Home Blog Page 860

Fact Check: ভিডিওটি জার্মানিতে ক্যান্সার আক্রান্ত বাচ্চার ইচ্ছেপূরণের নয়

0

সম্প্রতি “জার্মানিতে ৬ বছরের বাচ্চা ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তার শেষ ইচ্ছা ছিল কিছু বাইকার যেন তার বাসার সামনে দিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং মোটামুটি ২০-৩০ জন বাইকারের আশা করে। বিষয়টি প্রকাশের কিছু সময় পর জার্মানির প্রায় ১৫ হাজার বাইকার তার বাসার সামনে আসে। তার ইচ্ছা পূরণ করে।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও এবং ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

ফ্যাক্টচেকঃ রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি জার্মানির নয় বরং অস্ট্রেলিয়াতে ৪ বছর পূর্বে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক শিশুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ১০০ জন বাইকার উপস্থিত হয়েছিলো। এবং অন্য ভাইরাল ছবিটি গতবছরে জার্মানিতে ঘটা একটি বিক্ষোভের ঘটনার। তবে এটা সত্য যে, গত সপ্তাহে জার্মানির Rhauderfehn, East Frisia নামক স্থানে ৬ বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত বালক Kilian কে খুশি করতে ১০ হাজারের বেশি বাইকার উপস্থিত হয়েছিলো।

মূলত যে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে জার্মানিতে ক্যান্সার আক্রান্ত ৬ বছরের শিশুর ইচ্ছাপূরণের বিষয়টি দাবী করা হচ্ছে সেটি মূলত ৪ বছর পূর্বে অস্ট্রেলিয়ায় ঘটা একটি ঘটনার যেখানে ১৩ বছর বয়সী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অস্ট্রেলিয়ান বালক Zane Evan কে ২০১৭ সালের জুন মাসে তার মা জন্মদিনের সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য ফেসবুকে কিছু বাইকারদের নিমন্ত্রণ জানান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ১০০ জন বাইকার সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায়।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

এছাড়াও, বাইকারদের যে ছবিটিকে কেন্দ্র করে একই দাবী করা হচ্ছে সেটি মূলত ২০২০ সালের জুলাই মাসের জার্মানির ঘটনার যেখানে জার্মানিতে রবিবার সহ অন্যান্য ছুটির দিন গুলোতে বাইক চালানো ব্যান করায় এর প্রতিবাদ হিসেবে কয়েক হাজার বাইকার জার্মানির বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

উপরোক্ত দুইটি ঘটনা নিয়েই তৎকালীন সময়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গুজবের উৎপত্তিঃ

গত ২৫ জুলাই ২০২১ সালে, Goodable নামক একটি টুইটার একাউন্ট থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত বাচ্চার ইচ্ছে পূরণের ঘটনা শিরোনামে জার্মানির বাইকারদের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় এবং ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ২১ লক্ষবার দেখা হয়েছে। টুইটের ঘটনাটি সত্য হলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে বিষয়টি ভিন্ন ঘটনার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে শেয়ার করা হচ্ছে ।

উল্লেখ্য, জার্মানির ৬ বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত মোটরসাইকেল ভক্ত Kilian কে খুশি করতে জার্মানির Rhauderfehn, East Frisia নামক স্থানে ১০ হাজারের বেশি বাইকার উপস্থিত হয়েছিলো।

অর্থাৎ, পুরোনো দুইটি ঘটনার সংমিশ্রণে অস্ট্রেলিয়ার ১০০ জন বাইকারের উপস্থিতির ভিডিওটিকে ১৫ হাজার বাইকারের এবং জার্মানির ঘটনা দাবী করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: জার্মানিতে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর ইচ্ছা পূরণে ১৫ হাজার বাইকারের আগমন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: লকডাউনে জনদূর্ভোগ প্রকাশে ভাইরাল ছবিটি তিন বছর পুরোনো

0

সম্প্রতি “দাসের দল নগরে ফিরছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, লকডাউনে জনদূর্ভোগ প্রকাশে ভাইরাল এই ছবিটি গতকালের নয় বরং ছবিটি বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ছড়ানোরও প্রায় দেড় বছর পূর্বে তোলা হয়েছিলো।

