সম্প্রতি “ব্রেকিং নিউজ, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা পাওয়ার ঘটনাটি ভারতের বিহার রাজ্যের, বাংলাদেশের নয়।
মূলত, ভারতের বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলায় দুই স্কুলছাত্র তাদের স্কুলের পোশাকের টাকা জমা পড়েছে কিনা দেখার জন্য গেলে তারা দেখতে পায় তাদের দুইজনের একাউন্টে মোট ৯৬০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম NDTV এর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
খবরটি জানার পর উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংক হিসাব শিথিল করেছে এবং কিভাবে তাদের একাউন্টে এত টাকা জমা পড়লো সেটা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একই শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে মূল ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বেশ কিছু ফেসবুক আইডি ও পেজে ঘটনাটির স্থান উল্লেখ না করে শুধুমাত্র শিরোনামের লেখাটি পোস্ট করার কারণে ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়াও, ক্ষুদ্রঋণ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের ২রা অক্টোবর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচ্য ঘটনায় উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের নামের মিল থাকায় তথ্যটি দেখে বাংলাদেশের বলে মনে করছেন অনেকেই।
সুতরাং, “দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা!” শীর্ষক শিরোনামে যে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: ব্রেকিং নিউজ, দুই স্কুলছাত্রের গ্রামীণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকা
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: Misleading
[/su_box]