Home Blog Page 363

এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা চন্দ্রগ্রহণের ছবি নয়

0

সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন হতে চন্দ্রগ্রহণের দুর্লভ ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি প্রচারিত হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা চন্দ্রগ্রহণের ছবি নয় বরং ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। 

ছবিটির সত্যত্য যাচাইয়ের  রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সামাজিক আর্ট নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট DeviantArt এ হুবহু একই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ওয়েবসাইটে ছবিটি ২০০৯ সালের ২০ নভেম্বর A4size-ska নামক অ্যাকাউন্ট থেকে Eclipse শিরোনামে পোস্ট করা হয়। 

ওয়েবসাইট প্রদর্শিত  ছবির বিবরণী থেকে জানা যায়, European Southern Observatory(ESO) গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ডেটা নিয়ে Terragen 2 নামের একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। 

ছবিটি ফেসবুকে অনুমতি ছাড়াই ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে পোস্টটিতে বলা হয়, “প্রিয় ডিভিয়ান্টআর্ট ব্যবহারকারী সদস্যবৃন্দ, ফেসবুকে আমার অনুমতি ছাড়াই (ECLIPSE) ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি ইংরেজিতে খুব একটা পারদর্শী না, তাই আমার মনের কথা ঠিকভাবে লিখতে পারছি না। উপরের লিঙ্কসহ আমার কপিরাইট লঙ্ঘন করা যে কোনো ওয়েবসাইট খুঁজে পেলে, সম্ভব হলে, আমার পরিবর্তে কপিরাইট লঙ্ঘনকারীদেরকে তাদের কাজটি ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া খুবই সহায়ক হবে। এছাড়াও, ইমেলের মাধ্যমে সাইটগুলো সম্পর্কে আমাকে জানানোও সহায়ক হবে। ধন্যবাদ।”

Screenshot: DeviantArt

মূলত, ২০০৯ সালের ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সামাজিক আর্ট নেটওয়ার্ক Deviant Art ওয়েবসাইটে  A4size-ska নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে Eclipse শিরোনামে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি  একটি ছবি আপলোড করা হয়। উক্ত ছবিটিকেই মহাকাশ থেকে তোলা চন্দ্রগ্রহণের ছবি বলে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি ছবিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন হতে তোলা চন্দ্রগ্রহনের দুর্লভ ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • DeviantArt: Eclipse
  • Rumor Scanner’s own analysis 

হাজার বছর ধরে ভেসে থাকা আল্লাহর কুদরতি পাথর দাবিতে মিশরের ভাস্কর্যের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘আল্লাহর কুদরতি পাথর যা হাজার হাজার বছর ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় ভেসে আছে’ শীর্ষক দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একাধিক  ঝুলন্ত পাথরের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ভাস্কর্যের

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ১ হাজার ৩৬৮ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮০ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ৪৯ হাজার ৫৬৪ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া পাথরগুলো কোনো কুদরতি পাথর নয়। এছাড়াও এগুলো হাজার হাজার বছর ধরে ভেসে থাকার দাবিটিও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি মিশরের কায়রো বিমানবন্দরে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য।

মূলত, ২০০৮ সালে মিশরের কায়রো বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে পাথরের একটি অপটিক্যাল ইল্যুশন ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। শাবান আব্বাস নামের মিশরীয় এক জনপ্রিয় ভাস্কর এটি তৈরি করেন। সম্প্রতি, উক্ত ভাস্কর্যটিকেই হাজার হাজার বছর ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় ভেসে থাকা পাথর  দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ঝুলন্ত পাথরগুলো নবী সাঃ ১৪০০ বছর আগে বেঁধে রেখেছিলেন দাবিতে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

২৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে দেশে কোনো আইন পাশ হয়নি

0

সম্প্রতি, ‘মন্ত্রীসভায় নতুন আইন পাশ করা হলো, যে ছেলে মেয়ে ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করবে না নতুন আইন অনুযায়ী প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে না হলে প্রতি মাসে ১০ দিন জেল কাটতে হবে’ শীর্ষক দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের ছবিযুক্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