মূলত, লকডাউনে গতকালের জনদূর্ভোগ বোঝাতে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি ১৫ জুন ২০১৮ সালে বগুড়ার TMSS হেডকোয়াটারের সামনের একটি ওভারব্রিজ থেকে ধারণ করা হয়েছিলো এবং ছবিটি আব্দুল মোমিন নামের একজন ফটোগ্রাফারের তোলা।

TMSS হেডকোয়াটারের সামনের ওভারব্রিজ

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় ছবিটি আব্দুল মোমিন তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ৬ জুন ২০২০ সালে প্রথম আপলোড করেছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Abdul Momin (@abdulmomin.bd)

রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য আব্দুল মোমিনের সাথে যোগাযোগ করে ছবিটি তোলার তারিখ এবং অন্যান্য সকল প্রমাণাদি গ্রহণ করে।

জনাব আব্দুল মোমিনের পাঠানো তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী দেখা যায় ছবিটি ১৫ জুন ২০১৮ সালে অর্থাৎ ইদ উল ফিতরের দিন সকাল ৮ টা ৩৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে তোলা হয়েছিলো। অর্থাৎ ছবিটি প্রায় ৩ বছর পূর্বে তোলা এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরুরও অনেক পূর্বে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই থেকে চলমান কঠোর লকডাউন বিধিতে গার্মেন্টস-কল-কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও শিল্পমালিকদের অনুরোধে গত ৩০ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিল্প কল-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।

উল্লেখ্য, লকডাউনে বন্ধ থাকা শিল্প কলকারখানাগুলো হঠাৎ চালু করায় যানবাহন সংকটে ঢাকামুখী মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনদূর্ভোগের খবর পাওয়া গেছে এবং জনদূর্ভোগের অনেক ছবিই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

অর্থাৎ, ৩ বছর পূর্বে ইদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের একটি ছবিকে বর্তমানে চলমান লকডাউনের ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: দাসের দল নগরে ফিরছে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: ভিডিওর ব্যক্তিটি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন নন

সম্প্রতি “পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কথা গুলো সত্যি অসাধারণ, যারা কলম ধরা শিখছে, তারাই এই দেশ টারে খাইছে, আমার কথার কোনো মূল্য নেই কারন আমি গরীব” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটিতে বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তিটি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন নন বরং তিনি কুড়িগ্রাম জেলার অধিবাসী রাধাপদ রায়।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায় একজন প্রবীণ ব্যক্তি কয়েকজন লোকের উপস্থিতিতে একটি কবিতার কিছু লাইন আবৃতি করছেন এবং কবিতার এই উদ্ধৃতাংশে তিনি বলেন, “আমি পল্লীকবি, কবিতা বানাই। কিন্তু আমার কবিতা তো কেউ শুনবে না” মূলত এই লাইনের ভিত্তিতেই তাকে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে কবিতার শেষ অংশে ব্যক্তিটি নিজের নাম ‘রাধাপদ সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার সম্পূর্ণ বক্তব্যঃ “এই দেশ নষ্ট করেছে কারা ?
যারা কলম ধরা শিখেছে,তারাই দেশকে খাইছে।
কথাটা বোঝলেন নাকি আমার?
আমি পল্লীকবি, কবিতা বানাই।
কিন্তু আমার কবিতা তো কেউ শুনবে না।
কারন আমরা গরীব মানুষ, গরীব মানুষের কোনো দাম নেই।

এই যুগটা হইল কি জানেন ?

