Home Blog Page 379

জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে শীর্ষক মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, ভুয়া ফটোকার্ডে অপপ্রচার

0

বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা নজরে এসেছে রিউমর স্ক্যানারের। এর অংশ হিসেবে ভারতের পণ্যসহ দেশটিকে ‘বয়কট’ নিয়ে করা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইন চলছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টির সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন,  আমি এখন বলবো বিএনপির নেতারা “যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কিনা এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কিনা, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।”

সম্প্রতি, ভারত বয়কট সম্পর্কে শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। “জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।”- শীর্ষক শিরোনামে বা তথ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত ফটোকার্ড যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং চ্যানেল আইও এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চ্যানেল আই এর ডিজাইনের আদলে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে চ্যানেল আই এর ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 

Photocard Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ফটোকার্ডটি চ্যানেল আই এর ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। 

চ্যানেল আই এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করেও উক্ত শিরোনামে বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, চ্যানেল আই এর ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল পর্যালোচনা করেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন মন্তব্য করেছেন কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ মার্চ ভারত বয়কট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও এই সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য তিনি করেননি। 

মূলত, সম্প্রতি জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।”- শীর্ষক শিরোনামে বা তথ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চ্যানেল আই এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। এছাড়া, শেখ হাসিনার মন্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “জিয়া আমাকে দিল্লি থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে, কিন্তু দিল্লির খেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই ভারত মাতাকে বর্জন নয়।” শীর্ষক মন্তব্যটি শেখ হাসিনার দাবিডে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। 

তথ্যসূত্র

মুস্তাফিজের বোলিংয়ে খুশি হওয়ায় ধোনি কর্তৃক ২ কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহারের ভুয়া দাবি ইন্টারনেটে

গত ২২ মার্চ চলতি আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। উক্ত ম্যাচে তিনি ম্যাচ সেরা হন। পরবর্তীতে গত ২৬ মার্চ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেও ২ উইকেট নিতে সক্ষম হন বাংলাদেশি এই পেসার। দুই ম্যাচে সর্বমোট ৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি উক্ত ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে খুশি হয়ে তাকে ২ কোটি টাকা এবং একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার বার এবং প্রায় ৩৫০ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকের এক ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৯ শত বার এবং ভিডিওটিতে প্রায় ১১ হাজার ২ শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুরকে ২ কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ দেওয়ার কোনো ঘোষণা দেননি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে  চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার সময়কার মুস্তাফিজুর এবং ধোনির কিছু ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিওটিতে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান এবং ধোনির কিছু ছবি দেখা যায়। তবে ভিডিওর কোথাও ধোনিকে কোনো ঘোষণা দিতে দেখা যায়নি। 

ভিডিওটির সংবাদপাঠ অংশে দাবি করা হয়, মুস্তাফিজের বোলিংয়ে খুশি হয়ে ২ কোটি টাকা ও একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিলো মাহেন্দ্র সিং ধোনি।  

তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং চেন্নাই সুপার কিংসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে মাহেন্দ্র সিং এমন কোনো ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুর রহমানকে ২ কোটি টাকা এবং একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দেননি। 

মূলত, গত ২২ মার্চ আইপিএলের ১৭ তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে পরাজিত করে। উক্ত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেও পরবর্তী ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে সর্বমোট ৬ উইকেটে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে “মুস্তাফিজের বোলিং এর খুশি হয়ে ২ কোটি টাকা ও,একটি BMW দেওয়ার ঘোষণা দিলো মহেন্দ্র সিং ধোনি” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে যে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজরকে নিয়ে এমন কোনো ঘোষণা দেননি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে খুশি হয়ে তাকে ২ কোটি টাকা ও একটি বিএমডব্লিউ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আগামী ৩১ মে এসএসসির ফল প্রকাশিত হবে দাবিতে ২০২০ সালের সংবাদ প্রচার

সম্প্রতি, সময় টিভির একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও ব্যবহার করে এসএসসি ২০২৪ তোমাদের জন্য সুখবর আগামী ৩১ মে তোমাদের রেজাল্ট দিবে সকাল দশটায় তোমরা সবাই অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৬ লক্ষ ৩৩ হাজারেরও বেশি বার। ভিডিওটিতে ২৪ হাজার ছয়শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি বরং, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের একটি অংশ ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২১ মে “এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংকট চলাকালীন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ফলাফল তারিখের দিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করার কথা বলা হয়।

