Home Blog Page 362

বিমান থেকে মানুষ পড়ার ভাইরাল এই ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার নয়

সম্প্রতি, চলন্ত বিমান থেকে একজন মানুষ পড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

বিমান

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ

এই বিষয়ে টিকটকে ভাইরাল একটি ভিডিও ৮৯ লক্ষ বার হয়েছে। ভিডিওটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, ভিডিওটি ৬ হাজারের অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে এবং এতে ৩ হাজারের বেশি মন্তব্য করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিমান থেকে মানুষ পড়ার দৃশ্যটি বাস্তব ঘটনার নয় বরং একটি ভিডিও গেমের দৃশ্য।

টিকটকে ভাইরাল ভিডিওটির মন্তব্যঘর বিশ্লেষণ করে বিমান থেকে মানুষ পড়ার দৃশ্যটি সত্য ঘটনার ভেবে নেটিজেনদের মন্তব্য করতে দেখা যায়।

Screenshot collage: Rumor Scanner

পরবর্তীতে ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে এর কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, ‘GTA videos by Arm Niko’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির বর্ণনা অংশ থেকে জানা যায়, এটি একটি গেমিং ভিডিও, যা গ্র্যান্ড থেফট অটো ৫ বা জিটিএ-৫ গেম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

Screenshot: GTA videos by Arm Niko.

পরবর্তীতে, উক্ত চ্যানেলে ঘুরে জানা যায় এটি একটি গেমিং কনটেন্ট ক্রিয়েটরের চ্যানেল। গ্র্যান্ড থেফট অটো ৫ বা জিটিএ-৫ গেমের অসংখ্য ভিডিও এই চ্যানেলে পাওয়া যায়।

মূলত, GTA videos by Arm Niko নামের একটি গেমিং ইউটিউব চ্যানেলে জিটিএ-৫ গেমের বিভিন্ন ভিডিও প্রচার করা হয়। উক্ত চ্যানেলে জিটিএ-৫ গেমের একটি দৃশ্য প্রচার করা হয়। যেখানে বিমান থেকে পাইলট পানিতে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। পরবর্তীতে গেমের এই ভিডিওটিই বাস্তব দাবিতে সামাজিক মাধ্যম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, গ্র্যান্ড থেফট অটো (জিটিএ) মূলত জনপ্রিয় একটি অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ভিডিও গেম সিরিজ। এই ভিডিও গেম সিরিজটি রকস্টার নর্থ (পূর্বে ডিএমএ ডিজাইন নামে পরিচিত) তৈরি করে এবং রকস্টার গেমস প্রকাশ করে। ১৯৯৭ সালে গ্র্যান্ড থেফট অটো প্রথম বাজারে আসে। গেমটির সর্বশেষ সংস্করণ গ্র্যান্ড থেফট অটো-৫ (জিএটিএ-৫) ২০১৩ সালে প্রকাশ পায়।

পূর্বেও সিমুলেশন ভিডিও গেমের দৃশ্যকে বাস্তব দাবিতে করা ফেসবুক পোস্ট শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, ভিডিও গেমের বিমান থেকে মানুষ পড়ার দৃশ্য বাস্তব ঘটনার দাবিতে টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামের রামনবমী উদযাপনের নয়, ভিডিওটি ভারতের 

0

বহু সংখ্যক মানুষ হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রা করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ২৭ টি সনাতনী সংগঠন রামনবমী উপলক্ষে চট্টগ্রামে বিশাল শোভাযাত্রা বের করে। তারই দৃশ্য এটি।  

রামনবমী

উক্ত দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

কিছু পোস্টে একই ভিডিও যুক্ত করে ভিডিওর ওপর ‘বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম’ লেখা থাকলেও ক্যাপশনে বলা হচ্ছে, ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামে রামনবমী উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শোভাযাত্রার এই ভিডিওটি চট্টগ্রামের নয় বরং, ভারতের আসামে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রাকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি lizabaruah0809 নামের একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে হুবহু একই ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Instagram 

ভিডিওটির ক্যাপশনে যা লেখা রয়েছে তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ভগবান রামকে স্বাগত জানাতে ভারতের গুয়াহাটি প্রস্তুত। 

একইদিন (২২ জানুয়ারী) ভারতের সংবাদমাধ্যম Deccan Herald এর ওয়েবসাইটে “East, Northeast join rest of India to celebrate Ram temple consecration” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, “অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে গুয়াহাটিতে আয়োজিত ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালীন ভক্তরা।” 

