Home Blog Page 598

কনুইয়ের ত্বকে ব্যথার অনুভূতি না থাকার দাবিটি মিথ্যা

0

বেশ কয়েকবছর ধরে ‘কনুইয়ের ত্বক হলো মানুষের শরীরের একমাত্র ত্বক যেখানে কোনো ব্যথার অনুভূতি নেই’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে।

Screenshot from Facebook

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময় প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ‘মানুষের শরীরের একমাত্র কনুইয়ের ত্বক-এ ব্যাথার কোন অনুভূতি নেই’ শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং কনুইয়ের ত্বক-এ ব্যাথার অনুভূতি রয়েছে। তবে দেহের অন্যান্য স্থানের ত্বকের চেয়ে কনুইয়ের ত্বকে ব্যথার অনুভূতি কিছুটা কম।

আমরা কিভাবে ব্যথা অনুভব করি?

আমাদের ত্বকে সুচ ফুটলে, কেটে গেলে অথবা গরম কোথাও স্পর্ষ করলে কিংবা আঘাত পেলে আমরা ব্যাথা পাই। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট Medical News Today -তে “What is pain, and how do you treat it?” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি ত্বকের টিস্যুগুলো কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সেই ব্যথার উদ্দীপনা বা সংকেতগুলো Nociceptors থেকে সেন্সরি নিউরনের মাধ্যমে স্পাইনাল কর্ড হয়ে তা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং আমরা ব্যথা অনুভব করি।

Screenshot from Medical News Today

তাছাড়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট My Doctor এ একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। “Pain and how you sense it” শিরোনামে প্রকাশিত এই আর্টিকেলটিতে থাকা ডায়াগ্রামের মাধ্যমে বাহ্যিক প্রভাবকের দ্বারা টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের ব্রেইনে কিভাবে ব্যাথার অনুভূতি সৃষ্টি হয় সেই বিষয়টি ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। উক্ত ডায়াগ্রামটি নিচে তুলে ধরা হলোঃ

Pain and how you sense it – MyDr.com.au

Nociceptors কী?

বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট Science Direct এ “Pain receptors sense chemical, as well as mechanical and thermal, stimuli” শিরোনামে প্রকাশিত একটি রিসার্চ আর্টিকেলে বলা হয় “Nociceptors হচ্ছে বিশেষ ধরনের ‘Nerve Endings’ যারা মূলত আমাদের ত্বক, মাংসপেশি, হাড়ের জয়েন্টের মতো স্থানগুলোতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত থাকে। এদের কাজ প্রধান হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু থেকে ব্যথার উদ্দীপনা গ্রহন এবং সেই সংকেতকে মস্তিষ্কে প্রেরণ প্রেরণ করা।”

Screenshot from Science Direct

কনুইয়ে চিমটি কাটলে ব্যথা কম অনুভব হয় কেন?

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি-তে “Hands-on science: try these experiments wherever you are” শিরোনামে প্রকাশিত আর্টিকেলে উল্লেখ হয় আমাদের ত্বকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের নার্ভ এন্ডিংস রয়েছে। তবে আমাদের কনুইয়ের ত্বকের পেইন রিসেপ্টর কম থাকার কারনে যদি কেউ সেথানে চিমটি কাটে তাহলে ব্যাথা কম লাগে।

আরো উল্লেখ করা হয় যে, শরীরের যেসব অংশে নার্ভ এন্ডিং এর পরিমান বেশি রয়েছে সেগুলো বেশি সংবেদনশীল এবং সেসব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

Screenshot from BBC

প্রকৃতপক্ষে, দেহের কোনো স্থানের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে একজন মানুষ ঠিক কতটা ব্যাথা অনুভব করবে সেটা নির্ভর করে ওই স্থানে থাকা পেইন রিসেপ্টররের সংখ্যার উপর। উদাহরণস্বরুপঃ বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ‘Science Direct’ এর একটি আর্টিকেলে বলা হয় আমাদের দেহে মস্তিষ্কের মধ্যে কোন পেইন রিসেপ্টর নেই। ফলে মস্তিষ্ক নিজে ব্যথা সংবেদী নয়

Screenshot from Science Direct

পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট Medical News Today-তে “Why is testicular trauma so painful?” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা আমাদের অন্ডকোষে অত্যধিক পেইন ডিটেক্টর থাকার কারনে সামান্য আঘাতেই বেশি ব্যথা লাগে। 

Screenshot from Medical News Today

অর্থাৎ, যেহুতু দেহের অন্যান্য স্থানের চেয়ে কনুইয়ের ত্বক কিছুটা পুরু তাই তাই ত্বকের উপরিভাগে Nociceptors সংখ্যা কম কম থাকে। তবে, পেইন রিসেপ্টরের সংখ্যা যেহুতু একেবারেই শূন্য নয় তাই একটু জোরে চিমটি কাটলে সেখানে কিছুটা হলেও ব্যথা অনুভব হবেই।

