Home Blog Page 151

বাংলাদেশে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতন দাবিতে ইয়েমেনের পুরোনো ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি ‘মাধ্যমিক  বিদ্যাল‌য়ে’র নবম শ্রেণীর ছাত্র‌ ‘মে‌হেদী হাসান সাগর’‌কে পি‌টি‌য়ে জখম ক‌রে‌ছে ঐ বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষক । মে‌হেদীর বাবা’, পেশায় ইটভাটার শ্র‌মিক।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদী হাসান সাগর নামের ৯ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটি বাংলাদেশের বা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ২০১৯ সালে ইয়েমেনে শিশু নির্যাতনের একটি ঘটনার ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম yemennownews এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ০৪ অক্টোবর প্রকাশিত ‘মাহউইতে একটি শিশুকে তার বাবা মারাত্মকভাবে মারধর করেছে’ (আরবি থেকে অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে আরবি ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত ছবিগুলোর মিল রয়েছে৷ 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবির শিশুটির নাম Shamakh Rashid Al-Qahaili এবং সে ইয়েমেনের আল-রাজম জেলার বাসিন্দা। ১২ বছর বয়সী শিশুটির বাবা তার নিজ সন্তানকে শাসন করার জন্য পিটিয়ে জখম করেছিলো এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের পুলিশ শিশুটির বাবাকে গ্রেফতার করে।

একই সময়ে উক্ত ঘটনা নিয়ে ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম ‘shafatak.net‘ ও ‘pressbee.net‘ এ একই ছবিগুলো ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিলো৷ 

অন্যদিকে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর এর অনলাইন সংস্করণে ২০১৯ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘ড্রেস কিনতে পারেনি, স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে জখম প্রধান শিক্ষকের‘ শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলার সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান সাগরকে স্কুলড্রেসের প্যান্ট ছাড়া শুধু শার্ট পরিধান করে স্কুলে যাওয়ার কারণে পিটিয়ে জখম করেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। 

উপরোক্ত তথ্যাদি থেকে নিশ্চিত করা যায়, ২০১৯ সালে যশোরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনার তথ্য এবং ২০২০ সালে ইয়েমেনে এক বাবা কর্তৃক সন্তানকে পিটিয়ে আহত করার ছবি ব্যবহার করে সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবি ব্যবহার করে একইরকম দাবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিকবার প্রচার করা হয়েছিলো। সেসময়গুলোতে দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে রিউমর স্ক্যানার টিম একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (, ) ও কুইক ফ্যাক্ট প্রতিবেদন ( , , ) প্রকাশ করেছে। 

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রাম্পের ভিডিওবার্তা দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব তার আদর্শ।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব আমার আদর্শ” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের কয়েকটি পুরোনো ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন ফুটেজ দেখতে পাওয়া যায়। সেসব ফুটেজে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তবে সেখানে কোথায় তিনি “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব তার আদর্শ” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

বিষয়টি যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত প্রাসঙ্গিক কয়েকটি ফুটেজ পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই-১

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর “শেখ হাসিনা এখনও ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, দাবি নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির প্রথম ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

জানা যায়, গতবছর প্রায় একই ধরনের দাবি ইন্টারনেটে প্রচারের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তারা বিভিন্ন মাধ্যমের বরাতে বিষয়টিকে ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করে।

ভিডিও যাচাই-২

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Trump White House Archived নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর ‘President Trump Delivers Remarks at the 2020 National Christmas Tree Lighting’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, এটি সেবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির পক্ষ থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ভিডিও যাচাই-৩

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Toronto Star নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ০১ ডিসেম্বর ‘Trump wishes ‘Merry Christmas’ at White House tree lighting’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি ফুটেজের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, এটি সেবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির পক্ষ থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটিও সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে ইন্টারনেটে ট্রাম্পের ভিন্ন একটি ভিডিও নিয়ে সমজাতীয় দাবি প্রচারের প্রেক্ষিতে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিব আমার আদর্শ” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

