সম্প্রতি, ‘মানুষ হত্যা করে গলায় রশি লাগিয়ে উৎসব করে এইটাও দেখার বাকি ছিল বাংলাদেশ সাজানো-গোছানো দেশটা আজ কোথায় গিয়ে দাড়াইছে’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। গত ২০ জুলাই ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কাকসা থানা সংলগ্ন একটি বাজারে বাজার করতে যান সেখানকার বাসিন্দা তরুণ দত্ত। তখন তার মোবাইল ফোনটি চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই নাবালক। সেই নাবালক দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়। সেই গণধোলাইয়ের দৃশ্য এটি।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওটিতে ‘দত্ত জুয়েলার্স’ নামক একটি দোকানের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। এই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গুগল ম্যাপে উক্ত দোকানটি অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খুঁজে পাওয়া যায়।

এরপর প্রাপ্ত সূত্রগুলো ধরে অনুসন্ধানে ‘Panagarh 7Din’ নামক একটি স্থানীয় সংবাদ ভিত্তিক ফেসবুক পেজে গত ২০ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা ফুটেজের সাথেও আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (২০ জুলাই) কাঁকসা হাঁটে দুই নাবালক মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। যার মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন নাবালকেরা সেই ব্যক্তি অভিযুক্ত দুই নাবালককে ধরি দিয়ে বেঁধে হাঁটের পাশে থাকা খেলার মাঠে নিয়ে যান। মারধরও করা হয় তাদের। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
একই দিনে একই পেজ থেকে প্রচারিত আরেকটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, তরুণ দত্ত নামের এক ব্যক্তির মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই দুই নাবালক। পরে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের মারধর করে।
অর্থাৎ, ভিডিওটি ভারতের এবং যাদের বেঁধে রাখা হয়েছিল তাদের হত্যা করা হয়নি, তারা বেঁচে আছেন।
সুতরাং, ভারতের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে হত্যার পর গলার রশি বেঁধে টানা হচ্ছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।