বুধবার, অক্টোবর 9, 2024

Fact Check: চিতা-হরিণের ভাইরাল ছবিটির শিরোনামের গল্পটি ভুয়া

“হরিন টার চোখে কোন ভয় দেখতে পাচ্ছেন? ছবিটা শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেয়েছে। ছবিটি তোলার পর ফটোগ্রাফার ডিপ্রেশনে চলে যান। চিতা বাঘ মা হরিণ ও তার দুই বাচ্চাকে ধাওয়া করলে মা হরিণটা চিতার কাছে নিজেকে ধরা দেয় যাতে তার বাচ্চা দুটো পালিয়ে যেতে পারে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চিতা বাঘগুলোর খাবারে পরিনত হওয়া মা হরিণটি তার বাচ্চাদের দূরে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া অবধি তাকিয়েই আছেন । মা তো মা ই” শীর্ষক শিরোনামে ছবিটি বিগত কয়েক বছর যাবত সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

২০১৮ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে
২০১৯ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে
২০২০ সালে ভাইরাল পোস্টটি দেখুন এখানে

২০২১ সালের ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় ছবির দৃশ্যটি মা চিতা কর্তৃক শাবকদের শিকারের কৌশল শেখানোর ঘটনা এবং ছবি তোলা সেই ফটোগ্রাফারের ডিপ্রেশনে যাওয়ার তথ্যটিও ভুয়া।

মূলত, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেনিয়ার মাসাইমারাতে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অ্যালিসন
বাটিজিয়েগ ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন এবং ক্যাপশনে লিখেন:

‘নারাশা নামের মা চিতা বাঘটি তার শাবকদের শিকার ধরার কৌশল শেখাচ্ছিল; শিকারকে কীভাবে নাস্তানবুদ করতে হবে তারই প্রশিক্ষন দেওয়ার চেষ্টা করছিল মা চিতাবাঘ নারাশা। বারবার মা চিতা নারাশা তার শাবকদের শিখিয়ে দিলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলো তারা। তিনি শিকারের দৃশ্যটির প্রতিটি ধাপ ক্যামেরাবন্দি করেন যদিও কয়েক মুহুর্তে পরেই ওই ইম্পালাকে ধরাশায়ী করেছিল চিতা শাবকরা তাদের অপরিপক্ক কৌশলেই।’

এছাড়া ২০১৭ সালে ছবিটির ফটোগ্রাফারের ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার ভুয়া দাবীটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে অ্যালিসন তার ফেসবুক পেজে উক্ত ছবিটি সংযুক্ত করে একটি পোস্টের মাধ্যমে লিখেন:

“এই ভুয়া গল্প সহ ছবিটি লক্ষাধিকবার বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। আমি লক্ষাধিক মেসেজের বন্যায় ভেসে যাচ্ছি। আমাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে আমি কি ‘অবসাদগ্রস্ত ফটোগ্রাফার’। আমাকে লিঙ্কডইনে ট্যাগ করা হচ্ছে ভুয়া রটনায় যা আমার পেশার দফারফা করতে চলেছে। কি বিষাক্ত পৃথিবীতে বাস করি আমরা। বোকা ধোকাবাজ লোকজন পাগলের মত ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে।’’

অর্থাৎ, চিতা শাবকদের শিকারের কৌশল শেখানোর চিত্রকে ভিন্ন একটি দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে এবং ছবিটির ফটোগ্রাফারের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: চিতা ও হরিণের এই ছবিটি তোলার পর ফটোগ্রাফার ডিপ্রেশনে চলে যান
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

আরও পড়ুন

spot_img