Home Blog Page 37

০৫ আগস্ট পুলিশ হত্যার প্রতিবাদে নয়, এটি শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের র‍্যালির পুরোনো ভিডিও

সম্প্রতি ‘আজ ৫ ই আগস্ট আন্তর্জাতিক পুলিশ হত্যা দিবস আজকের এই দিনে ঘাতকদের আঘাতে বাংলাদেশের পুলিশের ৩২ শত সদস্য নিহত হয়েছে।’ এবং ‘পুলিশ হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ একটি শোক রেলি বের করেছে।’ শিরোনামে একটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি পুলিশ হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক র‍্যালির নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে ভিন্ন একটি উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত র‍্যালির ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রচার মাধ্যম SYLON TV এর ফেসবুক চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও তৎকালীন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সেদিন শোক র‍্যালির আয়োজন করে। র‍্যালিটি বিকাল ৪টায় নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন পোর্টালে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিলেটে ছাত্রলীগের বিশাল শোক র‌্যালী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরণের চিত্র ও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

সুতরাং, পুলিশ হত্যার প্রতিবাদে গত ০৫ আগস্ট সিলেট জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক র‍্যালি দাবিতে ২০২৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও তৎকালীন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক র‍্যালির ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

জুলাই সনদে বিএনপি ও জামায়াতের স্বাক্ষর করার শর্তের বিষয়ে আমার দেশের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বিএনপি- সালাহউদ্দিন” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম আমার দেশের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এছাড়াও, সম্প্রতি “ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে সাক্ষর করবে না জামায়াত” শীর্ষক শিরোনামেও মূলধারার গণমাধ্যম আমার দেশের লোগো সম্বলিত আরেকটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বিএনপি- সালাহউদ্দিন” শীর্ষক শিরোনামে আমার দেশ কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি। এছাড়া, “ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে সাক্ষর করবে না জামায়াত” শীর্ষক শিরোনামেও আমার দেশ কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আমার দেশের লোগো ব্যবহার করে আলোচিত ফটোকার্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে সালাহউদ্দিন আহমদের মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আমার দেশের নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘০৫ আগস্ট ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আমার দেশের ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Comparison: Rumor Scanner

তাছাড়া, আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচলিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইনেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের এরূপ কোনো মন্তব্য করার দাবির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

বরং, আমার দেশের ফেসবুক পেজে গত ০৭ আগস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া জানিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে “ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে সাক্ষর করবে না জামায়াত” শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আমার দেশের নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘০৫ আগস্ট ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আমার দেশের ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Comparison : Rumor Scanner

তাছাড়া, আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচলিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইনেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এরূপ কোনো মন্তব্য করার দাবির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ইন্ডিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বিএনপি ও জামায়াত শীর্ষক শিরোনামে আমার দেশের নামে প্রচারিত ফটোকার্ড দুইটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের মন্দিরে চুরির ভিডিও দাবিতে ভারতের আসামের পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “মন্দিরে ঢুকে মাকে প্রণাম করে মায়ের মাথা থেকে ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণের মুকুট ও ৭৫০ গ্রাম রুপা চু-রি করে নিয়ে গেছে যুবক। তার প’রি’চ’য় এখনো স’না’ক্ত হয় নি।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের বা বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে চুরির দৃশ্যের নয় বরং, ২০২৪ সালের ২৬ মে তারিখে ভারতের আসামের একটি মন্দিরে চুরির ভিডিও আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ভারতের আসামভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘News18 Assam & NE’ এর ফেসবুক পেজে গত ২৬ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে সিসিটিভি ফুটেজের সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। সংযুক্ত সিসিটিভি ফুটেজটিতে তারিখ হিসেবে ২০২৪ সালের ২৬ মে দেখা যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে ‘আসাম’ হ্যাশট্যাগসহ বলা হয়, “চুরি করার আগে প্রথমে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা, তারপর করল চুরির কাজ। এই চোরের ভগবানের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। মন্দিরে ঢুকে সে প্রথমে প্রার্থনা করল, আর তারপর যা ঘটল তা হল এই…” (অনূদিত)

