায়। সেখানে তিনি বলেন, 

“গতকাল (৬ আগস্ট, ২০২০) বিকেলের ঘটনা।

পরে ঢুকতে দিছে ভাই। একটা মাস্ক ও গিফট করতে চাচ্ছিলো। নিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে নেকাব কে মাস্ক হিসেবে এপ্রুভ করবেন অথবা আড়ং এর সকল কর্মী সার্জিক্যাল মাস্ক পড়তে হবে তাহলেই উক্ত নিকাব পড়া মহিলা মাস্ক পড়েই ঢুকবে।

তখন তারা হার মেনে ও যুক্তিতে না পেরে ঢুকতে দিয়েছে সসম্মানেই।”

Screenshot: Facebook

অর্থাৎ, করোনাকালীন সময়ে আড়ংয়ের গুলশান শো-রুমে মাস্ক পরে না যাওয়ায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনার ভিডিও এটি। যা প্রায় ৪ বছর পূর্বের ঘটনা। যার সাথে আলোচিত দাবির কোনোপ্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

মূলত, সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের একটি পাঞ্জাবির নকশার  প্রিন্ট ডিজাইনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বলা হচ্ছে, আড়ং সমকামিতার চিহ্ন সম্বলিত প্রিন্ট বসিয়ে পাঞ্জাবি বিক্রি করছে৷ এরই মধ্যে ‘হিজাব পরে যাওয়ায় আড়ং শোরুম ঢুকতে দেওয়া হয়নি’ দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় আড়ংয়ের গুলশানের একটি শো-রুমে মাস্ক পরে না যাওয়ায় এক নারীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই সময়কার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, হিজাব পরে যাওয়ায় আড়ংয়ের শোরুমে নারীকে ঢুকতে না দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার। 

তথ্যসূত্র

ছোটদের বইয়ে বর্ণ দিয়ে বাক্যগঠন সম্বলিত পাতার এই ছবিটি সম্পাদিত

0

গেল ফেব্রুয়ারি থেকে ছোটদের একটি বইয়ের শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন সম্বলিত একটি পাতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত পাতায় দেখা যাচ্ছে, তিনটি বর্ণ দিয়ে বাক্য গঠন করা হয়েছে। গ-তে গনিমতে মুমিন খুশি, ঙ-তে মূর্তি ভেঙে করবো ভূষি এবং ছ-তে ছতর খুলো ওগো দাসী।

এই ছবি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতেও বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই ছবিটি পোস্ট করে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। 

বর্ণ

উক্ত ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত ছবি ব্যবহার করে ভারতের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই ছবি ব্যবহার করে এক্সেও (সাবেক টুইটার) সমালোচনা নজরে এসেছে রিউমর স্ক্যানারের৷ এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গ-তে গনিমতে মুমিন খুশি, ঙ-তে মূর্তি ভেঙে করবো ভূষি এবং ছ-তে ছতর খুলো ওগো দাসী শীর্ষক বাক্যগঠন সম্বলিত ছবিটি আসল নয় বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত পাতার ছবি এডিট করে উক্ত বাক্যগঠনগুলো বসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তরের ওয়েবসাইটে গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একই পাতার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবিটির সাথে আলোচিত দাবির ছবিটির তিন বর্ণের বাক্যগঠনে অমিল পরিলক্ষিত হয়। দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদনের ছবিতে থাকা বর্ণগুলোর বাক্যগঠন এরকম, গ-তে গান বাজনা ভালো নয়, ঙ-তে রঙ তামাশার সময় নাই, ছ-তে ছবি আঁকা ভালো নয়। 

Screenshot: Desh Rupantor 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ছবিটি শেয়ার করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করা হচ্ছে। 

অর্থাৎ, আলোচিত পাতার মূল ছবিটি এডিট করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। 

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মুবিন নামে এক ব্যক্তি মূল পাতাটি সম্পাদনা করে আলোচিত দাবি সম্বলিত পাতাটি প্রথম ফেসবুকে পোস্ট করেন। 

