Home Blog Page 365

প্রচারিত ভিডিওটি ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার দৃশ্যের নয় 

সম্প্রতি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে “ইরানের বিমান হামলায় ইসরায়েলের বিমান ঘাটি দংশ। এ-ই গুলো রাশিয়ার পাঠানো যুদ্ধ বিমান।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ইরানের হামলায়

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি  ভিডিওটি প্রায় ৫৭ হাজার বার দেখা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি রাশিয়ার পাঠানো যুদ্ধবিমানে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার কোনো ঘটনার  নয়, বরং ভিডিওটি GTA 5 নামের ভিডিও গেমের দৃশ্যের।। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম৷ প্রাথমিক অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে ব্যবহৃত আগুন কিংবা বোমা বিস্ফোরণের পর বিমানের আচরণ দেখে তা মোটেও স্বাভাবিক বা সত্য দৃশ্য মনে হয়নি।

প্রচারিত ভিডিওর  একাধিক কী-ফ্রেম  রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি Battle Games নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের ২৬ মার্চ তারিখে ফিলিস্তিনের ফাইটার জেটের আক্রমণে ইসরায়েলের নেভি এয়ারক্রাফট পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে শিরোনামে প্রচার করা হয়৷ তবে, শিরোনামে এর পাশাপাশি স্পষ্ট করে GTA – 5 নামের ভিডিও গেমের নামও উল্লেখ করা আছে। উপরন্তু, হ্যাশট্যাগে #GTA5Pakistan #thegame_lovers ইত্যাদি হ্যাশট্যাগও দেখতে পাওয়া যায়৷ 

Screenshot: mentioned YouTube video

এমনকি ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে ডিসক্লেইমারে পরিষ্কার করে লিখা আছে, ভিডিওটিতে দেখানো সবকিছুই কাল্পনিক৷ বাস্তবের সাথে এর কোনো মিল নেই।

Photo: Disclaimer of mentioned YouTube video

উক্ত ভিডিওটি ৩:৩০ মিনিটের পর থেকে চালু করলে প্রচারিত ভিডিওটির সাথে বেশকিছু ফ্রেমের হুবহু মিল দেখতে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner 

ভিডিওটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে Number-21 War নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে GTA-5 গেমের আরেকটি গেমিং ভিডিও এর সাথে আলোচিত ভিডিওর আগুনের দৃশ্যের তুলনা করেও মিল পাওয়া যায়। তুলনাকৃত ভিডিওটিতেও ইরানি জেটের দ্বারা ইসরায়েলের এয়ারক্রাফট ধ্বংস হওয়ার কথা শিরোনামে থাকলেও পাশাপাশি #gta5 হ্যাশট্যাগও দেওয়া আছে যা দেখে ভিডিও গেমিং ভিডিও বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner 

মূলত, সম্প্রতি ইরানের বিমান হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিওতে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয়। এটি মূলত GTA-5 নামে গেমের ভিডিও।

 অর্থাৎ, ভিডিও গেমের দৃশ্যকে রাশিয়ার পাঠানো যুদ্ধবিমানে ইরানের বিমান হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে ; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ডিপফেকের শিকার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

সম্প্রতি, “অপুর নিউ ভিডিও” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

অপু বিশ্বাস

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি অপু বিশ্বাসের নয় বরং প্রিয়া সেন নামক দিল্লির এক মডেল ও অভিনেত্রীর। ভিডিওতে উক্ত নারীর মুখের স্থলে অপু বিশ্বাসের মুখ ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় বসিয়ে এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে “that_twinklegirl” নামক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচিত ভিডিওতে দেখানো অপু বিশ্বাসের পোষাক, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তুর সাথে উক্ত ভিডিওতে দেখানো প্রিয়া সেন নামক নারীর পোষাক, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তুর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison : Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো এই নারী অপু বিশ্বাস নন। 

