Home Blog Page 361

এনটিভি এবং সময় টিভিকে জড়িয়ে ফেসবুকে জুয়ার ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রচার

সম্প্রতি, মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কথিত অনলাইন জুয়ার অ্যাপ নিয়ে সময় টিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

তথ্যসূত্র

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি সাকিব আল হাসানের কথিত অনলাইন জুয়ার অ্যাপ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, এনটিভির সংবাদ বুলেটিনের একটি ভিডিও সম্পাদনার মাধ্যমে তাতে সময় টিভির লোগো এবং ভিন্ন ভয়েস-ওভার যুক্ত করে সাকিবের পুরোনো ভিডিও ও কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন সাক্ষাৎকারের ভিডিও যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথমে সাকিব আল হাসানের ভিডিওটির কয়েকটি স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Shakib Al Hasan এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট  #ShebaHoldings #SAH75 শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত সাকিব আল হাসানের ক্লিপটের সাথে উক্ত ভিডিওর কিছু অংশের হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও জানা যায়, ভিডিওটি মূলত সেবা হোল্ডিংস লিমিটেড নামের একটি রিয়াল স্টেট কোম্পানির বিজ্ঞাপনী ভিডিও। তবে, এই ভিডিও সাকিব জুয়ার কোনো প্রচারণা চালায়নি। 

পরবর্তীতে সময় টিভির প্রতিবেদন দাবিতে উপস্থাপিত সংবাদ পাঠিকার ভিডিওটি অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডেপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও এনটিভির উপস্থাপিকা Zannatul Ferdous Ruba এর ফেসবুক আইডিতে গত ২৬ এপ্রিল করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

পোস্টটিতে তিনি বলেন, আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত সংবাদ পাঠিকার দৃশ্যে তাকে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, সংবাদ পাঠের ভিডিওটি সময় টিভির নয় বরং সেটি এনটিভির একটি নিউজ ক্লিপ। পাশাপাশি এটিও জানান তিনি কখনো সময় টিভিতে কাজ করেননি। 

পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ এবং এনটিভির ইউটিউব চ্যানেল অনুসন্ধান করেও উক্ত নিউজের ভিডিওটি পাওয়া না গেলে জান্নাতুল ফেরদাউস রুবা’র সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।তিনি রিউমর স্ক্যানারকে একইদিনে প্রকাশিত আরেকটি নিউজের লিংক সরবরাহ করেন। পাশাপাশি জানান, আলোচিত ক্লিপটির মূল ভিডিওটি এনটিভি’র চ্যানেলে না থাকায় সেটি তিনি পাননি। তবে ভিডিও দুটো একই দিনের।  

উক্ত ভিডিওটি পর্যলোচনা করে দেখা যায়, দাবিকৃত ভিডিওর সাথে এই ভিডিওর সংবাদ পাঠিকার পোশাকের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিও দুটির সাথে জুয়ার বিজ্ঞাপনের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।

তবে আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো তিন ব্যক্তির ভক্সপপের ভিডিওটি অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ এবং বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও মূল ভিডিওগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

ভিডিওটি প্রচার করা ফেসবুক পেজ সম্পর্কে যা জানা গেল

আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারকারী পেজটি (আর্কাইভ) পর্যালোচনা করে দেখা যায় এতে বেশ কিছু অনলাইন ভিত্তিক জুয়া খেলার প্রচারণামূলক পোস্ট রয়েছে (, , )। এছাড়াও পেজটির লোকেশনের স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কথা উল্লেখ রয়েছে। পেজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, পেজটি ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি আরও জানা যায়, উক্ত পেজটি ২০২৩ সালের ১৬ জুন তৈরি করা হয়েছে এবং পেজটির নাম একবার পরিবর্তন করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook 

মূলত,  মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ২০২৩ সালে তার ফেসবুক পেজে রিয়াল স্টেট কোম্পানি সেবা হোল্ডিংস লিমিটেড-এর একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিও প্রচার করেন। সম্প্রতি, উক্ত ভিডিওর কিছু অংশের সাথে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল এনটিভির সংবাদ বুলেটিনের একটি ভিডিওর সংবাদ পাঠিকার ক্লিপ এবং কয়েকটি ভক্সপপের ভিডিও যুক্ত করে তাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সময় টিভির লোগো ও জুয়ার অ্যাপের প্রচারণামূলক ভয়েসওভার বসিয়ে করে দাবি করা হচ্ছে, সময় টিভি মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কথিত অনলাইন জুয়ার অ্যাপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকৃতপক্ষে, সময় টিভি কিংবা এনটিভি কোনো চ্যানেল-ই সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে এমন কোনো জুয়ার অ্যাপের বিষয় কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

