Home Blog Page 598

পুরোনো ছবিকে মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচার

সম্প্রতি, বিধ্বস্ত ভবনের সামনে এক ব্যক্তির ছবিকে মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ছবি দাবিতে কতিপয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এরূপ কিছু পোস্ট/ভিডিও প্রতিবেদনে উক্ত ছবিটি দেখুন কালবেলা (ফেসবুক), একাত্তর টিভি (ইউটিউব), ইনডিপেনডেন্ট টিভি (ইউটিউব), বহুমাত্রিক, ডেইলি বাংলাদেশ, একুশে সংবাদ, পদ্মা নিউজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বাংলা, বণিক বার্তা, দি ঢাকা টাইমস। 

Facebook Screenshot

পাশাপাশি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একই ছবি ব্যবহার করে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন zee ২৪ ঘণ্টা, অসমীয়া প্রতিদিন, News Feel.

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়,  ছবিটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয় বরং ২০০৪ সালের মরক্কোর ভূমিকম্পের ঘটনার ছবিকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আলোচ্য ছবিটি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Al Jazeera এর ওয়েবসাইটে ২০০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত “Morocco earthquake kills 300 people” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় মরক্কোতে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু ঘটে।

Source: Al Jazeera 

পরবর্তীতে অধিকতর অনুসন্ধানে ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান Getty Images  এর ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার।

Getty Images এর ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ফটোগ্রাফার ABDELHAK SENNA ২০০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে উক্ত ছবিটি ধারণ করেন।

Source: Getty Images

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির ক্যাপশনে ফাইল ফটো বা পুরোনো ঘটনার ছবি শীর্ষক কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবে ছবিটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়। এতে করে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়া অমূলক নয়। 

মূলত, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোতে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এ ঘটনার বিধ্বস্ত একটি ভবনের সামনে এক ব্যক্তির ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে মরক্কোর ভূমিকম্পে  ছবি দাবি করে কতিপয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির ক্যাপশনে ফাইল ফটো বা পুরোনো ঘটনার ছবি শীর্ষক কোনো তথ্যও দেওয়া হয়নি। এতে করে স্বাভাবিকভাবে ছবিটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়, যা বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। হতাহতের ঘটনা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বে তুরস্কের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরনো ছবি ব্যবহার করে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ২০০৪ সালের মরক্কোর ভূমিকম্পের ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবি করে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ছবি দাবিতে পুরানো ছবি প্রচার 

0

সম্প্রতি মরক্কোতে সংঘটিত ভূমিকম্পের ছবি দাবিতে ধ্বংসস্তূপের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ),এখানে(আর্কাইভ)। 

মরক্কোর

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচ্য ছবিগুলো মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয় বরং ইতোপূর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত ভূমিকম্পের পুরোনো ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে মরক্কোর ভূমিকম্প দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

ছবি যাচাই-১

ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম AP এর ওয়েবসাইটে ২০১১ সালের ১২ মার্চ “Ships drifted by tsunami sit on the land near a port in Kesennuma” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত  একটি প্রতিবেদনে এটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবিটি ২০১১ সালে জাপানে সংঘটিত ভূমিকম্পের সময় জাপানের কেশেনুমা বন্দর থেকে ধারণ করা হয়েছে।

Screenshot: AP 

পাশাপাশি, আলোচ্য ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেকটি গণমাধ্যম NBC News এর ওয়েবসাইটে ২০১১ সালের ১২ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও খুঁজে পাওয়া যায়। এসব প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, আলোচ্য ছবিটি ২০১১ সালের জাপানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ছবি।

ছবি যাচাই-২

এই ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে তুরস্কভিত্তিক ওয়েবসাইট Tigris Haber এ চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি ‘VİDEO – Diyarbakırlı Avukattan çağrı’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

পাশাপাশি যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম স্কাই নিউজে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ‘Special programme on the deadly earthquakes in Turkey and Syria’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভবনটির ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Sky News

এসব প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, আলোচ্য ছবিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে সংঘটিত ভূমিকম্পের সময়কার ছবি।

ছবি যাচাই-৩

এই ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মালয়েশিয়াভিত্তিক গণমাধ্যম The New Straits Times এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি  “What to know about the big quake that hit Turkey and Syria” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এপির সৌজন্যে এটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ভবনধ্বস ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। আলোচ্য ছবিটি সেই ভূমিকম্পের সময়েই তোলা।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম Politico এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত “Powerful quake rocks Turkey and Syria, kills more than 1,900” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদনেও ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Politico 

উক্ত প্রতিবেদনের সাথে এপির সৌজন্যে সংযুক্ত ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী  থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জরুরি উদ্ধারকাজ চালানোর সময় তুরস্কের আদানা থেকে উক্ত ছবিটি ধারণ করা হয়েছে।

