Home Blog Page 859

Fact Check: অন্তঃসত্ত্বা এই অ্যাথলেট কি ৪০০ মিটার দৌড়ে জয়ী হয়েছেন?

0

সম্প্রতি, “৫ মাসের প্রেগন্যান্ট হয়েও ৪০০ মিটার দৌড়ে জিতেছেন,মানুষের ইচ্ছাশক্তিই মূখ্য বিষয়।” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দাবীটিতে মোট ৩ টি ভুল তথ্য খুঁজে পেয়েছে:

  1. প্রথমত নারীটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দৌড়ে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হননি বরং সর্বশেষ হয়েছিলেন।
  2. তিনি ৫ মাসের নয়, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
  3. সর্বশেষ তিনি ৪০০ মিটার নয় বরং ৮০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহারে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা নারীর সেই দৌড়ের ছবিটি ২০১৪ সালের ২৬ জুন এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফটোগ্রাফার রিচ পেড্রোনসেলি তুলেছিলেন এবং ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “২০১৪ সালের ২৬ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অনুষ্ঠিত আমেরিকার আউটডোর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে ৮০০ মিটার দৌড়ের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অ্যালিসিয়া মন্টানা প্রতিযোগিতা করেন।’’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির ২০১৪ সালের ২৭ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ও পাঁচ বারের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন এই অ্যাথলেট ইউএসএ আউটডোর ট্র্যাক এবং ফিল্ড (ইউএসএটিএফ) চ্যাম্পিয়নশীপে সবার শেষে দৌড় শেষ করেন।

উক্ত বিষয়ে অ্যালিসিয়া মন্টানা মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস লস অ্যাঞ্জেলসকে জানিয়েছিলেনসে এবং তার স্বামী দু’জন মিলেই সে বছর বিরতির ফাঁকে সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কারণ পরবর্তীতে তিনি বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে চান”। তিনি আরও জানান ‘গর্ভধারণ এবং এসময় অনুশীলন করা নিয়ে গোঁড়ামি ও অজ্ঞতা আছে। কিন্তু সত্য হলো এসময় অনুশীলন মা ও শিশু দু’জনের জন্যই উপকারী’

উল্লেখ্য, অ্যালিসিয়ার গর্ভাবস্থায় দৌড়ে অংশগ্রহণ করার মূল কারণ ছিলো, গর্ভধারণ করেও নারীরা ফিট থাকতে পারে এবং একইসাথে ক্যারিয়ার ও পরিবার সামলাতে পারে এটি বোঝানো।

তাছাড়া ২০১৯ সালে ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকির বিরুদ্ধে সন্তান নেয়ার জন্য যেসব নারী অ্যাথলেট বিরতি নেন তাদের প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সমালোচনা করে অ্যালিসিয়া নিউইয়র্ক টাইমসে লিখেন, ‘কোন অ্যাথলেটি যদি ব্রান্ডের কোন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটি সেই অ্যাথলেটের স্পন্সরশীপে অর্থ যোগান কমিয়ে দেয়, এমনকি সন্তান জন্মদান, গর্ভধারণ অথবা মাতৃত্বকালীন ক্ষেত্রেও এটি ঘটে।’

পরবর্তীতে, ২০১৯ সালের আগস্টে নাইকি থেকে গর্ভধারণকালীন সময়ে ১৮ মাসের জন্য অ্যাথলেটদের বেতন-বোনাস দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।

অর্থাৎ, অ্যালিসিয়া মন্টানার ২০১৪ সালের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ছবিটিকে বর্তমানে মিথ্যা শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ৫ মাসের প্রেগন্যান্ট হয়েও ৪০০ মিটার দৌড়ে জিতেছেন,মানুষের ইচ্ছাশক্তিই মূখ্য বিষয়
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি কি মূল্যবান বস্তুতে পরিণত হয়?