এছাড়াও, অনুসন্ধানে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ এর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৬ মে তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন একই ভিডিওটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “আসামের গোসাইগাঁও শহরের অন্তর্গত কচুগাঁও এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মা মহামায়া মন্দিরে (২৬ মে,২০২৪) ভোররাতে চুরি হয়। প্রায় রাত ৩টা ৩০ মিনিটে এই চুরির ঘটনা ঘটে, যখন মন্দিরে কেউ উপস্থিত ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে। চোরেরা মন্দিরে ঢুকে প্রায় ১০ ভরি সোনা এবং ৭৫০ গ্রাম রূপার একটি মুকুটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া গয়নাগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ রূপি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মোট ৩ জন চোর এই চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। যদিও তাদের মুখ আংশিকভাবে অস্পষ্ট ছিল, তবে তাদের মধ্যে একজনকে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে।” (অনূদিত)

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের আসামের। এটি ২০২৪ সালের মে মাসের ঘটনা।

সুতরাং, ২০২৪ সালে ভারতের আসামের একটি মন্দিরে চুরির ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মন্দিরে চুরির দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

টিএসসিতে সরকার বিরোধী মিছিল দাবিতে কুমিল্লায় নির্বাচনী আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে হওয়া মিছিলের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি ‘এই মুহুর্তে টিএসসি তে উত্তাল ছাত্রজনতা, অবৈধ সরকার মানি না মানবো না।’ ক্যাপশনে একটি মশাল মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে টিএসসিতে ছাত্র-জনতার আয়োজিত কোনো মিছিলের নয় বরং, গত জুলাই মাসে কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী আসনের সীমানায় প্রস্তাবিত পরিবর্তনের প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Kazi Kowse নামক ফেসবুক প্রোফাইলে গত ৩১ জুলাই প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, ‘কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী আসন ভেঙে সদর দক্ষিণ উপজেলাকে চৌদ্দগ্রাম আসনের যুক্ত করার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীদের মশাল মিছিল।’ ভিডিওটিতে মিছিলে ‘অবৈধ সীমানা মানি না, মানবো না’ শীর্ষক স্লোগান শোনা যায়। 

পরবর্তীতে, Cumillasdnews24.com নামক ফেসবুক পেজে গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে থাকা মানুষজন, পারিপার্শ্বিকতা এবং অডিও ক্লিপের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

পোস্টটির ক্যাপশনে এটি কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী আসন ভেঙে সদর দক্ষিণ উপজেলাকে চৌদ্দগ্রাম আসনের যুক্ত করার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মশাল মিছিলের ভিডিও বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টি আসনে বড় পরিবর্তন এসেছে। কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) সংসদীয় আসনের তিন উপজেলাকে ভেঙে তিন আসনে যুক্ত করা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। ইসির এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে কুমিল্লায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সুতরাং, টিএসসিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মিছিল দাবিতে কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী আসনের সীমানায় প্রস্তাবিত পরিবর্তনের প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বিএনপির নামে চাঁদা তুলতে গিয়ে যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘর্ষের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “বিএনপি’র  নাম করে চাঁদা তুলতে গিয়ে আটক যুবলীগের নেতা | এরপর জনগণের দোলায়”।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় এবং এটির সাথে বিএনপি কিংবা যুবলীগের সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রকৃতপক্ষে, এটি ভারতের আসামের ডবোকায় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পুরোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে হওয়া সংঘর্ষের দৃশ্য। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যালোচনায় ভিডিওটিতে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম সময় টেলিভিশনের একটি লোগো দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে সময় টিভির ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে কোনো সংবাদ বা ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রেও এমন কোনো দাবিতে আলোচিত ভিডিওটি পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও সময় টিভির প্রতিবেদনে ব্যবহৃত সময় টিভির লোগোর অ্যানিমেশনের সাথে আলোচিত ভিডিওর লোগোর অ্যানিমেশনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আলোচিত ভিডিওর ‘সময়’ লেখা লোগোটির অক্ষরগুলো উল্লম্বিকভাবে ঘুরতে দেখা যায়। অপরদিকে সময় টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের লোগোর অক্ষরগুলো অনুভূমিকভাবে ঘুরতে দেখা যায়। এছাড়াও সময়টিভির লোগোতে ‘সময়’ লেখার নিচে পৃথিবীর মানটিত্র রয়েছে।

 
পরবর্তী অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৪ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের তুলনা করলে মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির বর্ণনা অংশে বলা হয়, “আসামের ডোবোকায় যমুনা গাঁও পঞ্চায়েতে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধির আত্মীয়দের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একদল লোকের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হলে একটি গ্রাম পর্যায়ের সভা সহিংসতায় রূপ নেয়।” (অনূদিত)