উপরিউক্ত প্রতিবেদন সমূহ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আলোচ্য ছবিটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ছবি নয়।

ছবি যাচাই-৪

এই ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে  বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন EOS এর ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট “Earthquake Precursors, Processes, and Predictions” শীর্ষক শিরোনামের একটি নিবন্ধে এটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে ইতালিতে সংঘটিত ভূমিকম্পের সময় ফটোগ্রাফার অ্যাঞ্জেলো জিওর্দানো উক্ত ছবিটি ধারণ করেন।

Screenshot : EOS

পাশাপাশি স্টক ছবির ওয়েবসাইট pixabay তেও আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে প্রদত্ত ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী  থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, চিত্রগ্রাহক  অ্যাঞ্জেলো জিওর্দানো উক্ত ছবিটি ধারণ করেন। সেইসাথে আরও জানা যায় যে, ২০১৬ সালে উক্ত ছবিটি pixabay তে প্রকাশিত হয়।

ছবি যাচাই-৫

এই ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে স্পেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা Europa Press এর ওয়েবসাইটে গত ১০ সেপ্টেম্বর “Algeria expresses its solidarity with Morocco and reopens airspace for the shipment of humanitarian aid after the earthquake” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, আলোচ্য ছবিটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের সময় তোলা।

Screenshot: Europa Press

পাশাপাশি, আলোচ্য ছবিটিকে Vietnam Post English এর ওয়েবসাইটে গত  ৯ সেপ্টেম্বর “Earthquake in Morocco: At least 1,037 people died, more than 1,200 injured” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও খুঁজে পাওয়া যায়। 

মূলত, গত ৯ সেপ্টম্বর মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ধ্বংসস্তূপ ও ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ছবিগুলোর মধ্যে ৪টি ছবি পুরানো ও ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার। তবে কেবল একটি ছবি  মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ছবি।

সুতরাং,মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি প্রচার করা হচ্ছে, যার অধিকাংশই মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভিডিওটি সাকিব আল হাসানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের নয়

0

সম্প্রতি, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ের একটি ভিডিওকে জাতীয় দলের হয়ে তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরূপ ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

সাকিব আল হাসানের
Facebook Screenshot

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচ্য ভিডিওটি সাকিব আল হাসানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের নয় বরং, ভিডিও ক্লিপটি ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচের।

আলোচ্য ভিডিওটির কি ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে ২০১৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি “Shakib Al Hasan Destroying Murali & Sri Lanka | Old IS Gold” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

উক্ত ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচারিত ভিডিও এবং ইউটিউবে প্রাপ্ত ভিডিও দুইটি একই ম্যাচের। ভিডিওর ক্যাপশন থেকে আরও জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ধারণকৃত।

Source: YouTube

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে খেলাধুলা বিষয়ক ওয়েবসাইট cricinfo এর ওয়েবসাইটে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার একটি ওডিআই ম্যাচের স্কোরকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত, স্কোরকার্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেই ম্যাচে ৩১ ওভারে ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উক্ত ম্যাচে ৬৯ বলে ৯২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। যাআলোচ্য ভিডিওতে প্রদর্শিত ম্যাচ স্কোর সংক্রান্ত তথ্যের সাথে হুবহু মিলে যায়।

Source: cricinfo

পাশাপাশি, cricinfo এর ওয়েবসাইটে সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক অভিষেকের ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ওডিআই অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ০৬ আগস্ট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। উল্লেখ্য, এটিই বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৩০ রানের একটি ইনিংস খেলেন।

Source: cricinfo

মূলত, ২০০৯ সালের ১৪ই জানুয়ারি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার সেই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপকেই সম্প্রতি সাকিব আল হাসানের জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, পূর্বে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে ইন্টারনেটে  মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের অভিষেক হলেও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচের একটি ভিডিওকে তার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মরক্কোর দাবিতে সিরিয়ার ভূমিকম্পের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, “মরক্কো ভূমিকম্পের সময় মসজিদে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ? মুসল্লিদের ইমাম শক্তি দেখুন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প সময়ে তারা বিতরের নামাজ চালিয়ে যাচ্ছে!” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

মরক্কো

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ) এবং ভিডিও (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার শহর ইদলিবের একটি মসজিদে জামাত নামাজ আদায়ের সময় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের সময়কার ভিডিও। 

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘Josef islam’ নামক একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। এই পোস্টের ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot : Josef islam’s Twitter Account 

এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ইদলিব শহরের ফারুক মসজিদে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার দৃশ্য।