মূলত, দিল্লির এক অভিনেত্রী ও মডেল প্রিয়া সেন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৩১ জানুয়ারি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। উক্ত ভিডিওতে থাকা নারীর মুখের স্থলে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের মুখ ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওতে থাকা নারী অপু বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, ডিপফেক হলো বাস্তবসম্মত দেখতে কিন্তু নকল বা কিছুটা পরিবর্তিত কন্টেন্ট যা ভিডিও বা অডিওর উপাদান সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়। ডিপফেক ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে একজন ব্যক্তির মুখের অবয়ব বা ভয়েসকে অন্য কারোর সাথে বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই প্রযুক্তির সহায়তায় একজন ব্যক্তির এমন কিছু ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট তৈরি করা সম্ভব যা তিনি নিজে বলেননি বা করেননি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একাধিক ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেসব প্রতিবেদন একত্রে দেখুন এখানে

সুতরাং, দিল্লির এক অভিনেত্রী ও মডেলের ভিডিওতে অপু বিশ্বাসের মুখ ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় বসিয়ে ভিডিওটি অপু বিশ্বাসের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে ; যা এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

১৮৬০ সালে তোলা কাবা ঘরের ছবি নয় এটি

0

সম্প্রতি, ১৮৬০ সালের কাবা শরিফের দৃশ্য দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি ১৮৬০ সালে তোলা কাবা শরীফের ছবি নয়, বরং ‘মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ নামের চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য তৈরি শুটিং সেটের একটি ছবি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে তুরস্কের ‘সাবাহ’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনের ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের সেট এটি। ইরানের তেহরান এবং কোম শহরের মধ্যবর্তী এলাকায় নূর সিনেমা সিটি নামের একটি স্থানে এই সেট বানানো হয়েছিল।

একই বিষয় নিয়ে তুরস্ক ভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল হুরসেদা হাবেরের (Hürseda Haber) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনি নিয়ে তৈরি উক্ত চলচ্চিত্রের নাম ‘Muhammad: The Messenger of God’।

একই ওয়েবসাইটে উক্ত চলচ্চিত্রের শুটিং সেটের আরো অসংখ্য ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot collage: Rumor Scanner 

চলচ্চিত্রটির নামের সূত্রে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ আইএমডিবির ওয়েবসাইটে উক্ত চলচ্চিত্রটির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদির পরিচালনায় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনী সম্পর্কিত এই চলচ্চিত্র ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। 

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ‘Path Vule’ নামের একটি চ্যানেলে পূর্নাঙ্গ চলচ্চিত্রটি পাওয়া যায়। চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্যে দাবিকৃত ছবিতে থাকা কাবা ঘরটি দেখা যায়।

মূলত, ১৮৬০ সালে কাবা শরিফের দৃশ্য দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি আসলে কাবা শরিফের নয়। মূল ছবিটি ‘মুহাম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ নামের চলচ্চিত্রের শুটিং সেটের। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনি নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে কাবা শরিফের দৃশ্য দেখানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। 

সুতরাং, চলচ্চিত্রে দেখানোর জন্য নির্মিত কাবা শরিফের ছবিকে ১৮৬০ সালে তোলা কাবা শরীফের বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

হালনাগাদ/ Update

২৭ এপ্রিল, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে ইউটিউব ও টিকটকে একই দাবি সম্বলিত ভিডিও আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত ভিডিওগুলোকে প্রতিবেদনে দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।

স্বপ্ন সুপারশপে চাকরি দেওয়ার নামে হোয়াটসঅ্যাপে আর্থিক প্রতারণা

0

সম্প্রতি, স্বপ্ন সুপারশপের সহকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে একটি খুদে বার্তা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠানো হচ্ছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে স্বপ্ন সুপারশপের সহকারী ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বরং প্রতারণার উদ্দেশ্যে একটি চক্র হোয়াটসঅ্যাপে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত খুদেবার্তাটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত খুদে বার্তায় দেখা যায়, অফিসের ঠিকানা হিসেবে ‘উত্তরা, আজমপুর রেলগেট, ঢাকা বাংলাদেশ’ এবং হেল্পলাইন নম্বর হিসেবে 01955824412 নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, চাকরি পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফরম, খাদ্য ও পোশাক খরচ বাবদ প্রার্থীদের কাছ থেকে ৪০০০ টাকা দাবি করা হয় খুদে বার্তাটিতে।

কিন্তু স্বপ্ন সুপারশপের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যমতে, স্বপ্ন সুপারশপের হেডকোয়ার্টার নভো টাওয়ার, তেজগাঁও-এ অবস্থিত। এছাড়াও তাদের অফিসিয়াল হেল্পলাইনের নম্বর 16469.

