Home Blog Page 57

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘শাহবাগে পুলিশের বেরিকেট ভেঙে শিক্ষার্থীরা ইউনুসের পদত্যাগের দাবিতে’ শীর্ষক একটি তথ্য প্রচার করা হয়েছে। 

পোস্টটিতে তারিখ হিসেবে আজকের তারিখ অর্থাৎ ২৩ জুলাই উল্লেখ রয়েছে। 

এক্সে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আজকের নয়। এর সাথে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিরও কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, গত ১৪ মে নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি সমমানে উন্নীত করার দাবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। সেই ঘটনারই দৃশ্য এটি। 

অনুসন্ধানে এটিএন বাংলার ফেসবুক পেজে গত ১৪ মে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

এটিএন বাংলা নিউজের পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে শাহবাগে নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রবেশের দৃশ্য। 

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম বাংলা নিউজের ওয়েবসাইটে একই তারিখে “পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধে নার্সিং শিক্ষার্থীরা” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ১৪ মে নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমান দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নার্সিং শিক্ষার্থীরা। ওইদিন সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হন শিক্ষার্থীরা। পথে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়লেও, সেটি ভেঙে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং অবরোধ শুরু করেন।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি আজকের নয়।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আজ (২৩ জুলাই) শাহবাগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, গত ১৪ মে নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমান দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভিডিওকে আজ (২৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

রাবিতে শিবিরের টর্চার সেলে নির্যাতনের দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, “বেকিং নিউজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জামাত শিবিরের টচর্চার সেল নবাব আবদুল লতিফ হল” শিরোনামে শিবিরের সদস্যরা এক ব্যক্তিকে চার হাত-পা ধরে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখে পিটিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বাংলাদেশের কোনো স্থানে কাউকে নির্যাতনের দৃশ্যের নয়। বরং, ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গণপিটুনির ভিডিও দাবিতে ২০১৫ সাল থেকে ভিডিওটি ইন্টারনেটে বিদ্যমান।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘Ensonhaber’ এর ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে “Hindistan’da tecavüzcününı halk verdi” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে ধরা পড়া এক ব্যক্তিকে হাত-পা ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ফরাসি অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ‘Dailymotion’ এ ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে “Cheating man gets a public caning” শিরোনামে আপলোডকৃত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, উক্ত ভিডিওর সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে নির্যাতনের সম্পর্ক নেই। 

উল্লেখ্য,  ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা এক ব্যক্তিকে চার হাত-পা ধরে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখে পিটিয়েছে দাবিতে গত বছরের আগস্ট মাসে ভিডিওটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছিল। সে সময়ে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, ভারতের ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২ লিটার বোতলের পানি ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি পুরোনো

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল এলাকায় গত ২১ জুলাই বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন অবধি অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। আহত ও দগ্ধ হয়েছে অন্তত শতাধিক, যাদের বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি বলছেন ২ লিটার পানির বোতলের জন্য তার কাছে ৬০০ টাকা চাওয়া হয়েছে।

এই ভিডিওটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “দুই লিটার পানি ৬০০ টাকা, এটা শুধু’মাত্র বাংলাদেশে সম্ভব”। অর্থাৎ, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২ লিটার বোতলের পানি ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দাবিতে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিও পোস্টের মন্তব্য বিভাগ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, নেটিজেনরা আলোচিত ভিডিওটি উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার প্রেক্ষিতে ধরে নানা মন্তব্য করছেন।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টগুলো সম্মিলিতভাবে প্রায় ৪৫ লক্ষ বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ৫৫ হাজারটি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের পরবর্তী সময়ের নয় বরং, প্রকৃতপক্ষে গত ১০ জুন বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচের দিনের ভিডিওটি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম ‘চ্যানেল২৪’ এর ইউটিউব চ্যানেলে “’২ লিটার পানি ৬০০ টাকা, এটা বাংলাদেশেই সম্ভব’ #BangladeshvsSingapore #AFCAsianCupQualifiers” শীর্ষক শিরোনামে গত ১০ জুনে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে হুবহু মিল পাওয়া যায়। এছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত মাইক্রোফোনেও চ্যানেল২৪ এর লোগো দেখা যায়। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত গত ১০ জুনের।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়াও অনুসন্ধানে উক্ত ভিডিও ফুটেজটির একাংশের সংযুক্তিসহ সংবাদমাধ্যম ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুই লিটার পানির দাম ৬০০ টাকা, দর্শকদের ক্ষোভ’ শীর্ষক শিরোনামে গত ১০ জুনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২ লিটার পানির বোতলের দাম ৬০০ টাকা চাওয়ার এই ভিডিওটি গত ১০ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার ম্যাচের দিনের ভিডিও।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটি উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের পরবর্তী সময়ের নয়।

