যা দাবি করা হচ্ছে
সম্প্রতি, “যশোরের শার্শা সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান সাগরকে পিটিয়ে জখম করেছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম।” শীর্ষক একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। এবং আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্ট
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মেহেদী নামের স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ঘটনাটি তিন বছর পুরোনো এবং প্রচারিত ছবিগুলো মেহেদীর নয়, এগুলো নিজ বাবা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার এক ইয়েমেনি শিশুর পুরোনো ছবি।
মূলত, আলোচিত ছবির শিশুটির নাম Shamakh Rashid Al-Qahaili এবং সে ইয়েমেনের বাসিন্দা। শিশুটির বাবা তার নিজ সন্তানকে শাসন করার জন্য পিটিয়ে জখম করেছিলো এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের পুলিশ শিশুটির বাবাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে ২০২০ সালে ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম গুলোতে সংবাদ প্রচারিত হয়।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালে স্কুলড্রেসের প্যান্ট ছাড়া শুধু শার্ট পরিধান করে স্কুলে যাওয়ার কারণে যশোরের শার্শা উপজেলার সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান সাগরকে পিটিয়ে জখম করেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। একই সময়ে উক্ত ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম গুলোতে সংবাদ প্রচারিত হয়।

যশোরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র পেটানোর ঘটনার তথ্য এবং ইয়েমেনে এক বাবা কর্তৃক সন্তানকে পিটিয়ে আহত করার ছবি ব্যবহার করে সাম্প্রতিক সময়ে যশোরে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ও নির্যাতিত শিশুর ছবি দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
পূর্বেও একই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিকবার প্রচার করা হয়েছিলো। সে সময়গুলোতে বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
যশোরে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি বিভ্রান্তিকর