Home Blog Page 862

Fact Check: বাংলাদেশে সোলার রিকশা চালু দাবীতে ভারতের পুরোনো ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি “এখন থেকে আর চার্জ দিতে হবে না, এসে গেলো সোলার রিকশা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে সোলার রিকশার ছবিটি বাংলাদেশের নয় বরং ভারতের।

মূলত ২০১৯ সালের ১৯শে জুলাই ভারতের আইআইটি দিল্লি ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেডের পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে রিকশা চালকদের হাতে স্মার্ট সোলার রিকশা তুলে দেওয়া হয় এবং আইআইটি এর টুইটার একাউন্টেও উক্ত বিষয়ে একাধিক ছবির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়াও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও তৎকালীন সময়ে এই বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো। Times of India এর “Solar rickshaws make debut on IIT-Delhi campus” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

অথাৎ, ভারতের আইআইটি দিল্লি ক্যাম্পাসে রিকশা চালকদের হাতে স্মার্ট সোলার রিকশা তুলে দেওয়ার ছবিকে বাংলাদেশে সোলার রিকশার আগমন দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আর চার্জ দিতে হবেনা, দেশে চলে এসেছে সোলার রিকশা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: লকডাউনে সেনাবাহিনীর কঠোরতার চিত্র দাবীতে প্রচারিত ছবিটি পুরোনো

0

সম্প্রতি “ভাইটি রাস্তায় সেনাবাহিনী আছে কিনা দেখতে বাহির হয়েছিল, তারপর কনর্ফাম হয়ে বাড়ি ফিরলেন” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সেনাবাহিনীর কঠোরতা দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে চলমান লকডাউনের নয় বরং পুরোনো।

মূলত ২৫ শে মার্চ ২০২০ সালে Yakthung culture নামক একটি নেপালীয় ফেসবুক পেজে লকডাউনে পুলিশের কঠোরতার শিরোনামে ছবিটির সবথেকে পুরোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

একই দিনে উক্ত ছবিটি ব্যবহার করে ট্রল/মিম তৈরি করে রেডিটেও সেটি পোস্ট করা হয়েছিলো

পরবর্তীতে বাংলাদেশেও ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর কঠোরতা দাবীতে ছবিটি শেয়ার হতে দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালে ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

উল্লেখ্য, ছবিটিতে লকডাউনে নেপাল পুলিশের কঠোরতা এবং বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দাবী করা হলেও ছবিটির প্রকৃত স্থান, ঘটনা এবং ভুক্তভোগীর কোনো তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায় নি তবে এটি নিশ্চিত যে ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে চলমান লকডাউনের নয়।

অর্থাৎ, পুরোনো ও ভিন্ন কোন ঘটনার একটি ছবিকে চলমান লকডাউনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কঠোরতা দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভিন্ন কোন ঘটনার একটি ছবিকে চলমান লকডাউনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কঠোরতা দাবী
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: ইসলামি বক্তা আমির হামজার কারামুক্তির সংবাদটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “হঠাৎ করে আমির হামজা হুজুরের মুক্তি হুজুর নিজেই অবাক” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য একাধিক ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশের ফলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসলামি বক্তা আমির হামজা মুক্তি পাননি বরং তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।

মূলত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনলাইন পোর্টাল গুলোর শিরোনামে আমির হামজার মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও খবরের বিস্তারিত অংশে তার কারামুক্তি সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই, শুধুমাত্র সেখানে তাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে আমির হামজার জামিনের কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে আমির হামজাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অর্থাৎ, ভুয়া শিরোনাম ও তথ্য ব্যবহার করে আমির হামজার কারামুক্তির দাবীটি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আমির হামজা হুজুর মুক্তি পেয়েছেন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: লকডাউনে সিএনজি অটোরিক্সা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে দাবীতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো

সম্প্রতি “গরিবের গাড়ি ভাঙ্গার খেলায় মেতেছে!!!লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দেখে অবাক জনগণ।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় সিএনজি অটোরিক্সা ভেঙে ফেলার ভাইরাল ভিডিওটি বর্তমান সময়ের নয় বরং তিন বছর পুরোনো।