সুতরাং, গত ১০ জুন বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচের দিনে ২ লিটার পানির বোতলের দাম ৬০০ টাকা চাওয়ার ঘটনার ভিডিও উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের পরবর্তী সময়ের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপরে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা” শিরোনামে একটি দাবি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় ৩ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাবাহিনীর উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিটি সঠিক নয় বরং, কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে, জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং আলোচিত দাবির ভিডিওতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ভারতীয় একটি হিন্দি সিনেমার মিউজিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে।  

জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি এমন কোনো নিষেধাজ্ঞার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তা অবশ্যই দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার হতো। তবে গণমাধ্যমে এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়। সেসব বিষয়ে একাধিক ফ্যাক্টচেক (, , ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

সুতরাং, জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

  • United Nations: Official Website 
  • United Nations: X Account 
  • United Nations: Instagram Account 
  • United Nations: YouTube Channel 
  • Rumor Scanner’s Previous Fact Check  

মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল লুকিয়ে কবর দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন অবধি অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। আহত ও দগ্ধ হয়েছে অন্তত শতাধিক, যাদের বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী। তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি ‘মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি, যা সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে।’

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল লুকিয়ে কবর দিচ্ছে – এই দাবিতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটির সাথে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল কবর দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং, এটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের কাজলাপাড়া কবরস্থান থেকে চুরি হওয়া কঙ্কাল উদ্ধার পরবর্তী কবরস্থ করার ভিডিও।

এই বিষয়ে অনসন্ধানে ‘user52983996662’ নামক একটি টিকটক অ্যকাউন্টে ২৭ জুন আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ‘কাজলাপাড়া কবরস্থান থেকে লাস তুলে নিয়ে গিয়ে ছিলো সেটা আজ একটি কবরে ৫ টি লাস কবর  দিয়ে দিলাম সবাই দোওয়া করবেন’ (বানান অপরিবর্তিত)

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে কালো পলিথিন থেকে কবরের মধ্যে কঙ্কাল সদৃশ বস্তু পড়তে দেখা যায়।

ভিডিওটি ‘@SYLSHAJAN’ ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকেও শর্টস আকারে গত ২৮ জুন প্রচার করতে দেখা যায়।

তাছাড়া, ‘Mohammad Bin Badhon’ এক ফেসবুক ব্যবহাকারী গত ২৭ জুন এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে ব্যবহৃত একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর কবরের মধ্যে রাখা কঙ্কালের মিল রয়েছে।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘এক মাস পর উদ্ধার
ফেরত দেওয়া হলো কবর থেকে চুরি যাওয়া ৭টি কঙ্কাল—
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাজলাপাড়া কবরস্থানের সাতটি কবর থেকে চুরি যাওয়া মৃতদেহের কঙ্কাল অবশেষে এক মাস পর উদ্ধার করে ফেরত দিল দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে এখনো রয়ে গেছে অজানা শঙ্কা ও রহস্য। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন দেওয়ানগঞ্জ বাজারের চাউল হাট এলাকার ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচটি মানুষের খুলি ও কঙ্কালের কিছু অংশ। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কাছাকাছি অবস্থিত কাজলাপাড়া কবরস্থান থেকে অন্তত সাতটি কবর খুঁড়ে মৃতদেহ চুরি করে নেওয়া হয়েছিল। এক মাসব্যাপী তদন্ত শেষে পুলিশের হাতে আসে সেই চুরি যাওয়া কঙ্কালগুলোর বড় একটি অংশ। শুক্রবার ২৭ জুলাই [২৭ জুন হবে। পোস্টাদাতা ভুলবশত ২৭ জুলাই লিখেছেন] দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কঙ্কালগুলো পুনরায় কবরস্থানে হস্তান্তর করে পুলিশ।’

