Home Blog Page 61

ব্রাজিলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, “সবাই ভিডিওটি শেয়ার করুন বাংলাদেশে এখন নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, মানুষ এখন কাউকে ভয় পায় না। স্বাধীন দেশে যার যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করছে।” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং এটি ব্রাজিলের একটি ঘটনা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ব্রাজিলের গণমাধ্যম ‘GazetaNewsAL’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ৮ মে ‘ক্যাম্পো আলেগ্রে-তে একজন ব্যক্তিকে ১৬টি দা/কাঁচির কোপ দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে; সিসিটিভি ক্যামেরায় হত্যার মুহূর্তটি ধারণ করা হয়েছে।’ (অনূদিত) শীর্ষক  শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনে প্রদর্শিত হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উল্লিখিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে ব্রাজিলের নিউজ পোর্টাল ‘éassim’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ৬ মে “পারিবারিক কলহের জেরে কাম্পো আলেগ্রে-তে কুড়ালের কোপে হত্যাকাণ্ড।” (অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আলাগোয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাম্পো আলেগ্রের একটি জনবহুল রাস্তায় দিবালোকে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কুড়ালের ১৫টিরও বেশি কোপে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আলাগোয়াসের সিভিল পুলিশের বরাতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তকে সামরিক পুলিশ আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। বাকি দুই অভিযুক্ত হলেন ওই কিশোরের বাবা ও ভাই, যারা এখনও পলাতক।

সেসময় একই দাবিতে ব্রাজিলের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গণমাধ্যমে সংবাদ (, ) প্রচার হতে দেখা যায়।

সুতরাং, ব্রাজিলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আ. লীগের হরতাল সমর্থনে দোকানপাট বন্ধ দাবিতে ভারতের ছবি প্রচার

0

গোপালগঞ্জে সম্প্রতি গনহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এর প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হরতাল পালন করছে এমন দাবিতে দোকানপাট বন্ধের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি বাংলাদেশের নয় বরং, ভারতের শিলিগুড়ির একটি এলাকার দোকান বন্ধ থাকার ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখে রিউমর স্ক্যানার। ছবিতে হাতের ডানদিকে থাকা একটি দোকানের নাম ‘Music Corporation’ এবং হাতের বামদিকে থাকা আরেকটি দোকানের নাম ‘Friends Footwear’ বলে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় রিউমর স্ক্যানার। পরবর্তীতে এর সূত্রে গুগল ম্যাপে বিভিন্ন কিওয়ার্ডে অনুসন্ধানের পর মিউজিক করপোরেশন নামের দোকানটির সন্ধান পাওয়া যায়। গুগল ম্যাপে থাকা দোকানটির সাইনবোর্ডের ছবিটির সাথে আলোচিত ছবিতে থাকা দোকানের সাইনবোর্ডের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

গুগল ম্যাপে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের শিলিগুড়ির হাকিম পাড়ায় ১১ নং ওয়ার্ডের বিধান মার্কেটের একটি দোকান।

প্রচারিত ছবিতে থাকা এই দোকানটি যে গলিতে রয়েছে সে গলিতে একই সারিতে আরো একাধিক দোকান রয়েছে। গুগল ম্যাপে সেসব দোকানের ছবিও পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর সাথে তুলনা করেও আলোচিত ছবিটি উক্ত গলির বলেই নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

ওপেন সোর্স অনুসন্ধানে ছবিটি কবে তোলা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও এটি নিশ্চিত যে ছবিটি বাংলাদেশের নয়।

সুতরাং, ভারতের শিলিগুড়ির একটি এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকার দৃশ্যকে আজকের হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নড়াইলে ছাত্রলীগের হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে বরিশালে গ্রিন লাইন বাসে অগ্নিকাণ্ডের পুরোনো ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে সম্প্রতি গনহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস আগুনে পুড়তে দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের আজকের (২০ জুলাই) হরতালের নয়; বরং, এটি গত মার্চে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলায় গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের পুরোনো ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে, গত ৬ মার্চ ‘Buses of Barguna’ নামের ফেসবুক গ্রুপে ‘MD Shawon’ নামের একটি আইডি থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যার সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যগত মিল দেখা যায়। উভয় ভিডিওতেই গ্রিন লাইন পরিবহনের একই বাস আগুনে পুড়ে যেতে দেখা যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