এছাড়া, গত মাসে আগামী ৫ মে এসএসসির ফল প্রকাশ দাবিতে ঢাকা বোর্ডের নামে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে গত ২৭ মার্চ বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সেসময় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “এসএসসির ফলাফল নিয়ে কোনো নোটিশ এখন অবধি দেওয়া হয়নি।”

মূলত, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংকট চলাকালীন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একই বছরের ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে সেসময় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি সময় টিভির উক্ত খবরের ভিডিওর কিছু অংশ ব্যবহার করে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত হবে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণার সংবাদ ব্যবহার করে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত হবে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দেননি

0

বাংলাদেশি ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এ চেন্নাই সুপার কিংস এর হয়ে খেলছেন। তবে সামনে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকায় তার আইপিএলে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, স্বপ্ন পূরণ হলো কাটার মাস্টারের মুস্তাফিজ. প্রধানমন্ত্রীর কথায় খেলবেন পুরো আইপিএল শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

আইপিএল

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ১২ হাজার ছয়শত বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে তিনশত ৬৮ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে এক লক্ষ ১২ হাজার বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে তিনশত ২ হাজার চারশত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দেননি বরং পূর্বে ভিন্ন বিষয়ে ভয়েস আমেরিকা বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের অংশ ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ক্লিপগুলোর বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে “সাকিবদের নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী | Sheikh Hasina About Bangladesh Cricket” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস অব আমেরিকায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওতে উপস্থাপক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের আইসিসি ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এর বাংলাদেশ টিমের প্রত্যাশা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের এটাই আমার কথা যেন বাংলাদেশের সম্মানটা যেনো বজায় থাকে। তারা সেইভাবেই সবটুকু ঢেলে দেবে এবং আন্তরিকতার সাথে খেলবে সেটাই আমি চাই। অবশ্যই সবসময় ওদের সাথে একটা যোগাযোগ থাকেই। আসার আগেও আমি কথা বললাম ওদের প্লেয়ারদের সাথেও কথা বলি যারা অরগানাইজার ওদের সাথেও আমি কথা বলি। আমি সবসময় খেয়াল রাখি, খেলাধুলা স্পোর্টস আমাদের ছেলে মেয়েরা যাতে ভালো করে সেদিকে আমার সবসময় দৃষ্টি থাকে এবং সবার খুব সহযোগিতা করে থাকি। বিশ্বকাপে আমরা যে খেলার সুযোগ পেয়েছি এটাই তো সবথেকে ভালো। তো দেখাযাক, জানিনা ভালোভাবে খেলতে পারলে রেজাল্ট করতেও পারবে। আমরা সবসময় আশা করি যে বিশ্বকাপে আমরা একটা ভালো খেলা দেখাতে পারবো।

তবে তিনি সেই সাক্ষাতকারে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি।

মূলত, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকান গণমাধ্যম ভয়েজ অব আমেরিকায় একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এর প্রত্যাশা নিয়ে মন্তব্য করেন। যা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি সেই ভিডিওর একটি অংশ কাঁট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, পুরনো ও ভিন্ন ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো আইপিএল মৌসুম খেলার অনুমতি দিয়েছেন এমন দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কাবা শরীফের কোনো ইমাম রমজানের শেষ দশ দিনের বিশেষ আমল নিয়ে এই পরামর্শগুলো দেননি

মুসলমানদের কাছে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত কাবা শরীফ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর ঘর বলে পরিচিত এই কাবা শরীফের ইমামের ফর্মুলা বা পরামর্শ দাবিতে কিছু তথ্য গেল বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেটে বিদ্যমান। 

দাবি করা হচ্ছে, কাবা শরিফের বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস রমজানের শেষ দশকের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন।

১. প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর বা ১০০০ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।

২. প্রতিদিন দুই রাকা’আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দুই রাকা’আত নফল সালাত আদায় করার সাওয়াব পাবেন।

