সম্প্রতি ‘৬ বান্ধবী বিসিএস ক্যাডার, একজন এডিসি, আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড, একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, মানে সবাই ক্যারিয়ারে সাকসেসফুল এবং সবার পোস্টিং একই জেলায়’ শীর্ষক দাবিতে কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বান্ধবী একসাথে বিসিএস ক্যাডার ও সবার কর্মস্থল একই জেলায় দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা নারীগণ চাকরিতে যোগদানের পূর্বে কেউ কারো বান্ধবী ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে তারা শরিয়তপুর জেলায় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকাকালীন পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷
মূলত, অন্তত ২০২৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে ফাল্গুনের সাজে হলুদ শাড়ি পরিহিত ছয় জন নারীর কয়েকটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয় তারা একে অপরের বান্ধবী এবং তারা সবাই একসাথে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। আলোচিত পোস্টগুলোতে বলা হয়, এদের মধ্যে একজন এডিসি, একজন আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড এবং একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত নারীরা কেউ কারো বান্ধবী নন। প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই ২০২৩ সালে শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কর্মরত ছিলেন। সেই বছরের পহেলা ফাল্গুন তারা একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ছবিতে থাকা হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “আমরা কেউই বান্ধবী না, কলিগ ছিলাম। শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২৩ সালে ছবিটি তোলা হয়েছিল। ফটোগ্রাফার ছেলেটি ভুল করে ওগুলো লিখে পোস্ট দিয়েছিল, পরে বুঝতে পেরে ডিলিট করেছে। ওগুলো সত্যি নয়।”
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবিগুলো ব্যবহার করে একইরকম দাবিটি প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।