সেদিন যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত “ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই ঢাকা-বরিশালগামী গ্রিন লাইন বাস” শীর্ষক ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত ভিডিওর মিল দেখা যায়।

জাগোনিউজ২৪-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-সানুহার মধ্যবর্তী মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হোসেনের বাড়ির সামনে ওই বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানান, প্রায় আধাঘণ্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে কোনো যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

একই তথ্য ওই সময়ে প্রকাশিত দেশিয় অন্যান্য গণমাধ্যমেও (,,) পাওয়া যায়।

সুতরাং, গত মার্চে বরিশালে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগার ভিডিওকে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের আজকের (২০ জুলাই) হরতাল পালনের দৃশ্য দাবি করে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ঢাকায় আ. লীগের হরতাল সমর্থনে মিছিল দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, “ব্রেকিং নিউজ এই মুহূর্তে রাজধানীতে হরতাল কর্মসূচি চলতেছে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আজ ২০ জুলাই (রবিবার) রাজধানীতে আওয়ামী লীগের হরতাল পালনের দৃশ্যের নয় বরং, এটি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিলের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওর কী-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘Joyanto Roy’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর “বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল…. সংখ্যালঘুদের ৮ দফা অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবেই….. #Date:20 September 2024” প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, অনলাইন গণমাধ্যম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২০ সেপ্টেম্বর “ঢাবিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনে মশাল মিছিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিন্ন ফ্রেমের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে উক্ত মিছিলের ভিডিওতে, “অবৈধ সরকার, মানিনা মানবো না। অবৈধ প্রজ্ঞাপন মানিনা মাববো না। শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই। শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে। ছাত্রলীগ লড়বে, শেখ হাসিনা আসবে।” শীর্ষক স্লোগান শোনা যায়নি।

অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত ২০ সেপ্টেম্বর “৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওতে ভিন্ন কর্মসূচির স্লোগানের অডিও যুক্ত করে সাম্প্রতিক গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের মিছিলের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ভিডিওটি বিভিন্ন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (,)প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিলের পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আ. লীগের হরতালে গুলিস্তানে বাসে আগুন দাবিতে গণমাধ্যমে ২০২৩ সালের ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে সম্প্রতি গনহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এর প্রেক্ষিত, রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় একটি যাত্রিবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: চ্যানেল২৪ (ইউটিউব), সময়ের আলো, নিউজজি২৪

চ্যানেল ২৪-এর ওয়েবসাইটেও একই দাবিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরবর্তীতে সরিয়ে নেওয়া হয়।

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের আজকের (২০ জুলাই) হরতালের নয়; বরং, এটি ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর গুলিস্তানের ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ নামের একটি বাসে আগুনের ঘটনার দৃশ্য।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে আশপাশের ভবন ও অবকাঠামোর সূত্র ধরে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে নিশ্চিত হওয়া যায়, ঘটনাস্থলটি গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার (উত্তর) মার্কেটের সামনের এলাকা।

এই তথ্যের ভিত্তিতে আরও অনুসন্ধানে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত “গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় বাসে আগুন” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিডিওটির মিল দেখা যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

এছাড়া, একই তারিখে সামাজিক মাধ্যমেও ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার একাধিক ভিডিও (,,,,) পাওয়া যায়, যেগুলোর সঙ্গেও আলোচিত ভিডিওর মিল দেখা যায়।

২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওইদিন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার (উত্তর) মার্কেটের সামনের সড়কে ‘ভিক্টর ক্লাসিক’ নামের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেদিন সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি চলছিল, যার মধ্যেই এ আগুনের ঘটনা ঘটে।

আজ (২০ জুলাই) গুলিস্তানে কোনো বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা জানার জন্য অনুসন্ধানে ‘Global TV Bangladesh’ নামের অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সরজমিন লাইভ ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনেটিতে আজকে গুলিস্তানে বাসে আগুন লাগার বিষয়ে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বক্তব্য দেখানো হয়। বক্তব্যে তারা জানান, আজ সেখানে কোনো বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেনি।

এছাড়া, ঢাকা টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, “গুলিস্তান ও আজিমপুরে বাস পোড়ানোর নামে যে দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো অনেক পুরনো এবং আজকের ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। ওই এলাকায় এমন কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।”

