Home Blog Page 133

কুয়েটে হামলার এই ছবিগুলো গত ১৮ ফেব্রুয়ারির, ২০১৪ সালের নয়

0

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ইস্যুতে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষ হয়। এর পরপরই উক্ত সংঘর্ষের ছবি দাবিতে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ‘ভেট-ডা. রায়হানুল নবি’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব ছবি প্রচার করার একটি স্ক্রিনশট গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হয়, “শিবির এই ছবিকে কুয়েটের ছাত্রদলের বলে গুজব ছড়াচ্ছে মুলত এটি ২০১৪ সনের ছবি।”

উল্লেখ্য যে, প্রচারিত উক্ত স্ক্রিনশটে দা বা দেশীয় অস্ত্র হাতে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারিত ছবিগুলো দেখা যায় এবং তারিখ হিসেবে ৩ জানুয়ারি ২০১৪ এর উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও উক্ত স্ক্রিনশটে চারটি ছবির প্রিভিউসহ আরো ৩৩৮টি ছবি থাকতে দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়েটে সংঘর্ষের এই ছবিগুলো ২০১৪ সালের নয় বরং, গতকালের (১৮ ফেব্রুয়ারি)। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ছবিতে থাকা যুবদল নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিনের ওয়েবসাইটে “কুয়েটের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্ত্রধারীরা ছাত্ররা কারা?” শীর্ষক শিরোনামে ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রকাশিত উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনটিতে তিনটি ছবির একটি কোলাজের সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়া অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটে “কুয়েটে হামলা: বহিষ্কার হলেন যুবদল নেতা” শীর্ষক শিরোনামে আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনে সংযুক্ত একটি ছবির সাথেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত একটি ছবির সাদৃশ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুয়েটের ঘটনায় অস্ত্র হাতে ধারণকৃত উক্ত ব্যক্তি হলেন যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান এবং এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তাছাড়া, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদনেও আরেকটি ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় এবং জানা যায় ছবিটি কুয়েটে সংঘর্ষেরই।

অর্থাৎ, এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ছবিগুলো ২০১৪ সালের নয় বরং গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারিতে) কুয়েটে হওয়া সংঘর্ষের।

তবে কেন এই বিভ্রান্তি?

দাবিকৃত কোলাজে ‘ভেট-ডা. রায়হানুল নবি’ নামের উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এতে চারটি ছবির প্রিভিউ দেখা যাচ্ছে এবং পাঁচ নম্বর ছবির উপর +৩৩৮ লেখা রয়েছে। প্রিভিউতে থাকা চারটি ছবির মধ্যে তিনটি ছবির সাথে কুয়েটে হামলার ছবিগুলো মিলে যায়। তবে ‘ভেট-ডা. রায়হানুল নবি’ নামের উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একই ছবি যুক্ত পোস্টে ২০১৪ সালের ৩ জানুয়ারির তারিখ দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘ভেট-ডা. রায়হানুল নবি’ নামের উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে ৩ জানুয়ারি ২০১৪ সালে প্রচারিত পোস্ট পর্যবেক্ষণ করলে আলোচিত ছবিগুলোর কোনোটিই পোস্ট হতে দেখা যায়নি।

তবে, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে “চাচ্চুদের রাজনীতিতে স্বাগতম কুয়েটে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।” শীর্ষক ক্যাপশনে রায়হানুলকে উক্ত ছবিগুলো পোস্ট করতে দেখা যায়৷

Screenshot: Facebook

এছাড়া প্রিভিউতে দেখানো চতুর্থ ছবিটিও গত ৯ ফেব্রুয়ারিতে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে “এমসি কলেজ রিপোর্টাস ইউনিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত একটি পোস্টে পাওয়া যায়।