স্বপ্ন সুপারশপে চাকরি
Source: SWAPNO Website

স্বপ্ন এ ধরনের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানে স্বপ্ন সুপারশপের মালিক প্রতিষ্ঠান এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড এর লিংকডইন অ্যাকাউন্টে চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। 

Comparison Image By Rumor Scanner

এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের লিঙ্কড ইন প্রোফাইলে দেখা যায়, সম্প্রতি স্বপ্ন সুপারশপে নিয়োগের জন্য দুইটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একটি অপারেশনাল অডিট টিমের জোনাল ম্যানেজার এবং অপরটি ম্যানেজার পদে। কিন্তু সহকারী সুপারভাইজার পদে স্বপ্ন সম্প্রতি কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি।

পরবর্তীতে, স্বপ্ন সুপারশপের ফেসবুক গ্রুপ SWAPNO Help Center সহকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ বিষয়ক একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টের কমেন্ট সেকশনে স্বপ্ন জানায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সঠিক নয়, স্বপ্ন এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির লিংকড ইন প্রোফাইল অনুসরণ করার অনুরোধও জানানো হয়।

Source: SWAPNO Help Center

এ পর্যায়ে স্বপ্নে সহকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগের খুদে বার্তা পেয়েছেন এমন একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী জানান হেল্প নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে চাকরির জন্য তাকে ঢাকার উত্তরার আজিমপুর রেলগেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়। 

এরপর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য স্বপ্ন সুপারশপের ফেসবুক গ্রুপে জানতে চেয়ে পোস্ট করেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী। পরবর্তীতে, সেই পোস্টটি তথাকথিত চাকরিদাতার নজরে এলে সেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে পোস্টটি ডিলিট করার নির্দেশ দেন তথাকথিত চাকরিদাতা।

উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের খুদে বার্তায় উল্লেখিত হেল্পলাইন নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি রিউমর স্ক্যানার টিম। 

মূলত, সম্প্রতি এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন সুপারশপে সহকারী ম্যানেজার পদে নিয়োগের নামে ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে হোয়াটস অ্যাপে খুদে বার্তা পেয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে স্বপ্ন এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। চাকরি বাবদ স্বপ্নকে অগ্রিম কোনো টাকা প্রদান করতে হয়না। এছাড়া, কোনো ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে স্বপ্নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়না। স্বপ্নের পক্ষ থেকেই বিজ্ঞপ্তি সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অর্থাৎ, স্বপ্ন সুপারশপে সহকারী সুপারভাইজার পদে নিয়োগের খুদে বার্তাটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও প্রতারণামূলক।

তথ্যসূত্র

মন্দির ভিত্তিক প্রকল্পে শিক্ষক নিয়োগের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তারিখ বদলে আবার প্রচার

0

গত ১৬ এপ্রিল সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প (প্রজেক্ট ২০২৪) এর ৮ম পর্যায়ের (শিরোনামে ৭ম পর্যায়) ৫ বছরের প্রকল্পের নিয়োগ নিয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের তারিখ গত ২১ মার্চ ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। 

কথিত এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র শিক্ষক পদে ১৩৫৯ জন এবং ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র শিক্ষক পদে ১১৬ জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এছাড়া, আবেদনের নিয়মাবলীতে লেখা আছে, উক্ত পদ সমূহের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২২ এপ্রিল ২০২৪ ইং, রাত ১২ টা মধ্যে ছবি ও সিভি [email protected] শীর্ষক ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করার কথা বলা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তির ছবিতে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর লোগো রয়েছে৷ এটি দেখে চাকরি প্রার্থীরা সহজেই ধরে নেয়ার সুযোগ থাকে যে, এই বিজ্ঞপ্তি পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে। 

উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি সম্বলিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প এর কথিত এই বিজ্ঞপ্তিটি সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশ করেনি বরং আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি বার বার ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এটিকে ভুয়া বলে প্রকল্পটির পরিচালকের পক্ষ থেকে পূর্বেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পটির একই ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত মার্চেও ছড়িয়েছিল ফেসবুকে। সে সময় রিউমর স্ক্যানার প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, ৮ম পর্যায়ের আওতায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তির ছবিতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের তারিখ গত ০৩ মার্চ ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। কথিত এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র শিক্ষক পদে ৮২৫ জন এবং ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র শিক্ষক পদে ১৩৩ জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে দাবি করা হচ্ছিল। এছাড়া, আবেদনের নিয়মাবলীতে লেখা আছে, উক্ত পদ সমূহের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ১৪ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ১২ টা মধ্যে ছবি ও সিভি [email protected] শীর্ষক ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করার কথা বলা হয়েছে। 

এই একই ইমেইলের মাধ্যমে ২০২৩ সালেও একই ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে প্রচারের প্রমাণ পেয়েছিল রিউমর স্ক্যানার।  

সরকারের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালেই একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিজ্ঞপ্তিকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করে বলা হয়, “একটি কুচক্রী দল জনসাধারণের নিকট অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।” 

তবে ৭ম বা ৮ম পর্যায়ের আওতায় এই প্রকল্পের যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোই প্রচার হয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে তা যে ভুয়া তা নিশ্চিত হওয়া যায় একনেকের একটি বিজ্ঞপ্তি থেকেই। ২০২২ সালের ১৪ জুন একনেক কর্তৃক “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রকল্পটির অনুমোদিত মেয়াদ ০১ জুলাই ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। অর্থাৎ, কথিত এই বিজ্ঞপ্তিগুলোতে এই প্রকল্পকে ৭ম বা ৮ম পর্যায়ের প্রকল্প বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়৷  

মূলত, সম্প্রতি সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প (প্রজেক্ট ২০২৪) এর ৮ম পর্যায়ের আওতায় শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের তারিখ গত ২১ মার্চ ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি। ভুয়া এই ইমেইল ব্যবহার করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অন্তত গত বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই প্রকল্পের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের (প্রজেক্ট ২০২৪) নামে  একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট: নোটিশ 
  • Rumor Scanner’s own analysis

ইসরায়েলের ড্রোনকে ঈগলের আক্রমণের ভিডিও দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ইসরায়েলের একটি ড্রোনকে ঈগল আক্রমণ করে ছিড়ে খাচ্ছে শীর্ষক দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ঈগলের আক্রমণের

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়েলের ড্রোনেকে ঈগলের আক্রমণের কোনো ঘটনার  নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার উপশহরে করোনাকালীন সময়ে ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে থাকা ড্রোনটি WIng নামের একটি ডেলিভারি সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের। যেটি কফি ডেলিভারি করতে গিয়ে একটি মা দাঁড়কাকের আক্রমণের শিকার হয়। 

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম news.com.au এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর Wing delivery drones have been attacked in Canberra শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: news.com.au

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার উপশহরে বেন রবার্ট নামের এক ব্যক্তির সকালের কফি ডেলিভারি করতে গিয়ে Wing নামের প্রতিষ্ঠানটির একটি ড্রোন ওই এলাকার একটি মা দাঁড়কাকের আক্রমণের শিকার হয়। সেসময় বেন ঘটনাটি দেখতে পেলে তা তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেন। যা তিনি পরবর্তীতে ইন্টারনেটে প্রচার করেন।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ABC News অস্ট্রেলিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর Birds attacking drone food deliveries in Canberra, as lockdown drone deliveries spike | ABC News শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Youtube 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, দাঁড়কাকের ড্রোন আক্রমণের ঘটনাটি ক্যানবেরার উপশহরের Haven স্ট্রিট নামক এলাকায় ঘটে। মূলত, এক মা দাঁড়কাকের বাসার উপর দিয়ে ডেলিভারি ড্রোনটি যাওয়া সময় সেটি ড্রোনটিকে আক্রমণ করে। তবে আক্রমণের শিকার হলেও ড্রোনটি গ্রাহকের কাছে তার সকালের কফি পৌছে দিতে সক্ষম হয়। 

