Home Blog Page 150

জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের দাবিটি ভুয়া

সম্প্রতি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পতনের ডাক দিয়েছে জামায়াত শাহবাগ থেকে গরম পানি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু হয়েছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। এই ইউনুস তুই তাড়াতাড়ি পাকিস্তান চলে যা বাংলাদেশে আর জায়গা হবে না তোর জয় বাংলা’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত ভিডিওটিতে প্রায় ৭ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ৪ শতকেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি  জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের  ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামান ছোড়ার কোনো ঘটনার  নয় বরং, গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের জলকামান নিয়ে অবস্থানের সময়ে ধারণকৃত দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে দৈনিক ইত্তেফাক এর লোগো দেখা যায়। 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে দৈনিক ইত্তেফাক এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ জানুয়ারির ‘ শাহবাগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পুলিশের জল কামান নিক্ষেপ | Shahbagh | Daily Ittefaq’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে উক্ত প্রতিবেদনের ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির প্রথম ৫৮ সেকেন্ডের মিল রয়েছে ৷  

Comparison by Rumor Scanner

একই দিনে মূলধারার আরেক গণমাধ্যম যায়যায়দিন এর ইউটিউব চ্যানেলেও একই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে একই দিনে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এর ওয়েবসাইটে “শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিপেটা, আহত ৬” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটাও করেছে। এতে এক নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, জামায়াত ইসলামীর কর্মসূচিতে পুলিশের গরম পানি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের দৃশ্য দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের জলকামান নিয়ে অবস্থানের ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

এই ভিডিওতে রুহুল কবির রিজভীকে মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ বলেননি খালেদা জিয়া

সম্প্রতি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। ভিডিওর ক্যাপশনে, আমাদের রিজভী আহমেদ মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক শীর্ষক মন্তব্য বেগম খালেদা জিয়া করেছেন বলে দাবি করা হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে আমাদের রিজভী আহমেদ মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক শীর্ষক মন্তব্য খালেদা জিয়া করেননি বরং, ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার লন্ডনে দেওয়া বক্তব্যের ভিন্ন ভিন্ন খন্ডিত অংশ আগে পিছে যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদেকে মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ লোক বলেন।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে করে ভিডিওতে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, ডিসিপ্লিন হতে হবে, যদি আমরা ডিসিডিপ্লিন না হয় তাহলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয় সে জন্য শৃঙ্খলাটা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন। আমাদের যে রিজভী আহমেদ আপনার জানেন মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক, অপদার্থ একটা লোক, আমি সবসময় বলেছি যে মানে বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার প্ল্যান।

তবে, রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে এই ভিডিও এবং অডিওর ধারাবাহিকতায় অসামঞ্জস্যতা আছে বলে প্রতীয়মান হয়।

অনুসন্ধানে বিএনপির ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ১লা নভেম্বর ২০১৫, লন্ডনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ। ১ম অংশ’ শীর্ষক শিরোনামে ও ‘১লা নভেম্বর ২০১৫, লন্ডনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ। ২য় অংশ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিও দুটিতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও ফ্রেম ও অডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

খালেদা জিয়ার ভাষণের ভিডিও দুটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার ভাষণের ভিন্ন ভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

১. আলোচিত ভিডিওতে খালেদা জিয়ার বলা, ডিসিপ্লিন হতে হবে, যদি আমরা ডিসিডিপ্লিন না হয় তাহলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয় সে জন্য শৃঙ্খলাটা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন’ অংশটুকু ভাষণের প্রথম অংশের ০৪:৩৯ থেকে ০৪:৫০ মিনিট অংশের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

২. আলোচিত ভিডিওতে খালেদা জিয়ার বলা, ‘আমাদের যে রিজভী আহমেদ আপনার জানেন’ অংশটুকু ভাষণের দ্বিতীয় অংশের ০১:১৬ – ০১:১৯ মিনিট অডিওর অংশের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

৩. আলোচিত ভিডিওতে খালেদা জিয়ার বলা, ‘মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক, অপদার্থ একটা লোক, আমি সবসময় বলেছি যে’ ভাষণের প্রথম অংশের ৩০:৩৭ – ৩০:৪৩ মিনিট অংশের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