৩. প্রতিদিন তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর’আন পাঠের সাওয়াব পাবেন।

এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, 

তিনি আরো বলেন, এ কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার এ কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।” (মুসলিম, ২৬৭৪)

রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসের নামে এই মন্তব্যগুলো প্রচার হলেও এর পূর্বে কাবার আরেক ইমাম শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলির নামেও একই দাবি প্রচার হয়েছে। 

কাবা শরীফের

উক্ত দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন ডেইলি বাংলাদেশ

একই দাবিতে বিগত সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন জাগোনিউজ২৪ (২০২০), আওয়ার ইসলাম (২০১৯)।

চলতি বছর (২০২৪ সালে) উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে বিগত বছরগুলোর ফেসবুক পোস্ট দেখুন ২০২৩, ২০২২, ২০২১, ২০২০, ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬। 

একই দাবিতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাবা শরীফের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস বা শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলি রমজানের শেষ দশকের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং কাবার কোনো ইমামই এ সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ দেননি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং হারামাইন শরীফের অফিশিয়াল সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে এ সংক্রান্ত দাবিটির সূত্রপাত খোঁজার চেষ্টায় ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর ফেসবুক পেজে একই দাবির পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ০২ মে প্রকাশিত এই পোস্টে জনাব সাইফুল্লাহ দাবি করেন, এটি মাসজিুল হারামের ইমাম শায়েখ মাহির মুকাইকিলির খুতবা হিসেবে দেওয়া বক্তব্য। এই পোস্টের সূত্র হিসেবে তিনি এর অনুবাদক হিসেবে আলী হাসান তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। 

Screenshot: Facebook 

আমরা জনাব আলী হাসান তৈয়বের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। 

তিনি আমাদের বলছিলেন, “এটা শায়খ মাহেরের একটি আরবী পত্রিকায় পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা তিনি কোন খুতবায় বা কোথায় তিনি বলেছেন তা নিশ্চিত হতে পারিনি।”

তার পরামর্শ, ওই কথাগুলো উনি বলুন আর না বলুন, কথাগুলো হাদিস বা সুন্নাত মনে না করে শুধু একটি আমলের কৌশল হিসেবে নিলে কোনো সমস্যা হবে না। 

ফেসবুক এডভান্স সার্চ পদ্ধতির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির পোস্টে আলোচিত দাবিটিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটিই বাংলা ভাষায় আমাদের অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে পোস্টের এডিট হিস্টোরি যাচাইয়ে দেখা যায়, মিথ্যা সাব্যস্ত করা অংশ এবং ইমামের ফর্মুলাগুলো ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পোস্টে যুক্ত করা হয়। তার পূর্বে একটি ছবি যুক্ত ছিল পোস্টে, যা সেসময় সরিয়ে নেওয়া হয়৷ ছবিতে কী ছিল তা জানা সম্ভব হয়নি।

Screenshot collage: Rumor Scanner

জনাব নিজামের পোস্টের দিন তিনেক পর সে বছরের ৩০ মে চট্টগ্রামের লোহাগড়া কলাউজান শাহ রশিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল মুহছেন আলোচিত দাবিতে পোস্ট করেন যা বর্তমানে সচল থাকা এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে আমাদের কাছে। পরের বছর ইংরেজি ভাষাতেও একই দাবিতে পোস্ট নজরে আসে আমাদের।

Screenshot collage: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, অন্তত ২০১৬ সাল থেকে কাবা শরীফের দুই ইমামের নামে একই মন্তব্য বা ফর্মুলা প্রচার হয়ে আসছে। 

এ বিষয়ে ফেসবুকেই প্রাসঙ্গিক নানা কিওয়ার্ড সার্চের পর ২০১৬ সালের ২০ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক পেজ ‘ইনকারেক্ট আহাদিত ডিফিউজড’ এর একটি পোস্ট নজরে আসে আমাদের।

পোস্টে বলা হয়, কাবার ইমামের নাম ব্যবহার করে প্রচারিত তথ্যগুলোর কোনো সত্যতা নেই। একই ধরণের পরামর্শ এর আগে মিশরের ইসলামিক ব্যক্তিত্ব আমর খালেদের নামেও প্রচারের কথা উল্লেখ করা হয় পোস্টে। 