সুতরাং, সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে সময় টিভি অনলাইন জুয়ার অ্যাপের প্রচারণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এ সংক্রান্ত ভিডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

খালেদা জিয়া নন, ছবিতে শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে নেওয়া নারী প্রয়াত আইভি রহমান

0

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী “শেখ হাসিনা যখন কান্নায় ভেঙে পড়েন বেগম খালেদা জিয়ার বুকে ১৫ই আগস্ট ১৯৮১ ছবিটি সংগ্রহীত | আমি জানি মানুষ পরিবর্তন হলে ভালো হয়ে যায় কিন্তু আমি এটা জানি না যে মানুষ পরিবর্তন হলে মানুষ থেকে মানুষও মানুষ হয়ে যায়” শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি ভিডিও আকারে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে পোস্ট করা হয়।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ৪৯ হাজার বার দেখা হয়েছে। ২ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৮১ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বুকে কান্নায় ভেঙে পড়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা নারীটি খালেদা জিয়া নন বরং ছবিটিতে শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে নেওয়া নারীটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত আইভি রহমান। 

মূলত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরত আসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে যান তিনি। সেসময়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লে তার সঙ্গে থাকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান তাকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেন৷  সেই সময়ের ধারণকৃত একটি ছবিকেই বর্তমানে খালেদা জিয়ার বুকে শেখ হাসিনার কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত নকশা দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ছবি প্রচার 

0

সম্প্রতি, “ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত ডিজাইন” শীর্ষক ক্যাপশনে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ) ।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত নকশা দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো বাস্তব নয় বরং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি কিছু ছবি বাস্তব দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুক ভাইরাল পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। গত ২২ মার্চ ‘আমাদের ময়মনসিংহ – Our Mymensingh’ নামের একটি ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে প্রচারিত একটি পোস্টে (আর্কাইভ)  ‘Mojibur Rahman Mintu’ নামের এক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। পোস্টের ক্যাপশনে তার নাম কার্টেসি হিসাবে যুক্ত করা হয়েছিল।

Screenshot Source: Facebook. 

এই নামের সূত্রে ধরে একই নামের একটি ফেসবুক আইডি খুঁজে পাই আমরা। এই আইডিটি পর্যবেক্ষণ করে গত ২২ মার্চ প্রকাশিত একটি পোস্টে (আর্কাইভ) আলোচ্য ছবিগুলো পাওয়া যায়। তবে এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ময়মনসিংহ বিমানবন্দর যদি হয়, তাহলে এমন একটি বন্দর হতে পারে। বিমান বন্দরের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ডিজাইন!”

Screenshot Source: Facebook. 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন পড়ে বুঝা যায়, জনাব মজিবুর রহমান মিন্টু ময়মনসিংহের বিমানবন্দর কেমন হতে পারে তা কল্পনা করে এই ডিজাইনগুলো নিজে প্রস্তাব করেছেন।

তবে তার উক্ত পোস্টের এডিট হিস্টোরি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় তিনি প্রথম ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত ডিজাইন!’। যার ফলে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি।

Image Comparison : Rumor Scanner 

পরবর্তীতে ছবির বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানার টিম জনাব মজিবুর রহমান মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, ছবিগুলো এআই দিয়ে তৈরি। এডোবি ফায়ার ফ্লাই (Adobe Firefly) এআই দিয়ে তিনি এই ছবিগুলো তৈরি করেছেন।

এছাড়া ছবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে ‘AI or Not’ এবং ‘Hive Moderation’ নামের দুটি এআই শনাক্তকারী ওয়েবসাইটে উক্ত ছবিগুলো যাচাই করে দেখা যায় এগুলো এআইয়ের সাহায্যে তৈরি।

এদিকে ময়মনসিংহে বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২১ সালের ০২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, ‘একসময় ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণ এই বিমানবন্দর নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতি আর সেরকম নেই। এখন ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নির্মাণের লক্ষ্যে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। দু-তিনটি জায়গাকে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া চলছে।’

দৈনিক ইনকিলাবের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল সামাজিক সংগঠনগুলো। যার মধ্যে একটি হলো ময়মনসিংহে বিমানবন্দর নির্মাণ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহে বিমানবন্দর নির্মাণ কিংবা এর নকশা প্রস্তাব করা সম্পর্কে কোনো তথ্য বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ময়মনসিংহে বিমানবন্দর নির্মাণের আলোচনা বেশ কিছু বছর ধরেই চলছে। গেলোবছর ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে বিভাগটিতে বিমানবন্দর নির্মাণের দাবি উত্থাপনের পরিকল্পনাও করেছিল সেখানের সামাজিক সংগঠনগুলো। এই প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত নকশা দাবিতে কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ছবিগুলো মূলত এআই দিয়ে তৈরি। মজিবুর রহমান মিন্টু নামের এক ব্যক্তি এডোবি ফায়ার ফ্লাই এআই দিয়ে এই ছবিগুলো তৈরি করেছেন।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি কিছু ছবিকে ময়মনসিংহ বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত নকশা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