এছাড়াও অনুসন্ধানে ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ এর ওয়েবসাইটে ‘Assam: Chairs go flying as panchayat meet turns violent in Doboka, several injured’ শীর্ষক শিরোনামে গত ০৪ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “আসামের ডোবোকার যমুনা গাঁও পঞ্চায়েতে একটি গ্রাম পর্যায়ের বৈঠকে মারামারি বেঁধে যায়, যখন এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধির আত্মীয়দের সঙ্গে কিছু স্থানীয় বাসিন্দার ঝগড়া শুরু হয়। জানা গেছে, আগের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়ম নিয়ে পুরনো অভিযোগ থেকেই এই বিবাদের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝগড়াটি খুব দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে, এবং একে অপরকে প্লাস্টিকের চেয়ারে আঘাত করতে দেখা যায়। এতে কয়েকজন মানুষ কম-বেশি আহত হন।

এই বৈঠকটি সরকার নির্দেশিত একটি কর্মসূচির অংশ ছিল, যেখানে স্থানীয় প্রশাসন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশেষ গ্রাম সভা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু যেখানে সবার মিলে গঠনমূলক আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে পুরনো ক্ষোভ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং তা হাতাহাতিতে গড়ায়।” (অনূদিত)

এছাড়াও, ‘নিউজ ডেইলি২৪’ নামে একটি আসাম ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক্স অ্যাকাউন্টেও উক্ত ঘটনার ভিডিওটি ভারতের আসামের দাবিতে পাওয়া যায়। 

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

সুতরাং, ভারতের আসামের ডবোকায় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পুরোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে হওয়া সংঘর্ষের ভিডিওকে বিএনপির নামে চাঁদা তুলতে গিয়ে যুবলীগ নেতা আটক হয়ে গণধোলাইয়ের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী বলার বিষয়ে মেঘমল্লার বসুর বক্তব্য বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার

সম্প্রতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু “হাসিনাকে আপনি গণহত্যাকারী বলতে পারেন না, কারণ এখনো কোর্টে তা প্রমাণ হয়নি।” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন এমন একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন : বিডি টুডে

গণমাধ্যম ছাড়াও নানা ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত মন্তব্যটি তার বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ। প্রকৃতপক্ষে, সবকিছুর জন্য কোর্টে প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক না এমন বার্তা দিতে গিয়ে মেঘমল্লার উদাহরণস্বরূপ হাসিনাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। এক্ষেত্রে বক্তব্যের মূল প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে খণ্ডিত অংশ প্রচার বক্তব্যের ভুল বার্তা বহন করে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘বিজনেস বাংলাদেশ লাইভ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৫ আগস্টে “টিএসসি’তে শিবির-বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে উ’ত্তে’জ’না॥ সরাসরি…” শীর্ষক ক্যাপশনে ১০ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি লাইভ সম্প্রচার ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির ৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড পরবর্তী সময়ে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে বলতে শোনা যায়, “..২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের পরবর্তী যেই বিচার, সেই বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার ১ হাজারটা অভিযোগ থাকতে পারে।..কিন্তু সবকিছু তো কোর্টে প্রমাণিত হওয়ার বিষয় না। আজকে পর্যন্ত কি প্রমাণিত হইছে শেখ হাসিনা কোনো কোর্টে গণহত্যাকারী, কিন্তু আপনার কাছে কেউ আইসা যদি বলে শেখ হাসিনা গণহত্যাকারী না, কারণ কোর্টে প্রমাণিত হয়নি, তাহলে আপনার তার কলিজাটা টাইনা ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে না?… ঠিক একইভাবে যদি কেউ একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিষয়ে বলে যে কোর্টটা ঠিক না.. একইভাবে যদি কেউ রাজাকারের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করে তাহলে সেই জিনিসটা তো একইরকম ভয়াবহ। ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের দাগ তাদের হাতে নাই?”