সুতরাং, ২০২৩ সালে গুলিস্তানে বাসে আগুনের একটি ভিডিওকে আওয়ামী লীগের আজকের (২০ জুলাই) হরতালের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

গাজীপুরে হরতাল সমর্থনে মিছিল দাবিতে সিলেটের পুরোনো ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, “লোকেশন গাজীপুর হরতাল পালন করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জে গনহ*ত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সবাই এগিয়ে আসুন।” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগের প্রতিবাদে আজ ২০ জুলাই (রবিবার) গাজীপুরে হরতাল পালনের দৃশ্য নয় বরং, এটি ২০২৩ সালে সিলেটে হরতাল সমর্থনে বিএনপির মশাল মিছিলের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওর থাকা জাতীয় দৈনিক সমকালের লোগো ও ‘সিলেট’ লোকেশন আইকনের সূত্র ধরে সমকালের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর “হরতাল সমর্থনে সিলেটে বিএনপির মশাল মিছিল ও রাস্তায় পিকেটিং | | Samakal News” প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ০০:১৮ থেকে ০০:৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত ও ০১:১১ থেকে ০১:৩৬ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশের হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র অনলাইন সংস্করণে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘সিলেটে হরতালের সমর্থনে বিএনপির মশালমিছিল, পুলিশের ফাঁকা গুলি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যাবলীর মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে থাকা তথ্যানুযায়ী, সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তফসিল বাতিলের দাবি এবং পরদিন থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল করেছেন। পরে নেতা-কর্মীরা বন্দরবাজার করিমউল্লা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে সেখানে মশাল সড়কের ওপর ফেলে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে।

উপরিউক্ত তথ্যাবলী পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর  হরতাল সমর্থনে সিলেটে বিএনপির মশাল মিছিলের৷ অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ভিডিওটি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন (,)প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, গোপালগঞ্জে গণহত্যার অভিযোগের প্রতিবাদে গাজীপুরে হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে ২০২৩ সালে হরতাল সমর্থনে বিএনপির মশাল মিছিলের পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়ার এই দৃশ্যটি গত আগস্টের

গোপালগঞ্জে সম্প্রতি গনহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এর প্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দিয়ে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে – শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি আজ (২০ জুলাই) হরতাল পালনের দৃশ্যের নয়; বরং, এটি গত বছরের ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবিতে আ’লীগের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনার দৃশ্য।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে মূল ধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির লোগো থাকার সূত্রে গণমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে একই ভিডিওর সন্ধান মেলে। গত বছরের ১০ আগস্ট “গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দিলো আ.লীগের নেতাকর্মীরা” শিরোনামে প্রকাশিত এই ভিডিওর বর্ণনা অনুযায়ী, সে সময় গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ করে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

একই দিন জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবিতে দলটির নেতাকর্মীর বিক্ষোভ থেকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করা হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় সেনাসদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। সেদিন বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সুতরাং, গত বছরের আগস্টে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে আজকের (২০ জুলাই) হরতালের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হরতাল সমর্থনে রেলপথে গাছ ফেলে ছাত্রলীগের অবরোধ দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবি প্রচার

0

গোপালগঞ্জে গনহত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ (২০ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন – যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে, হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রেললাইন অবরোধ করেছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, যেখানে রেললাইনের ওপর একটি গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।  

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ছবিটি আজ (২০ জুলাই) ছাত্রলীগের হরতাল পালনের দৃশ্যের নয়; বরং, এটি গত ১৮ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় রেললাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ার পুরোনো ছবি।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Majedul Islam Antor’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে ১৮ জুন হুবহু একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টে দাবি করা হয়, চট্টগ্রাম-ঢাকা রেল সেকশনের বাড়বকুণ্ড রেলগেইটের পাশে একটি বড় জামগাছ ভেঙে পড়ে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner.

