নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নকল করে উপহার প্রদানের ভুয়া ক্যাম্পেইন

বর্তমান যুগটি হলো ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা। অন্যতম একটি ইন্টারনেট অপরাধ হলো ইন্টারনেটে প্রতারণা।  লোভনীয় ও আকর্ষনীয় অফারের প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়।

বেশ কিছু সময় যাবৎ বিভিন্ন নামিদামি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নকল করে বিভিন্ন ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচারের মাধ্যমে প্রতারণা হয়ে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এ ধরণের ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ এধরণের অসংখ্য ভুয়া ক্যাম্পেইন শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

রিউমর স্ক্যানারের শনাক্ত করা বিভিন্ন ভুয়া ক্যাম্পেইন

১. বাংলাদেশ রেলওয়ে হতে ৩০ হাজার টাকা জেতার ক্যাম্পেইন 

বাংলাদেশের রেলওয়ের ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পেইনটিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পালন করার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হয় এবং শেষ ধাপে ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে, উক্ত ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানার জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক ( অর্থ) এ এইচ এম শামসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এই ধরণের কোনো ক্যাম্পেইন চালু আছে বলে আমার জানা নেই। এমন হলে আমি যেহেতু রেলওয়ের সাথে যুক্ত,  আমি তো জানতাম।”

২. সোনালী ব্যাংক হতে ১০ হাজার টাকা জেতার ক্যাম্পেইন

সোনালি ব্যাংকের ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পেইনটিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পালন করার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হয় এবং শেষ ধাপে ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে, উক্ত ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানার জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংকের কাওরান বাজার ব্রাঞ্চের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে জানান, “এটি একটি ভুয়া এবং ক্ষতিকর বিজ্ঞপ্তি। এ বছর সোনালী ব্যাংকের সুবর্ণ জয়ন্তী কিন্তু এ উপলক্ষে এ ধরণের কোনো ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ব্যাংক কোনো ঘোষণা দেয়নি।”

৩. হোয়াটসঅ্যাপের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দেওয়ার ক্যাম্পেইন

একটি ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এর দশ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ৫০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দেওয়ার ক্যাম্পেইন প্রচার করা হয়। ক্যাম্পেইন লিঙ্কটিতে গেলে একটি বাটনে ক্লিক করার পর ফোন নাম্বার দেওয়ার একটি ঘর আসে। ফোন নাম্বারের ঘরে যেকোনো নাম্বার দিয়ে দিলেই পরের ধাপে যাওয়া যায় এবং ক্যাম্পেইনটির শেষ ধাপে ক্যাম্পেইন লিঙ্কটি ১২ জনকে শেয়ার করতে বলা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানেরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ক্যাম্পেইনটি ভুয়া এবং ক্যাম্পেইনটিতে হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানির ১০ বছর পূর্তি উৎযাপন উপলক্ষে এই ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে  দাবি করা হলেও, দেখা যায় হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানির ১৩ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে।

৪. ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গ্রামীণফোন থেকে ৩০ হাজার টাকা জেতার ক্যাম্পেইন

বেসরকারি ইন্টারনেট সেবাদা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামিনফোনের ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে।  ক্যাম্পেইনটিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পালন করার মাধ্যমে  ৩০ হাজার টাকা জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হয় এবং শেষ ধাপে ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায় উক্ত ক্যাম্পেইনটি ভুয়া।

৫. প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ‘স্বপ্ন’ থেকে ১০ হাজার টাকা জেতার ক্যাম্পেইন

জনপ্রিয় সুপার শপ স্বপ্ন এর ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি  একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পেইনটিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পালন করার মাধ্যমে  ১০ হাজার টাকা জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হয় এবং শেষ ধাপে ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে, উক্ত ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানার জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে স্বপ্নের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, এটি একটি ভুয়া এবং ক্ষতিকর বিজ্ঞপ্তি। স্বপ্ন এমন কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নি। সেই সাথে এমন আনঅথোরাইজড লিঙ্কে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলে,এমন কোনো ফাঁদে পড়লে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী নয়।

৬. বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কোকা কোলা কোম্পানি থেকে আইফোন উপহার দেওয়ার ক্যাম্পেইন

জনপ্রিয় কোমল পানীয় তৈরির প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলার ওয়েবসাইট নকল করে তৈরি একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পেইনটিতে কয়েকটি সহজ ধাপ পালন করার মাধ্যমে আইফোন উপহারের প্রলোভন দেখানো হয়। প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হয় এবং শেষ ধাপে ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ক্যাম্পেইনটি ভুয়া। এছাড়া, এধরণের ক্যাম্পেইনগুলোকে ভুয়া উল্লেখ করে দ্যা কোকা কোলা কোম্পানি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দিতে দেখা যায়।

এছাড়াও, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, অ্যামাজন, Aarong, ACI এর ওয়েবসাইট নক করেও একইভাবে ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচার করা হলে সেগুলো রিউমর স্ক্যানার টিম ভুয়া শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ।

রিউমর স্ক্যানারের শনাক্ত করা এসকল ভুয়া ক্যাম্পেইনগুলো লক্ষ্য করে দেখা যায়ঃ

১. আসলে ওয়েবসাইটের মতো তৈরি ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে ক্যাম্পেইনগুলো ছড়ানো হয়। 
২. লোভনীয় ও অকর্ষনীয় অফারের প্রলোভন দেখানো হয়। 
৩. নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়।
৪. সবর্শেষ ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জন বন্ধুকে এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য বলা হয়।

ক্যাম্পেইনের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্যক্তির কমেন্টগুলো কী আসল?

