Home Blog Page 60

আ. লীগের হরতাল সমর্থনে গাজীপুরে বাসে আগুন দাবিতে নেপালের পুরোনো ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে গতকাল (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছিল আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, ‘গাজীপুরের সাহসী ভাইদেরকে স্যালুট। ইউনূসের পতন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল সফল হোক।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা দুইটি বাসের মধ্যে একটিতে আগুনে জ্বলছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গাজীপুরের নয় বরং, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কাঠমুন্ডুর দাবিতে ২০২১ সাল থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে গতকাল গাজীপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অনুসন্ধানে ‘sarumagar’ নামক একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত টিকটক পোস্টের ক্যাপশনটি নেপালী ভাষায় লিখা। যা অনুবাদ করে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর।

এরপর ‘अनल श्रेष्ठ’ নামক একটি নেপালী অ্যাকাউন্ট থেকে একই তারিখে উক্ত ঘটনার ভিন্ন দিক থেকে প্রচারিত একটি পোস্টে দুইটি ভিডিও পাওয়া। উক্ত ভিডিওতে একাধিক সাইনবোর্ড দেখা যায় যেগুলো নেপালী ভাষায় লিখা।

Screenshot: Facebook

পাশাপাশি, উক্ত পোস্টের ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ঘটনাটি স্বম্ভুমের। পরবর্তীতে স্বম্ভুমের বিষয়ে অনুসন্ধানে গুগল ম্যাপে দেখা যায়, জায়গাটি নেপালের কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত। 

তারপর প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গতকাল (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে দেশের একাধিক জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও গাজীপুরে এরকম ঘটনার কোনো তথ্য গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, নেপালের স্বম্ভুমে বাসে আগুন লাগার ভিডিওকে গতকাল (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের হরতালের সমর্থনে গাজীপুরে বাসে আগুন দেওয়ার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আফগানিস্তানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, ‘মাদ্রাসার শিক্ষকের জঙ্গী তান্ডব দেখেন!! মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র অনৈতিক প্রস্তাব না মানায় ছাত্রকে কি নির্মম ভাবে মারধর করছে!! আপনার ছেলে কে মাদ্রাসায় দিয়েছেন ছেলে কেমন আছে খবর নিয়েছেন??’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি আফগানিস্তানের একটি ঘটনা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে উজবেক গণমাধ্যম ‘Daryo’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ‘Afghanistan arrests supporter of student corporal punishment’ শীর্ষক  শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের শরীন তাগাব অঞ্চলের মসজিদের ইমাম ও ‘দারুল হুফ্‌ফাজ’ মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী কুদরাতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি ছাত্রদের শারীরিক শাস্তির পক্ষে ছিলেন। এক ছাত্রকে মারধরের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তাকে গ্রেফতার করে ইসলামিক আমিরাত বাহিনী।

উল্লিখিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওর বিষয়ের আফগানিস্তানের গণমাধ্যম ‘Tolonews’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর “Faryab Teacher Caught on Video Beating a Student Has Been Detained” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের শরীন তাগাব জেলার সায়াদ এলাকার একটি মাদ্রাসায় ছাত্র পিটানোর একটি ঘটনা ঘটে। ‘দারুল হিফাজ’ নামের ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী কুদরাতুল্লাহ তার এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। 

অর্থাৎ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়।

সুতরাং, আফগানিস্তানে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

0

সম্প্রতি, “এদেশে এখন মা-বোনদের নিরাপত্তা নাই। ২৪ শে পূর্ব পাকিস্তান নৃশংসতা! মেয়েটার দোষ কি জানলে আওয়াজ দিয়েন! এই পাকিস্তানের ব্রিজ” শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত নারী নির্যাতনের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার পুরোনো একটি ঘটনার ভিডিও। 

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের অনলাইন সংস্করণে ‘2 Arrested After Gruesome Video Of TMC MLA’s ‘Aide’ Beating Woman In Bengal Goes Viral’ শীর্ষক শিরোনামে ২০২৪ সালের ০৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে৷ 

