পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে যত গুজব

গত ২৫ জুন শনিবার বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ গত ২৬ জুন রবিবার ভোর থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ চলাকালে নানা কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মূল ধারার গণমাধ্যম প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই সেতুটি। এই সময়টিতে সেতুকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ছড়িয়েছে একের পর এক গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য।

পদ্মা
Image source: Wikipedia/Nahian Bin Shafiq
উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগ পর্যন্ত পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে যে গুজবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে সেগুলো হলো-
  • সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগার গুজব।
  • সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে সেতুর পেরাপেট ওয়ালে লেখা “শেখ হাসিনা নিপাত যাক বাংলাদেশ মুক্তি পাক ২০২২” শীর্ষক মন্তব্যের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ ছবি তুলেছেন দাবিতে বিকৃত ছবি প্রচার।
  • সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন দাবিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার।
  • পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শীর্ষক দাবিতে ভুল তথ্য প্রচার।
  • পদ্মা সেতু নিয়ে শিল্পী পরান আহসানের গাওয়া একটি গানকে শিল্পী আসিফ আকবারের গাওয়া গান দাবিতে প্রচার।
  • উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার।
  • চীনের সংবাদমাধ্যমে যমুনা সেতুর ছবিকে পদ্মা সেতু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে উল্লেখ করে ভুল তথ্য প্রচার।
  • রাশিয়ার ক্রিমিয়ান সেতুর ছবিকে পদ্মা সেতুর ছবি দাবিতে প্রচার।
  • পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার।
  • বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পদ্মাসেতু ব্যবহার করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে দাবিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার।
  • আরব আমিরাতের অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর পুরোনো ভিডিওকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফ্লাইপাস্ট দাবিতে প্রচার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগার গুজব

পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সবচেয়ে আলোচিত গুজব ছিল সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে। উক্ত গুজবটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম ছড়ানো হলেও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই গুজব সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে ভয়াবহ বিস্তার লাভ করে। সে সময় এই গুজবকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বেশ কয়েকজন মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল তাসলিমা আক্তার রেনু হত্যাকাণ্ড। ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়ে তুবাকে ভর্তি বিষয়ে তথ্য জানতে গেলে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী তাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে এবং পুরো এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই মধ্যেই কয়েকশজন মানুষ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে গণপিটুনি দিয়ে রেনুকে হত্যা করে।

যেভাবে ছড়িয়েছিল সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগার গুজব?

২০১৫ সালের ০১ মার্চ নদীতে গরু ও খাসির রক্ত ঢেলে পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কর্মীরা। চৈনিক রীতি অনুযায়ী তাদের বিশ্বাস কোনো বড় কাজের শুরুতে পশু উৎসর্গের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং এড়ানো যায় বড় দুর্ঘটনা। সেই সময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত পশুর রক্তের ছবিগুলোই ২০১৯ সালে হঠাৎ করে মানুষের রক্ত দাবি করে পুনরায় ফেসবুকে প্রচার করে একটি চক্র। এরপরই সারাদেশে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে দাবিতে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতির পরিদর্শনের ছবি বিকৃত করে প্রচার:

২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ছোটবোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে যান। সেসময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বোনসহ পদ্মা সেতুর পেরাপেট ওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলেন। যা পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয়। সেসময় ঐ ছবিটিকে বিকৃতের মাধ্যমে পেরাপট ওয়ালে  “শেখ হাসিনা নিপাত যাক বাংলাদেশ মুক্তি পাক ২০২২” শীর্ষক মন্তব্য সংযুক্ত করে প্রচার হয়।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন দাবিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার:

গত ০৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত এবং আহত হয় প্রায় কয়েকশ মানুষ। উক্ত ঘটনার দুইদিন পর অর্থাৎ ০৬ জুন কোনোপ্রকার তথ্যপ্রমান ছাড়া ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে –

সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বরাদ্দের সাথে আরো কিছু টাকা যোগ করে ফায়ার সার্ভিসের জন্য ৪ টি ফায়ার ফাইটিং হেলিকপ্টার ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

