Home Blog Page 334

অপু বিশ্বাসকে নিয়ে শাকিব খানের মন্তব্য দাবিতে আরটিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার 

0

গেল আগস্ট মাসে অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে দেশের বিভিন্ন বাহিনী, সংস্থা, এনজিও এবং জনগণ নিজ উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করছে।

এরই প্রেক্ষিতে, “বন্যার্তদের আমার দেয়া ত্রাণ অপু বিশ্বাস আত্মসাৎ করেছে।- শাকিব খান” শীর্ষক শিরোনামে চিত্রনায়ক শাকিব খানের ছবি যুক্ত করে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আরটিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

শাকিব খানের মন্তব্য

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টে ৪২ হাজারের ওপর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এছাড়া ২৩৮ টি মন্তব্য এবং পোস্টটি ৫৭০ বার শেয়ার করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘বন্যার্তদের আমার দেয়া ত্রাণ অপু বিশ্বাস আত্মসাৎ করেছে।’ শীর্ষক শিরোনামে আরটিভি টিভি কিংবা অন্যকোনো গণমাধ্যম কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং চিত্রনায়ক শাকিব খানও এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আরটিভির ডিজাইন নকল করে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি আরটিভির ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি প্রকাশের দিন হিসেবে ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে আরটিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আরটিভির ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে আরটিভির ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত ফটোকার্ডের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের অমিল পাওয়া যায়।

Photocard Comparison By Rumor Scanner 

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘বন্যার্তদের আমার দেয়া ত্রাণ অপু বিশ্বাস আত্মসাৎ করেছে।’- শীর্ষক মন্তব্যটি শাকিব খানের দাবিতে আরটিভির নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংককে জড়িয়ে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, “এবার তারল্য সংকটে ভুগছে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক! কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান প্রায় কয় এক বছর ধরেই ব্যাংকটিকে তারল্য সহায়তা দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংককে

উক্ত ফটোকার্ড যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে দাবি করে প্রথম আলো এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রথম আলোর লোগোযুক্ত আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণে করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর কথা উল্লেখ রয়েছে।

Screenshot: Facebook 

গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে ০৩ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোর ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

তবে প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজে গত ০৫ সেপ্টেম্বর এক পোস্টের মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটিকে ভুয়া বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

Screenshot: Prothom Alo Facebook Page

সুতরাং, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে দাবি করে  প্রথম আলোর নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে জুয়ার অ্যাপের ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রচার

0

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুয়ার অ্যাপের প্রচারণা করছেন দাবিতে বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম সময় টেলিভিশনের লোগোসহ একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Crazy Time Bangladesh নামের জুয়ার অ্যাপের প্রচারণা করেননি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে জুয়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্লিপটির কয়েকটি কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম নিউজ ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১০ আগস্ট “রংপুর পিছিয়ে পড়া জেলা, রংপুরকে এক নম্বর জেলা হতে হবে: ড. ইউনূস” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্লিপের সাথে উক্ত ভিডিওর বেশকিছু অংশের হুবহু মিল রয়েছে। দুটো ভিডিওতেই তার পোশাক, আশেপাশের স্থান, এবং পেছনে দাঁড়ানো মানুষজনের মিল রয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হেলিকপ্টারযোগে রংপুরের পীরগঞ্জে যান। সেখানে জাফরপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। পরবর্তীতে বিকালে বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি নানান বিষয়ে কথা বলেন।

অর্থাৎ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ভিডিওর সাথে জুয়ার বিজ্ঞাপনের অডিও ও ভিডিও যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। যার সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।

ভিডিওটি প্রচার করা ফেসবুক পেজ সম্পর্কে যা জানা যায়

আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারকারী পেজ (আর্কাইভ) পর্যালোচনা করে দেখা যায় পেজটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পোস্ট নেই এবং জুয়ার ভিডিওটি বুস্ট করে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও পেজের ট্রান্সপারেন্সি সেকশন যাচাই করে দেখা যায়, উক্ত পেজ ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত পেজের নাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে এবং পেজ পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা ভারতীয় এবং ভিয়েতনামি।

Screenshot: Facebook

এছাড়া, আলোচিত দাবিতে সময় টিভির লোগো যুক্ত থাকার প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে সময় টিভির ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলে এমন কোনো সংবাদ বা ভিডিও পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূস Crazy Time Bangladesh নামের অনলাইন জুয়ার অ্যাপের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং বিষয়টি স্ক্যাম বা প্রতারণা।

