Home Blog Page 335

নুরুল হক নুর জামায়াতে যোগ দিতে চান দাবিতে আরটিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে জড়িয়ে ‘জামায়াতে যোগ দিতে চান ভিপি নুর: আরটিভি’ শীর্ষক শিরোনামে আরটিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘জামায়াতে যোগ দিতে চান ভিপি নুর: আরটিভি’ শীর্ষক শিরোনামে আরটিভি টিভি কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আরটিভির লোগো ব্যবহার করে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আরটিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের দিন হিসেবে ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে আরটিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আরটিভির ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, আরটিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে গত ০৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি জানায়, ‘আরটিভির নামে ছড়ানো এই ছবিটি নকল, আমাদের তৈরি নয়। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে থাকুন।’

সুতরাং, জামায়াতে যোগ দিতে চান ভিপি নুর দাবিতে আরটিভির নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যূসূত্র

  • Rtv । আরটিভি: Facebook Page Post
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে সূরা ফাতিহা পড়তে বলেননি ড. ইউনূস

0

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে ‘জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সূরাহ ফাতিহা পড়তে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস!’ শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন এর লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উউক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কােইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কােইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সূরাহ ফাতিহা পড়তে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস!’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভি কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এমন কোনো মন্তব্য করেননি।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৫সেপ্টম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, যমুনা টিভির পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

Comparison: Rumor Scanner

সুতরাং, জাতীয় সংগীতর পরিবর্তে সূরাহ ফাতিহা পড়তে অনুরোধ করেছেন দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।.

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis

জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক হবে শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি জামায়াতের আমীর

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক হবে শীর্ষক মন্তব্য জামায়াতে ইসলামীর আমীর করেছেন দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায়

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর আমীর তাদের দল ক্ষমতায় আসলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক হবে শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এমন কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা তা জানতে অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে আলোচিত দাবিতে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে, জামায়াতে ইসলামীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত এই দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে জানতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি প্রোপাগান্ডা এবং এমন কোন মন্তব্য তিনি (ডা. শফিকুর রহমান) কোথাও করেননি বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন।

সুতরাং, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক হবে শীর্ষক মন্তব্য দলটির আমীর করেছেন দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • স্টেটমেন্ট: আশরাফুল আলম ইমন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

ভারতে দেওয়া শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভাষণ দাবিতে তার দেশে দেওয়া পুরোনো ভাষণ প্রচার

0

ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ০৫ আগস্ট তারিখে ক্ষমতা হারায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার৷ এরপর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেখ হাসিনার একটি ভাষণের ভিডিও প্রচার করে দাবি প্রচার করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা এই ভাষণটি ভারতে দিয়েছেন৷ প্রচারিত ভিডিওটিতে ভাষণটি ২৮/৮/২৪ তারিখের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে, “..কাছে আমাদের এটাই ওয়াদা, যে আপনাদের জীবন নিয়ে গেছে শক্তি, কিন্তু যে বাংলাদেশ আজকে জাতির পিতা রেখে গেছে, আজকে জাতীয় চার নেতা, আমরা এটাই বলবো, এই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ঐসমস্ত দুষ্কৃতকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে এই দেশে কখনো নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। এইদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না৷ আপনাদের অনুরোধ থাকবে, সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে নানাভাবে গোলমাল করার চেষ্টা করবে…” সহ আরো নানা কথা বলতে শোনা যায়।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভাষণ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারতে প্রকাশ্যে কোনো ভাষণ দেননি বরং গত বছরের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া শেখ হাসিনার বক্তব্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে গত বছরের ৩ নভেম্বর তারিখে মূলধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে “নির্বাচন বানচাল করতেই আগুন সন্ত্রাস করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের ফিচারে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়৷ ছবিটির বর্ণনায় প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দৃশ্য। 

প্রতিবেদনটি পড়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি সেই অনুষ্ঠানেরই দৃশ্য।

Comparison : Rumor Scanner

একই ঘটনায় যমুনা টিভি ছাড়াও মূলধারার সংবাদমাধ্যম কালবেলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও শেখ হাসিনার একই দৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

অতঃপর, এরই সূত্র ধরে অধিকতর অনুসন্ধান করলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভিডিওটি মূলধারার গণমাধ্যম মাছরাঙা নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়। “জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের স্মরণসভা” শিরোনামে ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে প্রচারিত হওয়া ২ ঘন্টা ৫ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির ২ ঘন্টা ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের পরবর্তী সময়ের কথাগুলো ও ফ্রেমের সাথে হুবহু মিল পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়া, মূলধারার অন্য আরেকটি গণমাধ্যম বাংলা ভিশনের ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে “সরাসরি | বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র” শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিওতে ৪৯ মিনিটের পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যে প্রচারিত কথাগুলো হুবহু বলতে শোনা যায়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি মূলত ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের। 