এই ভিডিওটি চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নাচের নয়

0

গত ২১ এপ্রিল, ”গরমে উষ্ণতা চড়াচ্ছেন। হিট অফিসার বুশরা মেম।” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

হিট অফিসার

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ৬ লাখ ৪৩ হাজার বার দেখা হয়েছে। ৬ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ভিডিওটিতে নৃত্য পরিবেশনকারী নারীটি ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নয় বরং ভিডিওটিতে প্রদর্শিত নারীটি ভিন্ন একজন নৃত্যশিল্পী।

মূলত, সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নাচের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে দাবিটি সঠিক নয়। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ভিডিওটিতে নৃত্য পরিবেশনকারী নারীটি ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটিতে প্রদর্শিত নারীটি ভিন্ন একজন নৃত্যশিল্পী।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার প্রথম শহর হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটিতে চিফ হিট অফিসার হিসেবে গত বছরের মে মাসে নিয়োগ পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

বিমান বাংলাদেশের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানবন্দরে কয়েকটি পদে নিয়োগের জন্য কিছু পোস্ট সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পোস্টে পদগুলো হলো, সেফটি সুপারভাইজার, পাসপোর্ট চেকার,. রিসিপশন (মেয়ে), টলি ম্যান। ‍এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন পোস্টে ভিন্ন ভিন্ন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে । এসব নাম্বর গুলো হচ্ছে 01931994871, 01709399588, 01994-867319, 01929103038, 01958-174858।

ভুয়া নিয়োগ

এ সংক্রান্ত ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বিমান বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূল ধারার গণমাধ্যম আরটিভির ওয়েবসাইটে গত ২৯ এপ্রিল ‘ফেসবুকে বিমানের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সর্তক করল কর্তৃপক্ষ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সতর্ক করে বিমান কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন গ্রুপের ভুয়া নিয়োগে ‘পাসপোর্ট চেকার’ পদ উল্লেখ করা হয়েছে। পাসপোর্ট চেকার নামে কোনো পদই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নেই।

একইদিন বিমান বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Biman Bangladesh Airlines Ltd. থেকে প্রকাশিত একটি প্রেস রিলিজ (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook 

উক্ত প্রেস রিলিজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর নাম ব্যবহার করা ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সতর্কীকরণ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর লোগো এবং নাম ব্যবহার করে হিমেল খান নামধারী কর্তৃক ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ এবং ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমান কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এই ভুয়া ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ ও ভুয়া নিয়োগ সাথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর কোন সম্পর্ক নেই। উক্ত ভুয়া নিয়োগে “পাসপোর্ট চেকার” পদ উল্লেখ করা হয়েছে। পাসপোর্ট চেকার নামে কোন পদই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর নেই।

আরও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ধরণের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রকাশ করেনি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিমান এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.biman.gov.bd) এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

আরও উল্লেখ করা হয়, ‘অত্র ফেসবুক পেইজই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর একমাত্র ফেসবুক পেইজ এবং অদ্যাবধি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর কোন অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ নেই।’

মূলত, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ চলছে, সৌজন্য বাংলাদেশ এয়ারলইন্স দাবিতে বিমান বন্দরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত একাধিক ফেসবুক পোস্ট প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলিতে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে ভিন্ন ভিন্ন ফেসবুক পোস্ট থেকে ভিন্ন ভিন্ন নাম্বারে যোগাযোগ অথবা CV পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর পক্ষ থেকেও এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত পোস্ট গুলোকে ভুয়া বলে সতর্ক করা হয়েছে। 

সুতরাং, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ চলছে, সৌজন্য বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শীর্ষক দাবিতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করলে রাশিয়া ইরানকে সমর্থন করবে পুতিন এমন ঘোষণা দেননি

0

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরান হামলা চালানোর পর একেক দেশ একেক রকম বিবৃতি দিয়েছে। দেশ দুটির এমন সংঘাতের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করলে রাশিয়া ইরানকে সমর্থন করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র