Screenshot: Facebook 

জনাব মুবিন উক্ত পোস্টের কমেন্ট সেকশনে জানান, ফোনের এডিটর অ্যাপ দিয়ে তিনি এই ছবি সম্পাদনা করেছেন। 

Screenshot: Facebook

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে, আলোচিত পাতাটি সম্পাদনার মাধ্যমে বাক্যগঠনগুলো বদলে দেওয়া হয়েছে। 

তাছাড়া, একই ব্যক্তি সম্প্রতি বাংলাদেশের কোমল পানীয় ব্র্যান্ড মোজোর মোড়কে “তিনি ‘মোজো’ কে করেছেন হালাল এবং ‘কোক’ কে করেছেন হারাম” শীর্ষক লেখা যুক্ত করেও প্রচার করেছেন। এ সংক্রান্ত রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পড়ুন এখানে। 

রিউমর স্ক্যানার টিম আলোচিত পাতাটি কোন বইয়ের তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে উক্ত পাতার মূল ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই জনাব মুবিন ফেসবুক থেকে উক্ত ছবি সংগ্রহ করে সম্পাদনা করেন৷ 

মূলত, গেল ফেব্রুয়ারি থেকে ছোটদের একটি বইয়ের শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন সম্বলিত একটি পাতায় তিনটি বর্ণ দিয়ে বাক্য গঠনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাক্যগঠনগুলো এমন, গ-তে গনিমতে মুমিন খুশি, ঙ-তে মূর্তি ভেঙে করবো ভূষি এবং ছ-তে ছতর খুলো ওগো দাসী। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত বাক্যগঠন সম্বলিত ছবিটি আসল নয়। মুবিন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত পাতার ছবি এডিট করে উক্ত বাক্যগঠনগুলো বসিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, মূল পাতার ছবিতে লেখা রয়েছে, গ-তে গান বাজনা ভালো নয়, ঙ-তে রঙ তামাশার সময় নাই, ছ-তে ছবি আঁকা ভালো নয়।

সুতরাং, গ-তে গনিমতে মুমিন খুশি, ঙ-তে মূর্তি ভেঙে করবো ভূষি এবং ছ-তে ছতর খুলো ওগো দাসী শীর্ষক বাক্যগঠন সম্বলিত একটি বইয়ের পাতার ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র 

ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বাংলাদেশি যুবকের গজল গাওয়ার এই ভিডিওটি এডিটেড

সম্প্রতি, “ইন্ডিয়ান মঞ্চে অসাধারণ একটি গজল” শীর্ষক শিরোনামে এক যুবকের গজল গাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।

গজল

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় ১৭ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার ৬ শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫৫৮ বার। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বাংলাদেশি যুবকের গজল গাওয়ার এই ভিডিওটি আসল নয় বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির শুরুতেই এক যুবককে গজল গাইলে শোনা যায়। গজলটি শুনে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বিচারকের দায়িত্বে থাকা উপস্থিত তারকাদের মুগ্ধ হতে দেখা যায়। 

ভিডিওটিতে ভারতের তারকা শিল্পা শেঠি, সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশামিয়া ও নেহা কক্কর সহ বেশ কয়েকজন তারকাকে মঞ্চে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটির কয়েকটি স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সনি এন্টারটেইনমেন্ট’র অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘SET India’তে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর “Shilpa Shetty ने किया Aditya के साथ Dance | Indian Idol Season 12 | Full Episode” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটির বেশ কিছু দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison : Rumor Scanner 
Video Comparison : Rumor Scanner 
Video Comparison : Rumor Scanner

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি উক্ত টেলিভিশন প্রোগ্রামের কয়েকটি দৃশ্য যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অধিকতর অনুসন্ধানে ভাইরাল ভিডিওটি’র নির্মাতা সবুজ খানকে খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি তার ফেসবুক পেজে গত ১৫ মার্চ “ইন্ডিয়ান মঞ্চে সেরা গজল। আরশের মেহেমান করেছেন আল্লাহ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনাতে তিনি জানান, ভিডিওটা ইডিট করে তৈরি করা। দয়া করে কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না। 