উল্লেখ্য, আলোচিত দাবিটি প্রচারে কিছু কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দীর্ঘায়িত সংস্করণের ভিডিও ব্যবহার করেছে যেখানে কিছু কিছু কিছু দৃশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি দেখা যায় তবে মূল ভিডিওতে নরেন্দ্র মোদির কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, উক্ত স্মরণসভার কোনো সংবাদেও স্মরণসভাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদির দৃশ্য এডিট করে যুক্ত করা হয়েছে।

সুতরাং, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণের দৃশ্যের শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনার খাবারের দৃশ্য নয়, এটি পুরোনো ছবি

0

সরকার প্রধানের পদ ও দেশ ছেড়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে ভারতে শেখ হাসিনাকে খাবার টেবিলে আপ্যায়ন করা হচ্ছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনা ভারতে খাবার টেবিলে আপ্যায়ন করছে দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ছবিটি ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভিন্ন ঘটনার। 

অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ “কুমুদিনী পরিবারে ৩১ পদের খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবিটির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভারতেশ্বরী হোমসে শহীদ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনাও। শেখ হাসিনার জন্য সেদিন ৩১ পদের বাঙ্গালি খাবারের আয়োজন করেছিল কুমুদিনী পরিবার। কাঁসার থালায় খাবার ও কাঁসার গ্লাসে পানি পান করেন শেখ হাসিনা।  

জাতীয় আরেক দৈনিক দেশ রূপান্তর এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরেও একই তথ্য ও ছবি পাওয়া যায়। 

সুতরাং, ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাকে খাবার টেবিলে আপ্যায়নের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

একাধিক নারীর সাথে প্রচারিত ছবিগুলো আসিফ মাহমুদের নয়

0

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাথে নারীদের আপত্তিকর দৃশ্য দাবিতে একাধিক ছবি এবং মেসেঞ্জারে চ্যাট করার কথিত স্ক্রিনশট সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, একাধিক নারীর সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ছবিগুলো আসল নয় এবং মেসেঞ্জারে চ্যাটের কথিত স্ক্রিনশটগুলোও ভুয়া বরং ইন্টারনেট থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে সম্পাদনার মাধ্যমে আসিফের মুখ বসিয়ে উক্ত দাবি প্রচার করা হয়েছে। 

ছবি যাচাই: ০১

অনুসন্ধানে Wish নামক পিন্টারেস্টের একটি অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Collage: Rumor Scanner

ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছবিতে যে যুগলকে দেখা যাচ্ছিল তার মধ্যে থাকা পুরুষের চেহারার সাথে আসিফ মাহমুদের চেহারার মিল নেই। তবে ছবিটির পেছনের দেয়াল, দেয়ালের সাথে রাখা কাপড়, আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়বস্তুর সাথে আসিফ মাহমুদের ছবি দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ছবি যাচাই: ০২

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট স্ক্রলার এ GirlWhatsAppIndia নামক অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Collage: Rumor Scanner

ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছবিতে যে যুগলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল তার মধ্যে ছেলের চেহারার সাথে আসিফ মাহমুদের চেহারার মিল নেই। তবে উক্ত যুগল ছবির পেছনের দেয়াল, বিছানা, আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়বস্তুর সাথে আসিফ মাহমুদের ছবি দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ছবি যাচাই: ০৩

অনুসন্ধানে Desi Bomma Lover নামক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২২ মে প্রকাশিত পোস্টে এ সংক্রান্ত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Collage: Rumor Scanner

এই ছবিটিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছবিতে যে যুগলকে দেখা যাচ্ছিল তার মধ্যে ছেলের চেহারার সাথে আসিফের চেহারার মিল নেই। তবে উক্ত যুগল ছবির পেছনের দেয়াল, বিছানার চাদর, আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়বস্তুর সাথে আসিফ মাহমুদের ছবি দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত মেসেঞ্জারে চ্যাট করার কথিত স্ক্রিনশটের বিষয়ে অনুসন্ধানে অন্তত দুইটি (, ) স্ক্রিনশটের ছবি ও ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশটগুলো পর্যবেক্ষণ করে কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। প্রথম স্ক্রিনশটে Asif Mahmud উল্লেখ করা এবং অন্যটায় Asif Mahbub উল্লেখ করা। অর্থাৎ, একই গুজব একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

Screenshot Collage: Rumor Scanner

উল্লেখ্য, আসিফের প্রকৃত নাম আসিফ মাহমুদ এবং তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম Asif Mahmud.