Screenshot: Facebook 

২০১৬ সাল বা তার পরবর্তী সময়ে কাবার কোনো ইমাম এ সংক্রান্ত বক্তব্য দেওয়ার তথ্য সৌদি আরবের গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে না পেয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম সৌদি আরবের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘No Rumors’ এর প্রতিষ্ঠাতা রায়ান আদিলের সাথে। তিনি বলছিলেন, কাবার কোনো ইমামই এমনটা বলেননি। এটা একটা প্রতারণার শামিল। 

রায়ান বলছিলেন, আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন দেখবেন পোস্টগুলোতে ইমামের বক্তব্যে দিরহামের বিষয় এসেছে। কিন্তু সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সৌদি রিয়াল সৌদি আরবের সরকারী মুদ্রা, দিরহাম নয়। 

এদিকে আমাদের অনুসন্ধান চলাকালীন হারামাইন শরীফ ভিত্তিক ভেরিফাইড পেজ ‘ইনসাইড দ্যা হারামাইন’ থেকেও জানানো হয়, ভাইরাল বিষয়টি সঠিক নয়৷ 

Screenshot: Facebook 

মূলত, রমজানের শেষ দশদিনের জন্য কাবা শরীফের ইমামের ফর্মুলা বা পরামর্শ দাবিতে কিছু তথ্য গেল বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। দাবি করা হচ্ছে, কাবা শরীফের বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস রমজানের শেষ দশ দিনের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল করার কথা বলেছেন। ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসের নামে এই মন্তব্যগুলো প্রচার হলেও এর পূর্বে কাবার আরেক ইমাম শায়খ মাহের আল-মুয়ায়ক্বিলির নামেও একই দাবি প্রচার হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাবার কোনো ইমামই এ সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ দেননি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং হারামাইন শরীফের অফিশিয়াল সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, রমজানের শেষ দশ দিনের প্রতিদিন তিনটি বিশেষ আমল বিষয়ে কাবা শরীফের ইমামের মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • IncotrectAhadithDiffused: Facebook Post 
  • Statement from Ryan Adil, No Rumors 
  • Inside the Haramain: Facebook Post
  • Rumor Scanner’s own investigation 

মুস্তাফিজকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে নেওয়ার গুজব

আজ ৩১ মার্চ ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএলে) অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ককে ২ কোটি রুপিতে চেন্নাই সুপার কিংসে দিয়ে তার পরিবর্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ কোটি রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে নিয়েছেন দলটির পরামর্শক গৌতম গম্ভীর।

কলকাতা নাইট

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ৬০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ৪ শতাধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ককে চেন্নাই সুপার কিংসে বদলি হিসেবে দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ কোটিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির শিরোনামে মিচেল স্টার্ককে ২ কোটি রুপিতে চেন্নাই সুপার কিংসে দিয়ে তার পরিবর্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ কোটি রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে নিয়েছে দলটির পরামর্শক গৌতম গম্ভীর শীর্ষক দাবি উল্লেখ থাকলেও এর বিস্তারিত অংশে এমন কিছু বলা হয়নি। সেখানে সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়েছে, গৌতম গম্ভীর মিচেল স্টার্কের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার পরিবর্তে মুস্তাফিজকে দলে নিতে চান। 

অর্থাৎ, ভিডিওটির বিস্তারিত অংশের সাথে এর শিরোনামে উল্লেখিত তথ্যের অমিল রয়েছে।

এছাড়াও, গণমাধ্যম কিংবা আইপিএল সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, আইপিএলের ওয়েবসাইটে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২০২৪ মৌসুমের স্কোয়াড তালিকা পর্যবেক্ষণ করে সেখানে মুস্তাফিজুর রহমানের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি

এছাড়াও, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আজ রাত ৮ টায় শুরু হওয়া চেন্নাই সুপার কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস এর মধ্যকার ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে চেন্নাইয়ের হয়ে মাঠে খেলতে দেখা যায়। এই ম্যাচে মুস্তাফিজ বল হাতে ৪৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ম্যাচটিতে দিল্লি ক্যাপিটালস এর কাছে ২০ রানে পরাজিত হয় চেন্নাই সুপার কিংস।