৪. আলোচিত ভিডিওতে খালেদা জিয়ার বলা, ‘মানে বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার প্ল্যান’ অংশটুকু ভাষণের দ্বিতীয় অংশের ৩:১২ – ৩:১৪ মিনিট অংশের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের খন্ডিত অংশগুলো বিএনপির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ২০১৫ সালে লন্ডনে খালেদা জিয়ার ভাষণের প্রথম অংশের ০৪:৩৯ থেকে ০৪:৫০ মিনিট এবং  ৩০:৩৭ – ৩০:৪৩ মিনিট অংশের থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় অংশের ০১:১৬ – ০১:১৯ মিনিট ও ৩:১২ – ৩:১৪ মিনিট অংশ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়া তার পুরো বক্তব্যে রিজভী আহমেদ মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদেকে মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ লোক বলেন।

সুতরাং, ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার লন্ডনে দেওয়া বক্তব্যের ভিন্ন ভিন্ন খন্ডিত অংশ আগে পিছে যুক্ত করে আমাদের রিজভী আহমেদ মেরুদণ্ডহীন অপদার্থ একটা লোক শীর্ষক মন্তব্য খালেদা জিয়া করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

সেনাপ্রধান এবং ড. ইউনূসকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে অপপ্রচার 

0

সম্প্রতি, জাতীয় দৈনিক ‘কালের কন্ঠ’ এর লোগোযুক্ত ‘সেনাপ্রধানের চাপ, পদত্যাগের জন্য ইউনুসকে হুমকি। সার্জিস আলমকে গ্রেপ্তারের হুশিয়ারী’ শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,  ‘সেনাপ্রধানের চাপ, পদত্যাগের জন্য ইউনুসকে হুমকি। সার্জিস আলমকে গ্রেপ্তারের হুশিয়ারী’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কালের কন্ঠ বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইন সাইটে কালের কণ্ঠ এর লোগো ব্যবহার করে প্রকাশিত ভুয়া সংবাদের স্ক্রিনশট সত্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিযুক্ত সংবাদের স্ক্রিনশটে থাকা কালের কণ্ঠ এর লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ব্লগস্পটের বিনামূল্যের একটি ডোমেইন সাইটে ‘ডেইলি নিউজ বিডি আওয়ামী লীগ’ নামক একটি সাইটে ‘সেনাপ্রধানের চাপ, পদত্যাগের জন্য ইউনুসকে হুমকি। সার্জিস আলমকে গ্রেপ্তারের হুশিয়ারী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি গত ২৮ জানুয়ারি প্রকাশিত হতে দেখা যায় এবং এটিই আলোচিত দাবিটির সম্ভাব্য উৎস বলে প্রতীয়মান হয়।

উক্ত সাইটটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সাইটটির লোগো হিসেবে কালের কণ্ঠের লোগো ব্যবহার হলেও এর ইউআরএলে ব্যবহার হয়েছে আওয়ামী লীগের নাম; নাম দেওয়া হয়েছে ডেইলি নিউজ বিডি আওয়ামী লীগ।

Image By Rumor Scanner 

অর্থাৎ, কথিত এই সংবাদ থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে আলোচিত দাবিটি সমাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কথিত সংবাদটি পড়ে দেখা যায়, “গোপন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সেনাপ্রধান ড. ইউনুসকে পদত্যাগ করতে চাপ দিচ্ছেন। সেনা সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত জরুরী বৈঠকে সেনাপ্রধান এবং ড. ইউনুসের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে, যেখানে সেনাপ্রধান ইউনুসকে দ্রুত পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস সরকার খুব শীঘ্রই পদত্যাগ করতে পারে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, সরকারের সমন্বয়ক, সার্জিস আলমকে সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ দু’জন মেজর তার সম্পদের উৎস জানতে চান। সেই বৈঠকে সার্জিস আলমকে সাফ জানানো হয় যে, তিনি ২ দিনের মধ্যে তার সমস্ত সম্পদের উৎসের হিসাব সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেবেন, অন্যথায় দুর্নীতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করবেন এবং দেশ ছাড়বেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর চাপের কারণে তাদের পদত্যাগের সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং সকলের দৃষ্টি এখন সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।”