0

বজ্রপাতে নিহত হলে সেই লাশ প্রাকৃতিক চুম্বক বা মূল্যবান বস্তুতে পরিণত হয় এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম-মফস্বল অঞ্চলের লোকজনের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া বজ্রপাত হলে লাশ চুম্বক হয়ে যায় এমন ধারণাও পোষণ করেন অনেকে। ফলে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ চুরির প্রবণতা থাকে এমনকি কবর খুঁড়ে লাশের কঙ্কাল চুরি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে করে বজ্রপাতে নিহত হলেই সংশ্লিষ্ট পরিবার এবং এলাকার মধ্যে লাশ চুরি হওয়া নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করে।

বিভিন্ন সময়ে লাশ চুরি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নমুনা

১. ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া গ্রামে হাফিজুর রহমান নামে একজন ব্যক্তি বজ্রপাতে নিহত হওয়ার পর মৃতদেহ বাড়ির বাইরে দাফন করলে চুরি হয়ে যাবে বলে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি নিজ বাড়ির একটি ঘরের মেঝেতে দাফন করে কবর পাকা করে দেন।

২. ২০১৮ সালের মে মাসে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত যুবক মতিন মণ্ডলকে কবর দেওয়ার পর লাশ চুরি হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় রাত জেগে কবর পাহারা দেয় তার পরিবারের স্বজন ও আশে-পাশের অন্যরা। তাদের মধ্যে এতটাই আতঙ্ক তৈরি হয় যে পরদিনই তারা কবরটি সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে ফেলে।

৩. ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম বজ্রপাতে মারা যায়। আরেকটা ধারনা প্রচলিত রয়েছে যে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশের মাথা কবিরাজী শাস্ত্রে অনেক মূল্যবান তাই আরিফুলের লাশ চুরি হওয়ার আশঙ্কায় কবরের পাশে তাঁবু টাঙিয়ে রাত দিন পাহারা দেন নিহতের পরিবার। সেসময়ে লাশ চুরি ঠেকাতে এভাবে তিন মাস পাহারা দিবেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারটি।

৪. ২০২১ সালের ০৪ ই আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চরপাঁকার তেলিখাড়ি ঘাটে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে কারও মৃত্যু হলে সেই মরদেহ মূল্যবান কোনো বস্তুতে পরিণত হয়। এমন ধারণা থেকে দেশে প্রায় সময়েই বজ্রপাতে নিহতদের লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেই আশঙ্কা থেকেই গ্রামবাসী নিহতদের লাশ চুরি ঠেকাতে দ্রুতই রড সিমেন্ট দিয়ে কবর বাঁধাই করে দেয়।

অনুসন্ধান

রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারে, বজ্রপাতে নিহত লাশের প্রাকৃতিক চুম্বক বা মূল্যবান বস্তুতে পরিণত হওয়ার দাবীটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

বিষয়টি নিয়ে ০৯ মে ২০১৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বিবিসি নিউজ বাংলার এক প্রতিবেদনে বলেছেনঃ

“এর পেছনে কারণ একধরনের মিথ্যা বিশ্বাস। অনেকেই মনে করেন, বজ্রপাতে নিহত মানুষের শরীরে মূল্যবান জিনিস তৈরি হয়। তারা হয়তো ধারণা করে লোহার ভেতর দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি পাস হলে (প্রবাহিত হলে) যেভাবে লোহা চুম্বক হয়ে যায়, এক্ষেত্রেও সেরকম কোনকিছু হয়। কিন্তু এটা তো পুরোটাই অন্ধবিশ্বাস। গ্রাম্য অনেক কবিরাজ বা ওঝা’র ঝাড়ফুঁক কাজের জন্য এই ধরনের মৃতদেহের হাড়-গোড় দরকার মনে করে আর সে ধরনের কুসংস্কার থেকেও এই মৃতদেহ চুরির ধারণাটি চলে আসছে বলে অনেকেই মনে করেন। আসলে ইলেকট্রিক শক খেয়ে মানুষের মৃত্যু হলে মৃতদেহ যেমন হয় বজ্রপাতে মৃত মানুষের মৃতদেহ ঠিক একইরকম হয়। কোনও পার্থক্য থাকেনা।”

এছাড়া ২০২০ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় তৎকালীন কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন:

“বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির কঙ্কালে কোনো মূল্যবান জিনিস থাকতে পারে না। এটা কুসংস্কার ও অযৌক্তিক। বজ্রপাতের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির কঙ্কালের কোনো সম্পর্ক নেই।”

বজ্রপাত হলে শরীরে কী হয়?

এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কাউছার আহম্মেদ পাটওয়ারী রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন:

“বজ্রপাতের ফলে মানুষের শরীরে অতিমাত্রায় তড়িৎ প্রবাহ হয় বলেই মানুষ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। বজ্রপাতে মৃতদের দেহ চুম্বকত্বে আবিষ্ট (মূল্যবান ম্যাগনেটে রুপান্তরিত) হয় এটা আমাদের সমাজের প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তড়িৎ প্রবাহের ফলে চৌম্বকে পরিণত হয় এমন কোন পদার্থ বা পদার্থের উচ্চ ঘনত্ব বিশিষ্ট কোন অঙ্গ মানুষের শরীরে/মানবদেহে নেই যার কারণে বজ্রপাতের ফলে সৃষ্ট তড়িৎ প্রবাহের দরুন মানুষের মৃত্যু হলেও মানবদেহ চুম্বকত্বে আবিষ্ট হবে বা মূল্যবান ম্যাগনেটে রুপান্তরিত হবে। বৈদ্যুতিক শকে মৃত ব্যক্তির দেহের মতই বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তির দেহের পরিবর্তনে সাদৃশ্য রয়েছে।”

তাছাড়া রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ ৮ জুন ২০২১ তারিখে বিবিসি নিউজ বাংলার প্রতিবেদনে বলেনঃ

“বজ্রপাত থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় সেটি আল্ট্রা হাই-ভোল্টেজ। বজ্রপাত দুই ধরণের হয়। কোন ব্যক্তির উপর সরাসরি পড়তে পারে অথবা একটি বড় এলাকা জুড়ে বজ্রপাত হতে পারে। কোন ব্যক্তির উপর সরাসরি বজ্রপাত হলে সে সাথে সাথে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। বজ্রপাতে ভোল্টেজ এতো বেশি যে সেটা ১০ হাজার থেকে মিলিয়ন পর্যন্ত চলে যায়। যদি আশপাশের কোন গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, টাওয়ার কিংবা উঁচু ভবনের উপর বজ্রপাত হয় তখন সেখান থেকে আল্ট্রা লো-ডিউরেশন বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়। আশপাশে যদি কেউ থাকে তখন তার শরীরে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ প্রবেশ করে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। বজ্রপাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই তৎক্ষণাৎ মারা যায়। আহত হয়ে অল্প কিছু মানুষ বেঁচে যায়।”

বজ্রপাত কী?

ভূ-পৃষ্ঠের পানি যখন বাষ্প হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন মেঘের নিচের দিকে ভারী অংশের সাথে জলীয়বাষ্পের সংঘর্ষ হয়। এর ফলে অনেক জলকণা ইলেকট্রন ত্যাগ কৃত হয়ে ধনাত্মক চার্জ এ পরিণত হয় এবং অনেক জলকণা সে ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক চার্জে পরিণত হয়।

ডিসচার্জ প্রক্রিয়া ৩ ভাবে হয়ে থাকে। যথা –

  • একই মেঘের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যে।
  • একটি মেঘের ধনাত্মক চার্জ এর সাথে অন্য মেঘের ঋণাত্মক, আবার অন্য মেঘের ধনাত্মক চার্জ এর সাথে ওই মেঘের ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যে।
  • মেঘের পজেটিভ আধানের ও ভূমির মধ্যে (একে ক্লাউড টু গ্রাউন্ড ডিসচার্জিং বলে)।

এ চার্জিত জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হলে মেঘে বিপুল পরিমাণ স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয়। এ সময় অপেক্ষাকৃত হালকা ধনাত্মক আধান মেঘের উপরে এবং অপেক্ষাকৃত ভারী ঋণাত্মক চার্জ নিচে অবস্থান করে। মেঘে এই ২ বিপরীত চার্জের পরিমাণ যথেষ্ট হলে ডিসচার্জ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডিসচার্জিং এর ফলে বাতাসের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক স্পার্ক প্রবাহিত হয়। এ বৈদ্যুতিক স্পার্ক এর প্রবাহই ‘বজ্রপাত’। কিন্তু সব বজ্র ভূপৃষ্ঠে পড়ে না। শুধু ক্লাউড টু গ্রাউন্ড ডিসচার্জিং এর ফলে সৃষ্ট বজ্রই ভূপৃষ্ঠে পড়ে।

