Home Blog Page 45

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় কথিত মিরসাদ-এর মৃত্যু নিয়ে ছড়িয়ে পড়া দাবিগুলো বানোয়াট

0

গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি যুদ্ধ (প্রশিক্ষণ) বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একের পর এক পোস্ট করা হয় ‘মিরসাদ’ নামের এক শিশুকে নিয়ে। পোস্টদাতা (Aminul Montasir) নিজেকে শিশুটির নানা বাড়ির এলাকার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। মিরসাদকে নিয়ে বেশকিছু আবেগঘন পোস্ট দিলেও মিরসাদের কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি।

প্রথমদিকে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়, “আমার ছোট ভাই আর নাই, ক্লাস ১ এর একটা উড়ন্ত রাজা ছিল আমার এই ভাই। লাশ ঝলসে গেছে, বেঞ্চের মধ্যেই ঝলসে গেছে, পাশে আছে নাকি শুধু স্কুলব্যাগটা…” একই পোস্টে দাবি করা হয়, শিশুটিকে মাইলস্টোন স্কুলে ভর্তি করার পরামর্শ তিনিই দিয়েছিলেন। পোস্টদাতা লেখেন, “আমিই বলছিলাম ওর আব্বুকে মাইলস্টোন স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য… আমি আর আমার মধ্যে নাই।”

পরবর্তী এক পোস্টে তিনি কথিত মিরসাদের বোনের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন এবং লেখেন, “খালামণি লাইফ সাপোর্টে, আমার ছোট ভাই মিরসাদের আম্মু। আঙ্কেল জরুরি কাজে ২ দিন আগে ইতালি গেছে। মিরসাদের শোকে আমার খালা এখন আইসিইউতে ভর্তি। সবাই দোয়া করবেন।”

২২ জুলাইয়ের একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ছেলের শোকে মিরসাদের মা মারা গেছেন। পোস্টে লেখা হয়, “২২ জুলাই ৮:৩০ মিনিটে মিরসাদের মা ইন্তেকাল করেছেন। রাত ৭:৩০ মিনিটে আন্টির সেন্স আসছিল, ডাক্তারকে নাকি বলছে আমার ছেলের বডি লাগবে না, আমারে ওর জাস্ট একটা হাড্ডি এনে দেন…” একই পোস্টে মিরসাদের বাবার বয়স ৫৫ বছর উল্লেখ করে বলা হয়, তাকে এখনো মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। তবে এদিকে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় জেরে ছেলের মৃত্যু শোকে মা মারা গেছেন এমন কোনো ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২৩ জুলাইয়ের আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার ভাই মিরসাদের লাশ শনাক্ত হইছে…” সেখানে লাশের পোশাক ও অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, স্কুল কমিউনিটি থেকে কল দিয়ে বলা হয়েছিল— ‘অন্তত একবার দেখে যান কোনো অংশ চিনতে পারেন কিনা’। এরপর মিরসাদের মামা ও নানা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আগের পোস্টে মিরসাদের মা মারা গেছেন দাবি করা হলেও, এ পোস্টে বলা হয় তার ডিএনএ স্যাম্পল তিনি জীবিত থাকার সময়ই নিয়ে রাখা হয়েছিল, যার মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। 

২৪ জুলাই প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাঁচটি পরিবারের ১১ সদস্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচটি মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে তাদের সেই তালিকায় মিরসাদ নামের কাউকে পাওয়া যায়নি। 

পোস্টদাতা একের পর এক আবেগঘন পোস্ট দিলেও, কথিত মিরসাদের বোন, বাবা, মামা বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের তরফ থেকে কোনো পোস্ট বা বক্তব্য দেখা যায়নি। যদিও, ওই পোস্টদাতার এক বন্ধু বিষয়টি নিয়ে আরেকটি পোস্ট করেছিলেন।