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত একাধিক পুরুষের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবিকে সম্পাদনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মুখ মণ্ডলের ছবি সংযুক্ত করে তা আসিফের সাথে নারীদের ব্যক্তিগত মূহুর্তের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র 

হিজাব বাধ্যতামূলক করার কোনো ঘোষণা দেননি ঢাবির নতুন উপাচার্য

0

সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।

হিজাব বাধ্যতামূলক করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাবির উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন কিনা জানতে মূলধারার কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য মেলেনি।

এ বিষয়ে জানতে ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমন কোনো মন্তব্য বা ঘোষণা দেননি বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

সুতরাং, ঢাবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • স্টেটমেন্ট: অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপাচার্য,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

বন্যার্তদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের ভিডিওকে রুমিন ফারহানার বিয়ের দৃশ্য দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি, জামায়াতের মাওলানার সাথে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বিয়ের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বিয়ের কোনো ঘটনার নয় বরং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নে বন্যার্তদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভার মোনাজাত অংশের একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এটিএন বাংলা এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩১ আগস্ট ‘কোন হিংসা বিভেদ, দখলদারিত্ব থাকবে না : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ATN Bangla’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে  আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে প্রদর্শিত অনুষ্ঠানের ব্যানার থেকে জানা যায়, এটি মূলত ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা। 

ভিডিওতে রুমিন ফারহানা বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদায় নেওয়া এবং আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের সমালোচনা করেন। 

একই ঘটনায় আরেক বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম মাছরাঙা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বন্যার্তদের জন্য বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার দোয়া অনুষ্ঠানের মোনাজাত অংশের দৃশ্যকে জামায়াতের মাওলানার সাথে রুমিন ফারহানার বিয়ের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভিন্ন শিশুর ছবি সুমাইয়া দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘ভিক্ষুকের মতো ভিক্ষা চাচ্ছি– আমার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন’ দাবিতে একটি শিশুর কয়েকটি ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। 

দাবি করা হচ্ছে– শিশুটির নাম সুমাইয়া। বাড়ি সদরদী, ভাংগা ফরিদপুর। মায়ের নাম তাসলিমা বেগম। শিশুটির লিভার ড্যামেজ, হার্ট ছিদ্র এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এর জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটিতে ২ লাখ ১২ হাজারের ওপরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ও ১৮০ টি মন্তব্য করেছেন এবং পোস্টটি প্রায় ৬ হাজারবার শেয়ার করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাহায্য চেয়ে প্রচারিত ছবিগুলোতে থাকা শিশুর নাম সুমাইয়া নয় এবং উক্ত তাঁর বাড়ি ফরিদপুর বা মাদারীপুরে নয়। ছবিতে থাকা শিশুটির নাম হামজা ও তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় এবং সে বর্তমানে সুস্থ আছেন। মূলত প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভিন্ন নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে আলোচিত পোস্টগুলো করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানে Qari Abu Rayhan নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত বছরের ১৮ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টে থাকা শিশুর ছবির সাথে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা ছবির শিশুর সাথে মিল রয়েছে। 

Photho Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্ট থেকে জানা যায়, অসুস্থ শিশুটির নাম হামজা। বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে। শিশুটির ফুসফুসের একাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সহযোগিতা চাওয়া হয়।

Abdus Salam Azad নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে  একই বছরের ২০ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্টে হামজার বাবার হাতে সহযোগিতার টাকা তুলে দেওয়ার একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টে যুক্ত হামজার বাবার নাম্বার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

হামজার পরিবার থেকে জানানো হয়, ছবিগুলো হামজার। গতবছর হামজা অসুস্থ ছিলো। এখন সে সুস্থ আছে। 

পরিবার থেকে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি হামজার অসুস্থতার সময়কার ছবি ব্যবহার করে নতুন করে টাকা চাওয়ার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করবে।

পরবর্তীতে সম্প্রতি প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, পোস্টগুলোতে ঠিকানা হিসেবে কোথাও ফরিদপুর এবং কোথাও মাদারীপুর উল্লেখ রয়েছে। 

এছাড়া, প্রচারিত পোস্টগুলোতে বিকাশ নাম্বার হিসেবে  01889682596, 01819344855 এবং 01631883903 নাম্বারগুলো উল্লেখ রয়েছে। তবে, এই নাম্বারগুলোর সাথে হামজার পরিবারের কোনো যোগসূত্র নেই। 

সুতরাং, আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভিন্ন শিশু হামজার ছবি শিশু সুমাইয়া দাবি করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

যমুনা টিভির ফটোকার্ড নকল করে শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে সাকিব আল হাসানের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘‘যে দেশ আমার নেত্রীকে (মা) তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সে দেশে আমি আর ফিরবো না: সাকিব’’ শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ভুয়া মন্তব্য

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘যে দেশ আমার নেত্রীকে (মা) তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সে দেশে আমি আর ফিরবো না: সাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভি বা অন্য কোনো গণমাধ্যম কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি  প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভি‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, এ বিষয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ‘সাকিবকে ছাড়া দুই ভাগে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দুই ধাপে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তবে, সাকিব আল হাসান  দেশে ফিরছেন না বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে যমুনা টিভির পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের মিল থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

Comparison: Rumor Scanner 

এছাড়াও, যমুনা টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আজ (০৫ সেপ্টেম্বর) আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি জানায়, ‘যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ প্রচার করেনি; গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না’।

এছাড়া বিশ্বস্ত অন্য কোনো সূত্রেও সাকিব আল হাসানের করা এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘যে দেশ আমার নেত্রীকে (মা) তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সে দেশে আমি আর ফিরবো না: সাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

  • Jamuna Television: Facebook Post
  • Rumor Scanner’s Own Analysis