সম্প্রতি ‘ব্রেকিং নিউজ ভারত সরকারের সামরিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির আহমাবাদে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনায় তাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে আহমাবাদে আনা হয়েছে।।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি শেখ হাসিনাকে বহনকারী কোনো বিমানের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে জি ৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাপানে পৌঁছানোর ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের গুজরাট ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম DeshGujarat এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৯ মে ‘PM Narendra Modi arrives at Hiroshima Airport for G7 Summit in Japan’ শিরোনাম প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রায় ২১ মিনিট দৈর্ঘ্যের মূল ভিডিওটির ০৩:৫৬ থেকে ০৬:১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে অবতরণ করে থাকা একটি বিমানের দিকে বোর্ডিং সিঁড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
একই বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম Voice of America এর বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২০ মে ‘জি ৭ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ভিডিওচিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোর ক্যাপশনে শেখ হাসিনাকে ‘আহমাবাদ’ নামক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আহমাবাদ নামে ভারতে কোনো এলাকা বা স্থান নেই। তবে ‘আহমেদাবাদ’ নামে ভারতের গুজরাট রাজ্যে একটি শহর রয়েছে৷ শেখ হাসিনাকে উক্ত স্থানে নিয়ে যাওয়া হলে তা নিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রচারিত হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট সূত্রে আলোচিত দাবিতে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ভারতে রাজনৈতিক আলোচনার জন্য শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ভিডিও দাবিতে জি ৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাপান সফরের পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।