Collage: Rumor Scanner 

এসব বিষয় পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে জানতে পারে, এই ছবিগুলো মূলত ‘ভেট-ডা. রায়হানুল নবি’ এর ‘Mobile uploads’ অ্যালবামের অংশ। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় এই অ্যালবামে ৩৪১টি ছবি আছে বলে জানা যায়। অ্যালবামটি শেয়ার করার ফলে পুরোনো কোনো ছবির তারিখ পোস্টের তারিখ হিসেবে দেখায় ফেসবুক, যার ফলে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে অ্যালবামটির সবচেয়ে পুরোনো ছবির তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪ দেখিয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে রিউমর স্ক্যানারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের Timeline Photos অ্যালবাম শেয়ার করলে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের তারিখ দেখায়, যদিও অ্যালবামটিতে দেখানো প্রথম ছবিটি ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে (গতকাল) পোস্ট করা হয়েছিল। 

Screenshot: Facebook 

তাছাড়া, উক্ত অ্যালবামে প্রচারিত ছবিগুলোতে ক্লিক করলে সেখানে দেখা যায় এটি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তথা গতকাল পোস্ট করা হয়েছে।

সুতরাং, কুয়েটে হামলার ছবি দাবিতে ২০১৪ সালের ছবি প্রচার করা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১ জনও নিহত না হওয়ার দাবিটি মিথ্যা

0

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি)। অতঃপর সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেনেভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদন জুলাই-আগস্টে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১ জনও নিহত হয়নি’ শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে জুলাই-আগস্টে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১ জনও নিহত না হওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং প্রতিবেদনটির ২৩৭ নং পয়েন্টে সাম্প্রদায়িক হামলায় একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন সম্পর্কিত আলোচিত তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের ২২৮-২৪২ নং পয়েন্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পতনের আগে ও পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। ওএইচসিএইচআর ৩৪টি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব হামলার বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে, যেখানে ১২ জন সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন। প্রতিবেদনটির ২৩৭ নং পয়েন্টে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পঞ্চগড় জেলায় ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি দল আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং ১১৭টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস করে। ওএইচসিএইচআর আরও একটি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে ৫ আগস্টের ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলার পর তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়।

এছাড়া,  মূলধারার গণমাধ্যম আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘৫ আগস্টের আগে-পরে সংখ্যালঘু ও পাহাড়িরা সহিংস হামলার শিকার হয়েছে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১ জনও নিহত না হওয়ার দাবিটি মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

শিবিরের নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদের উপর হামলা দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার

0

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি)। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে এক ব্যক্তিকে আটক করে কান ধরে স্বীকারোক্তি দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দাবি করা হচ্ছে, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় এই ব্যক্তিকে আটক করার পর তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রশিবির।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিবিরের নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদের উপর হামলা দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজে হামলার ঘটনা পরবর্তী সময়ের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে মূল ধারার গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজের লোগো থাকলেও কিওয়ার্ড সার্চে গণমাধ্যমটির ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে একই ভিডিও ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই একাধিক ফেসবুক পোস্টে একই ভিডিও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়। 

Screenshot: Facebook

এই ভিডিও থেকে জানা যায়, এটি সে সময় ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজে হামলার ঘটনা পরবর্তী সময়ে৷ 

উক্ত তথ্যের সূত্রে পরবর্তীতে অন্যান্য গণমাধ্যমেও একই ভিডিও পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এই ঘটনা ১৬ জুলাই ঘটে বলে জানানো হয়৷ বলা হয়, রাজধানীর ঢাকা কলেজ–সংলগ্ন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এই আটক এই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। 