এছাড়া প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ডেলিভারি ড্রোন আক্রমণের ঘটনার পর থেকে Wing নামের প্রতিষ্ঠানটি ওই নির্দিষ্ট এলাকায় ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি ইসরায়েলি ড্রোনে ঈগলের আক্রমণ করার কোনো ঘটনার নয়।

মূলত, করোনাকালীন সময়ে লকডাউন চলার কারণে উন্নত দেশগুলোতে খাবার এবং পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে ড্রোন সার্ভিস ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার উপশহরে Haven স্ট্রিট নামক একটি এলাকায় সকালের কফি ডেলিভারি করতে গিয়ে Wing নামের এক ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের ড্রোন একটি মা দাঁড়কাকের আক্রমণের শিকার হয়। উক্ত ঘটনাটি বেন রবার্ট নামের গ্রাহক নিজেই তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। যা তিনি পরবর্তীতে ইন্টারনেটে প্রচার করেন। সম্প্রতি, দাঁড়কাকের ড্রোন আক্রমণের সেই ভিডিওটিকে ইসরায়েলের একটি ড্রোনকে ঈগল আক্রমণ করে ছিড়ে খাচ্ছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ইসরায়েলের ড্রোন ঈগল ছিড়ে খাচ্ছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সময় টিভি’র ফটোকার্ড এডিট করে লিওনেল মেসি সম্পর্কে ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, জনপ্রিয় আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি গভীর রাতে পর্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন দাবিতে ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন লিওনেল মেসি’ শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ডে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

মেসি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফুটবলার লিওনেল মেসি গভীর রাতে পর্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন দাবিতে সময় টিভি কোনো প্রতিবেদন কিংবা ফটোকার্ড সময় টিভি প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, সময় টিভির স্পোর্টস বিটের ফেসবুক পেজে গত ২০ এপ্রিল ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন চেলসির ফুটবলার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ দেখানো হয়েছে ২০ এপ্রিল ২০২৪।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা লোগো এবং প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে সময় টিভি‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে উক্ত তারিখে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সময় টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়াও সময় টিভি’র পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের একটি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামের ‘লিওনেল মেসি’ লেখাটির সাথে সময় টিভি’র শিরোনাম লেখার প্যার্টান ও ফন্টের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্নতা রয়েছে। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সময় টিভি’র স্পোর্টস বিটের ফেসবুক পেজ Somoy Sports এ ২০ এপ্রিল ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন চেলসির ফুটবলার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook 

ফটোকার্ডটি পর্যলোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের সাথে এর মিল পাওয়া যায়। উভয় ফটোকার্ডে থাকা নারী পর্নো তারকার ছবির মিল রয়েছে। এছাড়াও দুটোতেই শিরোনামেরও প্রায় মিল রয়েছে। শুধু আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘চেলসির ফুটবলার!’ পরিবর্তে এডিট করে ‘লিওনেল মেসি’ লেখা হয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

ফটোকার্ডটির ক্যাপশনে একই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির ফুটবলার বেন চিলওয়েল লিলি ফিলিপস নামের এক নারী পর্নো তারকাকে ইনস্টাগ্রামে সরাসরি মেসেজ করেছিলেন বলে দাবি করেন ওই পর্নো তারকা। ‘অল গেইন্স নো গেম’ নামের একটি পডকাস্ট শো’তে তিনি এ দাবি করেন।

Screenshot: Somoy TV 

অর্থাৎ, ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন লিওনেল মেসি’ শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভি কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