দেশের সবাইকে বিকাশের ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “বিকাশের বিশাল উদ্যোগ: দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা। দেশের সবাই পাচ্ছেন ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা একদম ফ্রি” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। প্রচারিত উক্ত ফেসবুক পোস্টটির সাথে একটি লিঙ্ক সংযুক্ত করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করতে বলা হয়েছে।

লিঙ্কের সংযুক্তি ছাড়া উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বরং, ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই প্রলোভন দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা ওয়েবসাইট লিংকে প্রবেশ করলে উপরে বিকাশের লোগো এবং “বাংলাদেশের মানুষকে আর্থিক স্বস্তি দিতে বিকাশ এনেছে ৫০০ টাকার উপহার” শীর্ষক একটি লেখা পাওয়া যায়। এরপর বিস্তারিত অংশে বলা হয়, টাকা সবাই পাবে এবং ফর্ম পূরণ করার পর বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে।

আরেকটু নিচে স্ক্রল করলেই টাকা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। ফর্মটিতে নিজের নাম, জেলা, এই মূহুর্তে (ফর্ম পূরণ করার মুহূর্তে) বিকাশ অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, বিকাশ সার্ভিস কেমন লাগে ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন অনুসন্ধানকারী নিরাপত্তাজনিত কারণে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে এটি আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে যায়। উক্ত নতুন পেজটিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নতুন পেজের ইন্টারফেসটি হুবহু বিকাশে পেমেন্ট করার ইন্টারফেসের মতো। তাছাড়া, দাবি অনুসারে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারীর ৫০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও নতুন ইন্টারফেসটি হচ্ছে কাউকে টাকা পেমেন্ট করার ইন্টারফেস। অধিকন্তু, এখানে পেমেন্ট গেটওয়ের জায়গায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের কোনো কিছুর বদলে “sagor enterprise” নামটি দেখা যায়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পূর্ববর্তী ফর্মে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আছে হিসেবে উল্লেখ করা ২৪০০ টাকাই এখানে পেমেন্টের পরিমাণ। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার চাওয়া হয়। 

এ পর্যায়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী বিকাশহীন নিজের একটি নাম্বার দিলে “The input wallet is not eligible” লেখাটি প্রদর্শন করে, যা প্রমাণ করে এটি বিকাশের আসল পেমেন্ট পেজেই নিয়ে এসেছে৷ তাছাড়া এ বিষয়ে বিকাশের ডোমেইন নাম দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়৷

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

তারপর সঠিক বিকাশ নাম্বার দিলে ওটিপি চাওয়া হয়। সঠিক ওটিপি দিলে পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়৷ অর্থাৎ, বিকাশ নাম্বার, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড ঠিকভাবে বসালে অ্যাকাউন্টে থাকা তথা ফর্মে উল্লেখ করা টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কিন্তু, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে সর্বশেষ ধাপটি সম্পন্ন করেন নি।

Screenshot : Scamming website

উল্লেখ্য যে, কিছুক্ষণ পর ওটিপি দেওয়ার সময় অতিক্রান্ত হলে এটি রিডিরেক্ট করে আরেকটি পেজে নিয়ে যায় এবং সেখানে লেখা দেখতে পাওয়া যায়, “অভিনন্দন প্রিয় গ্রাহক! আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে। আপনার বিকাশ ব্যালেন্স থেকে কিছু টাকা জামানত হিসেবে কেটে নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের ভেতর জামানতের কেটে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং আপনার Bonus এর টাকা আপনার বিকাশ নম্বরে পাঠানো হবে। সাবধান! এই ৭২ ঘন্টা সময়ের ভেতর বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ ব্যবহার করবেন না। করলে আপনার বিকাশ একাউন্টটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। বিস্তারিত জানতে কল করুন: 01915564632”।

অর্থাৎ, টাকা কেটে নেওয়ার পর প্রতারক সেটাকে জামানত দাবি করেছে৷ উল্লেখ্য যে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু সঠিক তথ্য, পাসওয়ার্ড এবং ওটিপি দিলে অ্যাকাউন্টে থাকা সব টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

Screenshot: Truecaller

উক্ত মোবাইল নাম্বারটি ট্রুকলারে যাচাই করলে দেখা যায় এটি “বাবুল ভাই বিআই” নামে সেভ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই নাম্বারটি বিকাশ কর্তৃপক্ষ বা তাদের কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার নয়।

