সম্প্রতি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছেন- শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম হোসেন জীবন নামের ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নন। তিনি রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি “কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামে অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন জীবন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা রয়েছেন। তিনি রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য।
একই দিনে কালবেলার ওয়েবসাইটে “কুড়িগ্রাম থেকে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেপ্তার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুড়িগ্রামে গ্রেফতার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে একজন রৌমারী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন জীবন।
অর্থাৎ, গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম হোসেন জীবন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নন।
সুতরাং, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে মো. সাদ্দাম হোসেন জীবন নামেক এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার তথ্যকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গ্রেফতার হওয়ার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।