তথ্যসূত্র

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে জড়িয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘সকল গাঁজা ব্যবসায়ি কে আটক করা হবে ইনশাআল্লাহ উপদেষ্টা আসিফ।’ শীর্ষক শিরোনাম বা তথ্যে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর লোগো সম্বলিত ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে জড়িয়ে ‘সকল গাঁজা ব্যবসায়ি কে আটক করা হবে ইনশাআল্লাহ উপদেষ্টা আসিফ।’ শীর্ষক শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং আসিফ মাহমুদও এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর লোগো ব্যবহার করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৪সেপ্টম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এর ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এর ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে গত ৪ সেপ্টম্বর আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি জানায় ‘ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি ভুয়া’

সুতরাং, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে জড়িয়ে ‘সকল গাঁজা ব্যবসায়ি কে আটক করা হবে ইনশাআল্লাহ উপদেষ্টা আসিফ।’ শীর্ষক শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • The Daily Campus: Facebook Post
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

ভারতে ভূমিধসে মৃত শিশুর ছবি বাংলাদেশের বন্যাকবলিত অঞ্চলের দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতিগেল আগস্ট মাসে অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এই বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর করুণ চিত্র তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া, বন্যাকবলিত জেলা থেকে বন্যায় মৃতের খবরও পাওয়া গেছে। ভয়াবহ বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও অনেক এলাকা ও বাসাবাড়িতে পানি রয়েছে।

এরই মধ্যে ‘বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর যা পাওয়া গেছে’ শীর্ষক ক্যাপশনে  কাদা থেকে তুলে আনা এক শিশুর মৃতদেহের ছবি প্রচার করা হচ্ছে।

ছবিগুলোতে সরাসরি বাংলাদেশের দাবি করা না হলেও অনেকেই বাংলাদেশের ভেবে পোস্ট, শেয়ার এবং মন্তব্য করছেন।

উক্ত দাবিতে বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কােইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কােইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যনার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্যাকবলিত এলাকায় থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের এই ছবিটি বাংলাদেশের বন্যার নয় বরং, এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভূমিধসের ফলে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনার ছবি। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘TIPRA Vision’ নামক ফেসবুক পেজে গত ২৩ আগস্ট পোস্টকৃত আরও তিনটি ছবি সহ উক্ত ছবিটি পাওয়া যায়।

Screenshot Comparison: Rumor Scanner’s

উক্ত ছবিগুলোর পোস্ট ক্যাপশন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ ত্রিপুরার বিসি নগর ব্লকের তাইচামায় ভূমিধসে মৃত্যু হয় ৬ বছরের কিশোরী তিয়ারি দেববর্মার (TIYARI DEBBARMA)। পোস্টটিতে সূত্র হিসেবে ‘Dongour Tv’ নাম উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে DONGOUR TV এর  ইউটিউব চ্যানেলে ‘Piyari Debbarma Haa phopjakgwi Langma chokha | Twi loma komiya khu |Bubagra Bangladeshi karinai’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ককবরক ভাষার একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ভিডিও প্রতিবেদনটির ১মিনিট ২৮ সেকেন্ড দৃশ্যে আলোচিত ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে, ভিডিও প্রতিবেদনে ভিক্টিমের নাম ‘Piyari Debbarma’ উল্লেখ করা হয়েছে। 

Screenshot: DONGOUR TV CHANNE

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাংলাদেশের বন্যায় হতাহতের ঘটনার নয়।

সুতরাং, ভারতের ত্রিপুরায় ভূমিধসে মৃত শিশুর ছবি বাংলাদেশে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর বন্যাকবলিত অঞ্চল থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কর্দমাক্ত পানিতে মা-শিশুর আলিঙ্গনরতছবিগুলো বাংলাদেশ নয়, ইয়েমেনের 

0

গেল আগস্ট মাসে অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। সরকারি হিসেবেই এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর করুণ চিত্র তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুইটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি দুইটিতে একটি ধ্বংসস্তূপে কর্দমাক্ত পানিতে এক মা তার শিশুকে আলিঙ্গন করে বসে থাকতে দেখা যায়।

ছবিগুলোতে সরাসরি বাংলাদেশের দাবি করা না হলেও অনেকেই বাংলাদেশের ভেবে পোস্ট, শেয়ার এবং মন্তব্য করছেন।

কর্দমাক্ত পানিতে মা-শিশুর

ছবিগুলো যুক্ত করে বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কর্দমাক্ত পানিতে শিশুকে মায়ের আলিঙ্গন করে বসে থাকার ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হওয়া বন্যার নয় বরং, মর্মান্তিক এই ছবিগুলো ইয়েমেনের। 