অর্থাৎ, বজ্রপাতে নিহত হলে নিহতের লাশ মূল্যবান বস্তু বা প্রাকৃতিক চৌম্বকে পরিণত হয় এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং মেডিক্যাল সাইন্সে এর কোন ভিত্তি নেই।

টিকার দুই ডোজ নিয়ে ৪০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়

0

সম্প্রতি ‘টিকার দুই ডোজ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উভয় ডোজ টিকা নেয়া সত্ত্বেও ৪০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্যটি ভারতের কেরালা রাজ্যের, বাংলাদেশের নয়।

মূলত, ১১ আগস্ট বুধবার ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় করোনাভাইরাসের টিকার উভয় ডোজ সম্পূর্ণ করার পরও ৪০ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে সংবাদ প্রচারিত হয়।

পরবর্তীতে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে সূত্র ধরে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রচার করেছে। তবে বাংলাদেশের বেশকিছু ফেসবুক আইডি ও পেজে ভারত শব্দটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিরোনামের লেখাটি পোস্ট করার কারণে ঘটনাটি বাংলাদেশের মনে করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।

টিকা নেয়ার পরও কি করোনা হতে পারে?

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত ফ্যাক্ট-চেকার এবং সাংবাদিকদের একটি ফোরাম Health Desk এ গত ৮ জুলাই ২০২১ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলি মানুষকে গুরুতর রোগ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। ভ্যাকসিন অসুস্থতা প্রতিরোধে ১০০% কার্যকর নয়। ভ্যাকসিন নেয়া অনেক মানুষ মনে করেন তারা একদম অনাক্রম্য। কিন্তু এতে Breakthrough infection বা সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন ডোজ দেয়ার পরেও সংক্রমণ ঘটতে পারে এমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

সেখানে আরো বলা হয়েছে, সিডিসির (Centers for Disease Control and Prevention) নির্দেশিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিনেশনের সম্পূর্ণ কোর্সের ২ সপ্তাহ পরে শরীরে সুরক্ষা অনাক্রম্যতা তৈরি করে যা কমপক্ষে কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে এবং এই সুরক্ষা গুরুতর রোগ এবং মৃত্যু প্রতিরোধ সাহায্য করে।

এছাড়াও, সিডিসির গত ২ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬৪ মিলিয়নের বেশি সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড লোকের মধ্যে মাত্র ৭,৫২৫ জন Breakthrough infection (Breakthrough infection বা সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন ডোজ দেয়ার পরেও সংক্রমণ) এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং কিছু সংখ্যক লোক মারা গেছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

সিডিসির সিনিয়র পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার টম স্কিনার ২৩ জুলাই ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা এএফপিকে বলেনঃ

কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর এবং গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে আরও বেশি কার্যকর। কিন্তু কোন ভ্যাকসিনই শতভাগ কার্যকর নয়।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থাৎ, উভয় ডোজ টিকা নেয়ার পরও রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে এটি গুরুতর অসুস্থ কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনাঃ

সর্বোপরি, পোস্টে ব্যবহৃত শিরোনামের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়ায় রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

রিয়াজ আহমেদ নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেনঃ

ব্রেকিং নিউজ
টিকার দুই ডোজ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার।
আর হ্যা এটাই হলো আমার বাংলাদেশ!!! 🙂
প্রিয়দর্শিনী পিউ নামের একজন লিখেছেনঃ
এটাই বাংলাদেশ আর এটাই সাইন্স🤣
যে টিকা নিয়ে কোনো লাভ নেই,সেই টিকা এতো যুদ্ধ করে নেওয়ার দরকার কি💔
খুরশেদুল সুমন নামের একজন লিখেছেনঃ
যারা করোনা টিকা নেওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি করছে, তাদের এই নিউজটা দেখার দরকার আছে

সুতরাং, “টিকার দুই ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: টিকার দুই ডোজ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: প্যারিস স্টেডিয়ামের পাশে সমর্থকদের উল্লাসের ভিডিওটি পুরোনো

