Home Blog Page 861

Fact Check: লকডাউনে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহণ চলার সংবাদটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “শর্তসাপেক্ষে চলবে গণপরিবহন – হতে পারে সাধারণ লকডাউন” শীর্ষক একটি তথ্য বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালের বরাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ভাইরাল কিছু প্রতিবেদনের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি অর্থাৎ সাধারণ লকডাউনের তথ্যটিও ভিত্তিহীন।

মূলত, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনলাইন পোর্টালগুলোর সংবাদের শিরোনামে শর্তস্বাপেক্ষে গণপরিবহন চলার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও সংবাদের বিস্তারিত অংশে গণপরিবহন চালু ও সম্ভাব্য সাধারণ লকডাউন সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। গত ০৫ জুলাই বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত “অন্য বাস বন্ধ না করেই ফ্রাঞ্চাইজি বাস চালুর ঘোষণা” শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের লেখা কপি করে কিছু শব্দ পরিবর্তন ও বাড়তি যতিচিহ্ন ব্যবহার করেই মূলত “শর্তসাপেক্ষে চলবে গণপরিবহন” শীর্ষক সংবাদটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত কোন তথ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২৩ জুলাই ভোর ০৬ টা হতে আগামী ০৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের কথা বলা হয়েছে।

পাশাপাশি, গত ১৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব জনাব রেজাউল ইসলাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে, পূর্বে জারি করা বিধি-নিষেধের আওতা থেকে শুধুমাত্র খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই কঠোর বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে জানানো হয়েছে।

সুতরাং, এই প্রজ্ঞাপনেও গণপরিবহণকে কঠোর বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত জানানো হয়নি এবং সাধারণ লকডাউন সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

সুতরাং, শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচল ও সম্ভাব্য সাধারণ লকডাউনের সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুয়া।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: শর্তসাপেক্ষে চলবে গণপরিবহন হতে পারে সাধারণ লকডাউন
  • Claimed By: Facebook Posts, Online Portal
  • Fact Check: False

[/su_box]

অং সান সুচি’র কারাবন্দী অবস্থার চিত্র দাবীতে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী–ক্ষমতার জোরে মুসলমানের উপর অত্যাচার করেছিলে,এখন কি হলো তোমার,বাথরুমে বসবাস করো,আল্লাহর বিচার দেখো,অতএব সাবধান আল্লাহ বেশী দূরে নয়।” শীর্ষক শিরোনামে একটি কারাবন্দী নারীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় মূল ছবিটি সুচি’র নয় বরং পুরোনো একটি ছবির মুখমণ্ডল এডিট করে সুচি’র চেহারা কৃত্রিমভাবে বসানো হয়েছে। রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় মূল ছবিটি একজন মহিলা কয়েদির এবং ছবিটি ১২ জুলাই ২০১৩ সালে তোলা হয়েছিলো।

মূলত, ছবিটি ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রতিকী ছবি হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং ছবিটির সূত্র হিসেবে Wikimedia Commons এর উল্লেখ রয়েছে।
এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

Wikimedia Commons এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মূল ছবিটি ১২ জুলাই ২০১৩ সালে তোলা হয়েছিলো এবং সেখানের বিবরণে বলা হয়েছে:

A female prisoner living inside her tiny prison cell. The cell provides the inmate with a toilet and a bed, as well as bars to protect her from the outside elements. The cell is designed for the comfort and benefit of the prisoner as well as the public.

উল্লেখ্য, গত ০১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সুচি’কে দেশটির সেনাবাহিনী আটক করে। গত এক মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সূ চি-কে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে কোথাও কারাবন্দি সূ চি-র কোনো ছবি পাওয়া যায় নি।

অর্থাৎ, ভিন্ন একজন নারী কয়েদির পুরোনো একটি ছবির মুখমণ্ডল এডিট করে সুচি’র চেহারা কৃত্রিমভাবে বসিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: অং সান সুচি’র কারাবন্দী অবস্থার ছবি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: সিঙ্গাপুর কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া ঘোষণা দেয়নি