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম Al Arabiya এর ওয়েবসাইটে গত ২৯ আগস্ট “Indescribable painful images.. A Yemeni woman hugs her child under the rubble of the flood” (ইংরেজি অনুদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মর্মান্তিক এই ছবিগুলো উত্তর ইয়েমেনের আল মাহউইত গভর্নরেটের মালহান জেলার। সম্প্রতি বন্যার কবলে পড়ে দেশটি। বন্যার কারণে ধ্বংসস্তূতে আটকে মারা যান আলোচিত ছবিতে থাকা নারী ও তাঁর সন্তান। 

এছাড়া, একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে Al Sadara News. পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যকর্মী Ahmed Hassan এর করা একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টে আলোচিত ছবিগুলোত থাকা নিহতদের উদ্ধারের দৃশ্য দেখা যায়। পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, এবছর ইয়েমেনে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে অনেক বন্যা এবং প্রবাহ ঘটেছে। যার ফলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

অর্থাৎ, কর্দমাক্ত পানিতে মা-শিশুর মর্মান্তিক এই ছবিগুলো ইয়েমেনের। 

সুতরাং, ইয়েমেনে বন্যায় ধ্বংসস্তূপের কর্দমাক্ত পানিতে মা-শিশুর আলিঙ্গনরত ছবিকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

নকশাটি ধানের উপর নয়, বরং কাঠের উপর করা হয়েছে

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নকশাকৃত একটি ছবি ব্যবহার করে দাবি প্রচার করা হচ্ছে, “এটা একটা ধান যার উপরে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে, ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সকল প্রসেস নকশা করা হয়েছে।”

নকশাটি ধানের উপর

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিটি ওপার বাংলা অর্থাৎ ভারতেও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। উক্ত দাবিতে ভারতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ধানের উপর করা নকশার দাবিটি সত্য নয় বরং এটি কাঠের উপর করা ধান উৎপাদন প্রক্রিয়ার খোদাইকৃত একটি নকশা। ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে Healthy Food Healthy Life কোম্পানির জেসমিন চালের জন্য Prompt Design নামক একটি এজেন্সি ধান উৎপাদন প্রক্রিয়াকে কাঠের উপর নকশা খোদাই করেন। এই নকশাকে মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ধানের উপর খোদাই করা নকশার দাবিতে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে। Prompt Design এর প্রতিষ্ঠাতা সোমচানা ক্যাংওয়ার্নজিত-ও বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

জামায়াতের আমিরের ব্যবহৃত হেলিকপ্টারটি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন নয় 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ব্যবহৃত হেলিকপ্টারটি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন নয় বরং এটি প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড এর হেলিকপ্টার।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছবিতে হেলিকপ্টারের পেছনের দেয়ালে বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ’র সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় এই সাইনবোর্ডের কারণেই উক্ত দাবিতে ছবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে প্রবাসীর হেলিকপ্টার এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ০১ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের বিস্তারিত অংশে প্রবাসীর হেলিকপ্টার নিয়ে জামায়াত ইসলামীর আমির দিনাজপুরে ০৮ জন শহীদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও, পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে প্রবাসীর হেলিকপ্টার এর পক্ষ থেকে জামায়াত ইসলামীর আমিরকে ফুল দিয়ে বরণ করার দৃশ্য দেখা যায়। পোস্টের কোথাও বসুন্ধরা গ্রুপের কথা উল্লেখ করা হয়নি। 

পরবর্তীতে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ওয়েবসাইটে গত ০৩ আগস্ট ‘জামায়াত আমিরের বসুন্ধরার হেলিকপ্টার ব্যবহারের তথ্য ভুয়া’ শিরোনামে একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, জামায়াত ইসলামীর আমির বিভিন্ন সময়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতসহ দলীয় বিভিন্ন কাজকর্মে প্রবাসীর হেলিকপ্টার এর সেবা নিয়েছেন। এছাড়াও, জামায়াতের আমির সর্বশেষ হেলিকপ্টার সেবা নেওয়ার ভাড়া বাবদ দুইপক্ষের কাছে রশিদও সংরক্ষিত আছে বলে দাবি করে প্রবাসীর হেলিকপ্টার কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে কালবেলা’র অনলাইন সম্পাদক পলাশ মাহমুদ এর একটি ফেসবুক পোস্টে জামায়াত ইসলামীর আমিরের ভ্রমণের টিকেট, ছবি ও ভিডিওর সংযুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

গত ০৩ সেপ্টেম্বর প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বায়জিদ আল-হাসান এর নাম সংবলিত ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণার প্রতিবাদ’ শীর্ষক একটি পোস্ট করা হয়।