কেয়ামতের নমুনা, জানি কিন্তু মানিনা।

গুনাহগার দোযখী হবে সে কথাও তো শুনিনা।
গুন্ডাপান্ডা হারামখোর তারা হইল দোজখ
দিনদুপুরে মানুষ মারে তারা হইল দুনিয়া
কেয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানিনা

সরকারী চাকরি করে ,বেতন ৫ হাজার
৫০ হাজার টাকা মাসে খরচ দেখি তার
বাকি টাকা কেমনে আসে সে কথা আর বলিনা
কেয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানিনা

ডিজেল ভেজাল পেট্রোল ভেজাল অক্টেন ভেজাল
ভেজাল পদ্মা মেঘনা যমুনা
অর্থাৎ, কোম্পানি ভেজাল
কেয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানিনা

ভেবে কয় রাধাপদ সরকার
মানুষ হওয়া কি ছিল দরকার
পশু হওয়া ছিল ভালা
আখেরাতের কাজ করিনা
অর্থাৎ পরকালের কাজ করিনা
কেয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানিনা”

রিউমর স্ক্যানার টিমের বিস্তারিত অনুসন্ধানে, গত ২৫শে এপ্রিলে ভিন্ন শিরোনামে Md Shahidul Islam নামের একজন ব্যক্তির আইডিতে আপলোড করা একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে শিরোনাম ছিলোঃ

“এর থেকে সত্য হয়তো হয়না।

নামঃ রাধাপদ রায়।

তাঁর বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার

ভিতরবন্দ ইউনিয়নে

গ্রামঃ মাধাইখাল, গোড্ডারারপাড়।

(তথ্যসূত্রঃ দীপক কুমার রায়)

 

উক্ত পোস্টটিতেই দীপক কুমার রায় এর মন্তব্য পাওয়া যায় যেখানে তিনি লিখেছেন “ভাই, উনার নাম, রাধাপদ রায়। উনার বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার
ভিতরবন্দ ইউনিয়নে গ্রামঃ মাধাইখাল, গোড্ডারারপাড়।”

তথ্যসূত্রটি পুরোপুরি নিশ্চিতে রিউমর স্ক্যানার টিম দীপক কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এক মাস পূর্বে ধারণকৃত রাধাপদ রায় এর আরো দুইটি ভিডিও পাঠান আমাদের এবং আরো জানান ভিডিওর প্রবীণ ব্যক্তিটি অর্থাৎ রাধাপদ রায় এখনো জীবিত রয়েছেন।


এছাড়া, ইন্টারনেটে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া কবি জসীম উদ্দীনের ছবির চেহারার সাথে উক্ত ভিডিওতে কবিতা পাঠকারী ব্যক্তির চেহারার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

বায়ে রাধাপদ রায় এবং ডানে কবি জসীম উদ্‌দীন

প্রসঙ্গত, লেখক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার এবং উপন্যাসিক জসীম উদ্দীন ১৯০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার লেখায় গ্রামীণ জনপদের কথা বেশি উঠে আসে বিধায় তাকে ‘পল্লীকবি’ বলা হয়।

অর্থাৎ, জীবিত পল্লীকবি ( গ্রামের কবি ) রাধাপদ রায়কেই পল্লীকবি জসীম উদ্দীন হিসেবে দাবী করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: জসীম উদ্দীনের কথা গুলো সত্যি অসাধারণ
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

বিভ্রান্তিকর শিরোনামে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর ভুয়া খবর প্রচার

0

সম্প্রতি “কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য কিছু ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালের বরাতে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে এবং এখানে।

ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালের প্রকাশিত প্রতিবেদনের আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান এবং দেশীয় মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর সংবাদটি ভিত্তিহীন বরং তিনি সুস্থ আছেন।

মূলত, অনলাইন পোর্টালগুলোর সংবাদের শিরোনামে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যু সংবাদ জানানো হলেও সংবাদের মূল অংশে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। বরং সংবাদের ভেতরে অভিনেতা আলমগীরকে নিয়ে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছিলো এমন কিছু তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, সংবাদটিতে অভিনেতা আলমগীরের শারীরিক অবস্থার উন্নতির বিষয়েও জানানো হয়।

খবরটির কিছু অংশ গুগল সার্চ করে দেখা যায় গত ২৬ এপ্রিলে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে লেখাটি পুরোপুরি কপি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিনেতা আলমগীর গত এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

উল্লেখ্য, আমাদের প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত মূলধারার কোন সংবাদমাধ্যমে আলমগীরের মৃত্যু নিয়ে কোন সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং আলমগীরকে নিয়ে সর্বশেষ ৭ জুলাই কিছু সংবাদমাধ্যমে ভিন্ন একটি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো, দেখুন এখানে এবং এখানে।