মূলত, কনুইয়ের ত্বকের উপরিভাগের দিকে ব্যথার অনুভূতি সৃষ্টিকারী রিসেপ্টর নিউরনের সংবেদনশীল প্রান্ত (Nerve endings) কম থাকার কারণে দেহের অন্যান্য স্থানের ত্বকের তুলনায় কনুইয়ের ত্বকে ব্যথা কম লাগে। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “কনুইয়ের ত্বকে একেবারেই কোনো ব্যথার অনুভূতি নেই” শীর্ষক দাবি প্রচার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশকিছু ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কনুইয়ের ত্বক হল মানুষের শরীরের একমাত্র ত্বক যেখানে কোন ব্যথার অনুভূতি নেই’ শীর্ষক দাবি প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Medical News today || People feel pain when signals travel through nerve fibers to the brain for interpretation.
  • MyDr.com.au || Pain and how you sense it.
  • Science Direct || Pain receptors, also called nociceptors, are a group of sensory neurons with specialized nerve endings widely distributed in the skin, deep tissues (including the muscles and joints), and most of the visceral organs.
  • BBC || Tough skin, like that on elbows, has fewer pain detectors.
  • Science Direct || The brain and most of the overlying meninges have no pain receptors and are therefore insensitive to pain.
  • Medical News Today || The testicles contain a great numberTrusted Source of densely packed nerve endings in a small area. This high concentration of nerves makes them very sensitive and susceptible to pain.

প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার এবং সেনাবাহিনীর হাতে দেশের ক্ষমতা যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা 

সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার, দেশ সেনাবাহিনীর হাতে’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

Screenshot: Facebook 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার কিংবা সেনাবাহিনীর হাতে দেশের ক্ষমতা যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে ভিডিওটির থাম্বনেইলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

গত ১০ এপ্রিল News Plus নামের ফেসবুক পেজ থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার, দেশ সেনাবাহিনীর হাতে’ শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে আলোচিত ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।

Screenshot: Facebook 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এটি কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি একটি নিউজ বুলেটিন ভিডিও। ৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে ক্যাপশনের সাথে ভেতরের তথ্যের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

ভিডিওটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুনে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটির শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতার এবং সেনাবাহিনীর হাতে দেশের ক্ষমতা যাওয়ার বিষয়টি লেখা থাকলেও প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এছাড়াও ভিডিওটির থাম্বনেইলে ওবায়দুল কাদের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি দেওয়া রয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে, ৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ৯টি বিষয়ের ওপর সংবাদ পাঠ করা হয়ঃ

  • আওয়ামী লীগ কাওয়ার্ড সরকার, বলেছেন মির্জা ফখরুল 
  • ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড, আহত ২৫
  • লক্ষীপুরে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • নাটরে যুবলীগ ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির ২ নেতা আহত
  • নির্বাচনে না এলে জোর করে আনতে পারবো না, বলেছেন কাদের
  • বিএনপি চেয়ারপার্সনেট উপদেষ্টা মোক্তাদির গ্রেফতার 
  • পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়, বলছেন কৃষিমন্ত্রী 
  • সরকারকে বিদায় নিতেই হবে, বলছেন নিপুন
  • বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসন না করলে গণভবন ঘেরাও করা হবে, বলেছেন পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট

প্রচারিত নিউজ বুলেটিন ভিডিও’র কোথাও প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার কিংবা দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কিংবা অন্যকোনো সূত্রে এমনকোন সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিও’র বিস্তারিত প্রতিবেদন, থাম্বনেইলে ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন খুঁজে না পাওয়ায় এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার এবং দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। 

মূলত, গত ১০ এপ্রিল একটি ভূঁইফোড় পেজ থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার এবং দেশ সেনাবাহিনীর হাতে’ শীর্ষক চটকদার ক্যাপশন ও থাম্বনেইলে একটি নিউজ বুলেটিন ভিডিও প্রচারিত হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে উক্ত ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার এবং দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, চটকদার ক্যাপশন এবং থাম্বনেইল ব্যবহার করে অধিক ভিউ পাবার আশায় উক্ত দাবিতে ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলে প্রচারিত তথ্যের সাথে ভিডিও প্রতিবেদনের মূল সংবাদের কোথাও উল্লেখ না করে অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন ধরে একই কাজ করে আসছে উক্ত ফেসবুক পেজটি। এরকম বেশকয়েকটি তথ্যের সত্যতা যাচাই করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এরকম কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে

সুতরাং, কোনোপ্রকার তথ্যসূত্র ছাড়া একটি নিউজ বুলেটিন ভিডিওর ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলে প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার এবং দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়ার দাবি করা হচ্ছে; সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner Own Analysis

রাজধানীতে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত দাবিতে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার

0

সম্প্রতি ‘এইমাত্র রাজধানীতে বোমা হামলা, হঠ্যাৎ-ই নিহত ৪৪’ শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইলে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়েছে।

Screenshot: Facebook

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বরং আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়েছে এবং কোন দেশ তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ না করা এবং ভিডিও’র থাম্বনেইলে বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি ও লাশের ছবি ব্যবহার করায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। 

গত ১০ এপ্রিল News Plus নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘এইমাত্র রাজধানীতে বোমা হামলা, হঠ্যাৎ-ই নিহত ৪৪’ শীর্ষক শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি ও লাশের ছবি ব্যবহার করে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।