Screenshot : Facebook Post 

অর্থাৎ, উপরিউক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওটি আসল নয়।

মূলত,  সবুজ খান নামের এক বাংলাদেশি যুবক ইন্ডিয়ান আইডল প্রোগ্রামে ভারতীয় তারকাদের উপস্থিতির পুরোনো একটি ভিডিওর একাধিক ক্লিপ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যুক্ত করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি ‘ইন্ডিয়ান মঞ্চে অসাধারন একটি গজল’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে আসল ভিডিও দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ব্যক্তির ইন্ডিয়ান আইডল অনুষ্ঠানের মঞ্চে গান গাওয়ার একাধিক ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় ভিডিওগুলো এডিটেড হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, ইন্ডিয়ান মঞ্চে বাংলাদেশি যুবকের গজল গাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহর নাম ভেসে উঠেছে দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহ তা’আলার নাম ভেসে উঠেছে দাবিতে ‘সৌদি আরবের আকাশে মহান আল্লাহর পবিত্র নাম ভেসে উঠেছে’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

আল্লাহর

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ ১৫ হাজার ১৩১ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৬৬ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ১৩ হাজার ৯৬২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহর নাম ভেসে উঠার দাবিটিসঠিক নয় বরং মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র কাবা শরীফের সন্নিকটে অবস্থিত আবরাজ আল-বাইত মেগা বিল্ডিং কমপ্লেক্স যা মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার হোটেল নামে পরিচিত সেটির এলইডি সজ্জিত ঘড়ির নিচে এলইডি লাইটের মাধ্যমে লেখা পবিত্র কোরআনের আয়াতকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Abbudiary একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি Makkah clock tower night view শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ইউটিউব ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে লক্ষ্য করা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো স্থাপনার সাথে উক্ত স্থাপনার হুবহু মিল রয়েছে। তবে আলোচিত ভিডিওটিতে স্থাপনাটিতে এক এলইডি লাইট সজ্জিত ঘড়ি এবং ঘড়ির নিচে এলইডি লাইটের মাধ্যমে লেখা পবিত্র কোরআনের আয়াত থাকলে উক্ত স্থাপনায় তা অনুপস্থিত।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ক্লক টাওয়ারটি সুক্ষভাবে পর্যলোচনা করলে লক্ষ্য করা যায় যে, আলোচিত ভিডিওটিতে সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহ তা’আলার নাম ভেসে ওঠার দাবিতে যে লেখাটিকে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে তার সাথে ক্লক টাওয়ারের লেখাগুলোর হুবহু মিল রয়েছে। দুই স্থানেই লেখাগুলোর রং এবং অবস্থান একই জায়গায়। প্রকৃতপক্ষে, অস্পষ্ট আবহাওয়ার কারণে আলোচিত ভিডিওটিতে মক্কার ক্লক টাওয়ারটি দেখা যাচ্ছে না। 

পরবর্তীতে উক্ত টাওয়ারের গায়ে কি লেখা রয়েছে তা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট alluringworld এ মক্কার ক্লক টাওয়ার সম্পর্কিত তথ্যবহুল একটি প্রতিবেদন খুজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Alluring World

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পবিত্র কাবা শরীফের সন্নিকটে অবস্থিত ক্লক টাওয়ারটির নাম আবরাজ আল-বাইত যা মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার হোটেল নামেও পরিচিত। এই সুউচ্চ মেগা বিল্ডিং কমপ্লেক্সটি দেশটির সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যাতে বেশ কয়েকটি হোটেল এবং শপিং সেন্টার অবস্থিত রয়েছে।