Deccan Herald প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে প্রচারিত ভিডিওর একটি ফ্রেমের সঙ্গে মিল খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার।

Screenshot comparison: Rumor Scanner 

Deccan Herald এর প্রতিবেদনে উল্লিখিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এর rudraveeryasena ইন্সটাগ্রামেও প্রচারিত ভিডিওর সাথে ফ্রেমে মিল এমন একটি ছবিসহ পোস্ট (আর্কাইভ) দেখতে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Screenshot comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে, এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়।

তবে বাংলাদেশে সম্প্রতি রামনবমী উদযাপনের তথ্য পাওয়া যায়। গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামে এই উদযাপনের একটি ভিডিও দেখুন এখানে।  

মূলত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার একদিন আগে ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে একটি শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ভিডিওকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, ভারতে রামনবমী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার ভিডিওকে চট্টগ্রামের শোভাযাত্রা দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে: যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া, প্রতারণার ফাঁদে দিনাজপুর পৌরসভা

0

সম্প্রতি, “দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪” দাবিতে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবির ক্যাপশন বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, এই চাকরিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী ও পুরুষ উভয় পদ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদনকারী পুরুষ বা মহিলা প্রত্যেকের বয়স ১৮-৩২ বছরের মাঝে হতে হবে এবং সেসকল চাকরি প্রার্থীরা প্রত্যেকেই আবেদন করতে পারবেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার কোটা, উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থীরা ১৮-৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

আবেদনের নিয়মাবলীঃ

১, আগ্রহী প্রার্থীগন আগামী ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং রাত ১০ টা’র মধ্যে। এবং যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন।
২,পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে হবে।
৩, উল্লেখিত তারিখ এবং সময়ের পর আর কোনো আবেদন গ্ৰহন করা হবে না। 

নিয়োগ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলোর লোগো সম্বলিত প্রচারিত দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রথম আলো বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দিনাজপুর পৌরসভার নাম ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে শুরুতেই কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের সময় উল্লেখ করা হয়েছে চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল এবং ছবির উপরে ‘প্রথম আলো’র লোগো যুক্ত আছে।

এছাড়া, যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন উল্লেখ করে, উক্ত পদ সমূহের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং রাত ১০টার মধ্যে পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ‘প্রথম আলো’র প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখের সূত্র ধরে গত ১৯ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির সন্ধান মেলেনি।

এমনকি, দিনাজপুর পৌরসভার ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির হদিস মেলেনি।

মূলত, দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলো বা দিনাজপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি।

তাছাড়া, কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একই ফর্মেট ব্যবহার একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (,, ) প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার৷ ৷ 

সুতরাং, দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলো’র লোগো সম্বলিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করা হয়নি  

সম্প্রতি, ‘২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর’ দাবিতে একটি ভিডিও অন্তত গত ১৪ এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এসএসসির ফলাফল

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রকাশিত এমন একটি ভিডিও এখন পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করা হয়নি বরং ফলাফল প্রকাশের দিনই তা রেওয়াজ অনুযায়ী হস্তান্তর করা হবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট। তবে এখনও ফলাফল প্রকাশের তারিখই ঘোষণা করা হয়নি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভিডিওতে ব্যবহৃত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। এটি মূলত ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তরের ভিডিও যা মূল ধারার গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ প্রচার করে।  

Screenshot collage: Rumor Scanner

এ বিষয়ে পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওর পরের অংশে প্রথম আলো পত্রিকার লোগোযুক্ত একটি সংবাদ দেখানো হয়।  সংবাদটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংবাদের কোনো শিরোনাম নেই এবং ব্যবহৃত ফন্টটিও প্রথম আলোর সাথে মিল নেই। এই বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে রিপোর্টে ব্যবহৃত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায়, মূল ছবিটি ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই ‘এসএসসিতে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কত কমল’ শিরোনামে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে প্রচার করা হয়। 

Screenshot collage: Rumor Scanner 

এছাড়াও, ভিডিওতে বলা হয় ফলাফল প্রস্তুত এবং হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে তা প্রকাশ করার কথা বলা হয়নি। আর ফলাফল ঘোষণার আগে পাশের হার, জিপিএ ফাইভ নিয়ে এমন তথ্য প্রকাশের সুযোগ নেই। সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে প্রকাশের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এখন এই তিনের মধ্য থেকে যেকেনো একদিন ফল প্রকাশ হতে পারে। 

