সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, “সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এনসিপির নেতাকর্মীরা ডাক্তারের ওপরে হামলা।”

উক্ত দাবির ফেসবুক ভিডিও দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটির সাথে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই বরং, সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ডাক্তারের ওপরে হামলার এ ঘটনায় দায়ী হিসেবে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নাম এসেছে গণমাধ্যমে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে জাতীয় দৈনিক সমকালের পেজে ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরায় দুর্ঘটনায় আহত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে হামলা করেছেন স্বজনরা।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর পরিবেশনের ওয়েবসাইট মেডিভয়েসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাঠি এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবদল কর্মী রাহিম ইসলামের তিন বছরের ছেলে নিশাত গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটির মাথার খুলি ভেঙে মগজ বের হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সাতক্ষীরায় রেফার করেন। পথে খানপুর এলাকায় শিশুটির মারা যায়। এর পর স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সসহ আবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে এসে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল আজিজের ওপর হামলা চালান। এতে বাধা দিলে আব্দুর রহমান নামে স্থানীয় একজন রাজনৈতিক নেতা ও তার গাড়িচালক নুরুজ্জামান তাদের হামলার শিকার হন। ২৮ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজের ওয়েবসাইটে একই ঘটনা সংক্রান্ত প্রকাশিত খবরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানানো হয়, হামলাকারীরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
পরবর্তীতে, অন্যান্য গণমাধ্যমেও আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওর ঘটনাটির সাথে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী কর্তৃক সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ডাক্তারের ওপরে হামলার ঘটনাকে এনসিপির নেতাকর্মী কর্তৃক হামলা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে ; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Samakal: Facebook Video