Screenshot: Alluring World

এছাড়াও জানা যায়, আল্লাহর নামের পাশাপাশি ক্লক টাওয়ারটির উত্তর ও দক্ষিণ সাইডের উপরের অংশে আরবি ভাষায় ‘আল্লাহ মহান’ এবং পূর্ব ও পশ্চিম সাইডে মুসলমানদের পবিত্র কোরআনের বাণী লেখা রয়েছে। যা কয়েক মিলিয়ন সবুজ এলইডি লাইটের সাহায্যে রাতে উজ্জল হয়ে ওঠে। 

পরবর্তীতে আবরাজ আল-বাইত ক্লক টাওয়ারটির একটি ছবি গুগল লেন্সের সহায়তায় ট্রান্সলেট করে দেখা যায় আলোচিত ভিডিওটিতে ক্লক টাওয়ারটির যে অংশ দেখা যাচ্ছিল সেখানে আল্লাহ তা’আলার নামের নিচে ‘আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন’ শীর্ষক লেখাটি রয়েছে। যেটি আলোচিত ভিডিওতে ফুটে উঠেছে।

Image: Rumor Scanner.

মূলত, সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহর নাম ভেসে উঠেছে দাবিতে একটি ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র কাবা শরীফ সংলগ্ন আবরাজ আল-বাইত বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ক্লক টাওয়ারে এলইডি লাইটের মাধ্যমে লেখা কোরআনের আয়াতকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ক্লক টাওয়ারটির স্থাপনার পরিবর্তে শুধুমাত্র এলইডি সজ্জিত কোরআনের আয়াত লেখাটি দেখতে পাওয়ায় আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।

সুতরাং, সৌদি আরবের আকাশে আল্লাহর নাম ভেসে উঠেছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে শীর্ষক মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, ভুয়া ফটোকার্ডে অপপ্রচার

0

বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা নজরে এসেছে রিউমর স্ক্যানারের। এর অংশ হিসেবে ভারতের পণ্যসহ দেশটিকে ‘বয়কট’ নিয়ে করা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইন চলছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টির সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন,  আমি এখন বলবো বিএনপির নেতারা “যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কিনা এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কিনা, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।”

সম্প্রতি, ভারত বয়কট সম্পর্কে শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। “জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।”- শীর্ষক শিরোনামে বা তথ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত ফটোকার্ড যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং চ্যানেল আইও এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চ্যানেল আই এর ডিজাইনের আদলে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে চ্যানেল আই এর ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 

Photocard Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ফটোকার্ডটি চ্যানেল আই এর ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। 

চ্যানেল আই এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করেও উক্ত শিরোনামে বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, চ্যানেল আই এর ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল পর্যালোচনা করেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন মন্তব্য করেছেন কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ মার্চ ভারত বয়কট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও এই সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য তিনি করেননি। 

মূলত, সম্প্রতি জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।”- শীর্ষক শিরোনামে বা তথ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চ্যানেল আই এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। এছাড়া, শেখ হাসিনার মন্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।” শীর্ষক মন্তব্যটি শেখ হাসিনার দাবিডে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। 

তথ্যসূত্র

মুস্তাফিজের বোলিংয়ে খুশি হওয়ায় ধোনি কর্তৃক ২ কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহারের ভুয়া দাবি ইন্টারনেটে

গত ২২ মার্চ চলতি আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। উক্ত ম্যাচে তিনি ম্যাচ সেরা হন। পরবর্তীতে গত ২৬ মার্চ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেও ২ উইকেট নিতে সক্ষম হন বাংলাদেশি এই পেসার। দুই ম্যাচে সর্বমোট ৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি উক্ত ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে খুশি হয়ে তাকে ২ কোটি টাকা এবং একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার বার এবং প্রায় ৩৫০ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকের এক ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৯ শত বার এবং ভিডিওটিতে প্রায় ১১ হাজার ২ শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুরকে ২ কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ দেওয়ার কোনো ঘোষণা দেননি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে  চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার সময়কার মুস্তাফিজুর এবং ধোনির কিছু ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিওটিতে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান এবং ধোনির কিছু ছবি দেখা যায়। তবে ভিডিওর কোথাও ধোনিকে কোনো ঘোষণা দিতে দেখা যায়নি। 