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় একদল লোক একটি মেয়েকে লাঞ্ছিত করছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নিয়ে ভিডিও ফুটেজটি থেকে চিহ্নিত দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় দুই বছর আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একই ভিডিওটি বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হলে সে সময়ে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

চীনের তৈরি মানুষ আকৃতির রোবটের দৃশ্য দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, “পুরাই মানুষের মত রোবট তৈরি করল চীন” ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটি প্রায় ৫২ লক্ষবার দেখা হয়েছে।

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চীনের তৈরি মানুষের আকৃতির রোবটের দৃশ্য নয়; বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, ভিডিওটি কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে “Cinelab AI” নামক ইউজার নেমের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ১০ জুন ‘2025’s Most Realistic Robot Girl Revealed! – Live event #irc #shorts #robot’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Screenshot: Youtube

উক্ত ভিডিও প্রচারকারী চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এটি একটি এআই কনটেন্ট ক্রিয়েশন চ্যানেল। তারা বিভিন্ন ধরণের এআই ভিডিও (1,2,3) বানিয়ে থাকেন। আলোচিত নারীর মুখাবয়ব সম্বলিত একাধিক ভিডিও (,,) রয়েছে উক্ত চ্যানেলে। 

Screenshot: Youtube

বিষয়টি আরও নিশ্চিতের জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম হাইভ মডারেশনে ভিডিওটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯ শতাংশ।

Screenshot: Hive Moderation. 

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে চীনের তৈরি মানুষের আকৃতির রোবটের দৃশ্য দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

চাঁদা না দেওয়ায় বাংলাদেশে ব্যবসায়ীর সবজি নষ্ট করার দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, চাঁদা না দেওয়ার কারণে সবজি ব্যবসায়ীর পটল পিটিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে চাঁদাবাজির সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া ভিডিওটি বাংলাদেশেরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীর ফসল নষ্ট করার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম Prag News এর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২১ জুন প্রচারিত একটি ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুর জেলায় ঘটেছে। এতে দেখা যায়, এক কৃষক ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষোভে নিজের ফসল নষ্ট করছেন। প্রতি কেজি পটলের মূল্য ২ রুপি প্রস্তাব করা হলে তিনি এই কাজ করেন।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে (, ) একই ভিডিওটির সন্ধান পাওয়া যায়। গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, ন্যায্য মূল না পাওয়ায় কৃষকের ফসল নষ্ট করার এই ভিডিওটি বিহারের ভাগলপুর জেলার মথুরাপুর গ্রামের।

সুতরাং, ভারতের বিহার রাজ্যে ন্যায্য মূল না পাওয়ায় কৃষকের ফসল নষ্ট করার ভিডিওকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চাঁদাবাজির দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হেলমেটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের

0

সম্প্রতি, হামলার ভয়ে বাংলাদেশে এক যুবক হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন দাবিতে কালবেলার একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হামলার ভয়ে যুবকের হেলমেটের সাথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের ইন্দোর শহরের ঘটনাকে স্থান উল্লেখ না করে ফটোকার্ড প্রচার করায় নেটিজেনরা এটিকে বাংলাদেশের ঘটনা ধরে নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ফটোকার্ডটিতে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র লোগো রয়েছে এবং প্রচারের তারিখ হিসেবে ১৩ জুলাই ২০২৫ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কালবেলার ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে গত ১৩ জুলাই হামলার ভয়ে হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন যুবক শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত মূল ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রাপ্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হামলার ভয়ে যুবকের হেলমেটে সিসি ক্যামেলা লাগিয়ে ঘুরার ঘটনাটি ভারতের ইন্দোর শহরের। ওই যুবকের নাম সতীশ চৌহান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর বরাতে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, প্রতিবেশী বলিরাম চৌহান ও মুন্না চৌহানের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তীব্র বিরোধে জড়িয়েছেন সতীশ চৌহান। একারণে যে কোনো সময় নিজের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন তিনি। নিরাপত্তার জন্য তাই হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন, যাতে তার ওপর কোনো হামলা হলে পুলিশ হামলাকারীদের শণাক্ত করতে পারেন।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটির সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া একই বিষয়ের সংবাদে শিরোনামে ভারতের কথা উল্লেখ না করে ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে দেশীয় গণমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনজাগোনিউজ২৪, এটিএন নিউজ এবং বিডি২৪রিপোর্ট। 