মূলত গত ০১ এপ্রিল ২০১৮ সালে ১৫ বছরের অধিক পুরোনো মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায় সাড়ে আট হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা তুলে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ এর কার্যালয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ভেঙে ফেলার এই ভিডিওর অস্তিত্ব একাধিক গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। All Around Me নামক চ্যানেল থেকে CNG Auto Rickshaw Destroying in BRTA office Dhaka Bangladesh part 2 শিরোনামে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে Channel 24 এর “ভেঙে ফেলা হচ্ছে মেয়াদোর্ত্তীন আট হাজার সিএনজি অটোরিকশা” শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন নিচে

২১ এপ্রিল ২০১৮ সালে প্রকাশিত মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি অটো রিক্সা ধ্বংস করার পুরোনো ভিডিওকে বর্তমান লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দাবীতে স্ট্রিমিং সফটওয়্যারের সাহায্যে ‘লাইভ ভিডিও’ হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দেখে অবাক জনগণ
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: প্রবাসী রুহুল আমিনের মৃত্যুর সংবাদটি পুরোনো

সম্প্রতি “দীর্ঘ ২৪ বছর পরে বাড়িফেরা। সেই কিশোর বয়সে সংসারের হাল ধরতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন রুহুল, ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন রুহুল আমিন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রবাস ফেরত রুহুল আমিনের মৃত্যুর যে ঘটনাটি বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করা হচ্ছে সেটি মগবাজারের বিস্ফোরণের সাথে সম্পর্কিত নয় বরং রুহুল আমিন গতবছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

মূলত ১৫ জানুয়ারি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রুহুল আমিন দীর্ঘ ২৪ বছর পর দেশে ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান। ডেইলি স্টার এর প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে। 

যুগান্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

দুর্ঘটনার ৪ দিন আগে অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফেরার তথ্যটি রুহুল আমিন তার ফেসবুক আইডি থেকে জানিয়েছিলেন।

পোস্টটি দেখুন এখানে

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন রাতে ঢাকার মগবাজারের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে এবং এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্যানুযায়ী অন্তত ৬ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহতের তথ্য পাওয়া গিয়েছে

উল্লেখ্য, মগবাজার বিস্ফোরণে নিহত ০৬ জনের মধ্যে একজনের নাম রুহুল আমিন নোমান তার পৈতৃক নিবাস জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এবং তিনি স্ত্রী-কন্যা সহ ঢাকার শাহজাহানপুরে বসবাস করতেন। রুহুল আমিন নোমান ‘ল ফার্ম রহমান অ্যান্ড রহমান অ্যাসোসিয়েটস’ এ এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন।

অর্থাৎ, ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রুহুল আমিনের ঘটনাকে বর্তমানে মগবাজার বিস্ফোরণে নিহত দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ২৪ বছর পর দেশে ফেরা আমেরিকা প্রবাসী রুহুল আমিন মগবাজার বিস্ফোরণে নিহত
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের, CIA কর্মকর্তার নয়

সম্প্রতি “ছবির ব্যক্তিটি CIA কর্মকর্তা এবং ১০ বছর ধরে ইরাকে নকল মুসলিম সেজে ISIS কে পরিচালনা করার পর আমেরিকায় ফিরে দাড়ি কেটে এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, দেখো বিশ্বের মানুষ আমি ১০ বছর মুসলমানকে ধোকা দিয়ে ইরাককে ধ্বংস করেছি” শীর্ষক একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবির ব্যক্তিটি সিআইএ’র কর্মকর্তা নন বরং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

মূলত ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে আল কায়েদা কর্তৃক নিউ ইয়োর্কে টুইন টাওয়ার হামলার পর গ্যারি ওয়েডলি নামক এই স্কুল শিক্ষক হামলাটির মূল পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেন আটক বা খুন না হওয়া অবধি নিজের দাড়ি না কাটার প্রতিজ্ঞা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেন খুন হওয়ার খবর শুনে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর পর তার দাড়ি মুণ্ডন করেন এবং তৎকালীন সময়েই তার এই প্রতিজ্ঞা রক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

The Washington Post এর “Man shaves for first time since 9/11” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

Daily Mail এর “Bin Latherin’: Teacher who vowed not to shave until Al Qaeda leader was caught finally reaches for the razor” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে। 

The Seattle Times এর “Teacher shaves for first time since Sept. 11, 2001” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।

এছাড়াও Ny Daily News এবং CBS News এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

