সম্প্রতি, “শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ব্যাচ/কোচিং পরিচালনা সংক্রান্ত আইনগত নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শাখার ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম সাক্ষরিত একটি নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের টিউশনি ও প্রাইভেট ব্যাচ পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন এই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে প্রতিষ্ঠানটির স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলমের স্বাক্ষর রয়েছে।
উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, আলোচিত বিষয়ে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজে টিউশনি ও প্রাইভেট ব্যাচ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৯ জুলাইয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো নির্দেশনাটি সম্পূর্ণ ভুয়া। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করেনি। এটি গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা।’
এছাড়া, আলোচ্য বিষয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘সময় টিভি’ এর ওয়েবসাইটে একই তারিখে অর্থাৎ গত ২৯ জুলাই “শিক্ষকদের টিউশনিতে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ, যা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়” শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে একই তথ্য জানা যাচ্ছে।
সুতরাং, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের টিউশনির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলমের নামে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।