ভিডিওটির সংবাদপাঠ অংশে দাবি করা হয়, মুস্তাফিজের বোলিংয়ে খুশি হয়ে ২ কোটি টাকা ও একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিলো মাহেন্দ্র সিং ধোনি।  

তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং চেন্নাই সুপার কিংসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে মাহেন্দ্র সিং এমন কোনো ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুর রহমানকে ২ কোটি টাকা এবং একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দেননি। 

মূলত, গত ২২ মার্চ আইপিএলের ১৭ তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে পরাজিত করে। উক্ত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেও পরবর্তী ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে সর্বমোট ৬ উইকেটে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে “মুস্তাফিজের বোলিং এর খুশি হয়ে ২ কোটি টাকা ও,একটি BMW দেওয়ার ঘোষণা দিলো মহেন্দ্র সিং ধোনি” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে যে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজরকে নিয়ে এমন কোনো ঘোষণা দেননি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে খুশি হয়ে তাকে ২ কোটি টাকা ও একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আগামী ৩১ মে এসএসসির ফল প্রকাশিত হবে দাবিতে ২০২০ সালের সংবাদ প্রচার

সম্প্রতি, সময় টিভির একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও ব্যবহার করে এসএসসি ২০২৪ তোমাদের জন্য সুখবর আগামী ৩১ মে তোমাদের রেজাল্ট দিবে সকাল দশটায় তোমরা সবাই অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৬ লক্ষ ৩৩ হাজারেরও বেশি বার। ভিডিওটিতে ২৪ হাজার ছয়শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি বরং, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের একটি অংশ ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২১ মে “এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংকট চলাকালীন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ফলাফল তারিখের দিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করার কথা বলা হয়।

এছাড়া, গত মাসে আগামী ৫ মে এসএসসির ফল প্রকাশ দাবিতে ঢাকা বোর্ডের নামে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে গত ২৭ মার্চ বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সেসময় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “এসএসসির ফলাফল নিয়ে কোনো নোটিশ এখন অবধি দেওয়া হয়নি।”

মূলত, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংকট চলাকালীন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একই বছরের ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে সেসময় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি সময় টিভির উক্ত খবরের ভিডিওর কিছু অংশ ব্যবহার করে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত হবে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণার সংবাদ ব্যবহার করে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত হবে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দেননি

0

বাংলাদেশি ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এ চেন্নাই সুপার কিংস এর হয়ে খেলছেন। তবে সামনে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকায় তার আইপিএলে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, স্বপ্ন পূরণ হলো কাটার মাস্টারের মুস্তাফিজ. প্রধানমন্ত্রীর কথায় খেলবেন পুরো আইপিএল শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

আইপিএল

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ১২ হাজার ছয়শত বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে তিনশত ৬৮ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে এক লক্ষ ১২ হাজার বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে তিনশত ২ হাজার চারশত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দেননি বরং পূর্বে ভিন্ন বিষয়ে ভয়েস আমেরিকা বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের অংশ ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ক্লিপগুলোর বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে “সাকিবদের নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী | Sheikh Hasina About Bangladesh Cricket” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস অব আমেরিকায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওতে উপস্থাপক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের আইসিসি ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এর বাংলাদেশ টিমের প্রত্যাশা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের এটাই আমার কথা যেন বাংলাদেশের সম্মানটা যেনো বজায় থাকে। তারা সেইভাবেই সবটুকু ঢেলে দেবে এবং আন্তরিকতার সাথে খেলবে সেটাই আমি চাই। অবশ্যই সবসময় ওদের সাথে একটা যোগাযোগ থাকেই। আসার আগেও আমি কথা বললাম ওদের প্লেয়ারদের সাথেও কথা বলি যারা অরগানাইজার ওদের সাথেও আমি কথা বলি। আমি সবসময় খেয়াল রাখি, খেলাধুলা স্পোর্টস আমাদের ছেলে মেয়েরা যাতে ভালো করে সেদিকে আমার সবসময় দৃষ্টি থাকে এবং সবার খুব সহযোগিতা করে থাকি। বিশ্বকাপে আমরা যে খেলার সুযোগ পেয়েছি এটাই তো সবথেকে ভালো। তো দেখাযাক, জানিনা ভালোভাবে খেলতে পারলে রেজাল্ট করতেও পারবে। আমরা সবসময় আশা করি যে বিশ্বকাপে আমরা একটা ভালো খেলা দেখাতে পারবো।