মিরসাদের খোঁজে রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধান

কথিত মিরসাদকে ঘিরে পোস্টদাতার দাবির অসঙ্গতি বিশ্লেষণ করে, অনেকেই এ বিষয়টির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন। কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে, তাদের উদ্দেশ্যে আরও বিভিন্ন গল্প দিয়ে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রিউমার স্ক্যানারের কাছেও বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়।

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক প্রকাশিত আহত ও নিহতদের তালিকা, আইএসপিআর– এর ফেসবুক পেজ এবং প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত আহত ও নিহতদের কোনো তালিকাতেই  ‘মিরসাদ’ নামের কোনো শিক্ষার্থীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত পাঁচজন নিহতের মধ্যেও মিরসাদ বা এরশাদ নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ সব তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হই, ‘মিরসাদ’ নামের শিশু সংক্রান্ত গল্পটি বানোয়াট।

পরবর্তীতে, ২৭ জুলাই আমাদের পক্ষ থেকে সেই পোস্টদাতা Aminul Montasir-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছে মিরসাদের পুরো নাম, বাবার নাম ও বাবার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম জানতে চাওয়া হয়। তবে তিনি আমাদের মেসেজের কোনো উত্তর দেননি। পরবর্তীতে তার একটি পোস্টের মন্তব্যেও একই অনুরোধ করা হলে, সেখানেও তিনি কোনো উত্তর দেননি আমরা তার উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি।

এদিকে, যোগাযোগের পর দেখা যায়— তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মিরসাদ সংক্রান্ত সব পোস্ট সরানো বা প্রাইভেসি বদলে লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। ২৯ জুলাই রাতে (২৮ জুলাই দিবাগত রাতে) একটি পোস্টে তিনি লেখেন: “আমি নিজ থেকে এই বিষয় বলতেছি যে, সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা, অহেতুক তথ্য আমি যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছি… আবেগের বশবর্তী হয়ে, কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই এই পোস্ট করার জন্য অবশ্যই আমি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় হওয়ার যোগ্য।” তবে একই পোস্টে কিছু বক্তব্য ছিল যা তার ক্ষমা চাওয়ার ভাষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অস্পষ্ট ছিল। একই দিনে তিনি আমাদের মেসেজের রিপ্লাই দেন, সে সময় তার কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি আর কোনো রিপ্লাই দেননি। লোকজনের সমালোচনা ও ট্রলের পর, ক্ষমা চাওয়া পোস্টটিও তিনি সরিয়ে ফেলেন।

ফলে, পোস্টদাতার দাবি অনুযায়ী — মিরসাদের মৃত্যু, তার মায়ের আইসিইউতে ভর্তি, কথিত বোনের ইনস্টাগ্রাম চ্যাট, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিলিটের ঘটনা, মায়ের মৃত্যুর সংবাদ — সবই ভিত্তিহীন।

এছাড়াও, তিনি নিজেকে এবং কথিত ‘মাইশা’কে এইচএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করে একাধিক পোস্টে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। ফলে ধারণা করা যায়, ‘মিরসাদ’কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা এই বানোয়াট গল্প আবেগ কুড়িয়ে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টার পাশাপশি এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টিতেও ব্যবহার করা হয়েছে।

সুতরাং, মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘মিরসাদ’কে ঘিরে প্রচারিত পোস্টগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

  • Rumor Scanner’s Investigation 
  • Aminul Montasir’s posts

এনসিপির নেতৃবৃন্দের তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে সম্পাদিত ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, বিএনপির সামনে পড়ে তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, পদযাত্রা চলাকালে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সামনে পড়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এনপিপির নেতা-কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন।

ভিডিওটিতে অডিও অংশে এনসিপি নেতা-কর্মীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে স্লোগান অর্থাৎ, তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিতে শুনতে পাওয়া যায়।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন লেখা অবধি টিকটকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার বারেরও বেশি। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ২ হাজার ৫০০ শতবারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে এনসিপির পদযাত্রায় সারজিস-হাসনাতদের তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৬ জুলাই রাজশাহীতে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি করে। উক্ত কর্মসূচিতে সারজিস-হাসনাতদের দেওয়া স্লোগানের ভিডিওতে প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনার মাধ্যমে ভিন্ন অডিও যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে যুগান্তরের ফেসবুক পেজে গত ৬ জুলাই ‘একসাথে হাসনাত-সারজিসের জ্বা’লাময়ী স্লোগান’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর শুরুর অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