Screenshot: Facebook

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এটি কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি একটি নিউজ বুলেটিন ভিডিও। ৮ মিনিট ২২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের সময় আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের বিষয়ে বলা হয়। এবিষয়ে সংবাদ পাঠ ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত চলে। এবিষয়ে বিস্তারিত সংবাদে বলা হয়, আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল দেশটির নাইজার সীমান্তের কাছে সাহেল অঞ্চলের কৌরাকাউ এবং টন্ডোবি গ্রামে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবি গ্রামের ১৩ জন হয়েছেন। সম্প্রতি গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উক্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে মূল ধারার গণমাধ্যম আরটিভির অনলাইন সংস্করণে ‘বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসীদের হামলা, নিহত ৪৪’ শীর্ষক শিরোনামে গত ০৯ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন(আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: RTV Online

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বরাতে জানানো হয়, গত ৬ এপ্রিল দেশটির নাইজার সীমান্তের কাছে সাহেল অঞ্চলের কৌরাকাউ এবং টন্ডোবি গ্রামে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবি গ্রামের ১৩ জন হয়েছেন। সম্প্রতি গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, আরটিভি অনলাইনে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি দাবিকৃত ভিডিওতে প্রতিবেদনের শেষ পর্যন্ত হুবহু পাঠ করা হয়েছে। তাছাড়া দাবিকৃত ভিডিও’র শিরোনামে রাজধানীতে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের কথা লেখা হলেও বিস্তারিত সংবাদ পাঠের সময় আরটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের কথা বলা হয়। এছাড়া প্রচারিত ভিডিওতে দেখানো ছবিটিও আরটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো সূত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজধানীতে বোমা হামলা কিংবা বোমা হামলায় নিহতের কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিও’র বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং এবিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের ঘটনাকে দেশটির নাম উল্লেখ না করে রাজধানীতে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত দাবি করে থাম্বনেইলে বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি ও লাশের ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। তবে বাংলাদেশে একটি নিউজ বুলেটিন ভিডিওতে দেশটির নাম উল্লেখ না করে ‘এইমাত্র রাজধানীতে বোমা হামলা, হঠ্যাৎ-ই নিহত ৪৪’ শীর্ষক ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলে বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি ও লাশের ছবি ব্যবহার করায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে, চটকদার ক্যাপশন এবং থাম্বনেইল ব্যবহার করে অধিক ভিউ পাবার আশায় উক্ত দাবিতে ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলে চটকদার শিরোনাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এসব ঘটনা নিয়ে পূর্বেও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহতের ঘটনার সংবাদের ভিডিও’র ক্যাপশনে শুধুমাত্র রাজধানীতে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত লিখে প্রচার করা হচ্ছে এবং থাম্বনেইলে বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি ও লাশের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

নারী রেফারিকে রান্নাঘরে থাকতে বলেননি টার্কিশ ফুটবলার করিম দেমিরবেয়

0

সম্প্রতি নারী রেফারি কর্তৃক লাল কার্ড পাওয়ায় সেই রেফারিকে উদ্দেশ্য করে টার্কিশ ফুটবলার করিম দেমিরবেয়ের মন্তব্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে
আর্কাইভ  দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে। 

উক্ত দাবিতে নেপালের ফুটবল পেইজ Sarcasm Football Nepal এর পোস্ট দেখুন এখানে
আর্কাইভ দেখুন এখানে। 

পোস্টগুলোতে যা দাবি করা হচ্ছে:

তুর্কিশ ফুটবল খেলোয়াড় করিম দেমিরবেয়কে একজন জার্মান নারী রেফারি লাল কার্ড দিয়েছিলেন। কারণ তিনি মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রেফারিকে বলেছিলেন, “আপনার রান্নাঘরে থাকা উচিত।”

নারী রেফারি এটি তার রিপোর্টে লিখেন এবং ফিফা দেমিরবেয়কে ৫টি ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করে এবং সাজার একটি অংশ হিসাবে তাকে একটি মহিলা ফুটবল ম্যাচের রেফারির দায়িত্ব পালনের আদেশ দেয়। যখন দেমিরবের ম্যাচ পরিচালনা করছিলেন তখন তিনি ৮ জন নারী খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেন। কেন এটি করলেন তাকে জিজ্ঞেম করা হলে তিনি উত্তর দিলেন, কারণ, মহিলাদের রান্নাঘরে থাকা উচিত।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নারী রেফারি কর্তৃক লাল কার্ড পাওয়ায় সেই রেফারিকে উদ্দেশ্য করে টার্কিশ ফুটবলার করিম দেমিরবেয় ‘আপনার রান্নাঘরে থাকা উচিত।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। এছাড়া সাজার অংশ হিসেবে নারী ফুটবল ম্যাচের দায়িত্ব পালনকালে ৮ জন নারী ফুটবলারকে করিম দেমিরবেয়ের লালকার্ড দেখানোর তথ্যটিও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। 

তথ্যটি যেভাবে ছড়ালো

ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুল ব্যবহারের পাশাপাশি রিউমর স্ক্যানারের নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি  ক্যাঁচাল-Kechal (আর্কাইভ) নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ব্যানার আকারে গত ৮ এপ্রিল রাত ৮ টা ১২ মিনিটে প্রথম পোস্ট করা হয়। 

Screenshot: Crowdtangle

তবে ফেসবুক পেইজটি ব্যানারটির শিরোনামে #satire #humor #football #fun #funny ইত্যাদি একাধিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে। কিন্তু পরবর্তীতে একই ব্যানার এসব হ্যাশট্যাগ ব্যতীতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

Image: Random Post on Facebook; Collage by Rumor Scanner
করিম দেমিরবেয়ের সঙ্গে কি হয়েছিল? তিনি রেফারিকে উদ্দেশ্য করে কি বলেছিলেন? 

কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর 
Kerem Demirbay: Player officiates girls’ game after referee insult” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: BBC Sports 

প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যানুযায়ী, জার্মানির ক্লাব ফরচুনা ডুসেলডর্ফ মিডফিল্ডার করিম দেমিরবেয় বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় বিভাগের এফএসভি ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে খেলায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন। এই ঘটনার পর দেমিরবেয় মাঠ ছাড়ার সময় ঐ ম্যাচের রেফারি বিবি স্টেইনহাউসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ফুটবলে মহিলাদের কোনও স্থান নেই।’

প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যানুযায়ী, জার্মানির ক্লাব ফরচুনা ডুসেলডর্ফ মিডফিল্ডার করিম দেমিরবেয় বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় বিভাগের এফএসভি ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে খেলায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন। এই ঘটনার পর দেমিরবেয় মাঠ ছাড়ার সময় ঐ ম্যাচের রেফারি বিবি স্টেইনহাউসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ফুটবলে মহিলাদের কোনও স্থান নেই।’

Screenshot: BBC Sports

এটি ছাড়াও এই ঘটনায় রেফারি স্টেইনহাউসকে উদ্দেশ্য করে করিম দেমিরবেয়ের যেসব বক্তব্য পাওয়া যায়, তাতে কোথাও নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে তার ‘আপনার রান্নাঘরে থাকা উচিত’ এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান ও আইটিভির প্রতিবেদন পড়ুন যথাক্রমে এখানেএখানে

Screenshot: The Guardian

অপরদিকে এই মন্তব্যের জেরে করিম দেমিরবেয়কে শাস্তি হিসেবে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন তাকে পরবর্তী পাঁচ ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

Screenshot: The Guardian

পাশাপাশি করিম দেমিরবেয়ের ক্লাব ফরচুনা ডুসেলডর্ফ তাকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করে ও মেয়েদের একটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। তবে এই ম্যাচ পরিচালনার সময় করিম দেমিরবেয় কর্তৃক ৮ নারী ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানো ও এই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করায় পুনরায় তার ‘মহিলাদের রান্নাঘরে থাকা উচিত’ শীর্ষক মন্তব্যের দাবিতে যে তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে, তার কোনো সত্যতা রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি। 

বরং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে করিম দেমিরবয়ের যে মন্তব্য পাওয়া যায়, সেসবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি মিস স্টেইনহাউসকে যা বলেছি, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার ঐ বাক্যটি বলা উচিত হয়নি এবং এই বাক্যটি নারীর প্রতি আমার চিন্তাভাবনাকেও প্রতিনিধিত্ব করে না।

Screenshot: BBC Sports

অর্থাৎ ২০১৫ সালে জার্মান ঘরোয়া লীগ বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় বিভাগের এফএসভি ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে খেলায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ফরচুনা ডুসেলডর্ফের টার্কিশ মিডফিল্ডার করিম দেমিরবেয়। এ ঘটনার পর মাঠ ত্যাগের সময় করিম দেমিরবেয় ঐ ম্যাচের রেফারি বিবি স্টেইনহাউসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ফুটবলে মহিলাদের কোনও স্থান নেই।’ তার এই মন্তব্যকেই সম্প্রতি ‘আপনার রান্নাঘরে থাকা উচিত’ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া করিম দেমিরবেয় কর্তৃক পরিচালিত ম্যাচে ৮ নারী ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানোর দাবির পক্ষেও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে ‘মহিলাদের রান্নাঘরে থাকা উচিত’ শীর্ষক মন্তব্যের অস্তিত্ব 

করিম দেমিরবেয়ের নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য ‘মহিলাদের রান্নাঘরে থাকা উচিত’ শীর্ষক মন্তব্য পাওয়া না গেলেও রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে অন্তত এমন দুইটি ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে এমন মন্তব্য করা হয়েছিল। 

যেমন, ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ওয়েবসাইটে ‘County FA official banned for ‘kitchen’ insult to female referee‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার নর্থম্বারল্যান্ড কাউন্টির ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি জন কামিন্স রেফারিদের একটি কর্মশালায় রেফারি ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা লুসি মেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নারীর জায়গা রান্নাঘরে, ফুটবল মাঠে নয়।’

Screenshot: BBC 

এই মন্তব্যের ফলে জন কামিন্সকে চার মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে ২৫০ ইউরো জরিমানা ও কর্মক্ষেত্রে ফেরার পূর্বে শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। 

Screenshot: BBC 

অনুসন্ধানে একইরকম আরেকটি ঘটনা পাওয়া যায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান সূত্রে। 

পত্রিকাটিতে ‘Czech players who said female referee ‘belonged in kitchen’ told to train with women’s team‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চেক রিপাবলিকের ঘরোয়া লীগের খেলায় স্পার্টা প্রাগ দুইজন খেলোয়াড় একজন নারী সহকারী রেফারিকে রান্নাঘরে থাকতে বলায় ঐ দুই খেলোয়াড়কে নারী দলের সাথে অনুশীলনের জন্য পাঠিয়েছে।