এছাড়াও, ‘আমার মা-নানীকে যে ধ*র্ষণ করছে তাদের সাথে কীসের ঐক্য?: মেঘমল্লার বসু” শীর্ষক শিরোনামে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা নিউজ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলেও গত ৫ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিন্ন কোণ থেকে ধারণকৃত ভিডিওটিতে মেঘমল্লার বসুকে একই কথা বলতে শোনা যায়। অর্থাৎ, এ থেকে বুঝা যায় যে, মেঘমল্লার বসু বলেননি যে “হাসিনাকে আপনি গণহত্যাকারী বলতে পারেন না, কারণ এখনো কোর্টে তা প্রমাণ হয়নি।” তিনি বরং এরূপ একটি দৃশ্যপট দাঁড় করিয়ে বলেছেন এরূপ কেউ বলে থাকলে তার কলিজা ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে মেঘমল্লারের অর্থাৎ এরূপ বক্তব্যের প্রতিবাদ করবেন মেঘমল্লার যা স্পষ্টতই প্রচারিত দাবির বিপরীত।

এছাড়াও, মেঘমল্লার বসুর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করলে গত ০৫ আগস্টে এ বিষয়ে তাকে একটি পোস্ট করতে দেখা যায়। পোস্টটিতে মেঘমল্লার বলেন, “”শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও তো কোর্টে কিছু প্রমাণ হয়নি। তাই জন্য যদি কেউ বলে সে গণহত্যা করেনি তাহলে তার কলিজা টেনে ছিড়ে নিতে আপনার ইচ্ছা করবে না? একই কথা একাত্তরের গণহত্যাকারীদের জন্যও প্রযোজ্য। গোলাম আজম রাজাকার এটা বলতে কোর্ট লাগে না।” এই কথাটিকে বিকৃত করে রাজাকারের বাচ্চারা প্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”

এ থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায় যে, কোর্টে প্রমাণ না হওয়ায় শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী বলা যাবে না এমনটা মেঘমল্লার বসু বুঝাতে চাননি বরং, তিনি এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু, মেঘমল্লারের পুরো বক্তব্যের পরিবর্তে আংশিক বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে যা বক্তব্যের মূল ভাবধারা পরিবর্তন করেছে।

পরবর্তীতে মেঘমল্লার বসুর এরূপ বক্তব্যের প্রেক্ষাপটের বিষয়ে অনুসন্ধান করলে জানা যায়, জুলাই গণ অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গত ৫ আগস্টে “৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক কর্মসূচি আয়োজন করে ইসলামী ছাত্র শিবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের টিএসসির ভেতরে ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামে এক প্রদর্শনী রাখা হয় যেখানে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা সবাই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন। সাত জনের মধ্যে শুধু সাঈদী আমৃত্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। কারাগারে থাকাবস্থায় মারা যান তিনি। বাকি ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট বামপন্থী বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ‘চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী ও দণ্ডিতদের’ ছবি প্রদর্শনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে। উক্ত বিক্ষোভ ঘটনার এক পর্যায়ে মেঘমল্লার বসু তার বক্তব্যে উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলেন।

সুতরাং, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন “হাসিনাকে আপনি গণহত্যাকারী বলতে পারেন না, কারণ এখনো কোর্টে তা প্রমাণ হয়নি” শীর্ষক দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ছাত্রশিবিরের সভাপতিকে জড়িয়ে আমার দেশের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি ‘জুলাই সনদে ৭১ এর গনহত্যা উল্লেখ থাকলে সাক্ষর করবে না শিবির – জাহিদুল।’ শিরোনামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি  জাহিদুল ইসলামের ছবি যুক্ত করে গণমাধ্যম আমার দেশের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘জুলাই সনদে ৭১ এর গনহত্যা উল্লেখ থাকলে সাক্ষর করবে না শিবির – জাহিদুল।’ শিরোনামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের ছবি যুক্ত করে আমার দেশ কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং জাহিদুল ইসলামও এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আমার দেশের ভিন্ন একটি ফটোকার্ড সম্পাদনা করে প্রচারিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আমার দেশের লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ০৩ আগস্ট, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত তারিখে আলোচিত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, আমার দেশের ফেসবুক পেজে গত ০৩ আগস্ট প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় যেটির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির আংশিক সাদৃশ্য রয়েছে।