তবে তিনি সেই সাক্ষাতকারে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি।

মূলত, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকান গণমাধ্যম ভয়েজ অব আমেরিকায় একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এর প্রত্যাশা নিয়ে মন্তব্য করেন। যা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি সেই ভিডিওর একটি অংশ কাঁট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, পুরনো ও ভিন্ন ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দিয়েছেন এমন দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কাবা শরীফের কোনো ইমাম রমজানের শেষ দশ দিনের বিশেষ আমল নিয়ে এই পরামর্শগুলো দেননি

মুসলমানদের কাছে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত কাবা শরীফ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর ঘর বলে পরিচিত এই কাবা শরীফের ইমামের ফর্মুলা বা পরামর্শ দাবিতে কিছু তথ্য গেল বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেটে বিদ্যমান। 

দাবি করা হচ্ছে, কাবা শরিফের বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস রমজানের শেষ দশকের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন।

১. প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর বা ১০০০ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।

২. প্রতিদিন দুই রাকা’আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দুই রাকা’আত নফল সালাত আদায় করার সাওয়াব পাবেন।

৩. প্রতিদিন তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর’আন পাঠের সাওয়াব পাবেন।

এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, 

তিনি আরো বলেন, এ কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার এ কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।” (মুসলিম, ২৬৭৪)

রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসের নামে এই মন্তব্যগুলো প্রচার হলেও এর পূর্বে কাবার আরেক ইমাম শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলির নামেও একই দাবি প্রচার হয়েছে। 

কাবা শরীফের

উক্ত দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন ডেইলি বাংলাদেশ

একই দাবিতে বিগত সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন জাগোনিউজ২৪ (২০২০), আওয়ার ইসলাম (২০১৯)।

চলতি বছর (২০২৪ সালে) উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে বিগত বছরগুলোর ফেসবুক পোস্ট দেখুন ২০২৩, ২০২২, ২০২১, ২০২০, ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬। 

একই দাবিতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাবা শরীফের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস বা শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলি রমজানের শেষ দশকের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং কাবার কোনো ইমামই এ সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ দেননি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং হারামাইন শরীফের অফিশিয়াল সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে এ সংক্রান্ত দাবিটির সূত্রপাত খোঁজার চেষ্টায় ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর ফেসবুক পেজে একই দাবির পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ০২ মে প্রকাশিত এই পোস্টে জনাব সাইফুল্লাহ দাবি করেন, এটি মাসজিুল হারামের ইমাম শায়েখ মাহির মুকাইকিলির খুতবা হিসেবে দেওয়া বক্তব্য। এই পোস্টের সূত্র হিসেবে তিনি এর অনুবাদক হিসেবে আলী হাসান তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। 

Screenshot: Facebook 

আমরা জনাব আলী হাসান তৈয়বের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। 

তিনি আমাদের বলছিলেন, “এটা শায়খ মাহেরের একটি আরবী পত্রিকায় পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা তিনি কোন খুতবায় বা কোথায় তিনি বলেছেন তা নিশ্চিত হতে পারিনি।”

তার পরামর্শ, ওই কথাগুলো উনি বলুন আর না বলুন, কথাগুলো হাদিস বা সুন্নাত মনে না করে শুধু একটি আমলের কৌশল হিসেবে নিলে কোনো সমস্যা হবে না। 