ভিডিওটি পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকে এ বিষয়ে গতরাতে পোস্ট করে রিউমর স্ক্যানার। পোস্টটি ভাইরাল হলে ইমরান সরকার নামে এক ব্যক্তির একটি ফেসবুক স্টোরি নজরে আসে রিউমর স্ক্যানারের। তিনি স্টোরিতে লিখেছেন, “সবার জানার উদেশ্য  বিষয়টি  উপস্থাপন করছি,, আমার যেই ভিডিওটি  ভাইরাল করার জন্য এক পক্ষ  আমাকে একটি। একটি রাজনরাজনৈতিক ভাবে জড়ানোর জন্য  বিশেষ  ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি মূলত কোন রাজনৈতিক ভাবে জড়িত না৷।৷ যেই ভিডিওটি পাব্লিকলি ছড়ানো হয়েছে সেটি জুলাই আন্দলন এর সময়। সেইখানে  আমাকে জোর করে বাধ্য করা হয়েছে  বিবৃতি দেয়ানো হয়েছিল৷ ঠিক তেমন ভাবে৷ আবারও একদল৷ সেই বিষয়টি  কুয়েটের সাথে মিলানো হয়েছে। যা পুরোপুরি ভাবে ভিত্তিহীন। আমাকে তারা ব্যাক্তিগত ভাবে  হয়রানি৷ এবং তাদের উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করা হয়েছে।৷ আমি আশংকিত যে ভবিষ্যৎয়েও ব্যবহার করতে পারে। এই বিষয়টি আপনারা আমাকে সহায়তা করবেন এটাই প্রত্যাশা। (বানান ও বাক্যের গঠন অপরিবর্তিত)

Screenshot: Facebook 

সুতরাং, কোটা আন্দোলনের সময়ের পুরোনো একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে শিবিরের নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদের উপর হামলা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

কুয়েটের ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ ও ছাত্রদলকে জড়িয়ে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ইস্যুতে গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। যাতে অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। উক্ত কর্মসূচিতে অন্যান্যদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এর প্রেক্ষিতে হাসনাত আবদুল্লাহ ‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর লোগো ও ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ কুয়েটের ঘটনায় ছাত্রদলকে উদ্দেশ্যে করে ‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি এবং প্রথম আলোও উক্ত মন্তব্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আলোর ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে প্রথম আলোর লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত ওইদিন প্রচারিত এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে প্রথম আলোর প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তী অনুসন্ধানে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে’ ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাত্রদলের উদ্দেশে ‘চাপাতির রাজনীতি ক্যাম্পাসে আবার রিইনস্টল (পুনরায় প্রতিষ্ঠা) করতে চাইলে ছাত্রলীগ গেছে যে পথে, আপনারা যাবেন সে পথে।’ শীর্ষক কথা বলেছেন। 

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন ‘গত ১৬ বছরে যে নির্যাতন হয়েছে, আপনারা মজলুম ছিলেন, আপনারা জালিম হবেন না। মজলুম জালিম হলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে সম্মান জানাই। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিতে চাই, আবার যারা ছাত্রলীগ হয়ে উঠতে চাইবে, শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেবে, তাদের পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।’

এছাড়াও কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের পুরো ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। তার পুরো বক্তব্যেও উক্ত দাবির কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। 

সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহ ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে ‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতারের তথ্যটি গুজব

0

সম্প্রতি, নিউ ইয়র্ক পুলিশের হাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিউ ইয়র্কে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের গ্রেফতারের দাবিটি সত্য নয়। কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়াই দাবিটি প্রচারিত হচ্ছে।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সাম্প্রতিক গ্রেফতারের তথ্য নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি। বরং গ্রেফতারের দাবি ছড়ানোর পরও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দুটি পোস্ট (,) প্রকাশিত হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দৈনিক ইত্তেফাকে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘নিউ ইয়র্ক পুলিশের হাতে ইলিয়াস হোসেন গ্রেপ্তার’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন সকালে স্টাটেন আইল্যান্ড এলাকা থেকে ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Screenshot: Ittefaq. 