Screenshot: The Guardian

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, নারী সহকারী রেফারি লুসি রাতাজোভা অফসাইডের সংকেত দিতে ব্যর্থ হন। এই ঘটনার পর স্পার্টা প্রাগের মিডফিল্ডার লুকাস ভাচা এবং গোলরক্ষক টমাস কৌবেক নারীদের পুরুষ ফুটবল পরিচালনা না করে রান্নাঘরে থাকার বিষয়ে মন্তব্য করেন।

 Screenshot: The Guardian

তাদের এই মন্তব্যের পরে দুইজনই শাস্তির মুখোমুখি হন এবং এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে এসব মন্তব্যের সঙ্গে করিম দেমিরবেয়ের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখিত ঘটনাগুলো ছাড়াও ম্যাচ পরিচালনাকালীন খেলোয়াড়দের দ্বারা রান্নাঘর চলে যাওয়ার, থালাবাসন ধোয়ার কাজে যুক্ত হওয়ার মতো অনেক কটুক্তির ঘটনা নারী রেফারিদের সাক্ষাৎকারে পাওয়া যায়। যেমন, ল্যাটিন আমেরিকার নারী ফুটবল রেফারি মেপানি বারমেজো বলেন, ম্যাচ পরিচালনাকালীন তাকে এমন কটুক্তি শোনার অনেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নারী রেফারিদের এমন কিছু অভিজ্ঞতা পড়ুন এখানে। 

Screenshot: Be Soccer

মূলত, ২০১৫ সালে জার্মানির ক্লাব ফরচুনা ডুসেলডর্ফ মিডফিল্ডার করিম দেমিরবেয় বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় বিভাগের এফএসভি ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে খেলায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন। এই ঘটনার পর দেমিরবেয় মাঠ ছাড়ার সময় ম্যাচের রেফারি বিবি স্টেইনহাউসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ফুটবলে মহিলাদের কোনও স্থান নেই।’ তার এই মন্তব্যের জেরে তিনি পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ হন এবং একইসাথে তাকে একটি নারী ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তিনি সেটি পালন করেন। পাশাপাশি তার এই মন্তব্যের জন্য তিনি ঐ নারী রেফারির কাছে দুঃখ প্রকাশও করেন। সেই সময়ের এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে করিম দেমিরবেয়ের মন্তব্য দাবিতে ‘আপনার রান্নাঘরে থাকা উচিত’ শীর্ষক একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই মন্তব্যটি করিম দেমিরবেয়ের নয়। পাশাপাশি করিম দেমিরবেয় কর্তৃক পরিচালিত ম্যাচে তার ৮ জন নারী ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানোর যে দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে, সেটির পক্ষেও রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ফেসবুকে নারী রেফারি কর্তৃক লাল কার্ড পাওয়ায় রেফারিকে কটাক্ষ করেটার্কিশ ফুটবলার করিম দেমিরবেয়ের নামে একটি উক্তি ও একইসাথে ৮ জন নারী ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানোর একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মরক্কোর ফুটবলার জাওয়াদ আল ইয়ামিককে রোনালদো দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, পর্তুগালের ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ফিলিস্তিনিদের জন্য মাঠে আওয়াজ তুলেছেন। শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

যা দাবি করা হচ্ছে

দাবি ১: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একজন ইহুদী।

দাবি ২: রোনালদো ফিলিস্তিনের পতাকা গায়ে জড়িয়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়েছেন। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে
আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে একই দাবিতে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে এবং এখানে
আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে এবং এখানে

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে
আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইহুদি নন এবং ভিডিওর ব্যক্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও নয় বরং তিনি মরক্কোর ফুটবলার জাওয়াদ আল ইয়ামিক। তাছাড়া, রোনালদো খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী।

১ম দাবির সত্যতা যাচাই

কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট Sports Manor এর ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোনালদো ও তার পরিবার রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারী।

Source: Sports Manor 

এছাড়াও, ব্রিটেনের পত্রিকা The Sun এর ২০১৯ সালের ১৬ই এপ্রিলের একটি প্রতিবেদন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রোনালদো ক্যাথলিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন।

Source: The Sun

অর্থাৎ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইহুদি নন, বরং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।

২য় দাবির সত্যতা যাচাই

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের The New York Times এর ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এক ব্যক্তির ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, যার সাথে আলোচ্য ভিডিওর ব্যক্তিটির সাথে মিল রয়েছে। 

ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর মরক্কো বনাম কানাডার ম্যাচ থেকে চিত্রটি ধারণ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মরক্কোর ফুটবলার জাওয়াদ আল ইয়ামিক ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে দাঁড়িয়ে আছেন। 

Screenshot Collage: Rumor Scanner 

এছাড়াও, ছবিটির সূত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে ইমেজ শেয়ারিং ওয়েবসাইট Getty Images এর একটি ওয়েবপেজে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় ছবিটির প্রকৃত আলোকচিত্রী Natalia Kolenikova, যিনি ২০২২ সালের ০১ ডিসেম্বর দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে মরক্কো বনাম কানাডার ম্যাচের পর এই ছবিটি ধারণ করেন।

Source: Getty Images 

কিন্তু রোনালদো পর্তুগালের ফুটবলার হওয়ায় তার পক্ষে মরক্কো বনাম কানাডার ম্যাচে মাঠে থাকা সম্ভব নয়।

