Home Blog Page 857

ছবিটি পাকিস্তানে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা প্রদানের, নিউজিল্যান্ড দলের নয়

0

“নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ারদের এভাবেই সিকিউরিটি দিয়ে পাকিস্থানে রাখা হয়েছিলো” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের নয় বরং এটি শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ২০১৯ সালে পাকিস্তান সফরের ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে Azzam Ameen নামের একটি ভেরিফাইড টুইটার আইডিতে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

শ্রীলংকা ক্রিকেটের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে “Asantha De Mel speaks on Security provided to the ‘National Team’ in Pakistan” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও নিউজিল্যান্ড দলকে নিরাপত্তা প্রদানের চিত্র দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাথে মিল থাকা একটি ভিডিওচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

এছাড়াও, শ্রীলংকার অনলাইন পত্রিকা ‘The Morning’ এও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে “Presidential level security for SL Team in Pakistan” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে আলোচিত ছবিটির অস্তিত্ব রয়েছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

মূলত, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল পাকিস্তান সরকারের রাষ্ট্রপ্রধানের সমমানের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে লিমিটেড ওভার সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলো। এর আগে ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাটির পর থেকে পাকিস্তান দল তাদের বেশিরভাগ হোম ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৮ বছর পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল পাকিস্তান সরকারের বিশেষ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে তিন সপ্তাহের সফরে পাকিস্তানে যায়। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বরে তাদের প্রথম ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট পূর্বে নিউজিল্যান্ড সরকারের থেকে একটি নিরাপত্তা সতর্কতার কারণে তারা তাদের লিমিটেড অভার সিরিজের পাকিস্তান সফরটি বাতিল করে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থাৎ, ২০১৯ সালে পাকিস্তানে সফররত শ্রীলংকান ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তার প্রদানের পুরোনো ছবিটিকে বর্তমানে নিউজিল্যান্ড দলকে নিরাপত্তা প্রদানের চিত্র দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ারদের এভাবেই সিকিউরিটি দিয়ে পাকিস্থানে রাখা হয়েছিলো
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Azzam Ameen Twitter: https://twitter.com/AzzamAmeen/status/1178652521692303360
  2. Sri Lanka Cricket YouTube: https://www.youtube.com/watch?v=W2HKQWeoBxg
  3. The Morning: Presidential level security for SL Team in Pakistan
  4. Outlook India: How Is Pakistan Guarding Sri Lankan Cricketers From Killer Terrorists
  5. AP News: Under heavy security, Sri Lanka cricket team tours Pakistan
  6. Stuff: Black Caps arrive in Pakistan amid ‘highest level of security’ for first tour in 18 years
  7. New Zealand Cricket: BLACKCAPS tour of Pakistan abandoned
  8. DW: নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করলো নিউজিল্যান্ড

ফেরাউনের পাসপোর্টের ছবিটি আসল নয়, এটি একটি আর্টওয়ার্ক

0

“১৯৭৪ সালে মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফেরাউনের নামে এই পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়েছিলো” শীর্ষক শিরোনামে একটি পাসপোর্টের ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

ফেরাউনের পাসপোর্ট

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেরাউন বা দ্বিতীয় রামসেস এর পাসপোর্ট দাবিতে প্রচারিত পাসপোর্টটি আসল নয় বরং ছবিটি একজন শিল্পীর তৈরি ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক।

আলোচিত পাসপোর্টের ছবিটির বাম পাশে থাকা বারকোডের নিচে HERITAGEDAILY.COM নামের একটি ওয়েবসাইটের নাম লক্ষ্য করা যায় এবং কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে Heritage Daily নামে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায়। Heritage Daily মূলত একটি প্রত্নতত্ত্ব বা পুরাতত্ত্ব বিষয়ক ওয়েবসাইট।

পরবর্তীতে Heritage Daily ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চে “The passport of Ramesses II” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে ফেরাউনের দাবিতে প্রচারিত পাসপোর্টটির মত হুবুহু আরেকটা পাসপোর্টের অস্তিত্ব রয়েছে