এছাড়া, মেসি আলোচ্য দাবি সম্পর্কিত কিছু আসলেই করেছেন কিনা তা জানতে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অনুসন্ধানে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ‘অল গেইন্স নো গেম’ নামের একটি পডকাস্ট শো’তে সাম্প্রতিক সময়ে লিলি ফিলিপস নামের এক নারী পর্নো তারকা দাবি করেন ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির ফুটবলার বেন চিলওয়েল তাকে ইনস্টাগ্রামে সরাসরি মেসেজ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে কোনো সাড়া দেননি। উক্ত ঘটনা নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়াও সময় টিভির স্পোর্টস বিটের ফেসবুক পেজে এটি নিয়ে গত ২০ এপ্রিল ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন চেলসির ফুটবলার’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ডও প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা বা এডিট করে  ‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন লিওনেল মেসি’ শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হয়। 

সুতরাং,‘গভীর রাতে প’র্নো তারকাকে মেসেজ করেছিলেন লিওনেল মেসি’  শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে সময় টিভি‘র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদনা।

তথ্যসূত্র

চট্টলা এক্সপ্রেস নয়, কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে

গতকাল (২৪ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা রেলস্টেশনে একটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত এই ট্রেনটিকে চট্টলা এক্সপ্রেস দাবি করে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

চট্টলা এক্সপ্রেস

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও দেখুন একাত্তর টিভি,, কালের কণ্ঠ, রাইজিং বিডি, খবরের কাগজ, আজকের খবর

একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গতকাল ২৪ এপ্রিল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকায় লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির নাম চট্টলা এক্সপ্রেস নয়  বরং দুর্ঘটনা কবলিত এই ট্রেনটির নাম ঈদ স্পেশাল-৯। 

অনুসন্ধানের শুরুতে চট্টলা এক্সপ্রেস’র গমনপথের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে। অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে চট্টলা এক্সপ্রেস’র গমনপথের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: railapp.railway.gov.bd

গমনপথের তথ্য থেকে জানা যায় চট্টলা এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাওয়া আসা করে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকা বিমানবন্দর, নরসিংদী, মেঠিকান্দা, ভৈরব বাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউরা, কসবা, শশীদল, কুমিল্লা, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, হাসানপুর, ফেনী, কুমিরা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে।

অর্থাৎ, চট্টলা এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত করে এবং কক্সবাজার পর্যন্ত যায় না।

তাহলে ২৪ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা রেলস্টেশনে কোন ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল?

এ বিষয়ে জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গতকাল ২৪ এপ্রিল অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে “কক্সবাজারে লাইনচ্যুত বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেন ‘ঈদ স্পেশাল-৯’ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা স্টেশন পার হওয়ার পরপরই তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

একই তথ্যে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে (, , ) সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত ট্রেনটি ঈদ স্পেশাল-৯ ট্রেন ছিল বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন।

এছাড়া, গতকাল ২৪ এপ্রিলে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো দূর্ঘটনা বা বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কোনো তথ্য গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, গতকাল ২৪ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে দেশের কপিতয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ট্রেনটির নাম চট্টলা এক্সপ্রেস বলে দাবি করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির নাম ‘ঈদ স্পেশাল- ৯’। অন্যদিকে চট্টলা এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত করে। যা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাতায়াত করেনা। 

সুতরাং, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল- ৯ ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হলেও কতিপয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উক্ত ট্রেনের নাম চট্টলা এক্সপ্রেস বলে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪’ দাবিতে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবির ক্যাপশন বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ‘এই চাকরিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী ও পুরুষ উভয় পদ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদনকারী পুরুষ বা মহিলা প্রত্যেকের বয়স ১৮-৩০ বছরের মাঝে হতে হবে এবং সেসকল চাকরি প্রার্থীরা প্রত্যেকেই আবেদন করতে পারবেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার কোটা উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থীরা ১৮-৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।’