কিন্তু ভিডিওটিতে তারেক রহমানের নামে অর্থাৎ, তারেক রহমানের পক্ষে কোনো স্লোগান বা অডিও ছিল না। বরং, যুগান্তেরর ভিডিওটিতে এনসিপি নেতা-কর্মীদের সারজিস-হাসনাতদের“অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন; রাজশাহীর অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন; রাজশাহীর অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; দালালের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন; এনসিপির অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; কালো হাতের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন…” শীর্ষক স্লোগান দিতে শোনা যায়।

একই ভিডিওটি রাজশাহীর স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘Rajshahi Times News – রাজশাহী টাইমস নিউজ’ -এর ফেসবুক পেজে থেকেও গত ৬ জুলাই ‘রাজশাহীতে এনসিপির নেতারা ,স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত রাজশাহী শহরের অনাচে কানাচে।’ ক্যাপশনে প্রচারিত হতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এই ভিডিওর একটি অংশ প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনার মাধ্যমে অডিও পরিবর্তন করে ভিন্ন অডিও যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ঢাকা ট্রিবিউন -এর ওয়েবসাইটে গত ৬ জুলাই ‘রাজশাহীতে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ০৬ জুলাই রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালিত হয়।

এছাড়াও, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘জাগোনিউজ২৪.কম’ -এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, এনসিপির পদযাত্রায় দলটির নেতা-কর্মীদের বিএনপি নেতা তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে তোলা সুনামির দৃশ্য দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, ৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে তোলা সুনামির দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু পোস্টে এটিকে রাশিয়ার, আবার কিছুতে জাপানের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিওতে একটি বিমানের জানালা দিয়ে সমুদ্রে বিশাল ঢেউয়ের দৃশ্য দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত একই দাবি দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: নিউজ১৮ বাংলা

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি ৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে ধারণ করা সুনামির প্রকৃত দৃশ্য নয়। বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘t.ho.m.1.1.02’ নামের একটি টিকটক প্রোফাইলে একই ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির বর্ণনায় ‘#aiart’ হ্যাশট্যাগ দেখা যায়।

Screenshot: TikTok. 

একই প্রোফাইল ঘেঁটে আরও একাধিক এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও পাওয়া যায়।

Screenshot: TikTok. 

পরবর্তীতে ভিডিওটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী টুল হাইভ মোডারেশনে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৮৯.৭ শতাংশ।

Screenshot: Hive Moderation. 

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে ৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে তোলা সুনামির বাস্তব দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান দাবিতে ভিন্ন নারীর সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি বাংলাদেশি অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের ছবি দাবিতে ‘জাতীর ক্রাশ অভিনেত্রী  সাদিয়া আয়মান’ ক্যাপশনে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের নয়। প্রকৃতপক্ষে, একজন ভারতীয় নারীর ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘RAJASHREE’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ছবিতে উক্ত নারীর মূখমণ্ডলে পার্থক্য ছাড়া অন্য সব উপাদানে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত নারীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটি শহরের বাসিন্দা। 

অর্থাৎ, মূল ছবিগুলো রাজশ্রী নামের ভিন্ন এক নারীর। 

অনুসন্ধানের স্বার্থে রিউমর স্ক্যানার বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজশ্রীর ছবির ওপর সাদিয়া আয়মানের মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এতে সম্পাদিত ছবির মতোই অনুরূপ ফলাফল পাওয়া গেছে।

সুতরাং, অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ছবিগুলো সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ঢালাই মেশিন থেকে লাশ উদ্ধারের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের

সম্প্রতি, বাংলাদেশে ঢালাই মেশিনের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঢালাই মেশিনবহনকারী গাড়ি থেকে কংক্রিট ঢালার সময় তা থেকে কংক্রিটের পাশাপাশি একটি লাশও বের হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢালাই মেশিন থেকে লাশ উদ্ধারের এই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো স্থানের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত রাষ্ট্র ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সান্টো ডোমিঙ্গো নর্তে নামক এলাকায় ২০১৭ সালে ঢালাই মেশিন থেকে লাশ উদ্ধারের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এমন কোনো লাশ উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে এর কয়েকটি কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ডোমিনিকান গণমাধ্যম Noticias SIN-এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে এতে আলোচিত লাশ উদ্ধারের ভিডিওটি দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে ভাষান্তরের মাধ্যমে জানা যায়, উক্ত লাশ উদ্ধারের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ঢালাই মেশিনটি CEMEX Dominicana নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। ঢালাই মেশিনের গাড়িটি কয়েকদিন যাবৎ একটি নির্মাণাধীন সাইটে ছিল। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি সেসময় এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টের মাধ্যমে একটি বিবৃতিও দেয়। তবে লাশটি কার সে বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অব্দি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়। 

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Diario Libre নামের আরেকটি ডোমিনিকান গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ঢালাই মেশিন থেকে লাশ উদ্ধারের ভিডিওটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কথোপকথন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি চার্ল ডি গল অ্যাভিনিউয়ের গ্যাস স্টেশনের নিকট অবস্থিত সাবানা পেরদিদা সেক্টরের একটি নির্মাণ সাইটে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ঢালাই মেশিনটি সিমেক্স ডোমিনিকানা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানটি এ ঘটনায় একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢালাই মেশিনের গাড়িটি চারদিন যাবৎ একটি নির্মাণ সাইটে ছিল যার কারণে উক্ত ঘটনার সাথে তাদের কোনো সংযোগ নেই। উক্ত প্রতিবেদনে সিমেক্স ডোমিনিকানা নামের প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতি সম্বলিত এক্স পোস্টও দেখতে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একাধিক অনলাইন পোর্টালে এঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, সাবানা পেরদিদা সেক্টরটি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সান্টো ডোমিঙ্গো নর্তে নামক এলাকায় অবস্থিত। এমন প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ঢালাই মেশিন থেকে লাশ উদ্ধারের পুরোনো ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনা দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘আমেরিকায় ব্যস্ততম শহরে আবার বিমান দুর্ঘটনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় বিমান দুর্ঘটনার দৃশ্যের নয় বরং, এটি ২০০১ সালে আমেরিকায় টুইট টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘Total Collapse (Full Episode) | 9/11: One Day in America’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ১২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড থেকে ১৩ মিনিট ৭ সেকেন্ড অংশের হুবহু মিল রয়েছে।

এছাড়া, একই ঘটনায় “911TimeForTruth” নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি “9/11 – NIST FOIA WTC2 Collapse – Dust Plume (David Corporon, WNYW-TV)” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘The New York Times’ এর ওয়েবসাইটে ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর “U.S. Attacked: Hijacked Jets Destroy Twin Towers and Hit Pentagon in Day of Terror” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা একটি বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ার (টুইন টাওয়ার) এবং ওয়াশিংটনের কাছে পেন্টাগনে আঘাত করেছিল। 

সুতরাং, ২০০১ সালে আমেরিকায় টুইট টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় বিমান দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

কথিত সরকারি বিনিয়োগ প্লাটফর্মে অর্থ উপদেষ্টার বিনিয়োগ পরামর্শ দাবিতে সম্পাদিত ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে জড়িয়ে ‘একটি সরকারি বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম প্রতি সপ্তাহে ১২১,০০০ টাকা আয়ের নিশ্চয়তা দেয়! আজই ৩০,০০০ বাংলাদেশি টাকা বিনিয়োগ করুন এবং আগামীকাল আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনার প্রথম পেমেন্ট পান। (অনূদিত)’ শিরোনামে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর লোগো যুক্ত করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত সরকারি বিনিয়োগ প্লাটফর্মে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ ও আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কোনো বক্তব্য দেননি। প্রকৃতপক্ষে, ভিন্ন বিষয়ে তার একটি বক্তব্যের ভিডিওকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বিকৃত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।


এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Atlantic Council এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর ‘Reform priorities for Bangladesh’s interim government, with Finance Adviser Salehuddin Ahmed’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার ফাঁকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জিওইকোনমিক্স সেন্টারের সহকারী পরিচালক মৃগাঙ্ক ভুসারীর সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।

অতঃপর, ভিডিওগুলোতে থাকা অডিও বা শব্দ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, ২০২৪ সালের মূল ভিডিওর অডিও থেকে আলোচিত ভিডিওটির অডিও ভিন্ন।

আলোচিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে এতে সালেহউদ্দিন আহমেদের উচ্চারণভঙ্গি কৃত্রিম বলে প্রতীয়মান হয়। তার একাধিক ভিডিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে তার কথা বলার ধরণও ভিন্ন। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সনাক্তকারী ওয়েবসাইট Resemble AI এ অডিও ক্লিপটি যাচাই করা হয়, এতে অডিওটিকে ‘Fake’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

একইসাথে, আরেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সনাক্তকারী ওয়েবসাইট Hive Moderation এ যাচাই করে ভিডিও ক্লিপটিকে আসল বলা হলেও অডিও ক্লিপটিকে প্রায় ১০০ শতাংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তা তৈরি বলে চিহ্নিত করা হয়।

উল্লেখ্য, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিতে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, কথিত সরকারি বিনিয়োগ প্লাটফর্মে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিও সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের টিউশনি বন্ধের বিষয়ে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া 

0

সম্প্রতি, “শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ব্যাচ/কোচিং পরিচালনা সংক্রান্ত আইনগত নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শাখার ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম সাক্ষরিত একটি নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের টিউশনি ও প্রাইভেট ব্যাচ পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন এই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে প্রতিষ্ঠানটির স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলমের স্বাক্ষর রয়েছে।

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, আলোচিত বিষয়ে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজে টিউশনি ও প্রাইভেট ব্যাচ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৯ জুলাইয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো নির্দেশনাটি সম্পূর্ণ ভুয়া। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করেনি। এটি গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা।’ 

এছাড়া, আলোচ্য বিষয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘সময় টিভি’ এর ওয়েবসাইটে একই তারিখে অর্থাৎ গত ২৯ জুলাই “শিক্ষকদের টিউশনিতে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ, যা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়” শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে একই তথ্য জানা যাচ্ছে। 

সুতরাং, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের টিউশনির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলমের নামে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেননি

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “ব্রেকিং নিউজ এবার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি। আজ দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে এক বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি এই কথা জানিয়েছেন।। এই নিয়ে ৪ টি দেশ বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করলেন।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেননি। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিন্ন ঘটনার ছবি ব্যবহার করে আলোচিত দাবি প্রচার করা হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত কোনো দেশই শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেনি।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও মূলধারার গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আল বায়ান’ এর ওয়েবসাইটে গত ৯ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে নানা ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায় যার একটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির মিল পাওয়া যায়। ছবিটির বর্ণনায় বলা হয়, “নরেন্দ্র মোদী রীম আল হাশিমি ও মোহাম্মদ আল হুসেইনির সঙ্গে করমর্দন করেন।” (অনূদিত)

ছবির প্রেক্ষাপটের বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে থেকে জানা যায়, “দুবাইয়ের যুবরাজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, মহামান্য শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম গতকাল (৮ এপ্রিল) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।… সাক্ষাতকালে উভয় পক্ষের মধ্যে দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং সকল ক্ষেত্রে এর দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দৃষ্টিভঙ্গির মিলের প্রেক্ষিতে এই অংশীদারত্ব আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। এই অংশীদারত্বের ভিত্তি হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং উভয় দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, যা টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।” (অনূদিত)