ফেরাউনের পাসপোর্ট

পাসপোর্টের ছবির নিচে লেখা রয়েছে ‘Image Credit – HeritageDaily – An artist’s creation of the passport – Image is for representative purposes – The actual passport is not publicly available. অর্থাৎ ‘পাসপোর্টটি শুধুমাত্র নমুনাস্বরূপ উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে, প্রকৃত পাসপোর্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়’।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, “ফেরাউনের মমিকে যখন প্যারিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন মমির মুখমন্ডল সহ একটি বৈধ মিশরীয় পাসপোর্ট তৈরি করা হয় এবং পাসপোর্টে ফেরাউনের পেশা হিসেবে “রাজা (মৃত)” উল্লেখ করা ছিলো”। 

ফেরাউনের পাসপোর্ট

কিন্তু সেই সময়ে কোন পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিলো কিনা এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাই রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি আলাদাভাবে যাচাই করে দেখেনি।

তবে সেই সময়ে যদি কোন পাসপোর্ট তৈরি হয়েও থাকে তবুও এ বিষয়টি নিশ্চিত যে সেই পাসপোর্ট এবং বর্তমানে প্রচারিত পাসপোর্টটি এক নয়। কারণ বর্তমানে প্রচারিত পাসপোর্টটি ২০২০ সালে আর্টওয়ার্ক হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৭৬ সালে দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ছত্রাক সংক্রমণের সাথে যুক্ত রোগের চিকিৎসার জন্য রামসেসের মমিকে প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়েছিলো এবং ফরাসি সামরিক বিমান কায়রো জাদুঘর থেকে রামসেস এর মমি নিয়ে এসে তাকে Garde républicaine বা Republican Guard সম্মান দিয়েছিলো।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

উল্লেখ্য, প্রাচীন ইতিহাস এনসাইক্লোপিডিয়া World History অনুসারে ১৯তম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও বা দ্বিতীয় রামসেস ৯৬ বছর বেচে ছিলেন।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

অর্থাৎ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্মিত একটি নমুনাস্বরূপ পাসপোর্টের ছবিকে ফেরাউনের প্রকৃত/আসল পাসপোর্ট দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ১৯৭৪ সালে মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফেরাউনের নামে এই পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়েছিলো
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্রঃ-

  1. Heritage Daily: The Passport of Ramesses II / Archive
  2. National Geographic: Mummy mugshots and other strange passport facts / Archive 
  3. Ancient History Encyclopedia: Ramesses II / Archive
  4. The New York Times: Paris Mounts Honor Guard For a Mummy / Archive 

ময়মনসিংহে নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যুর তথ্যটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “ময়মনসিংহে ১৭জন হাফেজা বোন কোরআন হেফজ শেষ করে ভ্রমণে গিয়েছিল। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরার সময় নৌকা ডুবে ইন্তেকাল করেন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যু

নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যু

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহ জেলায় নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজা নিহতের কোন ঘটনা ঘটেনি এবং আলোচ্য ফেসবুক পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ছবি দুইটি পুরোনো।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ২০২০ সালের ০৬ আগস্টে “মদনে নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ফেসবুক পোস্টে ব্যবহৃত দুইটি ছবির ই উল্লেখ রয়েছে।

নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যু নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যু

দৈনিক প্রথম আলোর “হাওরে বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন ১৭ জন” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে

নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজার মৃত্যু

মুলত, গত বছরের ০৫ আগস্টে নেত্রকোনার মদন উপজেলার রাজালিকান্দা হাওরে ট্রলার ডুবে অন্তত ১৭ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় মৃত যাত্রীরা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছিলো।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় সংবাদমাধ্যম গুলোতে ময়মনসিংহে নৌকাডুবিতে ১৭ জন হাফেজা নিহত শীর্ষক কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। এছাড়াও ময়মনসিংহের স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে ভুয়া চিহ্নিত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।

অর্থাৎ, পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার দুইটি ছবি ব্যবহার করে ময়মনসিংহে ১৭ জন কোরআনের হাফেজার নৌকাডুবিতে মৃত্যুর দাবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়া।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ময়মনসিংহে ১৭ জন বোন কোরআনের হাফেজা নৌকা ডুবে মৃত্যু বরণ করেন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র:- 