সেসময় উক্ত বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার।

পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার:

গত ৫ জুন ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতো বিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’

তবে ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা,নিয়ে সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার।

পদ্মা সেতু নিয়ে শিল্পী পরান আহসানের গাওয়া গানকে শিল্পী আসিফ আকবারের গাওয়া গান দাবিতে প্রচার:

গত জুন মাসে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর পদ্মা সেতু নিয়ে গান গেয়েছেন দাবি করে শিল্পী পরান আহসানের গাওয়া একটি গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুই শিল্পীই ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেন। যা নিয়ে সেসময় রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

চীনের সংবাদমাধ্যমে যমুনা সেতুর ছবিকে পদ্মা সেতু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে উল্লেখ করে ভুল তথ্য প্রচার:

গত ১৪ জুন ‘Beautiful China’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে “Chinese engineering made longest bridge of Bangladesh ‘Padma Bridge’ ” শীর্ষক শিরোনামে যমুনা সেতুর একটি ছবি প্রচার করা হয়।

পরবর্তীতে একাধিক ফেসবুক প্রোফাইল থেকে থেকে উক্ত পোস্টটি শেয়ার দিয়ে দাবি করা হয় চীনের গণমাধ্যমে পদ্মা সেতু দাবিতে যমুনা সেতুর ছবি প্রচার করা হয়েছে।

সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতুতে ফেরীর ধাক্কা দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার:

গত ১৫ জুন একটি পুরোনো ভিডিওর সূত্র ধরে ‘উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতুতে আরেক দফা সেতুর ধাক্কা’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২৩ জুলাই পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম আরটিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সেসময় প্রচারিত ভিডিওটি গত ১৫ জুন “বারবার ফেরির ধাক্কা সত্ত্বেও সগৌরবে দাঁড়িয়ে পদ্মাসেতু, অপেক্ষা উদ্বোধনের” শীর্ষক শিরোনামে পুনরায় প্রচারিত হয়। যার ফলে উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা শীর্ষক দাবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

সেসময় প্রচারিত দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার।

রাশিয়ার ক্রিমিয়ান সেতুর ছবিকে পদ্মা সেতুর ছবি দাবিতে প্রচার:

গত ২৪ জুন পদ্মা সেতুর ছবি দাবি করে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত।

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি পদ্মা সেতুর ছবি নয় বরং ছবিটি রাশিয়ার ক্রিমিয়ান সেতুর।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এখানে

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অক্সিজেনের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সে শিশু মৃত্যুর দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার:

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাওয়া-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে অক্সিজেনের অভাবে এক শিশু মৃত্যুর হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনের নয় বরং ভিডিওটি ২০২১ সালের মে মাসে করোনার কারণল বিধিনিষেধ চলাকালীন ফেরী চলাচল বন্ধের সময়কার।

উক্ত বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে

বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পদ্মাসেতু ব্যবহার করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে দাবিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার:

গত ২৫ জুন “বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পদ্মাসেতু ব্যবহার করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে” শীর্ষক একটি মন্তব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কর্তৃক করা হয়েছে দাবি করে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি সংশ্লিষ্ট কোনো দায়িত্বশীল নেতা পদ্মা সেতু ব্যবহার করা নিয়ে এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফয়াক্টচেক প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

আরব আমিরাতে অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর পুরোনো ভিডিওকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফ্লাইপাস্ট দাবিতে প্রচার:

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফ্লায়িং ডিসপ্লে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফ্লাইপাস্টের ভিডিওটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর নয় বরং ভিডিওটি আরব আমিরাতের অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর পুরোনো ভিডিও।

উক্ত বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময় হতে উদ্বোধনের সময় পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে নানা ধরণের গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য। তার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগার গুজবে বেশ কয়েকজন প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছিল। শুধু পদ্মা সেতু নয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কিংবা স্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে মারাত্মক ক্ষতির কারণও হয়েছে। তাই এসব স্পর্শকাতর বিষয়ে যেকোনো তথ্য প্রচারের আগে যাচাই করা একান্ত জরুরি।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img