পরবর্তীতে, উক্ত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে  গত ৩ জুন ‘জামালপুরে ব্যাগ থেকে মাথার পাঁচটি খুলি ও হাড় উদ্ধার, একজন আটক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৩ জুন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মানুষের মাথার পাঁচটি খুলি ও মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের কাজলাপাড়া কবরস্থান থেকে কঙ্কালগুলো চুরি করেছেন।

এছাড়াও, নয়া দিগন্তদৈনিক আজকের জামালপুর নামক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রচারিত সংবাদ থেকেও প্রায় একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি দেওয়ানগঞ্জের কাজলাপাড়া কবরস্থানে চুরি হওয়া কঙ্কাল উদ্ধার পরবর্তী কবরস্থ করার ঘটনার।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও সংগ্রহ করে তা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল লুকিয়ে কবর দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মাইলস্টোন কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত দাবিতে ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন অবধি অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। আহত ও দগ্ধ হয়েছে অন্তত শতাধিক, যাদের বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি ‘মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি, যা সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে।’ নিহতদের সঠিক নাম-তথ্য প্রকাশ, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে গত ২২ জুলাই বিক্ষোভ করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায়  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এরই প্রেক্ষিতে, ‘মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ৩ – গুলিবিদ্ধ আরও ১৫জন’ শীর্ষক দাবিতে মূলধারার  গণমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে শীর্ষক দাবিতে ঢাকা ট্রিবিউন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ঢাকা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে৷

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এতে ঢাকা ট্রিবিউনের লোগো রয়েছে এবং আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২২ জুলাই ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউনের লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও,ঢাকা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ২২ জুলাই গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত তিন জন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে।” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের মূল ফটোকার্ডটিতে ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত তিন জন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে।’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ৩ – গুলিবিদ্ধ আরও ১৫জন’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

Photocard Comparison By Rumor Scanner

অর্থাৎ, ঢাকা ট্রিবিউনের এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত ঢাকা ট্রিবিউনের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ির ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ৩ – গুলিবিদ্ধ আরও ১৫জন” শীর্ষক দাবিতে ঢাকা ট্রিবিউনের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র


সচিবালয়ে পুলিশের হাতে আটক এই ব্যক্তি ছাত্রলীগ নেতা নন

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ‘সঠিক তথ্য’ প্রকাশ ও মঙ্গলবারের (২১ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিত ঘোষণা করার প্রতিবাদে গতকাল (২২ জুলাই) শিক্ষার্থীরা সচিবালয় এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন। আন্দোলনে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে; পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সংঘর্ষ গুলিস্তান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে দাবি করা হয়। পরে ভিডিওর একটি স্থিরচিত্র দেখিয়ে এসএ টিভিও একই দাবি প্রচার করে এবং তার কাছ থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করে গণমাধ্যমটি।

এই দাবিতে এসএ টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে, এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সচিবালয়ের সামনে থেকে আটক এই ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা নন; তার নাম জাকির মাহমুদ। ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, তাকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মোহাম্মদ রাকিব।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘K.Z. Oualid Pradhan’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে গতকাল প্রকাশিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে আলোচিত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার মুহূর্তের একটি ছবি যুক্ত করে দাবি করা হয়, তিনি পোস্টকারীর বন্ধু জাকির মাহমুদ এবং তারা একসময় দারুর রাশাদ মাদ্রাসায় একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। পোস্টকারী আরও দাবি করেন, জাকির একজন গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা, যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং তিনি কট্টর আওয়ামী লীগবিরোধী।

Screenshot: Facebook.