পরবর্তী অনুসন্ধানে, দেশের সবাইকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশ দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে বিকাশের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, দেশের সবাইকে বিকাশের পক্ষ থেকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

ছয় বান্ধবীর একসাথে বিসিএস ক্যাডার হওয়া ও একই জেলায় পোস্টিংয়ের ভুয়া দাবি প্রচার 

0

সম্প্রতি ‘৬ বান্ধবী বিসিএস ক্যাডার, একজন এডিসি, আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড, একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, মানে সবাই ক্যারিয়ারে সাকসেসফুল এবং সবার পোস্টিং একই জেলায়’ শীর্ষক দাবিতে কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বান্ধবী একসাথে বিসিএস ক্যাডার ও সবার কর্মস্থল একই জেলায় দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা নারীগণ চাকরিতে যোগদানের পূর্বে কেউ কারো বান্ধবী ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে তারা শরিয়তপুর জেলায় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকাকালীন পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

মূলত, অন্তত ২০২৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে ফাল্গুনের সাজে হলুদ শাড়ি পরিহিত ছয় জন নারীর কয়েকটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয় তারা একে অপরের বান্ধবী এবং তারা সবাই একসাথে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। আলোচিত পোস্টগুলোতে বলা হয়, এদের মধ্যে একজন এডিসি, একজন আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুইজন এসিল্যান্ড এবং একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত নারীরা কেউ কারো বান্ধবী নন। প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই ২০২৩ সালে শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কর্মরত ছিলেন। সেই বছরের পহেলা ফাল্গুন তারা একসাথে কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উক্ত দাবিতে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ছবিতে থাকা হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “আমরা কেউই বান্ধবী না, কলিগ ছিলাম। শরিয়তপুর জেলায় বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২৩ সালে ছবিটি তোলা হয়েছিল। ফটোগ্রাফার ছেলেটি ভুল করে ওগুলো লিখে পোস্ট দিয়েছিল, পরে বুঝতে পেরে ডিলিট করেছে। ওগুলো সত্যি নয়।”

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবিগুলো ব্যবহার করে একইরকম দাবিটি প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি’র একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “সমকামিতার সমর্থক কাফি”।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে কাফি’র হাতে এলজিবিটিকিউ+ প্রাইড পতাকার সদৃশ রঙের একটি টুপি দেখা যায় এবং উক্ত টুপিটির আলোকেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক নন। তিনি নানাসময়ে সমকামী বিরোধী ভিডিও বানিয়েছেন ও নিজেকে সমকামিতার বিপক্ষের একজন ব্যক্তি বলে দাবি করেছেন। এমনকি রিউমর স্ক্যানার টিমকেও তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তাছাড়া, প্রদর্শিত টুপিটির সাথেও সমকামিতা বা এলজিবিটিকিউ+ এর প্রাইড পতাকার রঙের পার্থক্য রয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া  যায়নি। পোস্টগুলোতে কেবলমাত্র কাফি’র হাতে থাকা টুপিটির রঙের উপর ভিত্তি করেই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। কাফি’র ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, উক্ত ছবিটি গত ২৪ জানুয়ারি কাফি তার ফেসবুক পেজে “একা থাকার অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে প্রিয়তমা।” শীর্ষক ক্যাপশনে পোস্ট করেছিলেন৷ উক্ত পোস্টটিতে কাফি সমকামিতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেননি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কাফি’র হাতে থাকা উক্ত টুপিটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, টুপিটিতে মূলত চারটি রঙ রয়েছে যা হলো কালো, লাল, হলুদ ও সবুজ৷ অপরদিকে ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোউল্ডার এর অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক পরিবর্তন কেন্দ্র এবং হেল্থ নামক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে জানা যায়, প্রচলিত রেইনবো প্রাইড ফ্ল্যাগে সাধারণত ছয়টি রঙ থাকে। রঙগুলো হলো: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি ও নীল বা বেগুনি নীল। 