অর্থাৎ, বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই
  • Claimed By: Facebook Posts, Online Portal
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: এটি প্রাণী কোষের ডিজিটাল চিত্র, অত্যাধুনিক যন্ত্রে তোলা নয়

0

সম্প্রতি “এখন পর্যন্ত পাওয়া মানব কোষের নিখুঁত চিত্র” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানে, এখানেএখানে এবং এখানে।

বিষয়টি যাচাই এর জন্য আমরা আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ টিপ লাইন নাম্বারে ফ্যাক্টচেক অনুরোধ পাই।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি অত্যাধুনিক যন্ত্রে তোলা মানব কোষের নিখুঁত চিত্র নয় বরং এটি একটি ডিজিটাল আর্ট।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায়, মূল ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার চিত্রকর রাসেল কাইটলির তৈরিকৃত একটি প্রাণী কোষের ডিজিটাল চিত্রণ।

মূলত, ছবিটি চিত্রকর তার বায়োলজি ওয়াল চার্ট ভিত্তিক ওয়েবসাইট BioCam এর জন্য তৈরি করেছিলেন

তার মালিকানাধীন দুইটি ওয়েবসাইটে বিষয়টি সম্পর্কে উল্লেখ করা রয়েছে, দেখুন এখানে এবং এখানে।

নিচে লিখা হুবুহু দেয়া হলোঃ

Animal cell cutaway illustration showing major ultrastructures and organelles (cell membrane, nucleus, nucleolus, nuclear envelope, nuclear pore, centrioles, microtubule, smooth endoplasmic reticulum (SER), rough endoplasmic reticulum (RER), ribosomes, polysomes, lysosomes, peroxisomes, mitochondria, and Golgi apparatus). Delimited by a plasma membrane (bi-lipid cell membrane). A centrally placed nucleus houses the genetic material (DNA). Jewel like colours and very fine detail make this image ideal to illustrate complexity at the cellular level. Originally created for BioCam. This image features as a full page colour plate in Richard Dawkins’ latest best seller “The Greatest Show on Earth”.

পরবর্তীতে, ২০০৯ সালে বৃটিশ জীববিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্সের প্রকাশিত “দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ” বইয়ের ১২-১৩ তম পৃষ্ঠায় চিত্রকর কাইটলির প্রাণী কোষের চিত্রনটি ফিচার করা হয়।

উল্লেখ্য, রাসেল কাইটলি ১৯৮১ সাল থেকে মেডিকেল এবং সাইন্টেফিক বিষয়বস্তুর উপর চিত্রন করে আসছেন।

অর্থাৎ, প্রাণী কোষের একটি ডিজিটাল আর্টকে অত্যাধুনিক যন্ত্রে তোলা মানব কোষের নিখুঁত চিত্র দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: এ পর্যন্ত তোলা ছবির মধ্যে সবচেয়ে বিস্তারিত মানব কোষ
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

CORRECTION UPDATE: 31 July 2021 at 1:00 AM:

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায় ভাইরাল পোস্টগুলোর শিরোনামের দাবীটিই বিভ্রান্তিকর, কারণ পোস্টে দাবী করা হয়েছে ছবিটি অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে তোলা মানব কোষের চিত্র। তবে মূল বিষয় হলো ছবিটি কোন যন্ত্রের সাহায্যে তোলা নয় বরং এটি একটি ডিজিটাল আর্ট।

মূল ছবিতে ছবিটিকে প্রাণী কোষের ডিজিটাল চিত্রণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তবে সেখানে এটি মানব কোষের কিনা সেটার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

তাই রিউমর স্ক্যানার টিম প্রতিবেদনটির পূর্বের শিরোনাম ও ফ্যাক্টচেক অংশের কিছু বিষয়ে শব্দচয়ন পরিবর্তন করেছে।

কারেকশনঃ “রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় মূল ছবিটি মানব কোষের নয় বরং প্রাণী কোষের ছবি” এর পরিবর্তে “রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি অত্যাধুনিক যন্ত্রে তোলা মানব কোষের নিখুঁত চিত্র নয় বরং এটি একটি ডিজিটাল আর্ট।”

তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ

0

বাংলাদেশের দ্বিতীয় তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ। পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) গত ২৮ জুলাই, ২০২১ তারিখে এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

Screenshot-43

পয়েন্টারের তথ্য যাচাই কার্যক্রম পলিটিফ্যাক্ট ২০০৯ সালে সাংবাদিকতার নোবেল পুরষ্কার খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পায়। ফলে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য-যাচাই সাংবাদিকতায় একটি গ্রহণযোগ্য ধারা হয়ে উঠতে শুরু করে।

বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পয়েন্টারের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া আইএফসিএন চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছে।

আইএফসিএন পাঁচটি মূল নীতির ভিত্তিতে কোনো তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এগুলো হলো:

  •  নিরপেক্ষতা এবং ন্যায্যতা
  •   তথ্যের উৎসের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা
  • অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা
  • যাচাইপদ্ধতির মান এবং স্বচ্ছতা
  • উন্মুক্ত এবং সৎ সংশোধন নীতি

০৫ টি মূল নীতি এবং ৩১ টি মানদণ্ড মেনে চলার প্রমাণ স্বাপেক্ষে ১০১ তম ভেরিফাইড সিগনেটরি হিসেবে তথ্য যাচাইয়ের বৈশ্বিক মানচিত্রে রিউমর স্ক্যানার এখন এপি, এএফপি এবং রয়টার্সের মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে।

Screenshot-44

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিষ্ঠাতা সুমন আহমেদ জানান,

“আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়, এমন একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন বেশ সুখকর। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য ছাড়া এই যাত্রাটা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তবে আমাদের টিম মেম্বারদের ডেডিকেশনের কারণে যাত্রাটা কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রথম ধাপ শুরু হয় গতবছরের মার্চ মাসের শুরুতে এবং সেইসাথে আমাদের যাত্রাও শুরু হয় একই সময়ে। করোনা মহামারির ফলে দেশে লকডাউন দেয়ার কারণে মানুষ ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ে তাই অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রচারও ব্যাপকভাবে ছড়াতে থাকে। প্রতিষ্ঠা পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই কোভিড-১৯ নিয়ে ছড়ানো প্রায় ২৫ টি গুজব শনাক্ত করেছিলাম আমরা। প্রতিষ্ঠানকাল থেকে এখন পর্যন্ত রিউমর স্ক্যানার টিম মোট ২০০টি গুজব শনাক্ত করেছে এবং আমাদের ফ্যাক্ট চেকিং কন্টেন্টগুলো ৮০ লক্ষ বারেরও বেশি ইন্টারনেটে দেখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি আমাদের সার্বিক কার্যক্রমকে আগামীতে আরো বেগবান করবে। রিউমর স্ক্যানার সহ দেশের অন্যান্য তথ্যযাচাইকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমেই গুজবমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”

দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম রিউমর স্ক্যানারের এই অর্জনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যুগান্তরের প্রিন্ট এডিশনেও সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্রতিবেদন দেখুন নিচেঃ

রিউমর স্ক্যানার নিয়ে আইএফসিএন এর মূল্যায়নঃ https://ifcncodeofprinciples.poynter.org/profile/rumor-scanner



Fact Check: ৫ আগস্টের পর লকডাউন না বাড়ার সংবাদটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “৫ আগস্টের পর লকডাউন বাড়ছে না” শীর্ষক একটি তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানেএখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

নিউজের আর্কাইভ দেখুন এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আগামী ৫ আগস্টের পর লকডাউন বাড়ছে না মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ কোন বিবৃতি প্রদান করেন নি বরং গতকাল বিকেলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে ভুয়া তথ্যটি ফেসবুকে প্রচারিত হয়েছিলো।

মূলত আজ ২৮ জুলাই বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু সংবাদটিকে গুজব নিশ্চিত করে রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন

‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে কোট করে কয়েকটি মিডিয়ায় একটি নিউজ যাচ্ছে যে ‘৫ আগস্টের পর আর লকডাউন দেয়া হবে না’। প্রকৃতপক্ষে মাননীয় মন্ত্রী আজ এ ধরণের কোন কথা বলেননি। এটি ‘গুজব’।