অর্থাৎ, মুস্তাফিজুর রহমান চেন্নাই সুপার কিংসের হয়েই খেলছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে দলে খেলার জন্য কিনে নেয়নি।

মূলত, গত ২২ মার্চ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর ১৭ তম আসর শুরু হয়েছে। এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ২ কোটি রুপিতে কেনা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম ২৫ কোটি রুপিতে কিনেছিলো অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ককে। তবে স্টার্ক প্রথম দুই ম্যাচে তেমন ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি দলটির হয়ে। এরই প্রেক্ষিতে আজ ৩১ মার্চ ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, মিচেল স্টার্ককে ২ কোটি রুপিতে চেন্নাই সুপার কিংসে দিয়ে তার পরিবর্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ কোটি রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছে দলটির পরামর্শক গৌতম গম্ভীর। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ককে চেন্নাইয়ে সুপার কিংসে বদলি হিসেবে দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ কোটিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলে নেয়নি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম ও নেহারি তৈরির গুজব

সম্প্রতি, মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে সুস্বাদু হালিম ও নেহারি তৈরি করা হচ্ছে দাবিতে একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এ বিষয়ে ফেসবুকে সর্বাধিক ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় ৭০ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি ১ লাখ ১৬ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে৷ ভিডিওটিতে প্রায় ৭ হাজার টি মন্তব্য করা হয়েছে, যার অধিকাংশই নেতিবাচক।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত সমজাতীয় ইউটিউব ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম ও নেহারি তৈরির বিষয়টি সঠিক নয় বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ব্যবহার করে ভিত্তিহীনভাবে উক্ত বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এ বিষয়ে ফেসবুকে এবং ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দুটিতে প্রায় একই ধরনের তথ্য প্রচার করা হলেও ফেসবুকের ভিডিওটিতে লাশ চুরি বিষয়ক একটি ভিন্ন ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করা হয়েছে। 

ভিডিওগুলোতে বলা হয়, রাজধানীতে মৃত মানুষের তথা লাশের হাড্ডি দিয়ে হালিম বিক্রেতারা পায়া, নেহারি এবং নলী বিক্রি করছে গ্রাহকদের কাছে। সম্প্রতি কয়েকজন হালিম বিক্রেতাদের ওপর গোয়েন্দারা নজর রাখে এবং রাতের আধারে তাদের অনুসরণ করে নির্জন গ্রামাঞ্চলে ঢুকে তাদেরকে সদ্য কবর দেওয়া মানুষদের লাশ তুলে আনতে দেখে। সেই লাশের মাংস কেটে হালিম তৈরি করা হয় এবং হাড় দিয়ে পায়া, নলি ও নেহারি তৈরি করে মানুষের কাছে বিক্রি করে। তাছাড়া উক্ত ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন সময়ে রেস্তোরাঁয় হালিম বিক্রির ভিডিও ক্লিপ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র বা ছবি দেখানো হয়। 

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটিতে মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম তৈরির প্রমাণ হিসেবে লাশ চুরি বিষয়ক একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। বলা হয়, এই ব্যক্তি লাশ চুরি করে তা দিয়ে হালিম তৈরি করতো। তবে উক্ত ভিডিও ক্লিপটি পর্যবেক্ষণ করে সেরকম কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি। সেখানে শুধুমাত্র লাশ চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook Claim Post

বিষয়টি যাচাইয়ে এই ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে IFAT MAHBUB নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট ‘লাশ চুরি করতে গিয়ে চোর হাতেনাতে ধরা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির উক্ত অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১০ আগস্ট গাজীপুরে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে এক তরুণ আটক হন। তবে সেখানে হালিম তৈরির উদ্দেশ্যে লাশ চুরি করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সে সময় মূলধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং প্রায় আড়াই বছর পূর্বের এবং এর সাথে মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম তৈরির দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া সে সময়ে ইন্টারনেটে এমন কোনো দাবি প্রচার হতে দেখা যায়নি।

এছাড়াও, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এখন পর্যন্ত মানুষের লাশ চুরি করে তা দিয়ে হালিম বা নেহারি তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, আলোচিত ভিডিওতে কুকুরের মাংস হালিমে মিশিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হলেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরণের প্রচারণা পরবর্তী সময়ে মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা যায়।