এছাড়া একই দিনে তুরস্কের গণমাধ্যম ‘Yani Safak’ এর ওয়েবসাইটে  প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইদলিব শহরের একটি মসজিদে জামাত নামাজ চলাকালীন সময়ে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। কিন্তু এই সময়ে জামাতে অবস্থানরত সকল মুসল্লি শান্ত ছিল এবং তাদের প্রার্থনাও ভঙ্গ হয়নি। 

মূলত, গত ৯ সেপ্টেম্বর মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় দুই হাজার জন মারা গেছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। পরবর্তীতে এই ঘটনার দৃশ্য দাবিতে একটি মসজিদে নামাজ চলাকালীন ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি সিরিয়ার শহর ইদলিবে ফারুক মসজিদে নামাজ চলাকালীন সময়ে ভূমিকম্প সংঘঠিত হওয়ার দৃশ্য।

উল্লেখ্য, পূর্বেও মরক্কোর এই ভূমিকম্প নিয়ে ইন্টারনেটে পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে   ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি দেখুন

সুতরাং, মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার ভূমিকম্পের ঘটনায় ধারণকৃত একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Twitter Account : Josef Islam
  • Turkish Daily Newspaper’s Website :Yani Safak
  • Rumor Scanner’s Own Analysis  

ভিন্ন ব্যক্তির ছবিতে ড. ইউনূসের মুখমণ্ডল বসিয়ে বিকৃত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, “সুদখোর ইউনূসের গোপন জীবনের ছবি” শীর্ষক দাবিতে তিন নারীর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ড. ইউনূসের মুখমণ্ডল

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “সুদখোর ইউনূসের গোপন জীবনের ছবি” শীর্ষক দাবিতে তিন নারীর সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং ভিন্ন ব্যক্তির ছবিকে এডিট করে ড. ইউনূসের মুখমণ্ডল বসিয়ে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আন্তজার্তিক গণমাধ্যম Insider এর ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: insider.com

ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, তিন নারীর সাথে ছবির ব্যক্তিটি প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক হিউ হেফনার।

আরো অনুসন্ধান করে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম CBS News এ ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ফটোস্টোরিতেও আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক হিউ হেফনার (ডান থেকে দ্বিতীয়) এবং তার অতিথিরা এলজি মারিয়া কেরি এবং জের্মেইন ডুপ্রি পোস্ট-গ্র্যামি পার্টির জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলস-এ একটি ব্যক্তিগত বাসভবনে আসেন৷ 

ড. ইউনূসের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাথে উক্ত ছবিটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায় এবং সাথে থাকা তিন নারী, পোশাক এবং ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ডেরও মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

 Screenshot collage: Rumor Scanner 

পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান Getty Images এর ওয়েবসাইটে সেই পার্টিতে তোলা Play Boy ম্যাগাজিনের প্রকাশকের সাথে উক্ত তিন নারীর আরও কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 
ছবিগুলো দেখুনএখানে, এখানে এবং এখানে। 

মূলত, ২০০৬ সালে প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক হিউ হেফনার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পার্টিতে তিন নারীর সাথে একাধিক ছবি তোলেন। সেসব ছবির একটিতে সম্প্রতি হিউ হেফনারের মুখমণ্ডলের স্থলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি বসিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও ড. ইউনূসের ছবি এডিট করে প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, তিন নারীর সাথে ড. ইউনূসের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড।

তথ্যসূত্র

বিশালাকৃতির দৈত্যের এই ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি 

সম্প্রতি, “The giant of Kandahar, photographed Afghanistan 1923” শীর্ষক ক্যাপশনে বিশালাকৃতির একটি দৈত্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

দৈত্যে

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কান্দাহারের দৈত্য আফগানিস্তানে দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয় বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি দিয়ে তৈরিকৃত ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, ‘Weird AI Generations’ নামক ফেসবুক পেজে গত ৪ সেপ্টেম্বর  প্রকাশিত ছবির (আর্কাইভ) সাথে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

Weird AI Generations‘ নামক ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ব্যবহার করে তৈরিকৃত ছবিগুলো করে এই পেজটিতে শেয়ার করা হয়।

এছাড়া বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ ওয়েবসাইট ‘hivemoderation.com’ ছবিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইটটি ছবিটি ৯৮.৪% কৃত্রিম হিসেবে চিহ্নিত করে।

Screenshot from ‘hivemoderation.com’