এছাড়াও, ভারতের মুম্বাইয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কনস্যুলেট জেনারেলের নামে পরিচালিত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও গত ৮ এপ্রিলে প্রচারিত নানা ছবির সাথে আলোচিত ছবিটিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়।

উল্লিখিত বৈঠকে হওয়া আলোচনার বিষয়ে অনুসন্ধান করলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ ও ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন — বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, প্রযুক্তি, শিক্ষা, ক্রীড়া এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়াও, বৈঠকের বিষয়ে দুবাই সরকারের মিডিয়া অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের গভীরতর কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। দুদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। এছাড়াও বৈঠকে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, পর্যটন, শিল্প, অবকাঠামো, লজিস্টিক্স, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, অগ্রসর প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং মহাকাশ খাতসহ বিভিন্ন কৌশলগত ক্ষেত্রের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। 

তবে কোথাও শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

বরং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত বছরের ৮ আগস্টে ড. ইউনূসকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভকামনা জানান। এছাড়াও, ঈদ উল আজহাসহ নানাসময়ে নরেন্দ্র মোদী ও ড. ইউনূসের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হতে দেখা যায়৷ সর্বশেষ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায়ও নরেন্দ্র মোদী গত ২১ জুলাইয়ে একটি এক্স পোস্টে সমবেদনা জানান এবং বাংলাদেশের পাশে ভারতের থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে পেরুর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে শীর্ষক একটি ভুয়া দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

গত বছর চট্টগ্রামের সড়ক দুর্ঘটনাকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘ইন্না লিল্লাহ ওনার বাড়ি নাকি গন্ডামারা বাজারের পশ্চিম পাশে নাম জাফর, বর্তমানে শহরে থাকে, ওনি কিচ্ছুক্কন আগে কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুরে এক্সিডেন্ট করেছে, ওনার হাতের মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্চে না, আপনারা দ্রুত শেয়ার করে পরিবার খবর দিতে সহযোগীতা করুন, বর্তমানে ওনাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল নেওয়া হয়েছে।’- শীর্ষক ক্যাপশনে একজন আহত ব্যক্তির ছবি ও দুর্ঘটনার কবলে পড়া একটা সিএনজির ছবি যুক্ত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির দাবিতে প্রচারিত ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, বরং এটি গত বছরের এপ্রিল মাসের ঘটনা এবং প্রচারিত ছবিওগুলোও সেই সময়কার। 


অনুসন্ধানে ‘Arif Hasan Mehedi’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বছরের ২২ এপ্রিল প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে যুক্ত ছবি দুইটির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর মিল রয়েছে।

উক্ত পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুরে একটি দুর্ঘটনাট ঘটেছে। সেখানে আহত এক ব্যক্তির ছবি যুক্ত করা বলা হয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম জাফর। বাড়ি গন্ডামারা বাজারে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। 

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গণমাধ্যম দৈনিক আজাদী এর ওয়েবসাইটে গত বছরের ২২ এপ্রিল “কর্ণফুলীতে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি, গুরুতর আহত ২” শীর্ষক শিরোনাম প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা দুর্ঘটনার কবলে পড়া সিএনজির ছবির সাথে আলোচিত পোস্টগুলোতে যুক্ত দুর্ঘটনার কবলে পড়া সিএনজির মিল রয়েছে।

দৈনিক আজাদীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ২২ এপ্রিল দুপুর ০১ টার দিকে কর্ণফুলী আনোয়ারা সড়কে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও যাত্রী গুরুতর আহত হন। এতে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি টেক্সি। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাশের সাউথ চট্টগ্রাম হসপিটালে পাঠালেও পরে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুতরাং, গত বছরের ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়া সিএনজির ছবি যুক্ত করে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র