বিয়ে


উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি মন্ত্রীসভায় ২৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে কোনো আইন পাশ হয়নি বরং ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ের শুরুতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এমন কোনো আইন পাশ হয়েছে কিনা তা জানতে কি ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত আইন সম্পর্কিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী উক্ত বিষয়ে আরো অধিকতর নিশ্চিত  বাংলাদেশ সরকারের আইন সংক্রান্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো আইন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে আলোচিত ছবির বিষয়ে জানার চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার। রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট এমএলএম আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের খবরে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ এই ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে আলোচিত দাবির উৎস জানার চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার। কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালে “২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না করলে শাস্তি দেয়া হয় যে দেশে-” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বয়স ২৫ হওয়ার পরও বিয়ে না করলে জন্মদিনে সারা গায়ে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয়া হয় ডেনমার্কে। এমনই রীতি চালু আছে সেদেশে।

মূলত, সম্প্রতি বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে আইন পাশ হওয়ার একটি দাবি প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় এমন কোন আইন পাশ হয়নি। মূলত ২০১৩ সালের মন্ত্রিসভার বৈঠকের একটি ছবি ব্যবহার করে এই দাবিটি করা হচ্ছে। 

সুতরাং, ২৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না করলে জেল জরিমানা বিধান রেখে দেশে আইন পাশ হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার দৃশ্য নয় 

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসের নিকটে ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও ছয় কর্মকর্তা নিহত হলে এই হামলার প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এরই প্রেক্ষিতে “এগুলো কোনো নৌকা বাইচ না এগুলো হল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকরা আসছে ফিলিস্তিনে” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

যুদ্ধ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত ভিডিওটি প্রায় ৫ লক্ষ ৮২ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫৭ হাজার ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটি ৭ হাজার ৪ শতবার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার দৃশ্য নয় বরং ভিডিওটি মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্যে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেওয়ার ভিডিও।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে hiu.petarung08 নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Instagram

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর প্রথম অংশের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে মূল ঘটনার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

তবে উক্ত ভিডিওর মন্তব্য ঘরে amirsofi নামক একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী জানান, “আমি একজন মালয়েশিয়ান। ভিডিওটি মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্যের। এটি ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার প্রদর্শনী মাত্র।”

এছাড়া, মালয়েশিয়ান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম Sinar Harian এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর “Solidariti Palestin” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

Screenshot: Sinar Harian

অর্থাৎ, এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার দৃশ্য নয়।

মূলত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইরান নিজেদের ভূখন্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু রাজ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার জন্য আয়োজিত প্রদর্শনীর দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভিডিওটি হুতি বিদ্রোহী দ্বারা ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের দৃশ্যের নয়

সম্প্রতি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে “লোহিত সাগরে ইজরায়েলের একটি যুদ্ধজাহাজকে উরিয়ে দিলো ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী। সাথে যোগ দিয়েছে রাশিয়ার নৌবহর” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। 

যুদ্ধজাহাজ

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ৫১ হাজার বার দেখা হয়েছে। প্রায় ২৪০০ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি হুতি বাহিনী কর্তৃক লোহিত সাগরে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার নয় বরং ভিডিওটি একটি ভিডিও গেমের। 

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম৷ ভিডিওটিতে গোলা বর্ষণের পর উপস্থিত মানুষের গতিবিধি স্বাভাবিক লাগে নি মোটেও। যেমন: ভিডিওর শুরুর দিকে বোমা বর্ষণের পর বোমায় আঘাত পাওয়ার পরও মানুষদেরকে হাত পা নাড়াতে দেখা যায়নি৷ উপরন্তু, একটি জায়গায় থামার পর, বাড়তি বলপ্রয়োগ ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ উড়তে শুরু করে যা কেবল ভিডিও গেমেই ঘটে থাকে। তাছাড়া, ব্যবহৃত আগুনও ভিডিও গেমের আগুন। ভিডিও গেমের আগুনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে আগুনের অংশ রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ইউটিউব থেকে পাওয়া এরকম গ্রাফিক্সের একটা ভিডিও এর সাথে তুলনা করা হয়। তুলনাকৃত ভিডিওটিতেও ইরানি জেটের দ্বারা ইসরায়েলের এয়ারক্রাফট ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও, পাশাপাশি #gta5 হ্যাশট্যাগও দেওয়া আছে যা দেখে ভিডিও গেমিং ভিডিও বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner 