মূলত, গত ৪ সেপ্টেম্বর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ছবি শেয়ারিং সংক্রান্ত ফেসবুক পেজ ‘’Weird AI Generations’’ এ ‘The giant of Kandahar, photographed Afghanistan 1923’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি বিশালাকৃতির দৈত্যের ছবি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা উল্লেখ ব্যতীত অর্থাৎ আসল ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আলোচিত ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে বিশালাকৃতির একটি কুকুরের ছবিকে বাস্তব দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি একটি বিশালাকৃতির দৈত্যের ছবিকে ক্যামেরায় ধারণকৃত বাস্তব ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পুরুষ তার অন্ডকোষে আঘাত পেলে প্রায় ৯০০ ডেল ব্যথা অনুভবের দাবিটি মিথ্যা  

0

সম্প্রতি, “পুরুষ মানুষ তার “অন্ডকোষে” আঘাত পেলে প্রায় ৯০০ ডেল পর্যন্ত ব্যাথা অনুভব করে যা প্রায় ১৬০ টি সন্তান জন্ম দেওয়া ও ৩২০০ টি হাড়া ভাঙ্গার সমান।” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। 

আঘাত

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,সম্প্রতি পুরুষ তার অন্ডকোষে ব্যাথা পেলে প্রায় ৯০০ ডেল পর্যন্ত ব্যথা অনুভব করে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ডেল নামক ব্যথা পরিমাপের কোনো এককই নেই। 

মূলত, কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক তথ্যসূত্র ছাড়াই “পুরুষ তার অন্ডকোষে আঘাত পেলে প্রায় ৯০০ ডেল ব্যথা অনুভব করে” শীর্ষক দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে যেখানে ডেল নামক ব্যথা পরিমাপের কোনো এককই নেই। অন্যদিকে গবেষণা প্রতিবেদন ও বিশেষজ্ঞ মত জানাচ্ছে, অন্ডকোষ বা দেহের কোনো অংশেরই ব্যথা পরিমাপের কোনো বস্তুনিষ্ঠ উপায় নেই। রোগী ভেদে এই ব্যথা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার হতে পারে।

উল্লেখ্য, পূর্বে পুরুষ তার অন্ডকোষে আঘাত পেলে প্রায় ৯০০ ডেল ব্যথা অনুভব করে দাবিটির পরিবর্তে ৯০০০ ডেল শীর্ষক দাবি প্রচার করা হলে বিষয়টি নিয়ে একট ফ্যাক্ট ফাইল প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

বিশ্বের ১০০ দেশ ড.ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে সমর্থন দেওয়ার ভুয়া দাবি ইন্টারনেটে 

সম্প্রতি, “বাংলাদেশের তত্ত্ববোধক সরকার পাশ হয়ে গেছে। ১০০ কয়েকটি দেশ মিলে ড.ইউনুস সাহেবকে তত্ত্ববোধক সরকারী হিসেবে সমার্থন দিয়েছেন’’ শীর্ষক দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ), ভিডিও (আর্কাইভ), ভিডিও (আর্কাইভ) এবং ভিডিও (আর্কাইভ)। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বের ১০০ টি দেশের ড.ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে সমর্থন দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। বরং ২০১৮ সালে ভারতের অশোকা ইউনিভার্সিটি ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া সেন্টারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যে ড.ইউনূসের ভারত সফরকালীন একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা অশোকা ইউনিভার্সিটির লোগো ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অশোকা ইউনিভার্সিটির ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের পহেলা মে “Nobel Laureate Prof.Muhammad Yunus at Ashoka University” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে দাবিকৃত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Photo comparison by Rumor Scanner

ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল অশোকা ইউনিভার্সিটি ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া সেন্টারের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ড. ইউনূস এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে অশোকা ইউনিভার্সিটিতে যান। পাশাপাশি তিনি উদ্যোক্তা বিষয়ক বিভিন্ন দিক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটিতে থাকা তথ্য অনুযায়ী অনুসন্ধানে অশোকা ইউনিভার্সিটির ফেসবুক পেজে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টেও একই বিষয় তুলে ধরা হয়। 

পাশাপাশি অশোকা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে একই দিনে “Ashoka University has signs MoU with Yunus Social Business” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়।

এছাড়া ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল “Fiftieth Yunus Centre Launched in Ashoka University, Delhi” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি থেকে জানা যায়, ভারতের অশোকা ইউনিভার্সিটিতে একটি ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউনূস সেন্টারের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সিটিটি। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভারত সফরের সময়ে ৬ এপ্রিল ২০১৮ ইউনূস সেন্টারের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অর্থাৎ ২০১৮ সালে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূসের ভারতের অশোকা ইউনিভার্সিটি সফরকালীন ভিডিওকেই বর্তমানে ১০০ টি দেশ ড.ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে সমর্থন দেওয়ার দাবিতে  প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে ড.ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে ১০০ দেশের সমর্থন বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, সম্প্রতি বিশ্বের ১০০ টি দেশ ড. ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে সমর্থন দিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওটি ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল ভারতের অশোকা ইউনিভার্সিটি ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়া সেন্টারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের। যেখানে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনূস সেন্টারের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন। এছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো গণমাধ্যম সূত্রেও ড.ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে ১০০ দেশের সমর্থন বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ড.ইউনূস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জড়িয়ে প্রচারিত একাধিক গুজব নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন  