এছাড়াও, কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আলোচ্য ভিডিওর মত হুবহু একই রকমের একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে। ক্যাপশনে থাকা ভিডিওটির তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আলোচ্য ভিডিওটি মরক্কোর ফুটবলার জাওয়াদ আল ইয়ামিকের।

Source: Youtube 

মূলত, ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে মরক্কো বনাম কানাডার ম্যাচে জয়লাভের পর মরক্কোর ফুটবলার জাওয়াদ আল ইয়ামিক ফিলিস্তিনের পতাকা গায়ে জড়িয়ে উদযাপন করেন। পরবর্তীতে ইন্টারনেটে সেই উদযাপনের ভিডিওটি পর্তুগালের ফুটবলার রোনালদোর দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, অতীতেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া একাধিক গুজবের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওতে রোনালদো ফিলিস্তিনিদের জন্য মাঠে আওয়াজ তুলেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার কুতিনহো ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ফেসবুকে কোনো পোস্ট করেননি

সম্প্রতি, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফিলিপ কুতিনহো ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন’ শীর্ষক দাবিতে গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

Screenshot source: Facebook 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন চ্যানেল২৪ (ফেসবুক)। 

Screenshot source: YouTube 

একই প্রতিবেদন চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

Screenshot source: Facebook 

একই দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফিলিপ কুতিনহো ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেননি বরং কুতিনহোর নামে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি ফ্যান পেজ থেকে উক্ত পোস্টটি দেওয়া হয়। 

তাছাড়া, কুতিনহোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্টেও সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে কোনো পোস্ট দেওয়া হয়নি। 

চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও থেকে পাওয়া সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘P.Coutinho’ নামক পেজটিতে (আর্কাইভ) আলোচিত পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

পেজটির ‘About’ সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেখানে স্পষ্টই লেখা রয়েছে যে পেজটি কুতিনহোর একটি ফ্যান পেজ। 

Screenshot source: Facebook

পরবর্তীতে পেজটির ট্রান্সপারেন্সি (আর্কাইভ) সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় পেজটি ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট তৈরি করা হয়েছে। 

আরো পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পেজটি বাংলাদেশি একজন এডমিন কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

Screenshot source: Facebook

অর্থাৎ, চ্যানেল২৪ কুতিনহোর একটি ফ্যান পেজের পোস্টকে আসল ভেবে সংবাদ প্রচার করেছে।

অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Philippe Coutinho’ নামে কুতিনহোর মূল পেজটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

পেজটিতে ২০১৫ সালের ০৭ আগস্ট এক ভিডিও বার্তায় (আর্কাইভ) কুতিনহো নিজেই এই পেজটি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ বলে জানান। 

Screenshot source: Facebook

উক্ত পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কুতিনহো সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি তার পেজে সক্রিয় ছিলেন। সেদিন তিনি তার পেজের Bio সেকশন আপডেট করে জানান, এটি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ফেসবুকে আর কোনো পোস্ট করেননি তিনি।

Screenshot source: Facebook

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিপ কুতিনহোর ফেসবুক পেজ ছাড়াও অফিশিয়াল ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সময়ের কোনো পোস্ট খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।

মূলত, কুতিনহোর নামে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি ফ্যান পেজের পোস্টকে আসল ভেবে “কুতিনহো ফিলিস্তিনিদের নিয়ে পোস্ট করেছেন” শীর্ষক দাবিতে গণমাধ্যমে ও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে ফ্রান্সের ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পের নামে পরিচালিত ভুয়া একটি ফেসবুক পেজের পোস্টের বরাতে এমবাপ্পে রোনালদোর জন্মদিনে ফেসবুক পোস্টে রোনালদোকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শীর্ষক দাবিতে দেশীয় গণমাধ্যম ‘সময় টিভি’ সংবাদ প্রচার করার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফিলিপ কুতিনহো ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শীর্ষক একটি দাবি গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

উত্তর কোরিয়ার হেইল-২ ড্রোন পানির প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় চালানোর তথ্যটি বিভ্রান্তিকর

সম্প্রতি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে একটি পারমাণবিক ড্রোন পরীক্ষার সংবাদ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে যে, উক্ত ড্রোনটি মহড়া চলাকালীন পানির প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চালানো হয়।

গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন প্রতিবেদন দেখুন ইনকিলাব, ডেইলি বাংলাদেশবাংলা ট্রিবিউন। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় ড্রোন চালানোর দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং ড্রোনটি পানির নিচে এক হাজার কিলোমিটার ব্যাপী দূরত্ব পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে হামলা চালাতে সক্ষম।

কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘KCNA’-এর ওয়েবসাইটে গত ৮ এপ্রিল ‘An Underwater Strategic Weapon System Test Conducted’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: KCNA

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, উত্তর কোরিয়া গত ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পানির নিচ দিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম Haeil-2 নামের একটি ‘ডুবো ড্রোনের’ পরীক্ষা চালায়৷ ড্রোনটি মহড়া চলাকালীন পানির নিচ দিয়ে ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে৷