অর্থাৎ, গ্যারি ওয়েডলি নামক স্কুল শিক্ষকের দাড়ি মুণ্ডনের ছবিকে CIA কর্মকর্তা উল্লেখ করে ভুয়া দাবীতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মুসলিম সেজে ১০ বছর ISIS কে পরিচালনা করেছেন এই CIA কর্মকর্তা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: চিতা-হরিণের ভাইরাল ছবিটির শিরোনামের গল্পটি ভুয়া

“হরিন টার চোখে কোন ভয় দেখতে পাচ্ছেন? ছবিটা শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেয়েছে। ছবিটি তোলার পর ফটোগ্রাফার ডিপ্রেশনে চলে যান। চিতা বাঘ মা হরিণ ও তার দুই বাচ্চাকে ধাওয়া করলে মা হরিণটা চিতার কাছে নিজেকে ধরা দেয় যাতে তার বাচ্চা দুটো পালিয়ে যেতে পারে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চিতা বাঘগুলোর খাবারে পরিনত হওয়া মা হরিণটি তার বাচ্চাদের দূরে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া অবধি তাকিয়েই আছেন । মা তো মা ই” শীর্ষক শিরোনামে ছবিটি বিগত কয়েক বছর যাবত সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

২০১৮ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে
২০১৯ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে
২০২০ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে

২০২১ সালের ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় ছবির দৃশ্যটি মা চিতা কর্তৃক শাবকদের শিকারের কৌশল শেখানোর ঘটনা এবং ছবি তোলা সেই ফটোগ্রাফারের ডিপ্রেশনে যাওয়ার তথ্যটিও ভুয়া।

মূলত, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেনিয়ার মাসাইমারাতে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অ্যালিসন
বাটিজিয়েগ ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন এবং ক্যাপশনে লিখেন:

‘নারাশা নামের মা চিতা বাঘটি তার শাবকদের শিকার ধরার কৌশল শেখাচ্ছিল; শিকারকে কীভাবে নাস্তানবুদ করতে হবে তারই প্রশিক্ষন দেওয়ার চেষ্টা করছিল মা চিতাবাঘ নারাশা। বারবার মা চিতা নারাশা তার শাবকদের শিখিয়ে দিলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলো তারা। তিনি শিকারের দৃশ্যটির প্রতিটি ধাপ ক্যামেরাবন্দি করেন যদিও কয়েক মুহুর্তে পরেই ওই ইম্পালাকে ধরাশায়ী করেছিল চিতা শাবকরা তাদের অপরিপক্ক কৌশলেই।’

এছাড়া ২০১৭ সালে ছবিটির ফটোগ্রাফারের ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার ভুয়া দাবীটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে অ্যালিসন তার ফেসবুক পেজে উক্ত ছবিটি সংযুক্ত করে একটি পোস্টের মাধ্যমে লিখেন:

“এই ভুয়া গল্প সহ ছবিটি লক্ষাধিকবার বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। আমি লক্ষাধিক মেসেজের বন্যায় ভেসে যাচ্ছি। আমাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে আমি কি ‘অবসাদগ্রস্ত ফটোগ্রাফার’। আমাকে লিঙ্কডইনে ট্যাগ করা হচ্ছে ভুয়া রটনায় যা আমার পেশার দফারফা করতে চলেছে। কি বিষাক্ত পৃথিবীতে বাস করি আমরা। বোকা ধোকাবাজ লোকজন পাগলের মত ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে।’’

অর্থাৎ, চিতা শাবকদের শিকারের কৌশল শেখানোর চিত্রকে ভিন্ন একটি দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে এবং ছবিটির ফটোগ্রাফারের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: চিতা ও হরিণের এই ছবিটি তোলার পর ফটোগ্রাফার ডিপ্রেশনে চলে যান
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: Lol শব্দের অর্থ Lucifer Our Lord শীর্ষক দাবীটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “আপনি কি জানেন Lol শব্দের অর্থ- Lucifer Our Lord (শয়তান আমাদের ঈশ্বর)” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দাবী করা হয় গুপ্ত সংগঠন ইলুমিনাতি থেকে শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায় LOL শব্দের পূর্ণরূপ Lucifer our Lord নয় বরং এর আভিধানিক পূর্ণরূপ Laughing Out Loud।