  1.  বাংলা ট্রিবিউন: মদনে নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন

  2. প্রথম আলো: হাওরে বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন ১৭ জন

  3. Ekushey Television – ETV: নেত্রকোনায় হাওরে নৌকাডুবিতে নিহত ১৭ জনের ৮জনই এক পরিবারের

 

আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর কোভিড-১৯ কে ব্যাকটেরিয়া ঘোষণা দেয়নি

দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকার ঘটনাটি ভারতের, বাংলাদেশের নয়

0

সম্প্রতি “ব্রেকিং নিউজ, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা

স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা পাওয়ার ঘটনাটি ভারতের বিহার রাজ্যের, বাংলাদেশের নয়।

মূলত, ভারতের বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলায় দুই স্কুলছাত্র তাদের স্কুলের পোশাকের টাকা জমা পড়েছে কিনা দেখার জন্য গেলে তারা দেখতে পায় তাদের দুইজনের একাউন্টে মোট ৯৬০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম NDTV এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে

খবরটি জানার পর উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংক হিসাব শিথিল করেছে এবং কিভাবে তাদের একাউন্টে এত টাকা জমা পড়লো সেটা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একই শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে মূল ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বেশ কিছু ফেসবুক আইডি ও পেজে ঘটনাটির স্থান উল্লেখ না করে শুধুমাত্র শিরোনামের লেখাটি পোস্ট করার কারণে ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়াও, ক্ষুদ্রঋণ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের ২রা অক্টোবর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচ্য ঘটনায় উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের নামের মিল থাকায় তথ্যটি দেখে বাংলাদেশের বলে মনে করছেন অনেকেই।

সুতরাং, “দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা!” শীর্ষক শিরোনামে যে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ব্রেকিং নিউজ, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার একটি রিসোর্টের প্রবেশপথের, বাংলাদেশের রংপুরের নয়

0

সম্প্রতি “বাংলাদেশ ও পারে যদি ইচ্ছে করে, লোকেশনঃ রংপুর হারাগাছ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচ্য ছবিটি বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের হারাগাছ নামক স্থানের নয় বরং ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি রিসোর্টের।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে একাধিক ওয়েবসাইটে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় এবং ওয়েবসাইট গুলোতে ছবিটির স্থান Bamboo Tunnel, Bali উল্লেখ করা রয়েছে।

মূলত, আলোচ্য ছবিটি W Bali নামক একটি রিসোর্টের প্রবেশপথের এবং রিসোর্টটি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের Seminyak সৈকতে অবস্থিত।

দেখুন এখানে
দেখুন এখানে

এছাড়া, Google Map এবং রিসোর্টটির ওয়েবসাইটের সহায়তায় আলোচ্য ছবিটি যে W Bali রিসোর্টের প্রবেশপথের সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

অর্থাৎ, ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অবস্থিত একটি রিসোর্টের প্রবেশপথের ছবিকে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের ছবি দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: বাংলাদেশ ও পারে যদি ইচ্ছে করে লোকেশন রংপুর হারাগাছ
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

Fact Check: ভিডিওটি CGI পদ্ধতিতে নির্মিত, বাস্তব টর্নেডোর নয়

0

সম্প্রতি “When the sky meets the ocean” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

 sky meets the ocean fact check

 sky meets the ocean fact check

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।
টিকটকে ভাইরাল ভিডিও দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাগর-আকাশের মিলিত হওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং ভিডিওটি CGI (Computer-Generated Imagery) পদ্ধতিতে নির্মিত।

ভিডিও সার্চিং প্রযুক্তির সহায়তায়, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বরে ‘orphicframer’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে “Tornado in Jersey, Channel Islands (CGI simulation)(TikTok)” শিরোনামে প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। একই ভিডিও ‘orphicframer’ নামের টিকটক এবং ইন্সটাগ্রাম আইডিতেও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

sky meets the ocean fact check
দেখুন এখানে

মূলত, orphicframer একজন CGI/VFX আর্টিস্ট। তার ইন্সটাগ্রাম এবং টিকটক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও orphicframer এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলোতে এই জাতীয় ততোধিক CGI ভিডিওর অস্তিত্ব রয়েছে।