ফটোকার্ডের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই তারা বিষয়টিকে বাংলাদেশের মনে করে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

Collage by Rumor Scanner 

সুতরাং, ভারতের ইন্দোর শহরে হামলার ভয়ে যুবকের হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরার ঘটনাকে বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

নায়িকা পরী মণি দাবিতে ভারতীয় নারীর সম্পাদিত ছবি প্রচার  

সম্প্রতি, চিত্র নায়িকা পরী মণির ছবি দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো নায়িকা পরী মণির নয়। বরং, ভারতীয় এক নারীর ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে, তাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সাহায্যে পরী মণির মুখমণ্ডল বসিয়ে আলোচিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Saraswati Khanal’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ১৬ জুন প্রচারিত কিছু ছবির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। মুখমণ্ডলের সামান্য পার্থক্য ছাড়া অন্যান্য উপাদানে ছবিগুলোর মধ্যে মিল দেখা যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

পরবর্তীতে ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংশ্লিষ্ট নারীর একটি ইউটিউব চ্যানেলের সন্ধান মেলে। জানা যায়, চ্যানেলটি ভারত থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেখানে তার বিভিন্ন ভ্লগিং ভিডিও-ও পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে দাবিকৃত ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ‘সাইটইঞ্জিন’-এ পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, ছবিগুলো এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ। প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছবিগুলোতে ‘Face manipulation’ বা মুখের কৃত্রিম পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ রয়েছে, যার ভিত্তিতেই এ মূল্যায়ন দেওয়া হয়েছে।

Screenshot: Sightengine.

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক নারীর ছবি সংগ্রহ করে তাতে প্রযুক্তির সাহায্যে অভিনেত্রী পরী মনির মুখমণ্ডল বসিয়ে ছবিগুলো প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

মানসিক রোগীর কাউকে না জানিয়ে ঘরে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক আঙ্গিকে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন নারীর একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “একজন হিন্দু বিবাহিত নারী গত ১৩ই জুলাই থেকে চট্টগ্রাম, বাকলিয়া থানা, নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তার দুটি ছোট সন্তান আছে। তার পরিবার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং ভগ্নহৃদয়ে আছে।… #SaveBangladeshiHindus” (অনূদিত) এছাড়াও, কিছু পোস্টে লেখা হয়, “একজন বাংলাদেশী হিন্দু বিবাহিত মহিলা এবং দুই সন্তানের জননী কোনো খোঁজ ছাড়াই নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এটা গাজা বা সিরিয়া নয়। তাই কোনো শিরোনাম নেই, নেই কোনো ক্ষোভ। শুধুই আরেকজন হিন্দু।” অর্থাৎ, আলোচিত দাবিটি সাম্প্রদায়িক আঙ্গিকে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত নারীর নাম জয়া মল্লিক। তার নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, মানসিক সমস্যায় ভোগা এই নারী স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে তাকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স সার্চ করলে “শ্রী সাগর দেবনাথ” নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৪ জুলাইয়ে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটিতে দুইটি ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় যার একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে সংযুক্ত ছবির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

পোস্টটিতে বলা হয়, “নিখোঁজ সংবাদ | নাম-  জয়া মল্লিক, ঠিকানা – চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার বাস্তুহারার সৎসঙ্গ বিহার এলাকা থেকে এই মহিলাটি ১৩ই জুলাই (রবিবার) বিকাল ৪টা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন । এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ নারীর দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে। তাঁর পরিবার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও শোকাহত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।..”