ফেসবুক এডভান্স সার্চ পদ্ধতির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির পোস্টে আলোচিত দাবিটিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটিই বাংলা ভাষায় আমাদের অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে পোস্টের এডিট হিস্টোরি যাচাইয়ে দেখা যায়, মিথ্যা সাব্যস্ত করা অংশ এবং ইমামের ফর্মুলাগুলো ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পোস্টে যুক্ত করা হয়। তার পূর্বে একটি ছবি যুক্ত ছিল পোস্টে, যা সেসময় সরিয়ে নেওয়া হয়৷ ছবিতে কী ছিল তা জানা সম্ভব হয়নি।

Screenshot collage: Rumor Scanner

জনাব নিজামের পোস্টের দিন তিনেক পর সে বছরের ৩০ মে চট্টগ্রামের লোহাগড়া কলাউজান শাহ রশিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল মুহছেন আলোচিত দাবিতে পোস্ট করেন যা বর্তমানে সচল থাকা এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে আমাদের কাছে। পরের বছর ইংরেজি ভাষাতেও একই দাবিতে পোস্ট নজরে আসে আমাদের।

Screenshot collage: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, অন্তত ২০১৬ সাল থেকে কাবা শরীফের দুই ইমামের নামে একই মন্তব্য বা ফর্মুলা প্রচার হয়ে আসছে। 

এ বিষয়ে ফেসবুকেই প্রাসঙ্গিক নানা কিওয়ার্ড সার্চের পর ২০১৬ সালের ২০ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক পেজ ‘ইনকারেক্ট আহাদিত ডিফিউজড’ এর একটি পোস্ট নজরে আসে আমাদের।

পোস্টে বলা হয়, কাবার ইমামের নাম ব্যবহার করে প্রচারিত তথ্যগুলোর কোনো সত্যতা নেই। একই ধরণের পরামর্শ এর আগে মিশরের ইসলামিক ব্যক্তিত্ব আমর খালেদের নামেও প্রচারের কথা উল্লেখ করা হয় পোস্টে। 

Screenshot: Facebook 

২০১৬ সাল বা তার পরবর্তী সময়ে কাবার কোনো ইমাম এ সংক্রান্ত বক্তব্য দেওয়ার তথ্য সৌদি আরবের গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে না পেয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম সৌদি আরবের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘No Rumors’ এর প্রতিষ্ঠাতা রায়ান আদিলের সাথে। তিনি বলছিলেন, কাবার কোনো ইমামই এমনটা বলেননি। এটা একটা প্রতারণার শামিল। 

রায়ান বলছিলেন, আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন দেখবেন পোস্টগুলোতে ইমামের বক্তব্যে দিরহামের বিষয় এসেছে। কিন্তু সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সৌদি রিয়াল সৌদি আরবের সরকারী মুদ্রা, দিরহাম নয়। 

এদিকে আমাদের অনুসন্ধান চলাকালীন হারামাইন শরীফ ভিত্তিক ভেরিফাইড পেজ ‘ইনসাইড দ্যা হারামাইন’ থেকেও জানানো হয়, ভাইরাল বিষয়টি সঠিক নয়৷ 

Screenshot: Facebook 

মূলত, রমজানের শেষ দশদিনের জন্য কাবা শরীফের ইমামের ফর্মুলা বা পরামর্শ দাবিতে কিছু তথ্য গেল বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। দাবি করা হচ্ছে, কাবা শরীফের বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস রমজানের শেষ দশ দিনের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন। ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসের নামে এই মন্তব্যগুলো প্রচার হলেও এর পূর্বে কাবার আরেক ইমাম শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলির নামেও একই দাবি প্রচার হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাবার কোনো ইমামই এ সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ দেননি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং হারামাইন শরীফের অফিশিয়াল সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, রমজানের শেষ দশ দিনের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল বিষয়ে কাবা শরীফের ইমামের মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • IncotrectAhadithDiffused: Facebook Post 
  • Statement from Ryan Adil, No Rumors 
  • Inside the Haramain: Facebook Post
  • Rumor Scanner’s own investigation