পাশাপাশি, একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি যায়যায়দিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নিউ ইয়র্কের কুইন্স ফৌজদারি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জামিন দেন। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামলার বাদীকে হয়রানি, জবরদস্তি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে আদালতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং জামিনে মুক্ত হন।

অর্থাৎ, ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াস হোসেন গ্রেফতার হলেও এক দিনের ব্যবধানে তিনি জামিন পান।

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে এক বছর পর, ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পুনরায় গ্রেফতারের দাবি ছড়িয়ে পড়ে। রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরিতে ফেসবুকের “মেমোরিজ” ফিচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই ফিচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে পূর্ববর্তী বছরগুলোর ঘটনা ব্যবহারকারীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা না করেই নতুন করে শেয়ার করা হয়। ফলে পুরোনো তথ্য নতুনের মতো প্রচার পেয়ে বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। এর আগেও ফেসবুকের এই ফিচারের কারণে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতারের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা । 

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গ্রেফতার হওয়ার গুজব 

0

সম্প্রতি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছেন- শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম হোসেন জীবন নামের ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নন। তিনি রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি “কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামে অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন জীবন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা রয়েছেন। তিনি রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য।

একই দিনে কালবেলার ওয়েবসাইটে “কুড়িগ্রাম থেকে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেপ্তার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুড়িগ্রামে গ্রেফতার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে একজন রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন জীবন।

অর্থাৎ, গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম হোসেন জীবন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নন।

সুতরাং, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে মো. সাদ্দাম হোসেন জীবন নামেক এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার তথ্যকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গ্রেফতার হওয়ার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

আওয়ামী লীগের হরতালে কক্সবাজারে মিছিল দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

0

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও “অপশাসন-নির্যাতনের” প্রতিবাদে গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল। এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, এটি কক্সবাজার ঈদগাঁওয়ে হরতালকে সফল করার বার্তা নিয়ে রাজপথে আওয়ামী লীগ এর মিছিলে বাধাকে কেন্দ্র করে ভুয়া ভুয়া স্লোগানে পুলিশকে মিছিলকারী সমর্থকদের দ্বারা ধাওয়া দেওয়ার দৃশ্য।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয় বরং এটি অন্তত ছয় মাসের পূর্বের পুরোনো ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে থাকা ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে এতে Gcox TV এর লোগো লেখা যায়। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘Gcox TV / জি কক্স টিভি’ নামের কক্সবাজারের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, “ঈদগাঁওতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে টিকতে পারেনি আ’লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ”। 

অর্থাৎ ভিডিওটি অন্তত ৬ মাস আগের জুলাই আন্দোলনের সময়কালের ভিডিও, সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়। 

সুতরাং, অন্তত ৬ মাস পুরোনো একটি ভিডিও প্রচার করে ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বা সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Gcox TV / জি কক্স টিভি – Facebook Post

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা: যুক্তরাজ্যের ট্রাভেল পরামর্শ নিয়ে গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনে অসম্পূর্ণ তথ্যে ভীতি সৃষ্টি

0

‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য’ বিষয়ে সম্প্রতি কতিপয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে এমন গণমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক, আজকের পত্রিকা, বাংলাদেশ জার্নাল, এটিএন বাংলা ইত্যাদি। 

এটিএন বাংলা গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে এই বিষয়ের উপর একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দৈনিক যায়যায়দিন “বাংলাদেশে যে কোনো সময় বড় ধরনের স’ন্ত্রাসী হা’মলা শঙ্কা” শিরোনামে এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হাম’লার আশঙ্কা, সতর্ক করল যুক্তরাজ্য’ শিরোনামে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি বাংলাদেশে অবস্থানরত ও আগত ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের মতে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে হামলার ঝুঁকি রয়েছে।”

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য কত তারিখে এই সতর্কতা জারি করে সে বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, গত বছরের, (২০২৪) ০৩ ডিসেম্বর একই বিষয়ে ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের’ শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তারা, যেখানে সতর্কতা জারির ঘটনাটি ৩ ডিসেম্বর এর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান

অনুসন্ধানে বিদেশ ভ্রমণকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য ট্রাভেল এডভাইস প্রদানকারী যুক্তরাজ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক্স হ্যান্ডেল FCDO Travel Advice পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২০ বার উক্ত ওয়েবসাইট তাদের ট্রাভেল এডভাইস হালনাগাদ করেছে। এসব হালনাগাদে মূল নিদর্শনগুলো প্রায় একইরকম থাকতে দেখা গেছে, মূলত সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহগুলো হালনাগাদ করে প্রতিক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন, গত ৩ ডিসেম্বরের পর চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এবং ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তথ্য যুক্ত করে হালনাগাদ করা হয়েছে। ওয়েবপেজটি ৩১ জানুয়ারি সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর এর হালনাগাদকৃত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বিষয়ক সংবাদ সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে নানান আলোচনা সৃষ্টি হয়। এটির ভিত্তিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারও ঘটে।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর উক্ত অংশে মূল্যায়ন হালনাগাদ করে ‘Terrorists are likely to try to carry out attacks in Bangladesh.’ দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। উপরে উল্লিখিত এক্স হ্যান্ডেল পর্যালোচনা করে একই রকম মূল্যায়ন হালনাগাদ বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়ে আসছে বলে দেখা গেছে। 

যুক্তরাজ্যের সরকারি ওই ওয়েবসাইটে ফরেন ট্রাভেল এডভাইস শাখার বাংলাদেশ অংশের ‘সেফটি এন্ড সিকিউরিটি’ অংশের টেরোরিজম পার্টে ‘Terrorists are likely to try to carry out attacks in Bangladesh.’ উল্লেখ থাকায় এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা যুক্তরাজ্যের হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করে।

তবে সম্প্রতি দেখা গেছে কতিপয় গণমাধ্যম নতুন কোনো হালনাগাদ ছাড়াই একই বিষয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার বিষয়ক সংবাদ প্রকাশ করেছে। 

এদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে বাক্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার বিষয়ে সংবাদ গত ডিসেম্বরে এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত হয়েছে, সেই একই লেখা , অর্থাৎ, ‘Terrorists are likely to try to carry out attacks in Bangladesh.’ বাক্যটি আগেও উক্ত অংশে ছিল। অনুসন্ধানে ২০২৩ সালেও একই বাক্যটি উক্ত অংশে খুঁজে পাওয়া গেছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

আরো অনুসন্ধানে, এর পূর্বে ২০২২, ২০২১, ২০২০, ২০১৯ এবং অন্তত ২০১৮ সাল পর্যন্তও উক্ত ওয়েবসাইটের ‘টেররিজম’ অংশে “Terrorists are very likely to try to carry out attacks in Bangladesh.” এই বাক্যটির উল্লেখ পাওয়া গেছে।

অর্থাৎ, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত এই বিবৃতিটি আগেও ছিল (কিংবা আগে থেকেই ছিল)।

এছাড়া, শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, একই রকম বাক্যের উল্লেখ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, কুয়েত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং স্পেনের মতো দেশগুলোর জন্যও উল্লেখ রয়েছে বলে অনুসন্ধানে দেখা যায়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বর্তমানে ‘Terrorists are likely to try to carry out attacks’ উল্লেখ থাকলেও, ভারতসহ কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে এই অংশে ‘Terrorists are very likely to try to carry out attacks’ উল্লেখ রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