সুতরাং, বিশ্বের ১০০ টি দেশ ড. ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে তুরস্কের ভূমিকম্পের পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, মরক্কোতে সংঘটিত ভূমিকম্পকে ঘিরে ‘মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছেই!’ শীর্ষক দাবিতে কিছু ভিডিও ফুটেজ দূরবীন নিউজ নামক একটি অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়েছে।

ভূমিকম্প

দূরবীন নিউজের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্টটি দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির এক থেকে চার সেকেন্ড পর্যন্ত প্রদর্শিত ভবন ধসে পড়ার দৃশ্যটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে সংঘটিত ভূমিকম্পের সময়কার ভিডিও।

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম মিররে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ‘Turkey Syria earthquake: Dramatic footage shows building collapse after shake’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওসহ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Mirror.co.uk

প্রতিবেদনটি থেকে দেখা যায়, তুরস্কে সে সময়ে সংঘটিত ভূমিকম্পের পর পাওয়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি উঁচু ভবন মাটিতে ধসে পড়ছে। স্থানীয় উরফা টিভি নামে একটি গণমাধ্যমের বরাতে মিরর জানায়, ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর আফটারশকের কারণে সানলি উরফা প্রদেশের হালিলিয়া জেলায় অন্তত একটি সাততলা ভবন ধসে পড়েছে।

এছাড়া আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক গণমাধ্যম RTE News এ একইদিনে অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিওটিতেও মরক্কোর দাবিতে প্রচারিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওগুলোতে দেখানো ভবন ধসে পড়ার ভিডিওটির সাথে মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে ভিডিওটির হুবহু মিলে খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Collage: Rumor Scanner

মূলত, গত ৯ সেপ্টম্বর মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় দুই হাজার জন মারা গেছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এই ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে দেশীয় অনলাইন পোর্টাল দূরবীন নিউজের ভিডিও প্রতিবেদনের শুরুতেই একটি ভবন ধসে পড়ার ফুটেজ দেখানো হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভবন ধসে পড়ার এই ভিডিওটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে সংঘটিত ভূমিকম্পের পরের সময়ে ধারণকৃত। 

মরক্কোর এই ভূমিকম্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্যের বিপরীতে রিউমর স্ক্যানারের একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন 

সুতরাং, মরক্কোর ভূমিকম্পের দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবন ধসের একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

২০২০ সালে মরক্কোয় ভবন ধসে পড়ার ভিডিওকে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের দাবি

সম্প্রতি, একটি ভবন ধসের পড়ার ভিডিওকে মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও দেখুন এটিএন বাংলা (ইউটিউব)।

একই দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভবন ধসের পড়ার ভিডিওটি মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয় বরং ২০২০ সালে দেশটিতে ভবন ধসে পড়ার একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ইউটিউবে BRJ INFOTV নামক চ্যানেলে ২০২০ সালের ০৬ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির (এটিএন বাংলা ২০-২৮ সেকেন্ড সময়ে) মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভূমিকম্পে
Screenshot comparison: Rumor Scanner 

একই দিন প্রকাশিত আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলেও একই ঘটনার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

মরক্কোর সংবাদমাধ্যম Hespress এর ইউটিউব চ্যানেলেও একই ঘটনার ভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা একটি ভিডিও একই দিন প্রকাশ করা হয়। 

Screenshot: Facebook 

সেদিন (০৬ আগস্ট) Hespress এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মরক্কোর সাবাতা প্রদেশের ভবনটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাসিন্দারাও বাড়িটি খালি করে ফেলার কথা ছিল সপ্তাহখানেকের মধ্যে। তার আগেই ভবনটি ধসে পড়ে। 

অর্থাৎ, ভূমিকম্পের কারণে ভবনটি ধসের ঘটনা ঘটেনি।  

মূলত, ২০২০ সালে মরক্কোর সাবাতা প্রদেশে একটি ভবন ধসে পড়ে। সেসময় ঐ ভবন ধসে পড়ার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়। সম্প্রতি ঐ ভিডিওকে মরক্কোর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনায় ভবন ধসের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, মরক্কোয় ভবন ধসে পড়ার পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র