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে কালো রঙ থাকে না কিন্তু কাফি’র হাতে থাকা টুপিতে কালো রঙ একাধিকবার দেখা যায়। এছাড়া, কাফি’র হাতে থাকা টুপিতে এলজিবিটিকিউ+ এর পতাকাতে থাকা কমলা, বেগুনি ও নীল রঙ দেখা যায়নি যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, কাফি’র হাতে থাকা টুপিটি এলজিবিটিকিউ+ এর সমর্থনে প্রচলিত কোনো টুপি নয়।

টুপিটির ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে টুপিটি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে “Unisex Jamaica Reggae Cap Rasta Slinky Beanie Multi-Colour Striped Slouchy Baggie Beanie Skullies Gorro Rasta Hat” শীর্ষক নামে বিক্রি হতে দেখা যায়। পণ্যের নাম বা বিবরণীতে এটির সাথে সমকামিতার কোনো সম্পৃক্ততা উল্লেখ করতে দেখা যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি’র ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে তাকে নানা সময়ে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলতে বা ভিডিও বানাতে দেখা যায়। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারিতে তার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ভিডিওতে কাফি’কে বলতে শোনা যায় যে, সমকামী বা সমকামী সমর্থকদের চেয়ে কুকুর ভালো। 

তাছাড়া, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গল্পে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আসিফকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় চাকরিচ্যুত করেছিল বলে জানা যায়। সেসময়ও কাফি একটি ভিডিও তৈরি করে আসিফ মাহতাবকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়ে আসিফকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্তের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন। এছাড়াও, আরো নানাসময়ে তাকে সমকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী ভিডিও তৈরি করতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে টুপি হাতে কাফি’র উক্ত ছবিটি প্রচার করে তাকে সমকামী সমর্থক বলে প্রচার করা হলে তিনি তার ফেসবুক পেজে গত ২৫ জানুয়ারি একটি ভিডিও প্রচার করেন৷ ভিডিওটিতে তিনি সমকামী সমর্থক হওয়ার দাবিটি মিথ্যা বলে জানান।

এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম কাফি’র সাথে যোগাযোগ করলে কাফি জানান, “আমি একজন মুসলিম। সমর্থন করার বিষয়ই আসে না। বরং, আমি সমকামিতার বিপক্ষে। আমি এর বিপক্ষে ভিডিও ও বানিয়েছি।”

সুতরাং, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি সমকামিতার সমর্থক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনার ভারত থেকে ভাষণ দাবিতে সম্পাদিত ভিডিও প্রচার 

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন ঘটে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলের। সেদিন দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভাষণ দিয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। যেখানে তিনি পদত্যাগ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন এমন দাবিও করা হয় পোস্টগুলোর শিরোনামে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

টিকটকে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। বরং, জুলাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের একটি ভিডিওর সাথে ভারতের পুরোনো ও ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার দুটি ভিডিওর ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে এতে আলোচিত ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে, ‘তোমরা রাজাকার, তোমার বাবা রাজাকার এটাতো তোমরাই করেছ। চেয়েছিলাম অধিকার হয়েগেছি রাজাকার। আরে রাজাকার আমিতো তোমাদের বলিনাই, তোমরা নিজেরা স্লোগান দিয়ে তোমাদেরকে রাজাকার’ শীর্ষক কথাগুলো বলতে শোনা যায়। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ফুটেজের পাশাপাশি দর্শকদের আরেকটি ফুটেজ দেখতে পাওয়া যায়।

ভিডিও যাচাই ১

আলোচিত ভিডিওতে দেখতে পাওয়া শেখ হাসিনার বক্তৃতা দেওয়ার ভিডিওটি অনুসন্ধানে ইংরেজি জাতীয় দৈনিক The Daily Star এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে উক্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে একই বক্তব্য প্রদান করতে দেখা যায়। এছাড়াও উভয় ভিডিওতে তার পরিহিত শাড়ি, বুকে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি খচিত ব্যাজ এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের মিল রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, আলোচিত ভিডিওতে শেখ হাসিনার সামনে থাকা বিজেপির লোগো সম্বলিত মঞ্চের অবয়বটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বসানো হয়েছে। 