গুজবের সূত্রপাতঃ

প্রতিদিনের চাকুরীর খবর নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল বিকেল ৪ টা ৫২ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে তথ্যটি প্রথম প্রচারিত হলেও সেখানে কোন সূত্র উল্লেখ ছিলোনা

তবে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ৫ আগস্টের পর লকডাউন না বাড়ার বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’।

তবে পরবর্তীতে যুগান্তরের প্রতিবেদনটি পরিবর্তন করা হয়েছে।

তবে, গতকাল ২৭ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কারখানা খোলার অনুমতির জন্য বারবার অনুরোধ এসেছে মালিকদের পক্ষ থেকে। তবে আমরা সেটা এলাউ কারিনি। চলমান এই লকডাউনের শেষ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ কড়াকড়িভাবে পালিত হবে। ৫ আগস্টের পর লকডাউন আর বাড়ছে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, টিকাদান কর্মসূচি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে আগাম নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। সরকার টিকা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই থেকে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে, যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে।

সুতরাং, ৫ আগস্টের পর লকডাউন বাড়ছে না জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ৫ আগস্টের পর লকডাউন বাড়ছে না জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • Claimed By: Facebook Post, News Portal
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: হার্ট অ্যাটাক করা বাবাকে রেখে ছেলের গেম খেলার ঘটনাটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “ছেলেটির বাবার হার্ট অ্যাটাক (Ant MI) হয়েছে, মায়ের চোখে-মুখে অস্থিরতা। এদিকে ছেলে মোবাইলে ‘ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান’ গেমস খেলেই যাচ্ছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ও ছবি একজন ডাক্তারের বরাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবির ছেলেটি তার বাবার হার্ট অ্যাটাকের জন্য নয় বরং তার মায়ের রেগুলার চেক-আপ এর রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হাসপাতালে গিয়েছিলো এবং অবসর সময়ে গেমস খেলছিলো। এছাড়া ছেলেটির বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে অবস্থানরত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর ছেলেটির বড় বোন রিউমর স্ক্যানারের সাথে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানালে আমরা তার থেকে সকল প্রমাণাদি গ্রহণ করি।

বিষয়টি অধিক যাচাইয়ের জন্য ছেলেটি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) অডিও বার্তার মাধ্যমে রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন প্রতিনিধিকে জানান, সে গত ২৩ জুলাই আনুমানিক সকাল ০৯ ঘটিকায় সিলেটে অবস্থিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তার মায়ের স্বাভাবিক চেকাপের টেস্ট রিপোর্ট আনতে গিয়েছিলো এবং রিপোর্টটি পেতে কিছু সময় দেরী হওয়ায় সে অবসর সময় পার করতে মোবাইলে ভিডিও গেমস খেলে। অডিও বার্তাটি শুনুন নিচেঃ

ভাইরাল হওয়া ছবি (বাম পাশে) এবং ভুক্তভোগী (ডান পাশে)। গোপনীয়তার জন্য ছবি ব্লার করা হয়েছে

তিনি আরো জানান, তার বাবা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং ডায়াবেটিস ছাড়া তার কোন সমস্যা নেই।

প্রসঙ্গত, ঘটনাটি নিয়ে ছেলেটির বাবা-মা উভয়েই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

মায়ের করা ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
বাবার করা পোস্টটি দেখুন এখানে।

উক্ত ঘটনাটি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত কোন বিবৃতি সংগ্রহ করা যায় নি।

অর্থাৎ, ছেলেটির তার মায়ের রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে অবসর সময় অতিবাহিত করার মুহুর্তের ছবি তুলে ভুয়া দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হার্ট অ্যাটাক করা বাবাকে এডমিশন না করিয়ে গেমস খেলছে ছেলে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করার তথ্যটি গুজব

0

সম্প্রতি “চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা ও বি-বাড়িয়া জেলা নিয়ে কুমিল্লাকে নতুন বিভাগ ঘোষণা” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লাকে এখনও বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি এবং নিকার সর্বশেষ সভায় কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