ফেসবুকে প্রচারিত দাবিটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করলে রাশিয়া ইরানকে সমর্থন করবে শীর্ষক কোনো ঘোষণা দেননি পুতিন বরং, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই সামাজিক মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতেই বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও পুতিনের এমন ঘোষণার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। এমন ঘোষণা দিলে স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে খবর প্রকাশিত হতো। কিন্তু এমন কিছু না ঘটায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও খোঁজখবর করার চেষ্টা করি। 

অনুসন্ধানে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘The Moscow Times এ গত ১৪ এপ্রিল Russia Urges ‘Restraint’ After Iranian Attack on Israel’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলে ইরান নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর সব পক্ষকে ‘সংযম প্রদর্শনের’ আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর ওপর নির্ভর করছে। মস্কো ‘এই অঞ্চলে এমন বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়, তারা বহুবার সতর্ক করে বলেছে, ‘মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতময় অঞ্চলে চলমান সংকটের সমাধান না হলে তা অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলবে।

অনুসন্ধানে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ওয়েবসাইটে গত ১৬ এপ্রিল Russia’s Putin urges restraint in call with Iran’s Raisi as tensions soar শিরোনামে প্রকশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে এক ফোনালাপে পুতিন এ মন্তব্য করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার পর ক্রেমলিন ‘ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ নিয়ে আলোচনা করেন।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন সব পক্ষকে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যা একটি নতুন সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনবে।

ইরানের হামলা নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে প্রচারিত মন্তব্যে পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিতিশীলতার মূল কারণ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত অব্যাহত রাখা।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, “ভ্লাদিমির পুতিন আশা প্রকাশ করেছেন সব পক্ষই যুক্তিসঙ্গত সংযম প্রদর্শন করবে এবং পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতির পরিণতির নতুন দফা রোধ করবে।”

এই বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে The Ministry of Foreign Affairs of the Russian Federation ওয়েবসাইটে গত ১৪ এপ্রিল Foreign Ministry statement in connection with the attack on Israeli territory শিরোনামে প্রকাশিত একটি বিবৃতি পাওয়া যায়। 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা এই অঞ্চলে আরও একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আমাদের চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছি যে, মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য অমীমাংসিত সংকট, প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের ক্ষেত্রে, যা প্রায়শই দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের দ্বারা চালিত হয়, উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে। আমরা সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করবে।

অর্থাৎ, আলোচিত দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য এর সাথে সম্পর্কিত কোনো ঘটনাপ্রবাহে উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

মূলত, সিরিয়ার ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ইরান নিজেদের ভূখন্ড থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায়। দেশ দুটির সংঘাতের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করলে রাশিয়া ইরানকে সমর্থন করবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন শীর্ষক একটি দাবি সামজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভ্লাদিমির পুতিন এমন কোনো ঘোষণা দেননি। কোনো রকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করলে রাশিয়া ইরানকে সমর্থন করবে এমন ঘোষণা ভ্লাদিমির পুতিন শীর্ষক দাবিটি ভিত্তিহীন। 

তথ্যসূত্র

বৌদ্ধ ধর্ম নয়, ২০১৮ সালে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে ভারতের এই পরিবার 

0

চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে “আজকের নিউজ পুরো পরিবার ইসলাম থেকে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

বৌদ্ধ ধর্ম

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি উক্ত ভিডিওটি ১ লক্ষ ৬৩ হাজারও অধিক বার দেখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত পরিবারটি সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেনি, বরং ২০১৮ সালে তারা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “’Ghar Wapsi’: What is the situation of a family that converted from Islam to Hinduism?- Ground Report” (ভাষান্তরিত) শিরোনামে বিবিসি তেলেগু এর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে  এতে সেখানে হুবহু একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

বিবিসি তেলেগুর বরাতে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপতের। ২০১৮ সালে এক পরিবারের ১৩ জন ইসলাম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিল৷ 

পরবর্তীতে এই প্রতিবেদনের সূত্রে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে একই বিষয়ে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটি থেকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলায় আখতার আলির পরিবার ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। আখতার আলির ছোট ছেলের মৃত্যুর পর তাদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অসহযোগিতার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে তাদের এই পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নানান প্রতিকূলতার কারণে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ইসলাম ধর্মে ফিরে আসেন। কেবল দিলের সিং (আগের নাম দিলশাদ) ও তার পরিবার হিন্দু ধর্মে অটল থাকেন।

এছাড়া সম্প্রতি দিলের সিংয়ের পরিবার হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করার তথ্য বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, মুসলিম সমাজের প্রতি নিজেদের অসন্তুষ্টির কারণে ভারতের এক পরিবারের ১৩ জন সদস্য ২০১৮ সালে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নানা বৈরী অভিজ্ঞতার কারণে একজন ব্যক্তি ও তার ৫ জন সন্তান ছাড়া সবাই আবারও ইসলাম ধর্মে ফিরে আসেন৷ আর, হিন্দু ধর্মে বহাল থাকা ঐ ব্যক্তি ও তার ৫ সন্তানের ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, পুরো পরিবারের সবাই ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছে। 