অনুসন্ধানের পরবর্তী পর্যায়ে ভিডিওটির মূল উৎসের খোঁজ  করে রিউমর স্ক্যানার। এ পর্যায়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দুুইটি ভিডিও পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটি টিকটকের এবং অন্যটি ইনস্টাগ্রামের। টিকটকের ভিডিওটি চালু হয় নি। ইনস্টাগ্রাম ভিডিওটি চালু হলেও সেখানে দেখা যায় ভিডিওটি ১৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে পোস্টকৃত এবং মাত্র ১ টি লাইক। তাছাড়া, ভিডিওটিতে @international_air_forces নামের একটা টিকটক অ্যাকাউন্ট ইউজারনেমের ওয়াটারমার্ক দেখা যায়। নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ইনস্টাগ্রামের ভিডিওটি প্রথম ভিডিও নয়৷ উল্লেখ্য যে, টিকটক থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোড করলে ভিডিওটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড করা ক্রিয়েটরের ইউজারনেমের ওয়াটারমার্ক সংযুক্ত হয়৷ ইনস্টাগ্রামের ভিডিওটিতে টিকটক ক্রিয়েটরের ওয়াটারমার্ক দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ওয়াটারমার্কের ক্রিয়েটরই ভিডিওটির ক্রিয়েটর৷ 

Screenshot: Instagram

টিকটকে @international_air_forces ইউজার নেমের অ্যাকাউন্ট খুঁজলে সেই অ্যাকাউন্টটি খুঁজে পাওয়া যায়৷ অ্যাকাউন্টটিতে অনুসন্ধান করলে শুরুতেই আকাঙ্ক্ষিত ভিডিওটি পিন পোস্ট হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায়৷ ভিডিওটি International military Defends নামের প্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার অনুসারীর এই টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর পোস্ট করা হয়। এই রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ভিডিওটি প্রায় ১৭ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। তবে, ভিডিওটির ক্যাপশনে হুতি বাহিনীর কোনো কথা উল্লেখ নেই৷ ভিডিওটির ক্যাপশনে “Israel vs Palestine KW👈” উল্লেখ করা৷ সাথে হ্যাশট্যাগে আছে আমেরিকা, দুবাই, মালয়েশিয়ারও নাম। হ্যাশট্যাগেও ইয়েমেন কিংবা হুতি বিদ্রোহীর কোনো নাম নেই৷ এমনকি, লোহিত সাগরেরও কোথাও উল্লেখ নেই। উপরন্তু, এটি একটি ভিডিও গেমের ভিডিও। 

Comparison: Rumor Scanner

মূলত, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর International military Defends নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও গেমের ভিডিও পোস্ট করা হয় যেখানে ইসরায়েলের পতাকা লাগানো যুদ্ধজাহাজে বোমাবর্ষণের কাল্পনিক দৃশ্য প্রচার করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে ইসরায়েল বনাম ফিলিস্তিন ও সাথে আরো বেশ কিছু হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে আমেরিকা, মালয়েশিয়া, দুবাইয়ের হ্যাশট্যাগও ছিল। সম্প্রতি সেই ভিডিওটিকে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী কর্তৃক ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে। 

অর্থাৎ, ভিডিও গেমের ভিডিওকে হুতি বিদ্রোহী কর্তৃক ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলা হয়নি, পুরোনো ভিডিওর মাধ্যমে গুজব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সফরে গত ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড গিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল অর্থাৎ আগামীকাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। মূলত থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেলেও শেখ হাসিনা এই সফরে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। এই সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল (২৭ এপ্রিল) SOMOY 63 নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দাবি করা হয়, থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামলার শিকার হয়েছেন এবং তার গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে। এমনও দাবি করা হয়েছে যে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। 

আমরা ০৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওটি (আর্কাইভ) পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, এখানে শুরুর দিকে সংবাদ পাঠক সদৃশ কন্ঠেও একই দাবি করতে দেখা যায়। সেসময় কিছু স্থিরচিত্র দেখানো হয়, এর মধ্যে একটি ছবি হচ্ছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেডে হামলার ঘটনার৷ সংবাদ পাঠকের এ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনের পর ০১ মিনিট ৩২ সেকেন্ড সময়ে এই সংক্রান্ত দাবির বিস্তারিত অংশ দেখার আহ্বান জানানো হয়। এরপর দাবিটির পক্ষে দুইটি ভিডিও দেখানো হয়েছে। শেষে আবার একজন উপস্থাপক সারমর্ম টেনে ভিডিও শেষ করেন।   

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান সফরে তার ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং ২০২৩ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বিএনপির বিক্ষোভের পুরোনো ভিডিওর মাধ্যমে এই ভুয়া দাবি প্রচার করা হয়েছে। 