অনুসন্ধানে জানা গেল, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত যুক্তরাজ্যের ট্রাভেল এডভাইস আগেও ছিল এবং এটি সাম্প্রতিক নতুন কোনো সতর্কবার্তা নয়। অন্তত ২০১৮ সাল থেকে একই ধরনের বার্তা সেখানে উল্লেখ রয়েছে, তবে সংবাদ প্রতিবেদনগুলোতে এই প্রেক্ষাপট উল্লিখিত হয়নি। এছাড়া, বাংলাদেশের মতো অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও একই ধরনের সতর্কতা রয়েছে, কিন্তু এসব প্রতিবেদনে সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়নি। ফলে অনেকে এটি সম্প্রতি দেওয়া একদম কোনো নতুন সতর্কতা এবং এমন সতর্কতা কেবল বাংলাদেশের জন্যই দিয়েছে বলে মনে করতে পারে, যা বাস্তবতার চেয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যথাযথভাবে প্রেক্ষাপটের উল্লেখ এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ না থাকায় এই ধরনের অসম্পূর্ণ সংবাদ পরিবেশন বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। এই সংবাদগুলোর প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে ‘বাংলাদেশে যে কোন সময় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে’ শীর্ষক বিভিন্ন রকম পোস্ট, কমেন্টস হয়েছে, যেগুলোতে বিভ্রান্তি এবং ভীতি তৈরি হতে দেখা গেছে। যার ফলে রিউমর স্ক্যানার এই প্রতিবেদনগুলি বিভ্রান্তিকর হিসেবে মনে করে।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Analysis 
  • GOV. UK website 
  • FCDO Travel Advice X handle

আওয়ামী লীগের হরতাল উপলক্ষে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

0

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও “অপশাসন-নির্যাতনের” প্রতিবাদে গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল। এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “আগামীকাল সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল তার জন্য সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

প্রচারিত উক্ত ভিডিওটিতে মশাল প্রদর্শিত না হলেও উক্ত ভিডিওটি প্রচার করে কিছু পোস্টে ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, “আগামীকাল সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল তার জন্য সিলেট মশাল মিছিল।” এরূপ দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল উপলক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিলের কোনো দৃশ্যের নয় বরং প্রচারিত ভিডিওটি অন্তত ছয় মাসের পুরোনো।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির পক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘আদর চৌধুরী’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৪ সালের ৮ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, “৭/০৮/২৪ গোপালগঞ্জে আবার শুরু হয়ে গেছে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্দোলন…”। এই দাবিটির সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং অন্তত ৬ মাস পুরোনো।

সুতরাং, অন্তত ৬ মাস পুরোনো একটি ভিডিও প্রচার করে ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বা সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

হরতাল সমর্থনে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ঢাবিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের 

0

গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি ছিল আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল। এরই প্রেক্ষিতে, গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে “আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে মশাল মিছিল।” শীর্ষক একটি মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

ভিডিওতে থাকা জনতাকে বলতে শোনা যায়, “অবৈধ সরকার, মানিনা মানবো না। অবৈধ প্রজ্ঞাপন মানিনা মাববো না। শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই। শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে। ছাত্রলীগ লড়বে, শেখ হাসিনা আসবে।”

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে গতকাল রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল হলেও প্রচারিত ভিডিওটি গতকাল রাতের কোনো মিছিলের নয় বরং এটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের আন্দোলনের ভিডিও। যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন অডিও যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে অনলাইন গণমাধ্যম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২০ সেপ্টেম্বর “ঢাবিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনে মশাল মিছিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। 

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, এটি গত ২০ সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার আন্দোলনের মশাল মিছিলের ভিডিও।

তবে উক্ত মিছিলের ভিডিওতে, “অবৈধ সরকার, মানিনা মানবো না। অবৈধ প্রজ্ঞাপন মানিনা মাববো না। শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই। শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে। ছাত্রলীগ লড়বে, শেখ হাসিনা আসবে।” শীর্ষক স্লোগান শোনা যায়নি। 

অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত ২০ সেপ্টেম্বর “৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওতে ভিন্ন কর্মসূচির স্লোগানের অডিও যুক্ত করে ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতের মশাল মিছিলের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

তবে, প্রচারিত ভিডিওটি গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের কোনো দৃশ্যের না হলেও গতকাল রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে মশাল মিছিলের খবর  (,,) পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিরোধী মিছিল দাবিতে একই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার সেসময় এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সুতরাং, গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের  ভিডিও দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের আন্দোলনের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র