When the sky meets the ocean fact check

উল্লেখ্য, কোন প্রযুক্তি এবং সরঞ্জামের সমন্বয়ে তিনি ভিডিওটি তৈরি করেছেন তা তার ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওটির বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও ২০১৯ সালের ৮ জুনে তিনি তার ইন্সটাগ্রাম আইডির হাইলাইটসে মূল ফুটেজ সহ সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরির ব্রেকডাউন দৃশ্য প্রকাশ করেছেন।

sky meets the ocean fact check

অর্থাৎ, CGI পদ্ধতিতে নির্মিত একটি ভিডিওকে সাগর-আকাশের মিলিত হওয়ার দৃশ্য দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: When the sky meets the ocean
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: গানটির শিল্পী জেইন ভিখা, মাইকেল জ্যাকসন নয়

0

সম্প্রতি “আল্লাহর ৯৯ টি নাম নিয়ে গাওয়া মাইকেল জ্যাকসনের শেষ গান” শীর্ষক শিরোনামে একটি গানের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচ্য গানটি মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া নয় বরং গানটির মূল শিল্পীর নাম জেইন ভিখা। এছাড়াও ভিডিওটি এডিটেড বা বিকৃত করা।

গানটির লিরিক্স এবং অডিও সার্চের মাধ্যমে দেখা যায় এটি “Towards the Light” নামের মিউজিক অ্যালবামে “Give Thanks To Allah” শিরোনামে ২০০০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।

গুজবের সূত্রপাত

গানটি মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া দাবিতে সর্বপ্রথম ০৯ মে ২০০৭ সালে Naved Zia নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীতে গানটির মূল শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন নয় জানতে পেরে তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুনে ইউটিউব ভিডিওটির বর্ণনা পরিবর্তন করে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

এছাড়াও, গানটির সাথে জুড়ে দেয়া মাইকেল জ্যাকসনের ভিডিওটি ১৯ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাওয়া “Gone To Soon” এবং “Heal The World” গান থেকে নেয়া।

উল্লেখ্য, জেইন ভিখা’র ২০১০ সালে প্রকাশিত “A Way Of Life” অ্যালবামেও উক্ত গানটির অস্তিত্ব রয়েছে।

দেখুন এখানে

এ বিষয়ে এএফপি বাংলাদেশও ভিডিওটিকে অসত্য চিহ্নিত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অর্থাৎ, দক্ষিণ আফ্রিকান গীতিকার ও শিল্পী জেইন ভিখা’র গাওয়া গানটিকে বর্তমানে মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া শেষ গান দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আল্লাহর ৯৯ টি নাম নিয়ে গাওয়া মাইকেল জ্যাকসনের শেষ গান
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

সালমান শাহ’র প্রতি সালমান খানের শ্রদ্ধা নিবেদন দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি “Humble Tribute Hero Salman Shah” শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটি ভারতের অভিনেতা সালমান খান কর্তৃক বাংলাদেশের প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নয় বরং ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বিকৃত করা।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, Pameli Kayal নামের একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে প্রকাশিত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে সালমান খানের অফিশিয়াল ইন্সটাগ্রাম আইডি মেনশন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Pameli Kayal | Artist (@pamelyi)

এছাড়াও একইদিনে Salman Khan Fan Club নামের একটি টুইটার আইডি থেকে “Handsome #SalmanKhan with portrait of Him and Mom by Pameli Kayal.” শিরোনামে আরেকটি টুইট করা হয়েছিলো।

মূলত, পামেলী কায়াল একজন চিত্রশিল্পী এবং তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে এই ধরণের আরো অনেক পেন্সিল স্কেচের অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া তার আইডির হাইলাইটসেও ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো যেখানে পামেলীর স্বাক্ষর দৃশ্যমান।

তবে সালমান শাহ এর স্কেচটি কোন শিল্পী তৈরি করেছেন সেই সম্পর্কে কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, সালমান শাহ নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেওয়া চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সালমান শাহ সেদিন আত্মহত্যা করেছিলেন।