রিউমর স্ক্যানার টিম এ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভিডিওর মূল দুইটি ফুটেজ খুঁজে বের করেছে। প্রথম ফুটেজটি (০১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড থেকে ০৬ মিনিট ১২ সেকেন্ড সময়) পাওয়া যায় ‘Probasi TV । আমেরিকার পথেপ্রান্তরে’ নামে একটি ফেসবুক পেজে। ২০২৩ সালের ০৩ মে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতের এই লাইভ ভিডিওটি ধারণ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেটের টাইসনস কর্নার এলাকা থেকে। সেদিন (০২ মে) সেখানকার রিজ কার্লটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেসময় হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ করে বিএনপি সমর্থকরা। এই লাইভ ভিডিওটি সেসময়েরই। প্রায় ৪২ মিনিটের লাইভ ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ কেটে প্রায় পাঁচ মিনিটের ফুটেজ ব্যবহার করা হয় আলোচিত ভিডিওটিতে।  

হাসিনার ওপর হামলা
Screenshot comparison: Rumor Scanner

লাইভ ভিডিওটির পুরো অংশ পর্যবেক্ষণ করে অবশ্য কোনো হামলা বা সংঘর্ষের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি এই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই উপস্থিতি ছিল না৷ আমরা সেসময়ের সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে দেখেছি, এই বিক্ষোভের আগের দিনও বিএনপির কর্মসূচী ছিল। সেদিন  আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে প্রধানমন্ত্রী হামলার শিকার হননি বা তার গাড়ি ভাঙচুর করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

এদিকে আলোচিত ভিডিওতে থাকা পরবর্তী ফুটেজটির (০৬ মিনিট ১৩ সেকেন্ড থেকে ০৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড) বিষয়ে অনুসন্ধানে একই ফেসবুক পেজেই (‘Probasi TV । আমেরিকার পথেপ্রান্তরে’) এটির মূল ভিডিও পাওয়া যায়। এখানে মূলত বিএনপির ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। নিপুন রায় ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। এটিও ০২ মে এর ভিডিও। ভার্জিনিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বক্তব্য দেওয়ার ফুটেজ এটি। 

Screenshot comparison: Rumor Scanner 

এই ভিডিও পর্যবেক্ষণ করেও প্রধানমন্ত্রী হামলার শিকার হওয়া বা তার গাড়ি ভাঙচুর করার মতো কোনো ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। 

অর্থাৎ, প্রায় ১১ মাস পূর্বের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ব্যবহার করে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামলার শিকার হয়েছেন শীর্ষক গুজব প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর চলমান থাইল্যান্ড সফরে সেখানে বিএনপির কোনো বিক্ষোভ বা মারামারির কোনো খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। 

‘সময় সিক্সটি থ্রি’ নামে আলোচিত চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রায় ২ লাখ ৩৩ হাজার সাবস্ক্রাইবার সমৃদ্ধ এই চ্যানেলটি চালু করা হয় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর। দেখা গেছে, নিয়মিতই বিভিন্ন চটকদার থাম্বনেইল, টাইটেল ও ক্যাপশনের মাধ্যমে পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে চ্যানেলটি সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িয়ে ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে। মানুষ নিয়মিতই যে সেসব দেখছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় ভিডিওগুলোর ভিউ দেখেই এবং এর ফলে ভুল তথ্যে প্রভাবিত হচ্ছে। তবে থাম্বনেইল বা ভিডিওর ভেতরে থাকা ছবিগুলো যে অনেক সময় প্রতীকী অর্থেও প্রকাশ করা হয় তা প্রতিটি ভিডিওর বিস্তারিত অংশে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি থাম্বনেইলের ছবি ও টাইটেল দেখে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। 

Screenshot: Youtube 

ভিডিওগুলোতে এক ব্যক্তিকে উপস্থাপনা করতে দেখা যায়। তার নাম পিয়াস মাহমুদ। কপিরাইটসহ যে কোনো অভিযোগ এবং বিজ্ঞাপনের জন্য চ্যানেলটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করতে [email protected] নামে একটি ইমেইল ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে। 

মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড গিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। এই সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল (২৭ এপ্রিল) SOMOY 63 নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দাবি করা হয়, থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামলার শিকার হয়েছেন এবং তার গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে। এমনও দাবি করা হয়েছে যে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফরে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় কয়েক দফায় বিক্ষোভ করে বিএনপি। সে সময়ের দুইটি ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে ভুয়া এই দাবি প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, ২০২৩ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ব্যবহার করে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামলার শিকার হয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Probasi TV । আমেরিকার পথেপ্রান্তরে: Facebook Post 1
  • Probasi TV । আমেরিকার পথেপ্রান্তরে: Facebook Post 2
  • Rumor Scanner’s own investigation 