উক্ত সাইটে দাবিটি প্রকাশে মূলধারার গণমাধ্যম কালের কণ্ঠের লোগো ব্যবহার করা হলেও কালের কণ্ঠ পত্রিকার ওয়েবসাইট এবং প্রিন্ট সংস্করণে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত দাবিতে কোনো সংবাদ প্রকাশের প্রমাণ মেলেনি। ইন্টারনেট আর্কাইভেও এ সংক্রান্ত দাবির কোনো সংবাদ কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশের তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, আলোচিত ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইন সাইটে কালের কণ্ঠ এর লোগো ব্যবহার করে প্রকাশিত সংবাদে সেনাপ্রধানের চাপে ড. ইউনূসের দায়িত্ব ছাড়া এবং সারজিস আলমকে গ্রেফতার করার বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূল ধারার গণমাধমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু হলে তা মূলধারা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইন সাইটে কালের কণ্ঠের লোগো ব্যবহার করা এই সাইটটি থেকে একাধিকবার ভুয়া তথ্য প্রচার করা হলে সেগুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (, , , ) প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ‘সেনাপ্রধানের চাপ, পদত্যাগের জন্য ইউনুসকে হুমকি। সার্জিস আলমকে গ্রেপ্তারের হুশিয়ারী’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত সংবাদটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

রাজশাহী আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, রাজশাহী আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি রাজশাহী আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের কোনো দৃশ্য নয় বরং, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি পুরোনো ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে কোথাও রাজশাহী জেলা বা এর কোনো শাখা আওয়ামী লীগের ব্যানার বা পোস্টার দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ফুটেজ যুক্ত থাকতে দেখা যায়।

বিষয়টি যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর ‘রংপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

জানা যায়, এটি ২০১৯ সালে রংপুরে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিলের ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

এছাড়াও, বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট প্রকাশিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিওটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ০৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটির সাথেও আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে রাজশাহী আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে না’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি মির্জা ফখরুল 

0

সম্প্রতি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছবি সংবলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না”।  

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত টিকটক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না’ শীর্ষক মন্তব্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত মন্তব্যটি তার নামে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিএনপি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক প্রথম আলোতে ২০২৪ সালের ২০-এ নভেম্বর প্রকাশিত, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা জনগণই ঠিক করবে: মির্জা ফখরুল’ শীর্ষক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

Comparison: rumor scanner

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি করবে বা নির্বাচন করবে কি না, তা জনগণ ঠিক করবে। তবে যারা দেশের মানুষ হত্যা করেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে এবং যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।

অর্থাৎ, এই মন্তব্যের সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। 

সুতরাং,‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না’ শীর্ষক মন্তব্য মির্জা ফখরুল করেছেন দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতন দাবিতে ইয়েমেনের পুরোনো ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি ‘মাধ্যমিক  বিদ্যাল‌য়ে’র নবম শ্রেণীর ছাত্র‌ ‘মে‌হেদী হাসান সাগর’‌কে পি‌টি‌য়ে জখম ক‌রে‌ছে ঐ বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষক । মে‌হেদীর বাবা’, পেশায় ইটভাটার শ্র‌মিক।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদী হাসান সাগর নামের ৯ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটি বাংলাদেশের বা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ২০১৯ সালে ইয়েমেনে শিশু নির্যাতনের একটি ঘটনার ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম yemennownews এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ০৪ অক্টোবর প্রকাশিত ‘মাহউইতে একটি শিশুকে তার বাবা মারাত্মকভাবে মারধর করেছে’ (আরবি থেকে অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে আরবি ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত ছবিগুলোর মিল রয়েছে৷ 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবির শিশুটির নাম Shamakh Rashid Al-Qahaili এবং সে ইয়েমেনের আল-রাজম জেলার বাসিন্দা। ১২ বছর বয়সী শিশুটির বাবা তার নিজ সন্তানকে শাসন করার জন্য পিটিয়ে জখম করেছিলো এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের পুলিশ শিশুটির বাবাকে গ্রেফতার করে।

একই সময়ে উক্ত ঘটনা নিয়ে ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম ‘shafatak.net‘ ও ‘pressbee.net‘ এ একই ছবিগুলো ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিলো৷ 