Screenshot: KCNA 

পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা Reuters এর ওয়েবসাইটে গত ০৮ এপ্রিল ‘North Korea conducts another underwater nuclear drone test‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটিতে  ‘KCNA’-এ উদ্ধৃত করে জানায়, পানির নিচে ড্রোনটি পরীক্ষার সময় ৭১ ঘন্টা ৬ মিনিটে ১ হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছে এবং সফলভাবে একটি সিমুলেটেড লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

Screenshot: Reuters

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাও একইদিনে তাদের ‘N Korea says tested another underwater nuclear attack ‘drone’‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কেসিএনএকে উদ্ধৃত করে একই তথ্য অর্থাৎ ড্রোনটি পরীক্ষার সময় ৭১ ঘন্টা ৬ মিনিটে ১ হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পথ পাড়ি দেওয়ার এবং সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার তথ্য জানায়।

Screenshot: Al Jazeera

এছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম ‘NBC News’-ও ৮ এপ্রিল ‘North Korea claims to have tested another underwater nuclear drone‘ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে একই সূত্রে জানায়, উত্তর কোরিয়া Haeil-2 নামে একটি পারমাণবিক ড্রোন পরীক্ষা চালিয়েছে৷ ড্রোনটি পানির নিচে ৭১ ঘন্টার বেশি ভ্রমণ করে সফলভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এই ড্রোনটি ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে মরণঘাতী আক্রমণ করতে সক্ষম। 

Screenshot: NBC News

অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়ার Haeil-2 নামের ড্রোনটি পানির নিচে ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম৷ 

মূলত, উত্তর কোরিয়া গত ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পানির নিচ দিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম Haeil-2 নামের একটি ‘ডুবো ড্রোনের’ পরীক্ষা চালায়৷ উক্ত ড্রোনটি মহড়া চলাকালীন পানির নিচ দিয়ে ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে৷ তবে এই ড্রোনটি নিয়েই বাংলাদেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম এই তথ্যটিকেই উক্ত ড্রোনটি মহড়া চলাকালীন পানির প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চালানো হয় দাবিতে সংবাদ প্রচার করে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় নয়, প্রকৃতপক্ষে ড্রোনটি ১ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে। 

সুতরাং, উত্তর কোরিয়ায় পানির নিচে ১ হাজার কিলোমিটার গভীরতায় ড্রোন চালানোর দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি বিভ্রান্তিকর।  

তথ্যসূত্র

বিসিবি সভাপতি পাপনকে উদ্দেশ্য করে প্রচারিত মন্তব্যটি কাজী সালাউদ্দিনের নয়

0

সম্প্রতি “সৎ ভাবে থেকেছি বলেই টাকা নেই! তা পাপন সাহেব যে এতো টাকা-টাকা করেন, চ্যালেঞ্জ করে বলছি উনি পারলে ওনার ইনকামের বৈধ উৎস দেখাক দেশের জনগণকে” শীর্ষক শিরোনামের একটি বক্তব্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নাম উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (এখানে), এখানে (এখানে), এখানে (এখানে), এখানে (এখানে), এখানে (এখানে) এবং এখানে (এখানে)। 

Screenshot from ‘Facebook’ 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন উক্ত মন্তব্য করেননি বরং আলোচিত মন্তব্যটি বিকৃতভাবে কাজী সালাউদ্দিনের নামে প্রচার করা হচ্ছে। 

গুজবের সূত্রপাত

কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ‘কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দীন ওরফে সভাপতি সালাউদ্দিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ০৭ এপ্রিল তারিখে “অসৎ ভাবে চললে আজ বাফুফেরও টাকার অভাব হতোনা” শীর্ষক শিরোনামে আলোচিত ডিজিটাল ব্যানার সম্বলিত পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from ‘Facebook | কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন ওরফে সভাপতি সালাউদ্দিন 

উক্ত পেইজটি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যায়, এটি ফুটবল সংক্রান্ত একটি ট্রল পেইজ। বিভিন্ন সময় ফুটবল নিয়ে ট্রল পোস্ট করা হয় পেইজটিতে। 

এছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে কাজী সালাউদ্দিনের উক্ত বক্তব্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, ‘আর্থিক সংকটে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত প্যারিস অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলতে দল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের এমন দাবির সমালোচনা করে গত ০৭ এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, “টাকার জন্য অলিম্পিক বাছাইপর্বে দল পাঠাতে না পারার বিষয়টি দেশের জন্য লজ্জাজনক” বলে মন্তব্য করেছেন। 

পাশাপাশি, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সফরের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমার মনে হয়, সমস্যাটা আপনাদের (সংবাদ মাধ্যমের), আপনারা এত বাজে প্রশ্ন করলেন কেন! আপনারা (সালাউদ্দিনের কাছে) হিসাব চাচ্ছেন, টাকা কী করেছেন? এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তো উনার (সালাউদ্দিন) মাথা খারাপ হবে, এটা সবাই জানেন। এমন প্রশ্ন করেন কেন?” 