সুতরাং, ২০১৮ সালে ইসলাম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা এক পরিবারের ছবি যুক্ত করে তারা সম্প্রতি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছেন দাবি করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মৎস্যকন্যা দাবিতে পুতুলের ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি “সত্যিকারের মারমেডের বাচ্চা দেখুন কত সুন্দর নিজের চোখে দেখুন কলিজার বন্ধুরা” দাবিতে একটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়।

মৎস্যকন্যা

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ১১ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি কোনো মারমেডের বাচ্চার নয় বরং একটি মৎস্যকন্যা আকৃতির পুতুলের ভিডিওকে বাস্তব মারমেডের বাচ্চা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, সম্প্রতি বাস্তব মারমেডের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও টিকটকে পোস্ট করা হলে এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আর্ট স্টুডিওতে মৎস্যকন্যার আদলে তৈরিকৃত একটি পুতুলের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

কুয়েতে ১২৩২ জন লোক নেওয়ার সংবাদটি ২০২৩ সালের

0

সম্প্রতি, আরটিভির একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সরকারিভাবে কুয়েতে ১২৩২ জন যাওয়ার সুযোগ পাবে দাবিতে একটি তথ্য  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কুয়েতে ১২৩২ জন

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারিভাবে কুয়েতে কোনো লোক যাওয়ার সুযোগের বিষয়ে জানায়নি সরকার বরং আরটিভির ২০২৩ সালের একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি  প্রচার করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এ সংক্রান্ত মূল সংবাদটি আরটিভির ওয়েবসাইটফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত এই সংবাদ থেকে জানা যায়, সে বছর কুয়েতে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৩ থেকে ৩৯ বছর বয়সী, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী এবং সরকার স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের আবেদন করার সুযোগ ছিল। আবেদনের সময়সীমা ছিলো ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ঐ আবেদন ফর্মে একটি লিংক পাওয়া যায়, যা বর্তমানে আর কোনো প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করছে না। সেই নিয়োগের সংবাদের ফটোকার্ডটিই সম্প্রতি করা পোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook 

এছাড়াও, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সম্প্রতি কুয়েতে লোক নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা নোটিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, সম্প্রতি কুয়েতে ১২৩২ জন লোক নেয়ার দাবিতে আরটিভির একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ২০২৩ সালের ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়। এটি মূলত ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবরের কুয়েতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংবাদের একটি ফটোকার্ড। ঐ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা ছিল ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে সংবাদের লিংক থেকে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সার্চ করে এই সংক্রান্ত কোনো নোটিশ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, সম্প্রতি কুয়েতে ১২৩২ জন লোক নেয়ার দাবিতে ২০২৩ সালের আরটিভির পুরোনো ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়, ২৭ জেলায় শুধু আজ স্কুল কলেজ বন্ধের ঘোষণা এসেছে 

0

বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ, যার ফলে মারাত্মক গরম এবং উষ্ণতার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। এই অসহনীয় গরমের প্রেক্ষিতে গতকাল (২৯ এপ্রিল), শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা দেয়নি বরং উক্ত ঘোষণা শুধু ৩০ এপ্রিলের জন্য।।

বিভ্রান্তির সূত্রপাত

আলোচিত দাবিটির সূত্রপাত অনুসন্ধানে গতকাল ২৯ এপ্রিল একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের (, ) জাতীয় দৈনিক কালবেলার অনলাইনে প্রকাশিত “অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করতে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook 

তবে সংবাদের লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায়, সংবাদটির শিরোনাম হতে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ শীর্ষক শব্দগুচ্ছ বাদ দিয়ে ‘মঙ্গলবার’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।

কালবেলা লিখেছে, চলমান তাপদাহের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২৯ এপ্রিল বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলার, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল (৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার) বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে গতকাল ২৯ এপ্রিল “আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ উল্লেখিত জেলাসমূহের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Shed website 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এছাড়া দেশের একাধিক (, ) গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে একই তথ্য জানা যায়।

মূলত, গতকাল দেশের ২৭ জেলার স্কুল কলেজ অনির্দষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দাবিটির সত্যতা মেলেনি৷ প্রকৃতপক্ষে, একইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আজ ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উক্ত তথ্যকেই ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলমান তাপপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এসি না থাকা দেশের সব স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সুতরাং, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩০ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার তথ্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শীর্ষক দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র