অর্থাৎ, সালমান শাহ’র প্রতি সালমান খানের শ্রদ্ধা নিবেদন দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: Humble Tribute Hero Salman Shah
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: এটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ছবি নয়

0

সম্প্রতি “এই হলো ভারতীয় মুসলমান ভাইদের অবস্থা, আল্লাহ আপনি তাদের হেফাজত করুন” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

মুসলিম নির্যাতন মুসলিম নির্যাতন

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের কোন ঘটনার নয় বরং এটি গো-রক্ষক’দের হাতে চার দলিত যুবক নির্যাতিত হওয়ার ঘটনার দৃশ্য।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত আলোচ্য ছবি সম্বলিত একাধিক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে বলা হয়েছে ভারতের গুজরাট প্রদেশে ‘গো-রক্ষক’ কর্তৃক দলিত সম্প্রদায়ের চার যুবককে এভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে।

মুসলিম নির্যাতন
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

মূলত, ভারতের গুজরাটে স্থানীয় গো-রক্ষক সমিতির কয়েকজন সদস্য গরুর চামড়া ছাড়ানোর কাজে নিয়োজিত চার দলিত যুবককে গরু চুরির অভিযোগে আটকে রেখে নির্যাতন করে। তবে পুলিশ এবং নির্যাতিত ব্যক্তিরা উভয়েই এই অভিযোগ নাকচ করে জানায়, পেশাগত কাজের অংশ হিসেবেই তারা মরা গরুটিকে অন্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে সেই গো-রক্ষক সমিতির তিনজনকে উল্টো গ্রেফতার করে স্থানীয় প্রশাসন।

মুসলিম নির্যাতন
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

উল্লেখ্য, ‘গো রক্ষক’ বলতে সেসব হিন্দু কট্টরপন্থীদের বোঝায় যারা গরু জবাই অথবা গো-মাংস খাওয়ার অভিযোগে মানুষের উপর নির্যাতন চালায়। আর দলিতরা হলো ভারতীয় হিন্দুধর্মের কৌলিণ্য প্রথার সবচেয়ে নীচু বর্ণ যাদেরকে ‘অস্পৃশ্য’ মনে করা হয়। দীর্ঘদিন থেকেই দেশটিতে দলিতরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন।

একই বিষয়ে এএফপি বাংলাদেশ এবং বুম বাংলাদেশ ছবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অর্থাৎ, ভারতের গুজরাট প্রদেশে গো রক্ষক সমিতির সদস্য কর্তৃক দলিত সম্প্রদায়ের যুবক নির্যাতন করার ছবিকে মুসলিম নির্যাতনের দৃশ্য দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: এই হলো ভারতীয় মুসলমান ভাইদের অবস্থা, আল্লাহ আপনি তাদের হেফাজত করুন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Fact Check: কাঁঠালবাড়ি ঘাটে নৌযান দুর্ঘটনার এই ভিডিওটি পুরোনো

0

সম্প্রতি “ইন্নালিল্লাহ,, কিছুক্ষণ আগে মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা স্পিড বোর্ড শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে বলগেটের সাথে দুর্ঘটনায় ২৭ জনের লাশ উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নৌপথে দুর্ঘটনার এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ভিডিওটি চার মাস পূর্বের।

ভিডিও সার্চিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোচ্য ভিডিওটির একাধিক চিত্র সার্চের মাধ্যমে চলতি বছরের মে মাসের ০৩ তারিখে হুবহু শিরোনামে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

 

মূলত, গত ০৩ মে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাওয়ার পথে পুরোনো কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে নোঙর করা বালুবোঝাই বাল্কহেডের (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে ২৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। উক্ত দূর্ঘটনাটি নিয়ে সেসময়ে দেশের প্রায় সকল মূলধারার সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

একই বিষয়ে ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ‘বুম’ এর অঙ্গসংগঠন ‘বুম বাংলাদেশ’ ও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সুতরাং, চার মাসের পূর্বে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের স্পিডবোট দুর্ঘটনার ভিডিওকে কিছুক্ষণ আগের অর্থাৎ সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: কিছুক্ষণ আগে মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা স্পিড বোর্ড শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে বলগেটের সাথে দুর্ঘটনায় ২৭ জনের লাশ উদ্ধার
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]