তাছাড়া, ভিন্ন দুইটি সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য নিয়ে দেশীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। 

তবে, উপরোক্ত আলোচনার পরবর্তীতে বা পূর্ববর্তী সময়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নামে প্রচারিত উক্ত মন্তব্যের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। 

মূলত, প্যারিস অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলতে বাংলাদেশ দল পাঠাতে না পারার বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং এর পরবর্তীতে বিসিবি সভাপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি ট্রল পেজ থেকে বাফুফে সভাপতির নামে এই ভুয়া মন্তব্যটি প্রচার করা হলেও পরবর্তীতে এটি কাজী সালাউদ্দিনের বাস্তব মন্তব্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

সুতরাং, “সৎ ভাবে থেকেছি বলেই টাকা নেই! তা পাপন সাহেব যে এতো টাকা-টাকা করেন, চ্যালেঞ্জ করে বলছি উনি পারলে ওনার ইনকামের বৈধ উৎস দেখাক দেশের জনগণকে” শীর্ষক মন্তব্যটি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বাস্তব মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সৌদির স্কুলে রোনালদোর সন্তানেরা মারধরের শিকার হননি 

সম্প্রতি, রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের বরাত দিয়ে সৌদি আরবের স্কুলে রোনালদোর সন্তানরা মারধরের শিকার হয়েছেন দাবি করে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বুর্জ নিউজের প্রতিবেদন দেখুন Burj News (আর্কাইভ)।

সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সুইডেন পোস্টের প্রতিবেদন দেখুন Sweden Posts English (আর্কাইভ)।

মালয়েশিয়ায় সংবাদমাধ্যম নিউ স্টেয়ার্স টাইমস এর প্রতিবেদন দেখুন New Straits Times (আর্কাইভ)

নাইজেরিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন; Daily Post Nigeria (আর্কাইভ) Alimosho Today (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্টটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি আরবের স্কুলে ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সন্তানরা মারধরের শিকার হননি বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, খেলাধুলা বিষয়ক ওয়েবসাইট Sportskeeda এর গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত “Media have published some fallacious stories” – Georgina Rodriguez hits out at ‘false’ claims about her kids after Cristiano Ronaldo’s Saudi move” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার।

প্রতিবেদনটিতে রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ  এর বরাতে বলা হয়, রোনালদোর সন্তানরা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে সেটি মিথ্যা।

Source: Sportskeeda

রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির সূত্র ধরে Sportskeeda উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। 

জর্জিয়া তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেন,‘স্কুলে আমাদের সন্তানদের নিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম একেবারে ভুল খবর করেছে। আমার বাচ্চারা খুব ভালো স্কুল পেয়েছে। সেখানে সবাই ভীষণ পেশাদার। আমাদের সঙ্গেও খুব ভালো ব্যবহার করেন তারা।’

Source: Sportskeeda

পাশাপাশি, কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Mashable India এর ওয়েবসাইটে গত ৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির বরাত দিয়ে জানানো হয় রোনালদোর সন্তানরা স্কুলে মারধরের শিকার হয়েছেন দাবিতে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত দাবিটি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।

মূলত, সম্প্রতি সৌদি আরবের স্কুলে ফুটবল তারকা রোনালদোর সন্তানরা মারধরের শিকার হয়েছেন দাবি করে রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের বরাত দিয়ে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচারিত হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত দাবিটি সত্য নয়। উক্ত দাবিটিকে মিথ্যা বলে নিশ্চিত করে রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ গনমাধ্যমকে জানান, ‘সৌদি আরবে তার সন্তানরা ভালো স্কুল এবং বন্ধুবান্ধব পেয়েছে।’

প্রসঙ্গত, পূর্বেও ফুটবল তারকা রোনালদোকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্যকে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, সোদি আরবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সন্তানরা স্কুলে হেনস্তার শিকার হয়েছেন দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তানজিন তিশা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি

সম্প্রতি অভিনেত্রী তানজিন তিশার নামে একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কী দাবি করা হচ্ছে?

তানজিন তিশার নামে পরিচালিত ফেসবুক পেজগুলো থেকে প্রচারিত লাইভগুলোর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, “ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের উপহার ২০২৩! আমি প্রথম ৫০০ জনের জন্য নগদ ১ লক্ষ টাকা দান করছি, যারা সঠিকভাবে অঙ্কিত নম্বরটি অনুমান করতে পারে।”

Screenshot source: Facebook

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে
আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিনেত্রী তানজিন তিশা ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে কোনো অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি বরং তানজিন তিশার নামে পরিচালিত ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।

কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে তানজিন তিশার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান গ্রুপ ‘Tanjin Tisha Official Fans Group’ এ তানজিন তিশার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে প্রচারিত ২০ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot source: Facebook

লাইভ ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তানজিন তিশা সেদিন তার অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান গ্রুপ ‘Tanjin Tisha Official Fans Group’ এ লাইভে এসে সেই সময়ে তার সমসাময়িক অভিনয়ের কাজ নিয়ে আলাপ করেন।

পরবর্তীতে, সাম্প্রতিক সময়ে তানজিন তিশার উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে ‘Tanjin Tisha’ নামে ফেসবুকে একাধিক পেজ (,,) খুলে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে লাইভ ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

Screenshot collage: Rumor Scanner 

মূলত, ২০২০ সালে তানজিন তিশা তার অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান গ্রুপের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাতে এবং সেই সময়ে তার সমসাময়িক কাজের বিষয়ে আলোচনা করতে গ্রুপটিতে লাইভে আসেন। পরবর্তীতে উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে উক্ত ভিডিও ব্যবহার করে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে নায়ক অনন্ত জলিলের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে থেকে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হলে সেসব পেজ ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তানজিন তিশার অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র