সম্প্রতি, “লিওনেল মেসিকে পেয়ে আজ প্যারিসে আনন্দ উল্লাসের ঝড় বইছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির আগমনে পিএসজি সমর্থকদের উল্লাসের নয় বরং গতবছরে একটি ফুটবল ম্যাচ জয়ের পর পিএসজি সমর্থকদের আনন্দ উল্লাসের ভিডিও এটি।

মূলত, ২০২০ সালের ১২ মার্চ চ্যাম্পিয়ন লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের ২য় লীগের ম্যাচে ঘরের মাঠে বরশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে পিএসজি

উক্ত ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে দুই লীগ মিলে ৩-২ সমষ্টিগতভাবে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সেদিন পিএসজির মাঠ “পার্ক দেস ফ্রান্সের” সামনে হাজারো পিএসজি সমর্থক আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

উল্লেখ্য, ফুটবল ক্লাব পিএসজিতে যোগ দিতে মেসির প্যারিস আগমনের ফলে স্টেডিয়ামটি চারদিকে কয়েক হাজার সমর্থকের গতকালের উল্লাসের বিভিন্ন ভিডিও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

অর্থাৎ, গতবছরের ভিন্ন ঘটনার আনন্দ উল্লাসের ভিডিওটিকে বর্তমানে মেসির আগমনে পিএসজি সমর্থকদের উল্লাস দাবীতে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লিওনেল মেসিকে পেয়ে আজ প্যারিসে আনন্দ উল্লাসের ঝড় বইছে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি “যেখানে গত কয়েকদিন আগে পিএসজির ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার ছিলো মাত্র ১৯.৮ মিলিয়ন সেখানে মেসি টু পিএসজি ইফেক্টের কারনে কয়েকদিনে তা ২ গুন হয়ে ৪০.২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।” শীর্ষক শিরোনামে একটি স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেসির আগমনের কয়েকদিন পূর্বে পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা ১৯.৮ মিলিয়ন নয় বরং প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ছিলো।

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম সোশ্যাল ব্লেডের তথ্য ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ০৬ আগস্ট পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮ মিলিয়ন। তবে শুধুমাত্র গত ০৩ দিনে পিএসজির ইন্সটাগ্রাম আইডিতে প্রায় ৪ মিলিওন নতুন ফলোয়ার যুক্ত হয়েছে এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

গত ২৯ জুলাই জনপ্রিয় স্পোর্টসভিত্তিক ওয়েবসাইট Sports Keda কর্তৃক “10 football clubs with the most followers on Instagram” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৩৭.২ মিলিয়ন।

উল্লেখ্য, পিএসজির ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ১৯.৮ মিলিয়ন ফলোয়ার সম্পন্ন হয়েছিলো।

২০১৯ সালের মার্চ মাসের পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার / সুত্রঃ ইন্সটাগ্রাম অ্যানালিটিকেল ডাটা

এছাড়া গত ৬ই আগস্ট পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩৮ মিলিয়ন এবং রিউমর স্ক্যানারের এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত বর্তমানে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৪২.৬ মিলিয়ন। অর্থাৎ গত ০৬ দিনেই প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন ফলোয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২১ সালের আগষ্ট মাসের পিএসজির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার / সুত্রঃ ইন্সটাগ্রাম অ্যানালিটিকেল ডাটা

প্রসঙ্গত, গতকাল ফরাসী ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি।

অর্থাৎ, মেসির যোগদানের পূর্বে পিএসজি’র ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা ১৯.৮ মিলিয়ন ছিলো শীর্ষক তথ্য ও স্ক্রিনশটটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পিএসজির ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার ছিলো মাত্র ১৯.৮ মিলিয়ন সেখানে মেসি টু পিএসজি ইফেক্টের কারনে কয়েকদিনে তা ২ গুন হয়ে ৪০.২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: ভিডিওটি প্যারিস বিমানবন্দরে পিএসজি সমর্থকদের জনসমাগমের নয়

0

সম্প্রতি “মেসি এখন প্যারিসের উদ্দেশ্যে প্লেনে অবস্থান করছেন, সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে বরণ করে নিতে পুরো প্যারিসে এমন আনন্দ মিছিল চলছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্যারিস বিমানবন্দর

প্যারিস বিমানবন্দর

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জনসমাগমের ভিডিওটি প্যারিস বিমানবন্দরের নয় বরং এটি NBA Championship 2021 এর ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ঘটা জনসমাগমের ভিডিও।