‘Mujammil Haq Siam’ নামের আরেকটি ফেসবুক প্রোফাইলে প্রচারিত একটি পোস্টেও আটক ব্যক্তিকে জাকির মাহমুদ ও পোস্টকারীর বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, জাকির ৮ জুলাই থেকেই জুলাই আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় ছিলেন।

এসব পোস্টের সূত্র ধরে আটক জাকির মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইল শনাক্ত করা সম্ভব হয়। প্রোফাইলটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তিনিই সচিবালয়ের সামনে আটক হওয়া ব্যক্তি। পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার টিম তার প্রোফাইল পর্যালোচনা করে।

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট তিনি নিজের একটি ছবি প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করে ক্যাপশনে লেখেন, “বাবা-মায়ের বাধাও মেনে নেয়া হবেনা, এক দফার অসহযোগের পক্ষে নামার সময়!”

সেদিনই আন্দোলনের সময় রাজু ভাস্কর্যের সামনে তোলা একটি ছবি কভার ফটো হিসেবে ব্যবহার করে ক্যাপশনে লেখেন, “আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না! মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু।”

জাকির মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি গত বছরের ১৮ নভেম্বর ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ বোর্ড (National University Notice Board BD)’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্টে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পেশাজীবী লীগ ও আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে ‘গুন্ডা বাহিনী’ আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, তারা ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালিয়ে আহত হয়েও নিজেদের আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে প্রচার করছে এবং অন্য আহতদের উসকানি দিচ্ছে। ওই পোস্টে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

চলতি বছরের ২০ মার্চ তিনি নিজের ফেসবুকে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ অথবা মৃত্যু’ লেখা একটি ব্যানার পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “রক্ত লাগলে রক্ত নে, আওয়ামী লীগের কবর দে।”

Collage: Rumor Scanner. 

তার ফেসবুক প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে ছাত্রলীগের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম। বরং তাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।

এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মোহাম্মদ রাকিব গতকাল ফেসবুকে আটক জাকিরের ছবি পোস্ট করে জানান, তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

Screenshot: Facebook.

বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম সরাসরি জাকির মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের কোনো সদস্য নন। তিনি আরও জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হয়েছিলেন এবং প্রমাণ হিসেবে আহত অবস্থার কিছু ছবিও সরবরাহ করেন।

তাছাড়া, আটক হওয়ার সময় জাকির মাহমুদের কাছ থেকে বোমা উদ্ধারের বিষয়ে কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়নি। এসএ টিভি ছাড়া মূলধারার কোনো গণমাধ্যম কিংবা পুলিশও এ ধরনের দাবি করেনি।

সুতরাং, গতকাল (২২ জুলাই) সচিবালয়ের সামনে থেকে আটক ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাম্প্রতিক সময়ে গোপালগঞ্জে দুই শিশুর এনসিপি বিরোধী মিছিলের মুহূর্ত দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে “এনসিপির নেতারা যে বয়সে ললিপপ খাইতো! গোপালগঞ্জে সেই বয়সের পোলাপান রাজপথের মিছিলে থাকে” শিরোনামে গোপালগঞ্জে দুই শিশুর মিছিলের মুহূর্ত দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হওয়া এনসিপি বিরোধী কোনো মিছিলের দৃশ্যের নয়, বরং, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচির আগ থেকেই ইন্টারনেটে ভিডিওটির অস্তিত্ব রয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত ইমেজ রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ‘Suhan Ahmed’ নামক একটি ফেসবুক পেজে গত ০৮ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও’র সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

পাশাপাশি, ‘Suhan Ahmed’ এর টিকটক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলে একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টকারী সুহান আহমেদ ভিডিওটির ক্যাপশনে দুই শিশুকে ছাত্রদলের মিছিলে অংশগ্রহণকারী এবং তার মামাতো ও খালাতো ভাই বলে দাবি করেন। তবে এই মিছিলটি ছাত্রদলের কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ভিডিও ধারণকালের সময় ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানা না গেলেও এটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে যে, এটি সাম্প্রতিক সময়ে গোপালগঞ্জের এনসিপি বিরোধী মিছিলের দৃশ্য নয়।