বাংলাদেশের দুই টাকার নোট পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ব্যাংকনোটের স্বীকৃতি পায়নি

0

সম্প্রতি, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ব্যাংকনোট বাংলাদেশের দুই টাকা’ শীর্ষক দাবিতে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

দুই টাকার নোট

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশের দুই টাকার নোট পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ব্যাংকনোটের স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং আর্মেনিয়ান একটি নিউজের নামহীন সূত্রের বরাতে গত কয়েক বছর ধরে উক্ত তথ্যটি প্রচারিত হচ্ছে।

মূলত, ২০১২ সালে আর্মেনিয়ান একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দুই টাকার ব্যাংকনোট বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নোটের স্বীকৃতি পেয়েছে। নামহীন রাশিয়ান একটি আউটলেটের সূত্র ব্যবহার করে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনের বরাতে বিগত কয়েক বছর ধরে উক্ত তথ্যটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু আর্মেনিয়ান সংবাদমাধ্যমটি রাশিয়ান অনলাইন এন্টারটেইনমেন্ট আউটলেটের যে সূত্র ব্যবহার করেছে তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার। তাছাড়া, ব্যাংকনোটের সৌন্দর্যের বাৎসরিক স্বীকৃতি প্রদানকারী IBNS-ও বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক নোটকে এখনও সেরার স্বীকৃতি দেয়নি৷ 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

যমুনা টিভির ফটোকার্ড নকল করে ভারতে ধর্ষণ চেষ্টার বানোয়াট তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি, “মুসলিম নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করায় গোপণাঙ্গ হারালেন ভারতের সনাতন ধর্মের এক যুবক” শীর্ষক একটি তথ্য সম্বলিত ফটোকার্ড দেশের বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভি প্রকাশ করেছে দাবিতে অসংখ্য পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।  

যমুনা টিভি সম্পর্কিত আলোচিত দাবির ফেসবুক পোস্টগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যমুনা টিভি “মুসলিম নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করায় গোপণাঙ্গ হারালেন ভারতের সনাতন ধর্মের এক যুবক” শীর্ষক দাবিতে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। এমনকি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ অন্য কোনো গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির ফটোকার্ড নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ড যে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তাদের অর্থাৎ যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে তা খুঁজে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় রিউমর স্ক্যানার। যমুনা টিভির কথিত এই ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে ফটোকার্ডগুলো প্রকাশের তারিখ গত ২৩ এপ্রিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সূত্র ধরে যমুনা টিভি’র ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদের অস্তিত্ব মেলেনি।

এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের বেশকিছু অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ফন্ট, ফন্ট সাইজ ও ফন্টের কালার গ্রেডিং ও ফটোকার্ডে প্রদর্শিত ছবির অবস্থানে অমিল পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও ফটোকার্ডের ছবির নিচে ডানদিকে গণমাধ্যমের লোগো এবং একদম নিচে ইন্ট্রো বারটি ঝাপসা দেখা যাচ্ছে, যা যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডে থাকে না। যমুনা টিভির আসল ফটোকার্ডে একটি জলছাপ দেখা যায়, যা উক্ত দাবিকৃত ফটোকার্ডে নেই। 

Photocard Comparison: Rumor Scanner

পাশাপাশি গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি ২০২০ সালের মালয়েশিয়া প্রবাসী অসুস্থ বকুলের পরিবারের আকুতি শীর্ষক শিরোনামের ঘটনায় ব্যবহৃত ছবি। এ নিয়ে সেসময় বাংলা টেলিগ্রাফ, Daily Observer, প্রবাসীর দিগন্ত প্রভৃতি সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়াও  ঘটনাটি আসামে ঘটেছে বলে উক্ত ফটোকার্ডে দাবি করা হয়। তবে সম্প্রতি আসামে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে দেশীয় বা ভারতীয় কোনো গণমাধ্যম থেকে সংবাদ প্রকাশিত হয় নি। 

মূলত, সম্প্রতি “মুসলিম নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করায় গোপণাঙ্গ হারালেন ভারতের সনাতন ধর্মের এক যুবক” শীর্ষক দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, গণমাধ্যমটির ফেসবুক   পেজ থেকে ফটোকার্ড সংগ্রহ করে তা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, “মুসলিম নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করায় গোপণাঙ্গ হারালেন ভারতের সনাতন ধর্মের এক যুবক” শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