অর্থাৎ ফলাফল প্রকাশের তারিখই এখনও চূড়ান্ত নয়। ফল হস্তান্তরের বিষয়টি তাই অমূলক। 

মূলত, সম্প্রতি, ‘২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর’ দাবিতে একটি ভিডিও অন্তত গত ১৪ এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ফলাফল প্রকাশের তারিখই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, ফলাফে প্রকাশের দিনই ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করা হয়ে থাকে। আলোচিত দাবি সম্বলিত ভিডিওতে ২০২৩ সালের ফুটেজ ব্যবহার করে এ সংক্রান্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।    

সুতরাং, সম্প্রতি ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করার দাবিতে ২০২৩ সালের ভিডিও প্রচার করা হয়; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

এটি হাসান ও হুসাইন (রা.) এর কবরের ভিডিও নয় 

হাসান ইবনে আলী (রা.) ও হুসাইন ইবনে আলী (রা.) ইসলামের প্রারম্ভিক যুগের দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তারা দুজনেই ইসলামের চতুর্থ খলিফা, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) ও ফাতিমা জাহরা (রা.)-এর সন্তান, এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি। হাসান (রা.) ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে বিষপ্রয়োগে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে, হুসাইন (রা.) ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে কারবালার যুদ্ধে শহিদ হন।

সম্প্রতি, হাসান (রা.) এবং হুসাইন (রা.) এর রওজা শরীফ বা তাদের কবর দাবিতে পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি কবরের ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

হাসান ও হুসাইন

ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে ভাইরাল এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই বিষয়ে ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিও প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, ভিডিওটি ৩ লক্ষের অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে এবং এতে ৩০ হাজারের বেশি মন্তব্য করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাশাপাশি অবস্থানরত দুই ব্যক্তির কবরের ভাইরাল ভিডিওটি হাসান ইবনে আলী (রা.) ও হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর কবরের নয়। কারণ তাদের কবর ভিন্ন দুই দেশে অবস্থিত। হাসান (রা.) এর কবর সৌদি আরবের মদিনা শহরের জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অবস্থিত, এবং হুসাইন (রা.) এর কবর ইরাকের কারবালা শহরে অবস্থিত।

অনুসন্ধানের শুরুতে দাবিকৃত ভিডিওটির একাধিক স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওর মূল বিষয় জানার করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে এই অনুসন্ধানে ভিডিওটি সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য কোনো তথ্য মেলেনি।

পরবর্তীতে হাসান (রা.) ও হুসাইন (রা.) এর কবরের অবস্থান সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো হয়।

কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসান ইবনে আলী (রা.) কে মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।  

Screenshot: The Islamic Information.

একই তথ্য পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায় শিয়া মুসলিমদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা ইমাম মাহদি অ্যাসোসিয়েশন অফ মারজাইয়া এর ওয়েবসাইটে হাসান (রা.) সম্পর্কিত একটি নিবন্ধে। 

হজ ও ওমরাহ বিষয়ক ওয়েবসাইট হজ ও ওমরাহ প্ল্যানারে জান্নাতুল বাকি কবরস্থান সম্পর্কে একটি নিবন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। জানা যায়, ১৯২৫ সালে ওয়াহাবি মতবাদের প্রভাবে (ওয়াহাবি মতাদর্শ অনুযায়ী, কবরের উপর জটিল ও বড় ধরণের নির্মাণ করা ঠিক নয়) সৌদি কর্তৃপক্ষ জান্নাতুল বাকির অনেক সমাধি ও স্থাপনা ধ্বংস করে। এই কবরস্থানে এখনও হাসান ইবনে আলী (রা.) সহ অন্যান্য প্রমুখ ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের কবর অবস্থিত। তবে এগুলো আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বরং সাদামাটা উপায়ে চিহ্নিত করা হয়।

একই ওয়েবসাইট জান্নাতুল বাকির বিশিষ্ট কবরগুলোর একটি মানচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। এই মানচিত্রে হাসান ইবনে আলী (রা.) এর নাম দেখা যায়। 

Image: Hajj & Umrah Planner.

হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর কবরের বিষয়ে অনুসন্ধানে ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরি আল-ইসলামের ওয়েবসাইটে হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর মাজারের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। নিন্ধটি থেকে জানা যায়, হুসাইন (রা.) কে ইরাকের কারবালায় কবর দেওয়া হয়েছিল।

ইসলামিক ঐতিহাসিক স্থানসমূহের তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ইসলামিক ল্যান্ডমার্কের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও জানা যায়, হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর বিশ্রামস্থল বা সমাধি ইরাকের কারবালায় অবস্থিত।

ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দ্য মুসলিম ভাইবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুসাইন (রা.)-এর সমাধিস্থলকে কেন্দ্র করে এবং তার আশপাশের কিছু স্থান নিয়ে একটি মাজার গড়ে উঠেছে। এই মাজার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে। তারা এখানে এসে তাদের শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা নিবেদন করে থাকেন।

পরবর্তীতে, গুগল ম্যাপে হুসাইন (রা.)-এর মাজারের একাধিক ছবি ও ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, যা আলোচ্য ভিডিওটির সাথে মিলে না।

ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরি আল-ইসলামের ওয়েবসাইটে এক প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর মাথা দাফনের স্থান নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত রয়েছে। কিছু তথ্য অনুযায়ী, তার মাথা ফিলিস্তিনে নেওয়া হয়েছিল, অন্যান্য মতে মিশরে নেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন যে, তার মাথা সিরিয়ায় রয়েছে। অপর তথ্য মতে, তার মাথা মদিনা অথবা কুফায় রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা ও মতবাদ প্রচলিত।

অর্থাৎ, হাসান ইবনে আলী (রা.) ও হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর কবর ভিন্ন দুই স্থানে অবস্থিত। 

এই বিষয়ে সৌদি আরবের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘No Rumors’ এর প্রতিষ্ঠাতা রায়ান আদিল আমাদের জানিয়েছেন, হুসাইন (রা.) এর কবর সৌদি আরবে অবস্থিত নয়।

একই বিষয়ে আরব ফ্যাক্ট-চেকার্স নেটওয়ার্কের ম্যানেজার এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাজা মর্তাদা সাথে কথা বলেছি আমরা। তিনি নিশ্চিত করেছেন হাসান (রা.) এর কবর সৌদি আরবের জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অবস্থিত। হুসাইন (রা.) এর দেহ ইরাকের কারবেলায় রয়েছে, তবে তার মস্তকের অবস্থান নিশ্চিত নয়।

মূলত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি হাসান ইবনে আলী (রা.) ও হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর কবর দাবিতে পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি কবরের ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই দুই ইসলামিক ব্যক্তিত্বের কবর দুটি ভিন্ন দুই স্থানে অবস্থিত। হাসান ইবনে আলী (রা.) এর কবর মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অবস্থিত এবং হুসাইন ইবনে আলী (রা.) এর কবর ইরাকের কারবালায় অবস্থিত। তাই ভাইরাল ভিডিওটি তাদের কবরের হওয়া সম্ভব নয়।

সুতরাং, হাসান (রা.) ও হুসাইন (রা.) এর কবরের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ছবিতে থাকা ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক নন, ছবিটিও ১৮৮০ সালের নয়

0

সম্প্রতি দুইজন লম্বা ব্যাক্তির সাথে মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যাক্তির ছবি “১৮৮০ সালের ছবি, একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে দুই জন ভারতীয় পাহারাদার” দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে থাকা মাঝের ব্যক্তির নাম জেমস রিকালটন, তিনি ব্রিটিশ নন বরং তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। তাছাড়া এটি ১৮৮০ নয়, ১৯০৩ সালে তোলা ছবি।

অনুসন্ধানের শুরুতে Rare Historical Photos নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়৷ সেখানে জানা যায়, রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের উত্তরাধিকার উদযাপন করতে ১৯০৩ সালে ভারতবর্ষের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন কর্তৃক দিল্লীতে একটি দরবার অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানটিতে বিশ্বের নানা সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যে একজন ছিলেন আমেরিকান পর্যটক, শিক্ষক ও ফটোগ্রাফার জেমস রিকালটন। জেমস রিকালটন নিজেও কাশ্মীরি উল্লিখিত লম্বা দুই ব্যক্তির সাথে ছবি তোলেন। আর, এই অনুষ্ঠানে কাশ্মীরি লম্বা ঐ দুই ব্যক্তির সাথে জেমস রিকালটনের তোলা এই ছবিটিই ব্রিটিশ নাগরিকের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