সুতরাং, এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দুই শিশুর এনসিপি বিরোধী মিছিলের মুহূর্ত দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

  • Suhan Ahmed: Facebook Video 
  • Suhan Ahmed: TikTok Video 
  • Suhan Ahmed: YouTube Shorts 
  • Rumor Scanner’s analysis 

সচিবালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সূর্য নামের এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরটি গুজব

0

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় এখন অবধি ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাত তিনটার দিকে আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেয় সরকার। এসব ঘটনার জেরে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে আজ বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে অন্তত ৭৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এরই প্রেক্ষিতে এক ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে আহত অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছেন এমন ছবি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে তিনি মারা গেছেন।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সচিবালয়ের সামনে আজ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় হাসিরুন মাহিন সূর্য নামের এই শিক্ষার্থী মারা যাননি বরং, এই ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি ঢামেক থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে সূর্য নিজেই রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সচিবালয়ের আজকের এই ঘটনায় আহত অন্তত ৭৫ শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সামির নামের একজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অন্যান্য গণমাধ্যমেও আজকের ঘটনায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য না পেয়ে ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ এবং এডভান্স টুল ব্যবহার করে রিউমর স্ক্যানার জানতে পারে, উক্ত ব্যাক্তির নাম হাসিরুন মাহিন সূর্য। তিনি এ বছর রাজধানীর একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে সূর্যের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, তিনি আজকের ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে (রিলিজ) দেওয়া হয়। 

সুতরাং, সচিবালয়ের ঘটনায় সূর্য নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের পেছনে শেখ মুজিব-শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত এই ছবিটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ছবি দাবিতে ‘চাকর,মনিব ও পেছনের দেয়ালে মাথার উপরে মনিবের আসল দুই মনিবসহ একফ্রেমে’ ক্যাপশনে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত আলোকচিত্রটির পশ্চাৎপটে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিন্ন দুটি ফ্রেমবন্দি ছবি টাঙানো রয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ মুজিবুর রহমান-শেখ হাসিনার ফ্রেমবন্দি ছবির সাথে ড. ইউনূস ও ওয়াকার-উজ-জামানের ছবিটি আসল নয়। মূলত, সাম্প্রতিক সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের একটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গত ২০ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত দ্বিতীয় ছবির সাথে প্রচারিত ছবিটির আংশিক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রচারিত ছবির সাথে এই ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের পোশাক, অঙ্গভঙ্গি ও পারিপার্শ্বিক সবকিছুর মিল রয়েছে কিন্তু ছবি দুইটিতে থাকা ব্যক্তিদের চেহারায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে এবং মূল ছবিটিতে পেছনের কাঠামোতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি টাঙানো নেই। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তা মূল ছবিটির পেছনের কাঠামোতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ভিন্ন দুটি ফ্রেমবন্দি ছবি যুক্ত করে প্রচারিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। সম্পাদনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের চেহারাও কিঞ্চিৎ বিকৃত করা হয়েছে। 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২০ জুলাই সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

একই বিষয়ে গণমাধ্যম জাগো নিউজের ওয়েবসাইটে গত ২০ জুলাই ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, আলোচিত ছবিটি প্রথম প্রচারকারী ‘Arifuzzaman Arif’ নামক ফেসবুক প্রোফাইলধারী ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টে করা একাধিক মন্তব্য পর্যবেক্ষণ করে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত সম্পাদিত ছবিটি তিনি তৈরি করেছেন। প্রচারিত ছবিটির মন্তব্যের ঘরে তার মন্তব্যে তিনি ছবিটিকে ‘সম্পাদিত’ বলে উল্লেখ করেন। 

সুতরাং, শেখ মুজিবুর রহমান-শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এই ছবিটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র