অক্সফোর্ড ডিকশনারি এর তথ্যমতে ১৯৮৯ সালে ইলেক্ট্রনিক টেক্সট হিসেবে FidoNews এ প্রথম এটি ব্যবহার করা হয় এবং সর্বপ্রথম এটি টাইপ করেন ওয়েইন পিয়ারসন নামক এক ব্যক্তি।

পরবর্তীতে ২০১১ সালে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি ইন্টারনেটের জনপ্রিয় এই সংক্ষিপ্ত রূপ LOL কে Laughing Out Loud অর্থে তাদের অভিধানে যোগ করে। এ নিয়ে ০৮ এপ্রিল ২০১১ সালে বিবিস ডট কমে “Why did LOL infiltrate the language?” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

অক্সফোর্ড ডিকশনারি ছাড়াও প্রায় সকল ডিকশনারিতে Lol কে Laughing Out Loud হিসেবেই সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ক্যামব্রিজ ডিকশনারির সজ্ঞায়িত করার ওয়েবপেজ দেখুন এখানে।

কিছু ডিকশনারি Lol কে Lots of Love হিসেবে সংজ্ঞায়িত করলেও কোথাও Lol এর পূর্ণরুপ Lucifer our Lord হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায় নি। নিচে কিছু ডিকশনারারির সজ্ঞায়িত করার তালিকা দেখুনঃ

  1. Collins Dictionary
  2. Dictionary.com
  3. MERRIAM-WEBSTER
  4. Macmillan Dictionary

উল্লেখ্য, Lucifer our Lord শীর্ষক এই ভুয়া পূর্ণরূপটি ২০১২ সাল থেকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আসছে। ২৭ নভেম্বর ২০১২ সালে ভাইরাল একটি ফেসবুক পোস্ট এবং ২১ নভেম্বর একটি সাবরেডিটের একটি পোস্ট দেখুন এখানে।

২০১২ সালে আমেরিকার NBC News, আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান Snopes ও পরবর্তীতে Africa Check ২০১৯ সালে তথ্যটি শনাক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সুতরাং, Lol এর অর্থ Lucifer our Lord নয় এবং শব্দটি ইলুমিনাতির ষড়যন্ত্র দাবীতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: LOL শব্দের অর্থ কি Lucifer our Lord
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তি পাওয়ার তথ্যটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “এইমাত্র মুক্তি পেয়েছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তির দাবীটি ভুয়া এবং তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।

মূলত রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানী গত ৭ এপ্রিল র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) কর্তৃক গ্রেফতার হন। BBC News বাংলা এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। Daily Star এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

এছাড়াও তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি এবং দেশের মূলধারার কোন গণমাধ্যমেও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি।

সুতরাং, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর মুক্তি পাওয়ার দাবীটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী মুক্তি পেয়েছেন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেয়া যুবকের হাতে পচন ধরেছে দাবীতে ভিন্ন ব্যক্তির ছবি প্রচার

সম্প্রতি “আলহামদুলিল্লাহ, নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়া যুবকের দুই হাতে পঁচন ধরেছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহারে রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে, হাসপাতালের বিছানায় হাতে পচন ধরা ব্যক্তিটি পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই ব্যক্তি নন।

মূলত হাসপাতালের বিছানায় থাকা ব্যক্তিটি আমেরিকার নাগরিক Paul Gaylord এবং বিড়ালের কামড়ে তার দুই হাতের আঙ্গুল এক বিশেষ ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়।
২০১২ সালের জুলাই মাসে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস কর্তৃক এই ব্যাপক প্রচারিত হাতের ছবিটি তোলা হয় এবং একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। The Guardian এর “Oregon man recovering from rare case of the plague” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।

Daily Mail এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

এছাড়াও Daily News এবং Fox News এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে নরওয়েতে SIAN (Stopp Islamiseringen av Norge) নামক মুসলিম বিদ্বেষী গ্রুপের বিক্ষোভ চলাকালীন সময় গ্রুপটির নেতা Lars Thorsen পবিত্র কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ নিয়ে RT.com এর প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, কোরআনে আগুন দেয়ার ফলে Lars Thorsen এর হাতে পঁচন ধরেছে দাবিতে Paul Gaylord এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

সুতরাং, নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়া যুবকের হাতে পঁচন ধরেছে শীর্ষক তথ্য ও ছবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেয়া সেই যুবকের দুই হাতে পঁচন ধরেছে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]