এবিষয়ে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বায়জিদ আল-হাসান এর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি প্রচারিত দাবিটি সঠিক নয় বলে রিউমর স্ক্যানার টিমকে নিশ্চিত করেন। এছাড়াও, তিনি বলেন বিমানবন্দরের ঐ স্থানে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সাইনবোর্ড ঝুলানো ছিল। এরমধ্যে কাকতালীয়ভাবে প্রচারিত ছবিটি বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ এর সাইনবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা হয়। উক্ত সূত্র থেকেই প্রচারিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।

Screenshot collage: Rumor Scanner

এছাড়া, ‘প্রবাসী হেলিকপ্টার লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ০২ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে বিমানবন্দরে হেলিকপ্টারটির অবস্থানের আশেপাশে বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ ছাড়াও মেঘনা এভিয়েশন লিমিটেড ও বিআরবি এয়ার এর সাইনবোর্ড শনাক্ত করা যায়। 

সুতরাং, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ভ্রমণের প্রাক্কালে প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড এর হেলিকপ্টার এর সাথে ছবি তোলার দৃশ্যকে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সরাসরি সম্প্রচার দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি পুরোনো

0

ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ০৫ আগস্ট তারিখে ক্ষমতা হারায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার৷ এরপর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি প্রচার করা হচ্ছে, ভিডিওটি ভারত থেকে সরাসরি সম্প্রচারের দৃশ্যের। প্রচারিত ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে সাম্প্রতিক সময়ে সকল গ্রেডের সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলন ও গত জুলাই মাসে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার নিয়ে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়৷ ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে “বিকাল ৪টায় আমি প্রেস কনফারেন্স করি। কয়েকঘণ্টা চলে যায়। পরে রাতে ১১টা -সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করে দেখলাম, অনেক ছেলে-মেয়ে হল থেকে বের হয়ে এসেছে। তাদের স্লোগানটা কী, তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার; তোমার বাবা আমার বাবা, রাজাকার রাজাকার। তার মানে তারা নিজেদের রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিলো। আমি তো তাদের রাজাকার বলিনি। তারা নিজেরাই স্লোগান দিয়ে রাজাকার হিসেবে পরিচিত করলো সবার কাছে।” সহ আরো নানা কথা বলতে শোনা যায়। উক্ত ভিডিওটিতে মাঝেমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও দেখতে পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনার বক্তব্যে

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উল্লিখিত পোস্টে সংযুক্ত ভিডিওগুলো সম্মিলিতভাবে ১১ লক্ষ বারেরও অধিক বার চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারতে প্রকাশ্যে কোনো ভাষণ দেননি বরং গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে বলা শেখ হাসিনার বক্তব্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে গত ২৬ জুলাই তারিখে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে “শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷ সংবাদ প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা শেখ হাসিনার বক্তব্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত শেখ হাসিনার বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

অতঃপর, এরই সূত্র ধরে অধিকতর অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে “শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামে গত ২৬ জুলাই তারিখে ৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া যায়৷ ভিডিওটির প্রায় ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের পরবর্তী সময়কালে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে বলা শেখ হাসিনার বক্তব্য ও ফ্রেমের হুবহু মিল পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি মূলত গত ২৬ জুলাই তারিখে বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের।

উল্লেখ্য, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির কিছু দৃশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি দেখা যায় তবে মূল ভিডিওতে নরেন্দ্র মোদির কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, শেখ হাসিনার উক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রচারিত কোনো সংবাদেও বক্তব্য প্রচারকালীন সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতির দাবি বা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদির দৃশ্য এডিট করে যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সম্প্রতি ভারতে শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণ দাবিতে প্রচার করা হলে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, গত জুলাইয়ের পুরোনো বক্তব্যের ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণের সরাসরি বা লাইভ দৃশ্যে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছবি সরিয়ে নতুন করে কালেমা যুক্ত করার দাবিটি সত্য নয় 

0

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছবি সরিয়ে কালেমা যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছবি

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছবি সরিয়ে কালেমা যুক্ত করা হয়নি বরং বিগত সরকারের সময়েও একই স্থানে কালেমার উল্লেখ ছিল। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র  ওয়েবসাইটে গত ২০ মে ‘কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদে সংযুক্ত ছবির সাথে প্রচারিত ছবির পেছনের দেয়ালের হুবহু মিল রয়েছে।

Screenshot collage: Rumor Scanner

উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, ছবিটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ মে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে অংশ নেয়ার সময়ের। 

এছাড়াও, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গত ২০ মে প্রকাশিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বৈঠকের উক্ত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পূর্বেও তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) উক্ত দেয়ালে কালেমা যুক্ত ছিল।

গত ০৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিবর্তন করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ০৪ সেপ্টেম্বর ওখানেই সচিবদের সাথে বৈঠক করছেন।

সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ের দেয়ালে ছবি সরিয়ে কালেমা যুক্ত করা হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র