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত বছর জুলাই মাসে দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার রামপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে আন্দোলনকারীদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। উক্ত ভিডিওটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তার কথা বলার সময় ধারণ করা। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার ভারত থেকে ভাষণ দেওয়ার নয়।

ভিডিও যাচাই ২

আলোচিত ভিডিওতে থাকা নরেন্দ্র মোদির ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের গণমাধ্যম NDTV Profit এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৭ জুন WATCH: In Nitish Kumar’s Speech At NDA Meet, Reaffirmation For BJP & A Taunt For Congress শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে আলোচিত ভিডিওর নরেন্দ্র মোদির ফুটেজের সাথে উক্ত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিডিওটি থেকে জানা যায়, এটি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সংসদীয় দলের বৈঠকের ভিডিও। যেখানে জোট দলগুলোকে নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের আগামী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটির সাথে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো সম্পর্ক নেই। 

ভিডিও যাচাই ৩

সর্বশেষ ভিডিওতে দেখতে পাওয়া আরেকটি ফুটেজ অনুসন্ধানে নরেন্দ্র মোদির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর LIVE: PM Modi inaugurates ITU World Telecommunication Standardization Assembly শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে উক্ত ভিডিওটি বেশ কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর বিভিন্ন ফুটেজের মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয়াদিল্লিতে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি উদ্বোধন করার ভিডিও।

অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় নির্মিত একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভাষণ দিচ্ছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ইডেনের সমন্বয়ক ইতির ছবি দাবিতে ভারতীয় নারীর ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, ইতি নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইডেন মহিলা কলেজের একজন সমন্বয়কের আপত্তিকর দৃশ্য দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো ইডেনের সমন্বয়ক ইতির নয় বরং ভারতীয় পর্ণসাইট থেকে ভিন্ন এক নারীর আপত্তিকর কিছু ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোকে ইতির ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইডেন কলেজের ইতি নামের কোনো সমন্বয়ক আছে কিনা তার খোঁজ চালায় রিউমর স্ক্যানার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ গত বছরের (২০২৪) ৩১ জুলাই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সংগঠনের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সমন্বয়ক পরিষদের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের একটি সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেন। এই তালিকায় সমন্বয়ক হিসেবে তিলোত্তমা ইতি নামে ২০২০-২১ সেশনের একজন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।

Image: Facebook 

রিউমর স্ক্যানার ইতির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করেছে। অ্যাকাউন্টে থাকা তার ছবিগুলোর সাথে আলোচিত ছবিগুলোর মিল পাওয়া যায়নি।  

ছবিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার দেখতে পায়, অন্তত ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় বিভিন্ন পর্ণসাইটে (সঙ্গত কারণে লিংক সংযুক্ত করা হয়নি)। এই ছবিগুলো অ্যালবাম আকারে পাওয়া যাচ্ছে। এসব ছবিতে উক্ত নারীর পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। 

সুতরাং, ভারতীয় পর্ণ সাইটে ভিন্ন নারীর আপত্তিকর ছবিকে ইডেন কলেজের সমন্বয়ক তিলোত্তমা ইতির ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র 

  • Abdul Hannan Masud: Facebook Post
  • Main Source: Hidden (adult purpose)

ভারতের কোচিং প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত প্রযুক্তির দৃশ্যকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যেখানে দেখা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের আইডি কার্ড সদৃশ কোনো একটি বস্তু স্ক্যান করছেন৷ উক্ত ভিডিওটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “উপদেষ্টাদেরকে ধন্যবাদ এমন একটি প্রযুক্তি স্কুল-কলেজে দেওয়ার জন্য”। অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো স্কুল-কলেজে ধারণকৃত যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা স্কুল-কলেজে দিয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টটি প্রায় ১৬ লক্ষ বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ২০ হাজারটি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে ধারণকৃত নয় বরং, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরের “আয়াম ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট” নামের একটি কোচিং সেন্টারে ধারণকৃত দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া  যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে “মেডিক্যাল ওয়াল্লাহ” নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বরে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে হুবহু সাদৃশ্য পাওয়া যায়। কেবলমাত্র প্রচারিত পোস্টে উক্ত ভিডিওটি মিরর করে প্রচার করা হয়েছে। 