ভিডিও সার্চিং প্রযুক্তির সহায়তায় দেখা যায়, মূল ভিডিওটি গত ২১ জুলাই NBA এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিলো।

গত ২১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের Milwaukee শহরে The National Basketball Association (NBA) চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২১ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ফাইনালে Milwaukee bucks এবং Phoneix Suns প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।

প্যারিস বিমানবন্দর

মূলত NBA চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালকে (Game-6) ঘিরেই দুই দলের বিপুল সমর্থক জড়ো হওয়ার ফলে ব্যাপক জনসমাগমের সৃষ্টি হয় সেখানে।

 

প্যারিস বিমানবন্দর
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

প্যারিস বিমানবন্দর

তাছাড়া, ভিডিওতে একটি সাইন বোর্ডে The Mecca Sports Bar & Gril লেখা দেখা যায়। গুগল স্ট্রিট ভিউ এর সহায়তায় রেস্টুরেন্টটির অবস্থানও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

প্যারিস বিমানবন্দর

উল্লেখ্য, লিওনেল মেসি গতকাল বার্সেলোনা থেকে প্যারিসে অবতরণ করেছেন এবং মেসির আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় সমর্থকদের ব্যাপক জনসমাগমের সৃষ্টি হয়েছিলো।

অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের Milwaukee শহরে NBA Championship এর ফাইনালকে ঘিরে হওয়া জনসমাগমের ভিডিওটিকে বর্তমানে লিওনেল মেসির প্যারিস আগমনে এয়ারপোর্টে উপস্থিত পিএসজি সমর্থকদের সমাগম দাবীতে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: প্যারিসে মেসির জন্য অপেক্ষায় হাজারো ভক্তরা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নামে প্রচারিত পরামর্শ পত্রটি ভুয়া

সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার পরামর্শ দাবী করে লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য বিধি পালনে করণীয় শীর্ষক একটি লেখা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডা. সেব্রিনার পরামর্শ দাবী করে যে লেখাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি তার পরামর্শ নয়। পূর্বেও এই লেখাটি তার পরামর্শ দাবী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক বার প্রচারিত হয়েছিল।

মূলত, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশে লকডাউন চলাকালীন সময়ে ডা. সেব্রিনার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে কিছু ভুয়া আইডি-পেজ তৈরি করে এই লেখাটি প্রচার করা হয় এবং সেই সময় লেখাটি দ্রুত ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩১ মে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি জানান:

“তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বেশ কিছু নকল আইডি খোলা হয়েছে, যেগুলোতে তার ছবি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তিনি, ফেসবুকের মাধ্যমে কখনও এ ধরনের প্রচার–প্রচারণা চালান না। এর মাধ্যমে কেউ প্রতারিত হলে তার দায়-দায়িত্ব তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান বহন করবেন না।”

IEDCR এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি – ডিবিসি নিউজ

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির কথা তখন জাতীয় দৈনিক যুগান্তর, বাংলা নিউজ ২৪, বিডি নিউজ ২৪ সহ ডিবিসি নিউজ অনলাইন পোর্টালে এসেছিলো।

এছাড়াও, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘Dhakatimes24’ সহ একাধিক ভূঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভুয়া তথ্যটিকে কেন্দ্র করে গত বছর সংবাদ প্রকাশ করেছিল।

উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালীন এ বছরের এপ্রিল মাসেও লেখাটি পুনরায় ফেসবুকে ছড়ানো হয় এবং সর্বশেষ বিগত কয়েকদিন যাবত লেখাটি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার পরামর্শ দাবী করে ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য বিধি পালনে করণীয় শীর্ষক লেখাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রীনা ফ্লোরার লিখা লকডাউন পরবর্তী সময়ের স্বাস্থ্য বিধি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: ফটোগ্রাফারের কান্নার ছবিটি মেসির প্রেস কনফারেন্সের নয়