ভুয়া নিয়োগ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলোর লোগোসহ প্রচারিত  চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রথম আলো বা সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে শুরুতেই কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের সময় উল্লেখ করা হয়েছে চলতি মাসের ১৪ এপ্রিল এবং ছবির উপরে ‘প্রথম আলো’র লোগো যুক্ত আছে।

এছাড়া, যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন উল্লেখ করে, উক্ত পদ সমূহের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং রাত ১০টার মধ্যে পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ‘প্রথম আলো’র প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লিখিত তারিখের সূত্র ধরে গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির সন্ধান মেলেনি।

এই বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৯ এপ্রিল এই বিষয়ে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টের  (আর্কাইভ) মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মোঃ মোখলেসুর রহমানের অনুরোধক্রমে জানানো হয়, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নিয়োগ হচ্ছে মর্মে একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। আপনারা কেউ প্রতারিত হবেন না । এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি অসাধু চক্রের কাজ।’

Screenshot: Facebook 

এছাড়াও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ওয়েবসােইট পর্যবেক্ষণ করেও এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। 

মূলত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলো বা চাঁপাইসবাবগঞ্জ  কর্তৃপক্ষ কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি।

তাছাড়া, কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একই ফর্মেট ব্যবহার একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (,) প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার৷ ৷ 

সুতরাং, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলো’র লোগো সম্বলিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

এটি ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের ভিডিও নয়

0

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। সম্প্রতি, ‘ইসরাইলে ছোড়া ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র কতটা মারাত্মক দেখুন’ দাবিতে একটি ভিডিও ‍রিলস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

ইসরায়েলে

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধারন জানা যায়, ’ইসরাইলে ছোড়া ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র কতটা মারাত্মক দেখুন’ দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়েলে ইরানের হামলার ভিডিও নয় বরং এই দুইটি পুরোনো ও ভিন্ন সময়ের ভিডিওকে প্রযুক্তির সাহায্যে একত্রিত করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে । 

অনুসন্ধানের শুরুতেই ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে দুইটি আলাদা ফুটেজ রয়েছে। প্রথম ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট Rahmtuallah Golo Baloch নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোকৃত ভিডিওর (২৩-২৫ সেকেন্ড অংশে) সাথে মিল পাওয়া যায়। 

Screenshot collage: Rumor Scanner

মার্কিন সংবাদমাধ্যম CNBC এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট ‘One year on from the Beirut blast, questions remain’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও এর একটি দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। 

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ২০২০ সালে ৪ আগস্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বৈরুত বন্দরে এক রাসায়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বৈরুতের বন্দর এলাকায় বহু বছর ধরে ফেলে রাখা প্রায় ২,৭৫০ টন এ্যামোনিয়াম নাইট্রেটে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি সেসময়েরই ফুটেজ। 

প্রচারিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে মার্কিন সংবাদমাধ্যম NBC News এর ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের জানুয়ারীর ২২ তারিখে ‘Young and old fall victim to intense bombardment of Gaza’s Khan Younis’ শিরোনামের ভিডিওর সাথে মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও, ভিডিও’র কিছু অংশ অন্যান্য ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলেও পাওয়া যায় (, , , , )।

Screenshot collage: Rumor Scanner

গত বছরের (২০২৩) ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি এই ‍দুই মাস ফিলিস্তিনি ছিটমহল দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিসে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এটা সেসময়েই ভিডিও। 

অর্থাৎ, দুইটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও জুড়ে দিয়ে এটিকে ইসরায়েলে ইরানের সাম্প্রতিক হামলার দাবিতে প্রচার হচ্ছে।

মূলত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইরান নিজেদের ভূখন্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। সম্প্রতি এই ঘটনারই একটি ভিডিও দাবিতে দুইটি ফুটেজ একত্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওতে থাকা ফুটেজদুইটি লেবানন ও গাজার ভিন্ন ঘটনার, যা ইসরায়েলে ইরানের হামলার আগে থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান। 

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে পুরোনো দুটি ‍ভিডিও সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সাহায্যে একত্রিত করে ইসরায়েলে দিকে ছোড়া  ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র