উক্ত পোস্টটির মন্তব্য বিভাগে পরবর্তীতে পোস্টকারী বলেন, “অবশেষে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় নিখোঁজ দিদিটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁর পরিবার তাকে নিরাপদে নিয়ে আসতেছেন। সকলকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যারা শেয়ার করে সহযোগিতা করেছেন। আজ রাত ৯ টার দিকে তাকে পাওয়া যায় কক্সবাজার জেলা, চুনতি এবং হারবাং এর মাঝামাঝি আজিজ নগর এলাকা হতে,,।১৪/০৭/২০২৫,”।

এছাড়াও অনুসন্ধানে “চন্দন কুমার শীল চন্দন” নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও গত ১৪ জুলাইয়ে এ বিষয়ে প্রচারিত একটি ‘নিখোঁজ সংবাদ’ পোস্ট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পোস্টটি শেয়ার করে একই পোস্টকারী ১৫ জুলাইয়ে জানান, গত ১৪ জুলাই উক্ত নারীকে পাওয়া গেছে। উক্ত পোস্টেও বলা হয়, এই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে নিখোঁজ জয়া মল্লিকের বোন করবী সেনের সাথে কথা বলে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, “জয়া মল্লিককে গত ১৪ জুলাই পাওয়া গেছে। তার মানসিক সমস্যা আছে এবং নিজে থেকেই চলে গিয়েছিল। এতে অপহরণ বা সাম্প্রদায়িক কিছু ছিল না।”

সুতরাং, মানসিক সমস্যার কারণে জয়া মল্লিক নামে এক নারীর ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক কারণে নিখোঁজ হয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • শ্রী সাগর দেবনাথ – Facebook Post 
  • চন্দন কুমার শীল চন্দন – Facebook Post 
  • Statement of Korobi Sen, Sister of Joya Mollik

বরগুনায় নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যকে গোপালগঞ্জে পুলিশ নিজেরাই থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দাবিতে প্রচার

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে “কিছু সংখ্যক জঙ্গি পুলিশ গোপালগঞ্জের উপর দোষ চাপানোর জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের থানা পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রশাসন সাবধান ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সারাবাংলা গোপালগঞ্জ হবে” শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

এক্সে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি গত ১৪ জুলাই বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে লাগা অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Shamim Reza’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৪ জুলাইয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও’র সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালবেলার ওয়েবসাইটে গত ১৪ জুলাই ‘বরগুনায় নির্বাচন অফিসে আগুন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির ফিচারে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Kalbela’ by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনের বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই (সোমবার) সকাল ৭টার দিকে বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিভিন্ন কাগজপত্রসহ কয়েকটি কম্পিউটার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। 

এছাড়া, একই বিষয়ে দেশিয় মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওর বিষয়ে একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, প্রচারিত অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়। 

সুতরাং, বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে লাগা অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যকে গোপালগঞ্জে পুলিশ নিজেই থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আ. লীগের হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জের দৃশ্য দাবিতে বিএনপির মিছিলের পুরোনো ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, “কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ হরতালে দখলদার বাহিনী বীভৎস লাঠিচার্জ। ১০ জন নিরপরাধ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আজকের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কুমিল্লায় বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে নেতাকর্মীদের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সে সময়কার দৃশ্য এটি।


অনুসন্ধানে ‘MaccNews.com’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীতে বিএনপির হরতালের মিছিলে পুলিশের বাধা, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের দৃশ্য এটি। 


উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে কুমিল্লার স্থানীয় দৈনিক কুমিল্লা কাগজে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর “কুমিল্লায় পুলিশের বাধায় বিএনপির মিছিল পন্ড, আটক ৬” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশি একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথেও আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকায় বিএনপির ডাকা হরতালে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাটিপেটা, টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলিতে বিএনপির অন্তত ১০জন নেতা-কর্মী ও একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

এছাড়া সেসময় একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছিল জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক যায়যায়দিন

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আজকে (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের সমর্থনে কুমিল্লা নগরীতে কোনো মিছিল বের হওয়ার ১০ জনকে আটক করা সংক্রান্ত কোনো তথ্যও গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কুমিল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিলের ভিডিওকে আজকের (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের হরতালের সমর্থনে নেতাকর্মীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র