অন্যদিকে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর এর অনলাইন সংস্করণে ২০১৯ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘ড্রেস কিনতে পারেনি, স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে জখম প্রধান শিক্ষকের‘ শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলার সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান সাগরকে স্কুলড্রেসের প্যান্ট ছাড়া শুধু শার্ট পরিধান করে স্কুলে যাওয়ার কারণে পিটিয়ে জখম করেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। 

উপরোক্ত তথ্যাদি থেকে নিশ্চিত করা যায়, ২০১৯ সালে যশোরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনার তথ্য এবং ২০২০ সালে ইয়েমেনে এক বাবা কর্তৃক সন্তানকে পিটিয়ে আহত করার ছবি ব্যবহার করে সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবি ব্যবহার করে একইরকম দাবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিকবার প্রচার করা হয়েছিলো। সেসময়গুলোতে দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে রিউমর স্ক্যানার টিম একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (, ) ও কুইক ফ্যাক্ট প্রতিবেদন ( , , ) প্রকাশ করেছে। 

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রাম্পের ভিডিওবার্তা দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব তার আদর্শ।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব আমার আদর্শ” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের কয়েকটি পুরোনো ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন ফুটেজ দেখতে পাওয়া যায়। সেসব ফুটেজে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তবে সেখানে কোথায় তিনি “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব তার আদর্শ” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

বিষয়টি যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত প্রাসঙ্গিক কয়েকটি ফুটেজ পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই-১

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর “শেখ হাসিনা এখনও ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, দাবি নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির প্রথম ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

জানা যায়, গতবছর প্রায় একই ধরনের দাবি ইন্টারনেটে প্রচারের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তারা বিভিন্ন মাধ্যমের বরাতে বিষয়টিকে ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করে।

ভিডিও যাচাই-২

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Trump White House Archived নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর ‘President Trump Delivers Remarks at the 2020 National Christmas Tree Lighting’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, এটি সেবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির পক্ষ থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ভিডিও যাচাই-৩

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Toronto Star নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ০১ ডিসেম্বর ‘Trump wishes ‘Merry Christmas’ at White House tree lighting’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, এটি সেবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির পক্ষ থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটিও সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে ইন্টারনেটে ট্রাম্পের ভিন্ন একটি ভিডিও নিয়ে সমজাতীয় দাবি প্রচারের প্রেক্ষিতে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব আমার আদর্শ” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

দেশের সবাইকে বিকাশের ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “বিকাশের বিশাল উদ্যোগ: দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা। দেশের সবাই পাচ্ছেন ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা একদম ফ্রি” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। প্রচারিত উক্ত ফেসবুক পোস্টটির সাথে একটি লিঙ্ক সংযুক্ত করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করতে বলা হয়েছে।

লিঙ্কের সংযুক্তি ছাড়া উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বরং, ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই প্রলোভন দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা ওয়েবসাইট লিংকে প্রবেশ করলে উপরে বিকাশের লোগো এবং “বাংলাদেশের মানুষকে আর্থিক স্বস্তি দিতে বিকাশ এনেছে ৫০০ টাকার উপহার” শীর্ষক একটি লেখা পাওয়া যায়। এরপর বিস্তারিত অংশে বলা হয়, টাকা সবাই পাবে এবং ফর্ম পূরণ করার পর বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে।

আরেকটু নিচে স্ক্রল করলেই টাকা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। ফর্মটিতে নিজের নাম, জেলা, এই মূহুর্তে (ফর্ম পূরণ করার মুহূর্তে) বিকাশ অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, বিকাশ সার্ভিস কেমন লাগে ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন অনুসন্ধানকারী নিরাপত্তাজনিত কারণে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে এটি আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে যায়। উক্ত নতুন পেজটিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নতুন পেজের ইন্টারফেসটি হুবহু বিকাশে পেমেন্ট করার ইন্টারফেসের মতো। তাছাড়া, দাবি অনুসারে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারীর ৫০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও নতুন ইন্টারফেসটি হচ্ছে কাউকে টাকা পেমেন্ট করার ইন্টারফেস। অধিকন্তু, এখানে পেমেন্ট গেটওয়ের জায়গায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের কোনো কিছুর বদলে “sagor enterprise” নামটি দেখা যায়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পূর্ববর্তী ফর্মে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আছে হিসেবে উল্লেখ করা ২৪০০ টাকাই এখানে পেমেন্টের পরিমাণ। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার চাওয়া হয়। 