২০২৩ সালের মার্চে রাজধানীর গুলশানে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে কাচ্চিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণির মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হলে এ নিয়ে যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই নেতিবাচক তথ্য প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে ভোক্তা অধিদপ্তর রেস্টুরেন্টটিতে অভিযোগ চালায়। সে সময় সেখানে অন্য প্রাণির মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিদপ্তর। পরবর্তীতে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে খাশির মাংসই ছিল, কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না।

এর আগেও সাভারের আশুলিয়ায় কুকুরের মাংস দিয়ে কাচ্চি বিক্রির অভিযোগ ওঠে এক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। তখন ল্যাব রিপোর্ট প্রকাশের আগেই হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ল্যাব রিপোর্টে জানা যায়, সেই মাংস কুকুরের ছিল না।

মূলত, মৃত মানুষের মানুষের হাড্ডি দিয়ে সুস্বাদু হালিম ও নেহারি তৈরি করা হচ্ছে দাবিতে একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত বিষয়টি সঠিক নয়। ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটিতে মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম তৈরির প্রমাণ হিসেবে লাশ চুরি বিষয়ক একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে বলা হয়, এই ব্যক্তি লাশ চুরি করে তা দিয়ে হালিম তৈরি করতো। তবে উক্ত ভিডিও ক্লিপটি পর্যবেক্ষণ করে সেরকম কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি। সেখানে ২০২১ সালের আগস্টে গাজীপুরে লাশ চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দেখা যায়, যার সাথে মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম বিক্রির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া, গণমাধ্যম বা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম ও নেহারি তৈরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, মৃত মানুষের হাড্ডি দিয়ে হালিম ও নেহারি তৈরি করা হচ্ছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সিইও কাভিয়া মারান মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দেননি

সম্প্রতি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সিইও কাভিয়া মারান বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে ‘ও মাই গড কাটার মাস্টার মোস্তাফিজকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে একই কাণ্ড ঘটালো হায়দ্রাবাদের মালিক কাবিয়া মারান’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

সানরাইজার্স

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৯২০ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ৩ হাজার ৮৯৯ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ৫২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাভিয়া মারান মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং দক্ষিণ আফ্রিকার পেশাদার টুয়েন্টি২০ লিগ এসএ২০-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দল সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ-এর টানা দুবার লিগ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় কাভিয়া মারানের  একটি সাক্ষাৎকার কিছু অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কেটে সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির শুরুতে কাভিয়া মারানের একটি ক্লিপ দেখা যায় যেখানে তার অধিকাংশ কথাই অস্পষ্ট শোনা যায়। তবে ক্লিপের একটি অংশে তাকে ‘খুবই শক্তিশালী দল’ শীর্ষক মন্তব্য করতে স্পষ্টভাবে শোনা যায়। পরবর্তীতে ভিডিওটির উপস্থাপক দাবি করেন, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সিইও কাভিয়া মারান বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যা ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি উপস্থাপক আরও দাবি করেন ইতিমধ্যে তাদের বিয়ে করার একটি গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছে। 

আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওটির শুরুতে দেখানো কাভিয়া মারানের ক্লিপটির কয়েকটি কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার টুয়েন্টি২০ লীগ এসএ২০-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দল সানরাইজার্স ইর্স্টান কেপ এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ১১ ফেব্রুয়ারি “Second 🏆 B𝘢𝘤𝘬 𝘵𝘰 𝘣𝘢𝘤𝘬, 2 𝘪𝘯 𝘢 𝘳𝘰𝘸. 𝘐’𝘮 𝘴𝘰 happy” – Kaviya Maran শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটি পর্যলোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির কাভিয়া মারানের ক্লিপটির সাথে উক্ত ভিডিওর কিছু অংশের মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও ভিডিওটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, পরপর দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকান টি-২০ লিগ এসএ২০ জয়ের পর ঊল্লাসের সময় সানরাইজার্স ইর্স্টান কেপ-এর মালিক কাভিয়া মারানের উক্ত ভিডিওটি ধারণ করা হয়। যেখানে তাকে দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসার পাশাপাশি দুবারের জয়ের বিষয় নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়। যার সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

