ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পাশ্বর্বর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে তিনি কখনো গণমাধ্যমে বা প্রকাশ্যে আসেননি। তবে অনলাইনে বেশ কয়েকবার দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অডিওবার্তা প্রদান করার পাশাপাশি কলেও অনেকের সাথে কথা বলেছেন। সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর প্রথমবারের মত তিনটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইমেইলের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তার লাইভে বক্তব্য প্রদান ও প্রকাশ্যে আসার দাবি করতে দেখা যায়। সম্প্রতি, ভারতের কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের সাথে শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করেছেন দাবিতে তাদের একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে থ্রেডসে প্রচারিত ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের সাথে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সময়ে সাক্ষাতের নয়। প্রকৃতপক্ষে, গান্ধী পরিবারের সাথে শেখ হাসিনার ২০২৪ সালের সাক্ষাতের ছবিকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
আলোচিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতের লোকসভার বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রচারিত একটি পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়। পোস্টটিতে সেসময় ভারতের কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের বেশ কয়েকটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার তাদের সাথে সাক্ষাতের দাবিতে প্রচারিত ছবিটিও দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও রাহুল গান্ধীর ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে তাদের সাক্ষাতের একটি ভিডিও পোস্টও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতেও তাদেরকে একই অবস্থায় একই স্থানে বসে কথা বলতে দেখা যায়। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, গান্ধী পরিবারের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ছবিটি ২০২৪ সালের।
সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার গান্ধী পরিবারের সাথে সাক্ষাতের ছবি দাবিতে ২০২৪ সালের ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।





