বাংলাদেশের কোমল পানীয় ব্র্যান্ড মোজোর মোড়কে “তিনি ‘মোজো’ কে করেছেন হালাল এবং ‘কোক’ কে করেছেন হারাম” শীর্ষক লেখা যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কোমল পানীয় মোজোর মোড়কে হালাল ও হারাম সম্পর্কিত কোনো লেখা যুক্ত করা হয়নি বরং মোজোর বোতলের একটি ছবি সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
গুজবের সূত্রপাত
অনুসন্ধানের মাধ্যমে ‘মুবিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে গত ১৮ মার্চ রাত ১০টা ০৬ মিনিটে প্রকাশিত আলোচ্য ছবি সম্বলিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

পরবর্তীতে আমরা এই ছবির বিষয়ে জানতে জনাব মুবিনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, ছবিটি তিনি নিজেই এডিট বা সম্পাদনা করেছেন। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত মোজোর বোতলের একটি ছবির ওপর তিনি এই এডিট করেছেন। এই কাজটি শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে করেছেন বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন।
জনাব মুবিন আমাদের মোজোর মূল বোতলের ছবিটিও সরবরাহ করেছেন। মূল ছবিটিতে এই লেখাটি নেই।

তাছাড়া রিউমর স্ক্যানার টিম বাজারে থাকা মোজোর বোতলগুলোতেও এই লেখা দেখতে পায়নি।
মূলত, দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কোমল পানীয় ব্র্যান্ড মোজোর মোড়কে “তিনি ‘মোজো’ কে করেছেন হালাল এবং ‘কোক’ কে করেছেন হারাম” শীর্ষক লেখা যুক্ত হয়েছে দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোজোর মোড়কে এমন কোনো লেখা যুক্ত হয়নি। উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা সম্পাদিত। মুবিন নামের একজন ব্যক্তি বিনোদনের উদ্দেশ্যে সম্পাদনার মাধ্যমে মোজোর বোতলে এই লেখা যুক্ত করেন, যা পরবর্তীতে বাস্তব দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে জন্ম নিলো ভুয়া মোজো স্টুডিও বাংলা
সুতরাং, মোজোর মোড়কে “তিনি ‘মোজো’ কে করেছেন হালাল এবং ‘কোক’ কে করেছেন হারাম” শীর্ষক লেখা যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং এই দাবিতে প্রচারিত মোজোর বোতলের ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s own investigation.
- Statement by Mubin.