পরবর্তীতে কাভিয়া মারান আসলেই মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও ভারতীয় বা দেশীয় কোনো গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডারবানস সুপার জায়ান্টসকে ৮৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ লিগ এসএ২০ এর শিরোপা জিতে নেয় সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ। দলের এ জয় ঊল্লাসে অংশগ্রহণ করেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের সিইও কাভিয়া মারান। এসময় তিনি দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। যেটি পরবর্তীতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। সম্প্রতি, উক্ত ভিডিওর কিছু অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কেটে তার সাথে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ছবি যুক্ত করে ‘ও মাই গড কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে একই কাণ্ড ঘটালো হায়দ্রাবাদের মালিক কাবিয়া মারান’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাভিয়া মারান বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দেননি। কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সিইও কাভিয়া মারান পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মদ খেয়ে বাঘের ঘোরাফেরা করার ভুয়া দাবি

সম্প্রতি, মদ খেয়ে একটি বাঘ ঘোরাফেরা করছে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ) ।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চিতাবাঘটি মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করেনি বরং চিতাবাঘটি জলাতঙ্কের সংক্রমণের কারণে মস্তিষ্কের বিরল রোগে আক্রান্ত। যার ফলে চিতাবাঘটি অচেতন অবস্থায় গ্রামে ঘোরাফেরা করেছিল।

মূলত, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইকলেরা গ্রামে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু, বাঘটিকে আক্রমণ করতে না দেখে তাঁরা বাঘটির সাথে সেলফি তুলে এবং উপরে চড়তে চেষ্টা করে। পরবর্তীতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাঘটি দেশী মদ খেয়ে অচেতন অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে’ শীর্ষক দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে, চিতাবাঘটি জলাতঙ্কের সংক্রমণের কারণে মস্তিষ্কের বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন অবস্থায় গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাঘের এই আচরণের সাথে মদ খেয়ে নেশা করার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

উল্লেখ্য, পূর্বেও দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

জেমস এবং সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে করা এই পোস্টটি মারজুক রাসেলের নয়

0

সম্প্রতি, Marzuk Russell নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ব্যান্ড সংগীত শিল্পী জেমসকে নিয়ে ক্রিকেটার ও সাংসদ সাকিব আল হাসানকে খোঁচা দিয়ে করা একটি পোস্ট অভিনেতা মারজুক রাসেলের আসল পোস্ট দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।  

আলোচিত পোস্টটিতে যা আছে

Marzuk Russell নামের পেজটির পোস্টে বলা হয়েছে, ‘জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ চূড়ায় থেকেও তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মতো শো রুম উদ্বোধন করতে যান না! তিনি কোনোদিন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন আবেদনপত্র জমা দিতে যাননি! তিনি সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটেন না! তিনি নিজের ব্যাক্তিত্বকে বিকিয়ে চাটুকার তেলবাজদের মতন কথা বলেন না! তিনি রাতারাতি হঠাৎ করে তারকা বনে যাননি! তিনি কোনো পদক পাওয়ার আশায় কাজ করেন না কিংবা লবিং করেন না! তিনি বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন এমনই একজন! ৬০ বছর বয়সও কনসার্টে তিনি এদেশে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শিল্পী! চাইলেই কোন মিডিয়া, টিভি সাংবাদিক তার ইন্টারভিউ নিতে পারেনা! তার গান এদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সকল শ্রেণির মানুষেরা শুনেন! তার কনসার্টে যত দর্শক হয়, আর কারো কনসার্টে এতো দর্শক হয় না! তিনি কোন পদক কিংবা ল পুরষ্কার এর জন্য গান করেন না! তিনি অনেক বড় রকস্টার হওয়া সত্যেও নিজেকে নিজে বড় মনে করেন না কিংবা কেন তিনি কিংবদন্তি রকষ্টার তার ফিরিস্তি দিতে যান না! তিনি কিংবদন্তী হওয়া সত্ত্বেও কোনোরুপ অহংকার করে কথা বলেন না! তিনি মিডিয়ার সামনে এসে মিথ্যা, বানোয়াট বিভ্রান্তিকর কোন কথা বলেন না! তিনি কারো পেছনে কথা, হিপোক্রেসি কিংবা গীবত করেননা! প্রিয় জেমস ভাই আপনাকে এই দেশের মানুষ এই দেশের শিল্পী মিউজিশিয়ানরা অনেক ভালোবাসে, ভালো থাকবেন, নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।’