কমিউনিটি ক্লিনিকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রচার

0

সম্প্রতি, “বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ভুয়া বিজ্ঞপ্তি

ফেসবুকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিভিন্ন পদে ৭৬০ জন নিয়োগের জন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি বরং ভুয়া তথ্যসূত্র ব্যবহার করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই, আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত ১৭ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ৫ নম্বর পাতা ও ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক মানবকণ্ঠের ৬ নম্বর পাতাকে বিজ্ঞপ্তিটির তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

Source: দৈনিক মানবকণ্ঠ ই-পেপার আর্কাইভ

পরবর্তীতে গত ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক মানবকণ্ঠের ই-পেপার ভার্সনে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু, দৈনিক মানবকণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ই-পেপার অনুসন্ধান করে গত ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত পত্রিকার ৬ নম্বর পাতায় আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত ১৭ এপ্রিল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর ই-পেপার আর্কাইভ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, BDCClinic নামের যে পেজ থেকে আলোচিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হচ্ছে তার কাছাকাছি নামের একই লোগো সম্বলিত BDcclinic নামের একটি পেজে ২০২৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Comparison Image By Rumor Scanner

উক্ত বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও হুবহু একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হয়েছে। তবে, উক্ত বিজ্ঞপ্তিটির সূত্র হিসেবে আলোকিত বাংলাদেশ ও মানবকণ্ঠের স্থলে দৈনিক মানবজমিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

অর্থাৎ, একই লোগো ব্যবহার করে কাছাকাছি নামের ভিন্ন ভিন্ন পেজ থেকে একাধিকবার হুবহু একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া সূত্রে প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, BDCClinic নামের একটি ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিভিন্ন পদে ৭৬০ জনের নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় যেখানে বিজ্ঞপ্তির সূত্র হিসেবে দৈনিক মানবকণ্ঠ ও আলোকিত বাংলাদেশ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দৈনিক মানবকণ্ঠ ও আলোকিত বাংলাদেশ এরূপ কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। এছাড়াও, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কাছাকাছি নামের পেজ থেকে হুবহু একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণও পাওয়া গেছে।

অর্থাৎ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও প্রতারণামূলক।

তথ্যসূত্র

ডিবিসি নিউজের ফটোকার্ড বিকৃত করে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, “গরমে জার্সি পড়ে বাহিরে বের হতে বললেন হিট অফিসার” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

হিট অফিসার

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ফটোকার্ড দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন গরমে জার্সি পড়ে বাইরে বের হওয়ার কোন পরামর্শ দেননি এবং উক্ত শিরোনামে ডিবিসি নিউজও কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ডকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।  ফটোকার্ডটিতে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ডিবিসি নিউজের লোগো রয়েছে। পাশাপাশি ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ হিসেবে ২১ এপ্রিল, ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। 

উক্ত তারিখের সূত্র ধরে গত ২১ এপ্রিল ডিবিসি নিউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২১ এপ্রিল প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু, উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ডিবিসি নিউজের ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবিতে প্রচারিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

তবে গত ২১ এপ্রিল “গরমে ছাতা নিয়ে বাইরে বের হতে বললেন হিট অফিসার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison Image By Rumor Scanner

উক্ত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের ছবি ও ফটোকার্ডের ডিজাইনের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনামের প্রথম লাইনে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে ডিবিসি নিউজের ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য রয়েছে। 

আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামে “গরমে ছাতা নিয়ে বাইরে” বাক্যাংশের পরিবর্তে “গরমে জার্সি পড়ে বাহিরে” বাক্যাংশটি যুক্ত করা হয়েছে। 

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট বা সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, বিষয়টির অধিকতর সত্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে  ডিবিসি নিউজের সিনিয়র ডিজিটাল মিডিয়া ম্যানেজার মো: কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, আলোচিত ফটোকার্ডটি এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। ডিবিসি নিউজ এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

মূলত, ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজে গত ২১ এপ্রিল “গরমে ছাতা নিয়ে বাইরে বের হতে বললেন হিট অফিসার” শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। উক্ত ফটোকার্ডটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তায় এডিট বা সম্পাদনা করে “গরমে জার্সি পড়ে বাহিরে বের হতে বললেন হিট অফিসার” শীর্ষক শিরোনামে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, “গরমে জার্সি পড়ে বাইরে বের হতে বললেন হিট অফিসার” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে ডিবিসি নিউজের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র