অধিকতর যাচাইয়ে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে ছবিটির মেটাডাটা খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, উল্লিখিত ছবিটি ১৯০৩ সালে Underwood & Underwood, publisher এর ব্যানারে Professor [James] Ricalton and two of his Cashmere friends at the Durbar, Delhi, India শিরোনামে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ, ছবির ব্যাক্তিটি যে জেমস রিকালটন-ই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

Screenshot: Library of Congress

জেমস রিকালটনের জাতীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান করলে National Gallery of Art এ রিকালটনের একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, এবং ছবিটির নোটে জেমস রিকালটনের জন্মস্থান নিউইয়র্কের ওয়াডিংটন সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে জেমস রিকালটন একজন জন্মসূত্রেই আমেরিকান।

Screenshot: National Gallery of Art

মূলত, ১৯০৩ সালে দিল্লীর দরবারে আয়োজিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মার্কিন জেমস রিকালটন উপস্থিত হন। তখন জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজার সাথে আসা দুই লম্বা ব্যক্তির সাথে ছবি তোলেন যা ’১৮৮০ সালে দুই ভারতীয় পাহারাদারের সাথে এক ব্রিটিশ নাগরিক’ দাবিতে প্রচারিত হচ্ছে। 

সুতরাং, ১৮৮০ সালে একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে দুই জন ভারতীয় পাহারাদারের ছবি শীর্ষক দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

পুলিশ সদস্যদের নাচের ভিডিও দাবিতে গার্মেন্টস কর্মীদের নাচের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, পুলিশ সদস্যদের নাচের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

নাচের ভিডিও

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৫৪ হাজার ৫০০ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি প্রায় ১ হাজার ৪০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।

একই দাবিতে টিকটকের একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত নাচের ভিডিওতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নন। প্রকৃতপক্ষে, তারা নারায়ণগঞ্জ ইপিজেড এর এপিক গ্রুপ নামের একটি গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী। 

মূলত, ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ ইপিজেড এর এপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানির বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মী ‘পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে’ গানটিতে একটি নৃত্য পরিবেশন করেন। গানের বিষয়বস্তুর সাথের মিল রাখার উদ্দেশ্যে তারা পুলিশের পোশাক পড়ে নাচটি পরিবেশন করেন। এজন্যে তারা একটি দোকান থেকে বেশকিছু পুলিশের পোশাক ভাড়া করেন। সম্প্রতি, উক্ত অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওকে পুলিশ সদস্যদের নাচের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

বান্দরবান পৌরসভার ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি,  ‘বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪’ দাবিতে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবির ক্যাপশন বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ‘এই চাকরিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী ও পুরুষ উভয় পদ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদনকারী পুরুষ বা মহিলা প্রত্যেকের বয়স ১৮-৩২ বছরের মাঝে হতে হবে এবং সেসকল চাকরি প্রার্থীরা প্রত্যেকেই আবেদন করতে পারবেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার কোটা, উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থীরা ১৮-৩৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।’ 

বান্দরবান

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলোর লোগোসহ প্রচারিত বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রথম আলো বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে শুরুতেই কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের সময় উল্লেখ করা হয়েছে চলতি মাসের ১২ এপ্রিল এবং ছবির উপরে ‘প্রথম আলো’র লোগো যুক্ত আছে।

এছাড়া, যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন উল্লেখ করে, উক্ত পদ সমূহের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং রাত ১০টার মধ্যে পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ‘প্রথম আলো’র প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লিখিত তারিখের সূত্র ধরে গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির সন্ধান মেলেনি।

এমনকি, বান্দরবান পৌরসভার ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির হদিশ মেলেনি।

আরও অনুসন্ধানে বান্দরবান পৌরসভার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৭ এপ্রিল এই বিষয়ে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোঃ সামসুল ইসলামের অনুরোধক্রমে জানানো হয়, “সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র বান্দরবান পৌরসভার নামে ভূয়া ফেসবুক পেইজ থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমন বিভ্রান্তিমূলক কোন বিজ্ঞপ্তি বান্দরবান পৌরসভা হতে প্রকাশ করা হয়নি। এই ধরণের বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞপ্তি এড়িয়ে চলার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

Screenshot: Facebook’s 

বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মোঃ সামসুল ইসলাম এর ফেসবুক পেজে একই পোস্ট  করে সতর্ক করা হয়েছে। 