গত ১৬ ই জুলাই দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম দৈনিক মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণে “কোভিড-১৯ আসলে ব্যাকটেরিয়া” শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং মানবজমিনকে সূত্র উল্লেখ করে কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া দাবীতে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর কোন কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেনি পাশাপাশি কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া হিসেবে ঘোষণাও দেয়নি।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ভাইরাল হওয়া এই দাবীটির সত্যতা যাচাইয়ে আমরা তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি খুঁজে পাই যেখানে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে “সিঙ্গাপুর কোন কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেনি ও কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া ঘোষণা করেনি”। বিবৃতিটিতে তারা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটিকে সম্পূর্ণ ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সিঙ্গাপুর সরকার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিষয়টিকে ভুয়া উল্লেখ করে জানিয়েছে “সিঙ্গাপুর সরকার তাদের কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন পরিবর্তন আনেনি এবং ভাইরাল তথ্যটি সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় বরং একই বার্তাটি পূর্বেও ইটালি এবং রাশিয়ার নামেও ছড়িয়েছিলো।

এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পূর্বেই কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া দাবীর বিষয়টিকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ইটালি ও রাশিয়ার বরাতে গতবছরে ছড়িয়ে পড়া একই ভুয়া তথ্যটির বিরুদ্ধে কিছু ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলির এবছরের প্রতিবেদন দেখুন এখানে

অর্থাৎ, সিঙ্গাপুর কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত এবং কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া ঘোষণা করেনি, অতএব দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদটি সহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ তথ্যটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুর
  • Claimed By: Facebook Posts, News Outlet
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: পলিথিনে মোড়ানো লাশের সারির ছবিটি বাংলাদেশের নয়

0

সম্প্রতি, একটি ভবনের মেঝেতে পলিথিন মোড়ানো লাশের সারির একটি ছবি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিত্র দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। ভাইরাল সকল পোস্ট একসঙ্গে দেখুন এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, খুলনা মেডিকেলের চিত্র দাবীতে ছড়িয়ে পড়া লাশের সারির ছবিটি খুলনা মেডিকেলের নয় পাশাপাশি ছবিটি বাংলাদেশের কোন স্থানেরও নয় বরং ছবির ঘটনাটি মায়ানমারের কায়িন রাজ্যের।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে গত ১৫ জুলাই বিভিন্ন টুইটার আইডি থেকে ছবিটি প্রথম প্রকাশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়

একইদিনে Khit Thit Media নামক একটি ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে ছবিটি আপলোড করে বার্মিজ ভাষায় লেখা হয় ঘটনাটি মায়ানমারের কায়িন রাজ্যের মায়াওয়াদি জেলার একটি এলাকার কোভিড পরিস্থিতির চিত্র।

Myanovus নামের একটি ফেসবুক পেজে একই ছবি ব্যবহার করে ১৫ জুলাইয়ে প্রকাশিত আরেকটি পোস্ট পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মূলধারার কোন গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রে ছবিটি প্রকাশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি। শুধুমাত্র কিছু ফেসবুক গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে একটি মনগড়া শিরোনামে ছবিটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবীতে প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থাৎ, মায়ানমারের একটি স্থানের করোনা পরিস্থিতির চিত্র হিসেবে প্রচারিত ছবিকে বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পলিথিন মোড়ানো লাশের সারি শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের সারি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: মেসি ও নেইমারের হাতে আকাঁ ট্যাটু কি দাজ্জালের চিহ্ন?

0

সম্প্রতি “এক চোখ কানা দাজ্জালের চিহ্ন, যা ইলুমিনাতির সদস্যরা ব্যবহার করে থাকে। মুসলিম যুবকেরা দেখো কাকে তোমরা সমর্থন করছো! সাবধান হও যুবক” শীর্ষক শিরোনামে মেসি ও নেইমারের হাতে আকাঁ চোখের ট্যাটুর কিছু ছবি দাজ্জালের চিহ্ন দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় মেসি ও নেইমারের হাতে আকাঁ চোখের ট্যাটু দাজ্জালের চিহ্ন নয় বরং ট্যাটুগুলো মেসির স্ত্রী এবং নেইমারের পুত্রের চোখের আদলে আকাঁ।

গোল ডট কম, স্পোর্টস মব সহ আরো কিছু সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই মেসি তার স্ত্রীর এবং নেইমার তার ছেলের চোখের ট্যাটু করেছে। মেসির ডান হাতের বাইসেপ্সের ট্যাটুটি তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর চোখের ন্যায় আঁকা।

নেইমারের বাম হাতের ট্যাটুটি তার শিশুপুত্র ডেভি লুসার চোখের ন্যায় আঁকা

এছাড়াও মেসির শরীরে মোট ১৮ টি এবং নেইমারের শরীরে মোট ৪৬ টি ট্যাটু রয়েছে যা বিভিন্ন অর্থবহন করে।