0

সম্প্রতি, আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির বার্সেলোনা থেকে বিদায়ী প্রেস কনফারেন্সে কান্নার মুহূর্তে ধারণ করা একটি ছবির সঙ্গে একজন ফটোগ্রাফারের কান্নার ছবি সংযুক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফটোগ্রাফারের কান্নার ছবিটি মেসির আজকের প্রেস কনফারেন্সের নয় বরং ছবিটি ২০১৯ সালে ধারণ করা একজন ইরাকি ফটোগ্রাফারের।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত AFC Asian Cup এর অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে ছবিটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত AFC Asian Cup এর “Round Of 16” ম্যাচে কাতারের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরাক এবং তখন মাঠে অবস্থানরত ইরাকি ফটোগ্রাফার Mohammeed al-Azzawi নিজ ক্যামেরা সহ কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরবর্তীতে ছবিটি দ্রুতই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া, ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত RT Online নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে Mohammed al-Azzawi এর ভাইরাল ছবিটির বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা থেকে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে আজ কান্নায় ভেঙে পড়েন লিওনেল মেসি।

অর্থাৎ, ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা থেকে মেসির বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনের কান্নার ছবির সাথে একজন ফটোগ্রাফারের পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার একটি ছবি সংযুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনাঃ

সর্বোপরি, পোস্টে ব্যবহৃত শিরোনাম এবং এডিট করা ছবি ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ায় রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টিকে গুজব হিসেবে শনাক্ত করেছে।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: শুধু মেসি কাঁদে না ফটোগ্রাফার ও কাঁদে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: গানটির শিল্পী ইরফান মাক্কি, মাইকেল জ্যাকসন নয়

সম্প্রতি “মাইকেল জ্যাকসনের বিখ্যাত গান যেটা ইহুদীরা প্রকাশ হতে দেয়নি” শীর্ষক শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে

মাইকেল জ্যাকসন

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় ভিডিওতে থাকা গানটি মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া নয় বরং গানটির মূল শিল্পী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান শিল্পী ও গীতিকার ইরফান মাক্কি।

মূলত, গানটির লিরিক্স এবং অডিও সার্চের মাধ্যমে দেখা যায় ২০১২ সালের ৩০ জুলাই Awakening Music নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে “Irfan Makki – Waiting For The Call” শিরোনামে মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।

ভিডিওটির বর্ণনায় দেখা যায় গানটি ২০১১ সালে ইরফান মাক্কির “I Belive” নামের মিউজিক অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছিল এবং “Waiting For The Call” গানটিকে এই অ্যালবামের প্রথম অবস্থানে পাওয়া যায়।

মাইকেল জ্যাকসন

 

মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া বিখ্যাত গান দাবীতে যে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি মূলত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে S M Mostafizur Rahman নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে “O Allah i am waiting for the call.” শিরোনামে আপলোড করা হয়। তবে ইউটিউব ভিডিওটির বর্ণনায় ইরফান মাক্কির কথাই উল্লেখ ছিলো সেখানে।

মাইকেল জ্যাকসন

অর্থাৎ, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান শিল্পী ও গীতিকার ইরফান মাক্কির গাওয়া “Waiting For The Call” গানটিকে মাইকেল জ্যাকসনের বিখ্যাত গান যেটা ইহুদীরা প্রকাশ হতে দেয়নি শীর্ষক শিরোনামে ছড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মাইকেল জ্যাকসনের বিখ্যাত গান যেটা ইহুদীরা প্রকাশ হতে দেয়নি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুর সংবাদটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত মারা গেছেন” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুর সংবাদটি ভিত্তিহীন ও ভুয়া এবং তিনি পূর্বের থেকে বর্তমানে বেশ সুস্থ আছেন বলে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার ভাই বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন নিশ্চিত করেছেন।

মূলত সূত্র বিহীন কিছু ফেসবুক পোস্ট হতে কপি-পেস্টের মাধ্যমেই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুর গুজবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ৮৭ বছর বয়সী আব্দুল মুহিতের নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ জুলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং এরপর থেকে রাজধানীর বনানীর বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এই অবস্থায় ২৮ জুলাই বিকেলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়, পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষা করালে তার ফলও পজিটিভ এসেছে।

তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে আগের থেকে ভালো জানিয়ে বুধবার রাত্রে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

অর্থাৎ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুর সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত মারা গেছেন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]