মূলত, ২৬ জুলাই (সোমবার ) প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভা অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল “আগামীকাল কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে, ২৬ জুলাই অর্থাৎ আজ সকালে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পূর্নবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর সভায় সর্বমোট ৮ টি এজেন্ডা উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু এগুলোর মধ্যে কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করা নিয়ে কোন এজেন্ডা ছিলো না বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

অর্থাৎ, রিউমর স্ক্যানারের এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কুমিল্লাকে বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করার দাবী উঠেছিলো এবং ২০১৭ সালে একনেকের এক সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম ময়নামতি হবে বলে উল্লেখ করার পর তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেদন পড়ুন এখানে

এছাড়াও, দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমে কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করা হয়েছে মর্মে কোন সংবাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

আজ সোমবার (২৬ জুলাই) প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় নতুন ৩ টি উপজেলা অনুমোদন হয়েছে।219514766-975231246589336-370648525279115069-n

সুতরাং, ৬ টি জেলা নিয়ে আজ কুমিল্লাকে বিভাগে উন্নীত করার দাবীটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: কুমিল্লাকে নতুন বিভাগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: বাস্তবের দুমুখো মানুষ দাবী করা এডওয়ার্ড মরড্রেক চরিত্রটি কাল্পনিক

0

সম্প্রতি “১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক, ২৩ বৎসর বয়সে আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত যিনি ডাক্তারদের কাছে অনুনয় করতেন যেন পিছনের মুখটি সরিয়ে দেওয়া যায়” শিরোনাম সম্বলিত কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় এডওয়ার্ড মরড্রেক বাস্তবের দুমুখো মানুষ নয় বরং এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র। মূলত, ১৮৯৫ সালে আমেরিকান লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক The Boston Sunday Post পত্রিকায় এডওয়ার্ড মরড্রেককে নিয়ে একটি কাল্পনিক গল্প প্রকাশ করেন।

পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে ডাক্তার George M. Goulad এবং Walter L. Pyle কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল কেস স্টাডি বুক Anomalies and Curiosity of Medicine এ মরড্রেক চরিত্রের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যা হিলড্রেক এর প্রকাশিত সেই কাল্পনিক গল্প থেকে নেয়া হয়েছিলো“Anomalies and Curiosity of Medicine” বই প্রকাশের পরপর ই এডওয়ার্ড মরড্রেকের গল্পটি মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে থাকে।

Anomalies and Curiosity of Medicine বই

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায়, মরড্রেকের দুই মাথার ছবি দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ছবিগুলো মূলত মোমের তৈরি যা জার্মানির হ্যামবার্গ শহরে অবস্থিত Panoptikum যাদুঘরে রয়েছে। ১৫ জুন ২০১৬ সালে ইন্টারনেটে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ভাস্কর্যটিকে দেখা যায়

এছাড়াও দ্বিতীয় যে ছবিটি মরড্রেকের মাথার খুলি দাবীতে প্রচার করা হচ্ছে সেটি Tom Kuebler নামক একজন ভাস্করের তৈরি। তিনি পূর্বেও এরকম কয়েকটি “দুটি মাথা বিশিষ্ট” খুলির ভাস্কর্য তৈরি করে বিক্রি করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশকিছু পোস্টে মমিতে পরিণত আরেকটি “দুই মাথা বিশিষ্ট” এডওয়ার্ড মরড্রেকের দাবী করা ছবি পাওয়া যায়। ২০২০ সালে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

মূলত এটি Ewart Schindler নামের আরেকজন ভাস্কর papier-mâché নামক একধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করেছেন।

এডওয়ার্ড মরড্রেককে নিয়ে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপ্সের ২০১৭ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

সুতরাং, এডওয়ার্ড মরড্রেক এর ছবি দাবীতে প্রচারিত ছবিগুলো নিতান্তই শৈল্পিক কাজ এবং এখন পর্যন্ত তার অস্তিত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান পাওয়া যায়নি, অতএব সামাজিক মাধ্যমে বাস্তবের দুমুখো মানুষ দাবীতে প্রচারিত বিষয়টি বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]