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যান্ড সংগীত শিল্পী জেমসকে জড়িয়ে  ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে খোঁচা দিয়ে করা আলোচিত এই পোস্টটি অভিনেতা মারজুক রাসেলের নয় বরং তার নামে পরিচালিত একটি ফ্যান পেজের মাধ্যমে এই পোস্টটি প্রচার করা হয়েছে। যদিও মূল পোস্টটি তারও পূর্বে থেকেই ফেসবুকে থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Marzuk Russell নামেরই একটি ফেসবুক পেজে গত ২৫ মার্চ ভোর ৫ টা ১৭ মিনিটে প্রকাশিত আলোচিত পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

উক্ত পেজটির বায়ো এবং ডিটেইলস সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, এটি একটি ফ্যান পেজ।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Marzuk Russell নামের ভিন্ন একটি পেজের সন্ধান পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত পেজটিতে গত ১৬ জানুয়ারি ❝কবিতাই আমার রাজনীতির জায়গা।❞… শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ফেসবুক পেজটিকে মারজুক রাসেল তার আসল ফেসবুক পেজ উল্লেখ করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করছি আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কতগুলো সো কল্ড ফ্যানপেজ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এবং সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে তাদের নিজস্ব মতামত প্রচার করছে। যাতে মানুষজন বিভ্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন আমার কোনো পেজ ছিল না। তবে ’ত্যালফ্যাল ছাড়া যে রান্ধে―’, ‘পাশা ভাই’ এমন বিষয়ভিত্তিক ৩-৪টা ইরেগুলার পেজ ছাড়া ফেসবুকে আমার কোনো অ্যাক্টিভিটি ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি আমি একটি পেজ খুলেছি যার মাধ্যমে এই লাইভটি করছি। এইটাই আমার অফিসিয়াল পেজ।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাইবার অপরাধ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরকে বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে জানিয়ে রেখেছি। আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে এটা আমার জন্যে খুব বিরক্তিকর।’

অর্থাৎ, জেমস এবং সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গে মারজুক রাসেলের পোস্ট দাবিতে ছড়িয়ে পড়া আলোচিত পোস্টটি মারজুক রাসেলের নয়। 

তবে আমাদের অনুসন্ধান বলছে, মারজুক রাসেলের ফ্যান পেজ থেকে করা পোস্টটিই এ সংক্রান্ত প্রথম পোস্ট নয়। ‘Nagarbaul James – International Rockstar of Bangladesh’ নামের একটি ফ্যান পেজে গত ২৩ মার্চ একই পোস্টটি প্রচার করতে দেখা যায়। যা মারজুক রাসেলের ফ্যান পেজে করা পোস্টটির দুইদিন আগের।

Screenshot: Facebook

মূলত, অন্তত গত ২৩ মার্চ থেকে ব্যান্ড সংগীত শিল্পী জেমস ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের তুলনা করে একটি পোস্ট ফেসবুক ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ থেকে কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের নামে পরিচালিত ফেসবুকের একটি ফ্যান পেজ থেকে একই পোস্ট করা হয়। সম্প্রতি উক্ত পোস্টকে মারজুক রাসেলের আসল পোস্ট ভেবে নেটিজেনরা সেটি শেয়ার করেন।  প্রকৃতপক্ষে, দীর্ঘদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারজুক রাসেল নিজের নামে পরিচালিত তার কোনো পেজ ছিল না। তিনি ভিন্ন ভিন্ন নামের বিষয়ভিত্তিক কয়েকটি পেজের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু গত ডিসেম্বর তিনি তার নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন। যেখানে আলোচিত পোস্টটির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, অভিনেতা মারজুক রাসেলের নামে পরিচালিত ফ্যান পেজ থেকে জেমস এবং  সাকিব আল হাসানকে নিয়ে করা একটি পোস্ট মারজুক রাসেলের আসল ফেসবুক পোস্ট দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র