এ পর্যায়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী বিকাশহীন নিজের একটি নাম্বার দিলে “The input wallet is not eligible” লেখাটি প্রদর্শন করে, যা প্রমাণ করে এটি বিকাশের আসল পেমেন্ট পেজেই নিয়ে এসেছে৷ তাছাড়া এ বিষয়ে বিকাশের ডোমেইন নাম দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়৷

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

তারপর সঠিক বিকাশ নাম্বার দিলে ওটিপি চাওয়া হয়। সঠিক ওটিপি দিলে পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়৷ অর্থাৎ, বিকাশ নাম্বার, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড ঠিকভাবে বসালে অ্যাকাউন্টে থাকা তথা ফর্মে উল্লেখ করা টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কিন্তু, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে সর্বশেষ ধাপটি সম্পন্ন করেন নি।

Screenshot : Scamming website

উল্লেখ্য যে, কিছুক্ষণ পর ওটিপি দেওয়ার সময় অতিক্রান্ত হলে এটি রিডিরেক্ট করে আরেকটি পেজে নিয়ে যায় এবং সেখানে লেখা দেখতে পাওয়া যায়, “অভিনন্দন প্রিয় গ্রাহক! আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে। আপনার বিকাশ ব্যালেন্স থেকে কিছু টাকা জামানত হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের ভেতর জামানতের কেটে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং আপনার Bonus এর টাকা আপনার বিকাশ নম্বরে পাঠানো হবে। সাবধান! এই ৭২ ঘন্টা সময়ের ভেতর বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ ব্যবহার করবেন না। করলে আপনার বিকাশ একাউন্টটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। বিস্তারিত জানতে কল করুন: 01915564632”।

অর্থাৎ, টাকা কেটে নেওয়ার পর প্রতারক সেটাকে জামানত দাবি করেছে৷ উল্লেখ্য যে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু সঠিক তথ্য, পাসওয়ার্ড এবং ওটিপি দিলে অ্যাকাউন্টে থাকা সব টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

Screenshot: Truecaller

উক্ত মোবাইল নাম্বারটি ট্রুকলারে যাচাই করলে দেখা যায় এটি “বাবুল ভাই বিআই” নামে সেভ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই নাম্বারটি বিকাশ কর্তৃপক্ষ বা তাদের কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার নয়।

পরবর্তী অনুসন্ধানে, দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশ দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে বিকাশের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, দেশের সবাইকে বিকাশের পক্ষ থেকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

ছয় বান্ধবীর একসাথে বিসিএস ক্যাডার হওয়া ও একই জেলায় পোস্টিংয়ের ভুয়া দাবি প্রচার 

0

সম্প্রতি ‘৬ বান্ধবী বিসিএস ক্যাডার, একজন এডিসি, আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড, একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, মানে সবাই ক্যারিয়ারে সাকসেসফুল এবং সবার পোস্টিং একই জেলায়’ শীর্ষক দাবিতে কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বান্ধবী একসাথে বিসিএস ক্যাডার ও সবার কর্মস্থল একই জেলায় দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা নারীগণ চাকরিতে যোগদানের পূর্বে কেউ কারো বান্ধবী ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে তারা শরিয়তপুর জেলায় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকাকালীন পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

মূলত, অন্তত ২০২৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে ফাল্গুনের সাজে হলুদ শাড়ি পরিহিত ছয় জন নারীর কয়েকটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয় তারা একে অপরের বান্ধবী এবং তারা সবাই একসাথে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। আলোচিত পোস্টগুলোতে বলা হয়, এদের মধ্যে একজন এডিসি, একজন আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড এবং একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত নারীরা কেউ কারো বান্ধবী নন। প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই ২০২৩ সালে শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কর্মরত ছিলেন। সেই বছরের পহেলা ফাল্গুন তারা একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ছবিতে থাকা হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “আমরা কেউই বান্ধবী না, কলিগ ছিলাম। শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২৩ সালে ছবিটি তোলা হয়েছিল। ফটোগ্রাফার ছেলেটি ভুল করে ওগুলো লিখে পোস্ট দিয়েছিল, পরে বুঝতে পেরে ডিলিট করেছে। ওগুলো সত্যি নয়।”