Comparison : Rumor Scanner

উক্ত ইন্সটাগ্রাম পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, “আয়াম ক্যারিয়ার ইন্সটিটিউট, ইন্দোর”। তাছাড়া, প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত স্ক্রিনেও এই নামটি প্রদর্শিত হতে লক্ষ্য করা যায়।

এরই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে “আয়াম ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট” এর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায় যা থেকে জানা যায় যে, এটি একটি কোচিং সেন্টার যাদের অবস্থান ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে। তারা মূলত NEET/JEE (Advanced) এসব পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে থাকে। এছাড়া, তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাদের নানা শিক্ষার্থীদের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

Comparison : Rumor Scanner

সেসব ভিডিওতে প্রদর্শিত শিক্ষার্থীদের পোশাকের তুলনা করলেও প্রচারিত ভিডিওটির সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায় যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ভিডিওটি ভারতের “আয়াম ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট” এ ধারণকৃত এবং প্রদর্শিত শিক্ষার্থীরা উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশোনা করেন।

সুতরাং, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরের “আয়াম ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট” নামের একটি কোচিং সেন্টারে সংযুক্ত প্রযুক্তির দৃশ্যকে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে ধারণকৃত দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ড. ইউনূস, নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিংকে জড়িয়ে সময় টিভি’র নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “শি জিনপিংকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভুলে ড: মুহাম্মদ ইউনুসকে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি” শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “শি জিনপিংকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভুলে ড: মুহাম্মদ ইউনুসকে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে সময় টিভি কোন ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সময় টিভির ডিজাইন নকল করে ভুয়া এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে সময় টিভি’র নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘২৯  জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে সময় টিভি’র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া সময় টিভি’র কতৃক প্রকাশিত অন্যান্য ফটোকার্ডের টেক্সট ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির টেক্সট ফন্টের পার্থক্য রয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, সময় টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরের শুভেচ্ছা।’ গত ২৭ জানুয়ারি এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

সুতরাং,  “শি জিনপিংকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভুলে ড: মুহাম্মদ ইউনুসকে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি” শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভির নামে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

শরীয়তপুরে মুসলিম নারীর মৃতদেহকে হিন্দু দাবিতে অপপ্রচার

সম্প্রতি, বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় হিজাব ও বোরকা না পরায় এক নারীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে এক্সের পোস্ট দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় হিজাব ও বোরকা না পরায় এক নারীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, প্রচারিত ভিডিওতে থাকা নারী মুসলিম এবং তার নাম মোছাঃ কাকলি আক্তার। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে উক্ত নারী আত্মহত্যা করেছেন।

অনুসন্ধানে জাজিরা টাইমস নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ২৭ জানুয়ারি প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডে থাকা ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল রয়েছে। 

Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ড এবং পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, পদ্মাসেতুর দক্ষিণ থানার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কাকলি আক্তার উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের হাজী জাহেদ আলী মাদবর কান্দি গ্রামের জুলহাস মাদবরের মেয়ে।

প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পরবর্তীতে দৈনিক দেশেরপত্র নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে গত ২৭ জানুয়ারি “শরীয়তপুরে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবতীর মরদেহ উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে শরীয়তপুরের পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানাধীন পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কাকলি আক্তার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী জাহেদ আলী মাদবর কান্দি গ্রামের জুলহাস মাদবরের মেয়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে কাকলি আক্তার আত্মহত্যা করেছেন।

প্রতিবেদনে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রাথমিক সুরতহালে তেমন কিছু বোঝা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার। তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি নিহত হওয়া এই ব্যক্তি মুসলিম। মেয়েটির নাম মোছাঃ কাকলি আক্তার। ডাক নাম মুন্নি। বয়স ১৬ বছর৷ বাবার নাম জুলহাস মাদবর। 

এছাড়া, আলোচিত দাবিটি প্রোপাগান্ডা বলেও দাবি করেন তিনি। 

সুতরাং, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নিহত মুসলিম নারীকে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র