উল্লেখ্য, ট্যাটুগুলো মেসি ও নেইমার ইলুমিনাতির সদস্য প্রতীক হিসেবে আঁকিয়েছে এমন কোন তথ্যের অস্তিত্ব ইন্টারনেটে পাওয়া যায় নি। পাশাপাশি, ট্যাটুতে থাকা চোখগুলোর সাথে ইলুমিনাতির প্রতীকে থাকা চোখের কোনো সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় না।

অর্থাৎ, মেসি ও নেইমারের নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য আকাঁ ট্যাটুকে দাজ্জালের চিহ্ন দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মেসি ও নেইমারের হাতে আকাঁ চোখের ট্যাটুটি দাজ্জালের চিহ্ন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: ভিডিওটি ব্রাজিল সমর্থক কর্তৃক ব্রাজিল ফুটবল দলের বাসে হামলার নয়

সম্প্রতি “ব্রাজিল টিমকে পঁচা ডিম দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে ব্রাজিলিয়ানরা। প্রোটিন সমৃদ্ধ সংবর্ধনা শুধুমাত্র নেইমারদের জন্যই প্রযোজ্য” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি ব্রাজিল ফুটবল টিমের খেলোয়াড়দের বাসে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা নয় বরং ভিডিওটি পুরোনো ও ভিন্ন একটি ঘটনার।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৮ সালের ২৭ মার্চে Cantu em Foco নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি প্রকাশের অস্তিত্ব খুঁজে পাই আমরা।

পাশাপাশি ২৭ ও ২৮ মার্চে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত একাধিক সংবাদ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে যেখানে বলা হয়, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য পারানাতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার পুনঃ নির্বাচন বিরোধীরা তার নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা করেছে।

The Sydney Morning Herald এর “Shots fired at Brazil ex-president Lula’s campaign buses” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে এই একই ভিডিও প্রায় ৩ মাস পর অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিল বাদ পরার পর বাড়ি ফেরার সময়ে দর্শক কর্তৃক হামলার ঘটনা দাবীতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

সহজে বুঝতে ছবিটি দেখুন

তখন গুজবটি ভারতীয় নিউজ মিডিয়া সহ বাংলাদেশের কিছু ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে পরে। আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

প্রসঙ্গত গত ১১ জুলাই, কোপা আমেরিকা – ২০২১ এর ফাইনাল ফুটবল ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পরাজিত হয় ব্রাজিল।

অর্থাৎ, পুরোনা ও ভিন্ন ঘটনার একটি ভিডিওকে বর্তমানে ব্রাজিল ফুটবল টিমের বাসে ব্রাজিল সমর্থক কর্তৃক হামলা দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ব্রাজিল টিমকে পঁচা ডিম দিয়ে বরণ করছে ব্রাজিলিয়ানরা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: মেসিকে নেইমারের গাড়ি উপহার দেয়ার তথ্যটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “মেসির খুশির জন্য নিজের গাড়ি মেসিকে দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলো নেইমার। নেইমার জানিয়েছে তারা হেরেছে বলে তাদের মন এতটাও শক্ত নয় যে আর্জেন্টাইনদের এই জিত তারা সেলিব্রেশন করবেনা। নিজের সখের গাড়ি মেসিকে দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই মেসির খুশিতে নিজের খুশি খুঁজে পেয়েছেন নেইমার।” শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে মেসিকে নেইমারের গাড়ি উপহার দেয়ার তথ্য ও আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ফাইনাল ম্যাচের পর নেইমার কর্তৃক এধরণের কোন মন্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং উক্ত দাবী সম্বলিত পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ছবিটিও এডিটেড।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে এডিটেড ছবিটির মূল ভার্সন খুঁজে পেয়েছি আমরা যা মূলত Laraki Epitome নামক একটি কনসেপ্ট কার এর এবং একাধিক ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালে ছবিটি প্রকাশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

গাড়ির সঙ্গে নেইমারের যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেই ছবিটি ২০১৮ সালে প্যারিসে Louis Vuitton এর একটি ফ্যাশন শো তে তোলা। 

পরবর্তীতে ২০১৯ সালে Hoxon নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে Neymar Car Collection শিরোনামের একটি ভিডিওতে ঐ গাড়ির ছবির সাথে নেইমারের ছবি এডিট করে থাম্বনেইল ব্যবহার করা হয়। তবে ভিডিওতে গাড়িটি নেইমারের এমন কোন দাবী করা হয়নি।

বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে নিচের ছবিটি দেখুনঃ

এছাড়া ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ শেষের পর ‘নেইমার মেসিকে নিজের গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে’ এমন কোন তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় নি।

অর্থাৎ, ভুয়া একটি ছবি ও মন্তব্য উল্লেখ করে মেসি এবং নেইমারকে নিয়ে ভিত্তিহীন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনাঃ

সর্বোপরি, পোস্টে ব্যবহৃত শিরোনাম এবং এডিট করা ছবির ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তাই রিউমর স্ক্যানার টিম এটিকে গুজব হিসেবে শনাক্ত করেছে।

হিরু হাওলাদার তার বন্ধুকে মেনশন দিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন তথ্যটি সঠিক কিনা। 

রোখসানা আক্তার লিখেছেন এটা সত্যি দুর্দান্ত

সাইফ শুভ জিজ্ঞাসা করেছেন, নেইমার এই গাড়িটাই উপহার দিয়েছে কিনা।

হৃদয় খান এবং মো: নুর ইসলাম এই বিষয়কে নেইমার ও মেসির বন্ধুত্বের প্রতিক হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন।

নুর হোসেইন পোস্টদাতার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে পোস্ট দাতা তাকে ঘটনাটি শতভাগ সত্য বলে নিশ্চিত করেন।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মেসিকে নিজের গাড়ি উপহারের ঘোষণা দিলো নেইমার
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: সেনাবাহিনীকে জনতার ধাওয়া দাবীতে সম্প্রচারিত ভিডিওটি সাউন্ডট্র‍্যাক এডিটেড

সম্প্রতি “এবার সেনাবাহিনীকে দৌড়ানি দিল ক্ষিপ্ত জনতা। জনগণের অ্যাকশনে থমথমে রাজপথ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রচারিত ভিডিওটির শিরোনামের দাবীর সাথে ভিডিওটির ঘটনার কোন সামঞ্জস্যতা নেই বরং ভিডিওটি ভয়েস এডিটেড ও ভিন্ন ঘটনার।

গত ১ জুলাই ২০২১ তারিখে ‘সিলেট বিডি নিউজ ২৪ লাইভ’ নামক একটি পেজ থেকে প্রথম ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয় এবং মূল ভিডিওটিতে দেখা যায় লকডাউনের বিধিনিষেধ তদারকির অংশ হিসেবে মাঠ প্রশাসন, থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের মূল ভিডিওটিতে কোথাও কোন উত্তেজনার শব্দ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সিলেট বিডি নিউজ ২৪ লাইভের জুড়ী উপজেলার লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে সেদিনের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

মূলত, মূল ভিডিওটির একটি অংশ কেটে সাউন্ড/ভয়েস এডিট করে অন্য একটি মিছিলের শব্দ যুক্ত করে সাউন্ডট্র্যাক বদলিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়া শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: এবার সেনাবাহিনীকে দৌড়ানি দিল ক্ষিপ্ত জনতা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ভিডিওটি চলমান লকডাউনের নয়

সম্প্রতি “আমরা আছি কোপা আমেরিকা নিয়ে আর এদিকে পুলিশের সাথে ক্ষুধার্ত মানুষের চলছে ফাইনাল ম্যাচ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে সংঘর্ষের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার।

মূলত গত ১৬ ই মার্চ ২০২১ সালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার তিব্বতের সামনে বকেয়া বেতন ও বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়কে আন্দোলনরত দুই গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং Eyenewsbd নামক একটি ফেসবুক পেজে একই দিনে প্রচারিত পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ওই ঘটনার ভিডিওটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।

শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে যুগান্তর এবং মানবজমিনের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

অর্থাৎ, পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার একটি ভিডিওকে বর্তমানে চলমান লকডাউনে ফলশ্রুতিতে সংঘর্ষ দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে পুলিশের সাথে ক্ষুধার্ত মানুষের সংঘর্ষ
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: লকডাউনে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর দাবীতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো

সম্প্রতি “পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, লকডাউনের নামে মানুষকে হয়রানি আর চলবেনা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিওটি চলমান লকডাউনের নয় বরং ভিডিওটি ২০২০ সালের মে মাসের ভিন্ন একটি ঘটনার ।

মূলত ১৩ মে ২০২০ সালে দক্ষিণখান, কোটবাড়ি এলাকায় অবৈধ চলাচল বন্ধ করতে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক কয়েকটি ইজিবাইক আটক করার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় এক নারী গালিগালাজ ও বাদানুবাদে লিপ্ত হন এবং পরবর্তীতে মহিলাটির সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের একটি গাড়িতে আক্রমণ ও ভাংচুর করে।

পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের পুরোনো এই ভিডিওকে বর্তমানে লকডাউন দেয়ার ফলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে প্রথম ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছিলো এবং রিউমর স্ক্যানার টিম সেসময়ে বিষয়টিকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করে।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]