গত জুলাই মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নামে একটি ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পেইনটি যাচাইয়ের জন্য ‘D A Taskin’ নামের এক ব্যক্তি রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করে এবং সে বলে উক্ত ক্যাম্পেইনটির ওয়েবসাইটে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি কমেন্ট করা রয়েছে কিন্তু সে নিজে কমেন্টটি করেনি।

এতে স্পষ্ট হয়, ভুয়া ক্যাম্পেইনগুলোর ওয়েবসাইটে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে পুরষ্কৃত হয়েছে মর্মে যেসকল কমেন্ট থাকে সেগুলো ভুয়া।

ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচারের উদ্দেশ্য

সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান Group-IB এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই ধরণের প্রতারণা ৯০ টিরও বেশি দেশে দেখা যায় এবং প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে ১২০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বব্যাপি ৬০টি পরিচিত স্ক্যাম নেটওয়ার্ক রয়েছে, প্রতিটি নেটওয়ার্ক তাদের প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে গড়ে ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারনেট ডোমেইন ব্যবহার করে। এই ওয়েবসাইটগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ভিজিট করে এবং এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে স্ক্যামাররা প্রতি মাসে প্রায় ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করে।

Screenshot Source: Group-IB

Group-IB এর  বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্ক্যামাররা ক্ষতিকারক লিঙ্কগুলো প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন, বৈধ এবং সম্পূর্ণ অবৈধ সাইটগুলোতে বিজ্ঞাপন, এসএমএস, মেলআউট, ক্যালেন্ডারে লিঙ্ক যুক্ত করা এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

এছাড়া Group-IB জানায়, স্ক্যামাররা বিভিন্ন টার্গেটেড ব্রান্ডের ওয়েবসাইট নকল করে। ভুয়া ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন সমীক্ষা বা প্রশ্ন করতে দেখা যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া শেষ হলে স্ক্যামেররা প্রায়ই একটি বড় পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। ফর্মে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করার জন্য বলা হয়। ফর্মে পাওয়া উক্ত তথ্য ব্যবহার করে আক্রমণকারীরা সহজেই ভিক্টিমের হয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারে, প্রাপ্ত তথ্য কালোবাজারে বিক্রয় করতে পারে এবং ইন্টারনেটে যেকোনো জায়গায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে। ডাটা চুরি ছাড়াও এধরণের লিঙ্ক অন্যান্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে যেমনঃ ম্যালওয়্যার আক্রমন, অর্থ উত্তোলন এবং ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে সদস্যতা ক্রয়।

Screenshot Source: Group-IB

যেভাবে ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্ত করা যায়

অনলাইন সিকিউরিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘A secure Life’ একটি প্রতিবেদনে ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্তের বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করেছে। উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় হলোঃ

১। ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস বারে মনোযোগ দেওয়াঃ একটি ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসের শুরুতে থাকা ‘https://’ এবং ‘http://’ অংশ লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘https://’ দিয়ে সুরক্ষিত ওয়েবসাইট নির্দেশ করা হয়। ‘https://’  দিয়ে নির্দেশ করে যে ওয়েবসাইটটি ডেটা স্থানান্তরে এনক্রিপশন ব্যবহার করে, যার ফলে ওয়েবসাইটে প্রদানকরা তথ্য হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে।

২। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম লক্ষ্য রাখাঃ স্ক্যামারদের একটি প্রিয় কৌশল হলো বড় কোম্পানির ওয়েবসাইটের নামের অনুকরণ করে শুধুমাত্র কিছু শব্দ পরিবর্তন করে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা। যেমনঃ Yah00.com অথবা Amaz0n.net। সুতরাং এধরণের ফাঁদ থেকে বাঁচতে সবসময় ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে থাকা নামের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩। ডোমেইন বয়স যাচাই করাঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ক্যামাররা নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। ‘Whois Lookup’ ব্যবহার করে যেকোনো ওয়েবসাইট কার কাছে নিবন্ধিত হয়েছে, তারা কোথায় আছে এবং ওয়েবসাইটটি কতক্ষণ সক্রিয় রয়েছে সে তথ্য বের করা যায়

সুতরাং, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইট নকল করে লোভনীয় অফার প্রদান করার ক্যাম্পেইনগুলো মূলত প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়। এধরণের প্রতারকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে এবং এই নকল ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ম্যালওয়্যার আক্রমণসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তথ্যসূত্র

1. Fake campaigns debunked by Rumor Scanner.
2. Group-IB : Ready-made fraud 
3. A Secure Life : How to Spot a Fake or Scam Website

আরও পড়ুন

spot_img