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবিগুলো ব্যবহার করে একইরকম দাবিটি প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি’র একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “সমকামিতার সমর্থক কাফি”।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে কাফি’র হাতে এলজিবিটিকিউ+ প্রাইড পতাকার সদৃশ রঙের একটি টুপি দেখা যায় এবং উক্ত টুপিটির আলোকেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক নন। তিনি নানাসময়ে সমকামী বিরোধী ভিডিও বানিয়েছেন ও নিজেকে সমকামিতার বিপক্ষের একজন ব্যক্তি বলে দাবি করেছেন। এমনকি রিউমর স্ক্যানার টিমকেও তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তাছাড়া, প্রদর্শিত টুপিটির সাথেও সমকামিতা বা এলজিবিটিকিউ+ এর প্রাইড পতাকার রঙের পার্থক্য রয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া  যায়নি। পোস্টগুলোতে কেবলমাত্র কাফি’র হাতে থাকা টুপিটির রঙের উপর ভিত্তি করেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। কাফি’র ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, উক্ত ছবিটি গত ২৪ জানুয়ারি কাফি তার ফেসবুক পেজে “একা থাকার অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে প্রিয়তমা।” শীর্ষক ক্যাপশনে পোস্ট করেছিলেন৷ উক্ত পোস্টটিতে কাফি সমকামিতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেননি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কাফি’র হাতে থাকা উক্ত টুপিটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, টুপিটিতে মূলত চারটি রঙ রয়েছে যা হলো কালো, লাল, হলুদ ও সবুজ৷ অপরদিকে ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোউল্ডার এর অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক পরিবর্তন কেন্দ্র এবং হেল্থ নামক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে জানা যায়, প্রচলিত রেইনবো প্রাইড ফ্ল্যাগে সাধারণত ছয়টি রঙ থাকে। রঙগুলো হলো: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি ও নীল বা বেগুনি নীল। 

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে কালো রঙ থাকে না কিন্তু কাফি’র হাতে থাকা টুপিতে কালো রঙ একাধিকবার দেখা যায়। এছাড়া, কাফি’র হাতে থাকা টুপিতে এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে থাকা কমলা, বেগুনি ও নীল রঙ দেখা যায়নি যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, কাফি’র হাতে থাকা টুপিটি এলজিবিটিকিউ+ এর সমর্থনে প্রচলিত কোনো টুপি নয়।

টুপিটির ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে টুপিটি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে “Unisex Jamaica Reggae Cap Rasta Slinky Beanie Multi-Colour Striped Slouchy Baggie Beanie Skullies Gorro Rasta Hat” শীর্ষক নামে বিক্রি হতে দেখা যায়। পণ্যের নাম বা বিবরণীতে এটির সাথে সমকামিতার কোনো সম্পৃক্ততা উল্লেখ করতে দেখা যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি’র ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে তাকে নানা সময়ে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলতে বা ভিডিও বানাতে দেখা যায়। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারিতে তার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ভিডিওতে কাফি’কে বলতে শোনা যায় যে, সমকামী বা সমকামী সমর্থকদের চেয়ে কুকুর ভালো। 

তাছাড়া, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গল্পে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আসিফকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় চাকরিচ্যুত করেছিল বলে জানা যায়। সেসময়ও কাফি একটি ভিডিও তৈরি করে আসিফ মাহতাবকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়ে আসিফকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্তের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন। এছাড়াও, আরো নানাসময়ে তাকে সমকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী ভিডিও তৈরি করতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে টুপি হাতে কাফি’র উক্ত ছবিটি প্রচার করে তাকে সমকামী সমর্থক বলে প্রচার করা হলে তিনি তার ফেসবুক পেজে গত ২৫ জানুয়ারি একটি ভিডিও প্রচার করেন৷ ভিডিওটিতে তিনি সমকামী সমর্থক হওয়ার দাবিটি মিথ্যা বলে জানান।

এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম কাফি’র সাথে যোগাযোগ করলে কাফি জানান, “আমি একজন মুসলিম। সমর্থন করার বিষয়ই আসে না। বরং, আমি সমকামিতার বিপক্ষে। আমি এর বিপক্ষে ভিডিও ও বানিয়েছি।”

সুতরাং, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র