মূলত, বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলো বা বান্দরবান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি।

তাছাড়া, কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একই ফর্মেট ব্যবহার একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (, , ) প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার৷ ৷ 

সুতরাং, বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ দাবিতে প্রথম আলো’র লোগো সম্বলিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

২০৩৩ সালে অ্যালিসা কার্সনের মঙ্গলে যাওয়ার দাবিটির সত্যতা নেই

সম্প্রতি, অ্যালিসা কার্সন নামের নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহে গিয়ে পৃথিবীতে আর ফিরে আসবে না দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

অ্যালিসা কার্সন

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ ৯ হাজার ৪৬৫ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৯২ হাজার ৫৫২ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ১ হাজার ৩৮১ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যালিসা কার্সনের মঙ্গল গ্রহে গিয়ে পৃথিবীতে আর ফিরে না আসার দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সঠিক নয় বরং কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে দীর্ঘদিন ধরে তথ্যগুলো ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।

মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা অ্যালিসা কার্সন মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় খুব অল্প বয়সেই মহাকাশ বিষয়ক একাধিক অর্জন নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে পুরে নেয়৷ ৩টি স্পেস শাটল উৎক্ষেপণ, ৭ বার স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেওয়া, স্পেস একাডেমি ৩ বার, রোবোটিক্স একাডেমি একবার, অ্যাডভান্সড স্পেস একাডেমি থেকে কনিষ্ঠ স্নাতক, এবং একাধিক স্যালি রাইড ক্যাম্প অংশগ্রহণের অর্জন। তার এসব অর্জনের প্রেক্ষিতেই দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে যে, ‘অ্যালিসা কার্সন নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য। নাসা মাত্র ১১ বছর বয়সে নাসা তাকে মনোনীত করে নেয় এবং ঘোষণা করে যে, সমস্ত অবস্থা অনুকূল হলে সে হবে ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ।’ তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, অ্যালিসা কার্সন নয়, নাসার সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশচারী শেলী রাইড এবং ২০৩৩ সালে অ্যালিসা মঙ্গলে যাবেন এমন দাবিরও কোনো গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ নেই।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

কথিত উপজেলা মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

0

সম্প্রতি, “উপজেলা মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

Umasichc নামে একটি ফেসবুক পেজ (আর্কাইভ) থেকে গত ২১ মার্চ কথিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দাবি করা হচ্ছে, ‘আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচী, পুষ্টি প্রকল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, ফ্যামেলি প্লানিং, পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম ও শিশু শিক্ষা প্রকল্প পরিচালনার জন্য কিছু সংখ্যক পুরুষ/মহিলা নিয়োগ করা হবে।’বিজ্ঞপ্তির ছবিটিতে আগ্রহী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘আগ্রহী প্রার্থীর পদের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ছবি ও মোবাইল নাম্বার সহ সিভি/বায়োডাটা [email protected] ই-মেইলে আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।’ 

 মা ও শিশু

ফেসবুকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘উপজেলা মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া  বরং প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে এতে দেওয়া ঠিকানা হিসেবে  ৫৭, পুরানা পল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০ উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ঠিকানায় গুগল ম্যাপে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এই নামে সেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।  

পরবর্তীতে কথিত এই বিজ্ঞপ্তি দেশের দুই পত্রিকা আলোকিত বাংলাদেশের ১৭ মার্চের প্রিন্টে এবং করতোয়ার ১৮ মার্চের প্রিন্টে প্রকাশের তথ্যের সূত্রে অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট দিনগুলোতে পত্রিকাগুলোতে এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রমাণ মেলেনি।

কথিত এই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় আছে। ২০১৮ সালে একুশে টেলিভিশনের অনলাইন বিভাগ এ বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করেও এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি। সেসময় রীতিমতো পত্রিকায় এসব বিজ্ঞপ্তির বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রতারণার ফাঁদের বিস্তার ঘটিয়েছিলো প্রতারক চক্র। এই চক্র যে এখনও সক্রিয় তার প্রমাণ সাম্প্রতিক এই বিজ্ঞপ্তি। 

মূলত, সম্প্রতি, “উপজেলা মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে দেখেছে, এই নামে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র সম্প্রতি কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। বিজ্ঞপ্তি দুইটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার কথা বলা হলেও তার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ঠিকানাতেও এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ’ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র