সম্প্রতি ‘ছাগল বলাৎকার এর অভিযোগে শিবিরকর্মী আটক। ঝিনাইগাতি, শেরপুর।’ শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
প্রচারিত দাবিতে আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. নাজমুল হক (২৪) এবং সে স্থানীয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাটি শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় ধানশাইল ইউনিয়নে ঘটেছে বলে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি শেরপুরে ছাগল ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীকে আটকের ঘটনার দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, টাঙ্গাইলে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতারের ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত ০১ আগস্ট ‘টাঙ্গাইলে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাদৃশ্য রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের আল-কারীম দারুর উলুম আজাদী মাদ্রাসার ১১ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওয়ালিউল্লাহ নামক ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৩১ জুলাই দিবাগত রাতে জামালপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ পাবনার চাটমোহরের ধানবিলা গ্রামের বাসিন্দা।
উক্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহর কোনো রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, এ বিষয়ে অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ০১ আগস্ট ‘টাঙ্গাইলে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, আটককৃত ব্যক্তি নাম নাজমুল হক নয় এবং তার ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে সম্প্রতি শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে ছাগল ধর্ষণের অভিযোগে কাউকে আটকের কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, শেরপুরে ছাগল ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রশিবির কর্মীকে আটকের দৃশ্য দাবিতে টাঙ্গাইলে মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষকের ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।