একই দিন রেলসংক্রান্ত আরও কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপেও ছবিটি একই দাবিতে পোস্ট (,,) করা হয়।

পরবর্তীতে, ‘Mamunur Rashid Mahin’ নামের আরেক ফেসবুক প্রোফাইলে একই ঘটনার আরও কিছু ছবি পাওয়া যায়। সেখানে জানানো হয়, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় রেললাইনের ওপর বিশাল গাছ ভেঙে পড়েছে, এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চলছে।

অর্থাৎ, ছবিটি এক মাসেরও বেশি পুরোনো এবং এর সঙ্গে আজ (২০ জুলাই) আওয়ামী লীগের চার সংগঠনের ডাকা হরতালের কোনো যোগসূত্র নেই।

সুতরাং, গত ১৮ জুন সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় রেললাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ার একটি ছবি  আজ (২০ জুলাই) ছাত্রলীগের হরতাল পালনের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ফরিদপুরে এনসিপির গাড়িবহরে জনতার হামলার দৃশ্য দাবিতে কেনিয়ার ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর জনগণের আক্রমণের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়ি বহরে হামলার এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। বরং, গত জুন মাসে কেনিয়ায় একটি আন্দোলনের দৃশ্যকে ফরিদপুরে জনগণ এনসিপি নেতাদের আক্রমণ করেছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ‘Kampala Reports’ নামক ফেসবুক পেজে গত ২৬ জুন তারিখে “This only happens in Kenya” শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে প্রদর্শিত দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

উল্লিখিত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে কেনিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘The Standard’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৬ জুনে “Gen Z protesters paralyse Thika Road in city march” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৫ সালের ২৫ জুন, কেনিয়ার কিয়াম্বু কাউন্টির থিকা এলাকা থেকে শুরু হওয়া জেন জেড তরুণদের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় রূপ নেয়। যার ফলে মহাসড়ক অবরোধ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। 

এছাড়া, হামলা হওয়া ঐ স্থান সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিতে গুগল ম্যাপস এ অনুসন্ধান করে জানা যায় এটি কেনিয়ার কিয়াম্বু কাউন্টির থিকা এলাকা। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ফরিদপুরের জনগণ কর্তৃক এনসিপি নেতাদের আক্রমণ কিংবা বাংলাদেশে কোনো স্থানে হামলার দৃশ্যের নয়। 

সুতরাং, গত জুন মাসে কেনিয়ায় একটি আন্দোলনের দৃশ্যকে ফরিদপুরে জনগণ এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে আক্রমণ করেছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

গোপালগঞ্জে নিহত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা, সংঘর্ষ এবং ভাংচুরের ঘটনায় গত বুধবার (১৬ জুলাই) রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।

এরই প্রেক্ষিতে, গোপালগঞ্জে নিহত ব্যক্তিদের দাফনের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত ভিডিওটির শিরোনামে আরও দাবি করা হয়, গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে স্থানীয়দের হওয়া সংঘর্ষে ৫১ জন নিহত ও ৩৯১ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও দাবি করা হয় উক্ত সহিংসতার ঘটনায় ১১৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতায়লর ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের দাফন কার্যের কোনো সর্ম্পক নেই। প্রকৃতপক্ষে, ইন্টারনেটে বিদ্যমান পুরোনো ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, উক্ত সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ০৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে July Revolutionary Alliance – JRA নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৩ মার্চ প্রচারিত একটি ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাথে উক্ত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। ভিডিওটির শিরোনামে দাবি করা হয়, এটি গতবছরে চলমান আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ইন্টারনেট বন্ধ থাকা অবস্থায় নিহত ব্যক্তিদের দাফনের ভিডিও। এছাড়াও দাবি করা হয়, এটি ঢাকার রায়েরবাজারের কোনো একটি জায়গায় ধারণ করা। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান রয়েছে। তবে ভিডিওটি গতবছরের জুলাইয়ের-ই কিনা সে বিষয়ে আলাদাভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এছাড়া, প্রচারিত পোস্টগুলোতে গোপালগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ৩৯২ জন নিখোঁজ এবং ১১৭০ জন গ্রেফতার হওয়ার দাবি প্রচার করা হলেও বিশ্বস্ত কোনো সূত্র দাবিগুলোর সত্যতা মেলেনি।

পরবর্তীতে, গোপালগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সর্বশেষ ৫ জন নিহত হওয়ার তথ্যই পাওয়া যায়। 

এছাড়াও আরেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় পূর্বে নিহত চারজনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে ১৬ জুলাই রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে একইদিন রাতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।

এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে ১৭ জুলাই সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

তবে গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কারও নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী উক্ত সহিংসতার ঘটনায় সর্বমোট ৩০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

সুতরাং, গোপালগঞ্জের সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে বিদ্যমান পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র