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটির সাথে প্রচারিত ফটোকার্ডের তারিখ ও আমার দেশের লোগোর মিল রয়েছে, তবে উভয়ের শিরোনামে ভিন্নতা রয়েছে। মূলত, এই ফটোকার্ডটির ‘অতীতে গর্ত খুঁড়েছিল যারা আজ তারাই পড়েছে সেই গর্তে’ শীর্ষক শিরোনামের স্থলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ‘জুলাই সনদে ৭১ এর গনহত্যা উল্লেখ থাকলে সাক্ষর করবে না শিবির – জাহিদুল।’’ শিরোনাম প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, আমার দেশের মূল ফটোকার্ডে থাকা জাহিদুল ইসলামের ছবিটির ভিন্ন একটি ভার্সনের পাশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মনোগ্রাম যুক্ত করে প্রচারিত ফটোকার্ডে জাহিদুল ইসলামের ছবির স্থলে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, আমার দেশের প্রচলিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্টের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত আমার দেশের ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম গত ০২ আগস্ট তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে বলেছেন, “২০২৪ সালের ১ আগস্ট জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যে আওয়ামী লীগ ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে তারাই দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে জনতার আদালতে নিষিদ্ধ হয়ে গেল।” তিনি আরো বলেন, “অতীত থেকে শিক্ষা নিন। এটা বেশ কার্যকর। তাই ভবিষ্যতে কেউ নিজেদের গর্তে নিজেরাই পতিত হলে ছাত্রশিবির দায় নিবে না।”

উল্লেখ্য, আমার দেশের ফেসবুক পেজে গত ০৫ আগস্ট প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে আলোচিত ফটোকার্ডটি যুক্ত করে ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার দেশের নামে ভু/য়া কার্ড বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি মহল। ৩ আগস্ট তারিখ দিয়ে বানানো এই ফে/ক কার্ডে যে কথা বলা হচ্ছে, ওইদিন সে রকম কোনো নিউজ বা কার্ড আমার দেশের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়নি। তাই পাঠকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

এছাড়া, জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পেজ যাচাই করে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো পোস্ট বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আমার দেশ ব্যতীত অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবিকে সমর্থন করে এমন কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

সুতরাং, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের ছবি যুক্ত করে ‘জুলাই সনদে ৭১ এর গনহত্যা উল্লেখ থাকলে সাক্ষর করবে না শিবির – জাহিদুল।’ শিরোনামে আমার দেশের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ঢাবিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মিছিলের দৃশ্যকে আ’লীগের সমর্থনে মিছিল দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি “মিছিল নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা রাজপথ দখল করলো আওয়ামীলীগের ছাত্রলীগ” ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ফেসবুকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ বারেরও বেশি। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে এবং ১০ হাজার ছয় শতবারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি আওয়ামীলীগের সমর্থনে কোনো মিছিলের দৃশ্য নয়। বরং, গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যবেক্ষণে ভিডিওটিতে ‘Muinuddin Gaus’ শীর্ষক একটি ওয়াটার মার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 
পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ‘Muinuddin Gaus’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৬ জুলাইয়ে প্রকাশিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে।

এছাড়া, ‘DU Insiders’ নামক আরেকটি ফেসবুক পেজে গত ১৬ জুলাইয়ে একই ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। যেখানে ভিডিওটি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য বলে দাবি করা হয়েছে এবং ক্যাপশনে ভিডিওটি ‘Muinuddin Gaus’ এর অ্যাকাউন্ট থেকে সংগ্রহ করা বলেও জানানো হয়েছে। 


উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে গত ১৬ জুলাই তারিখে আলোচ্য বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একই সময়ে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আলাদা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তিন ছাত্রসংগঠনের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদ এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রসংগঠনগুলো। 

সুতরাং, ঢাবি ক্যাম্পাস ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকার রাস্তায় ছাত্রলীগের মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

কোটা আন্দোলনে কুমিল্লা পলিটেকনিকের ছাত্র পারভেজ নিহত হননি, ফিরে আসার দাবিটি অবান্তর

0

সম্প্রতি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কুমিল্লায় নিহত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র হাসান আল পারভেজ জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন দাবিতে শরিফ আল ইসলাস নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট প্রচার করা হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি পারভেজ নামের ওই শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যবহার করেছেন। তার বিপরীতে পারভেজের ফিরে আসা বা বেঁচে থাকার দাবি স্বরূপ তিনি পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে পারভেজের ফেসবুক আইডি শেয়ার করেছেন।  

ফেসুবকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

একই ব্যক্তির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় হাসান আল পারভেজ নামের কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার দাবিটি মিথ্যা। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে পারভেজের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত হয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করা হয়। 

হাসান আল পারভেজের মৃত্যুর বিষয়ে অনুসন্ধানে সেসময় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে হাসান আল পারভেজের করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যেখান তার মৃত্যুর দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্টের স্ক্রিনশট প্রচার করে তিনি জানান তার দাবিটি গুজব। তিনি সুস্থ আছেন। 

Screenshot: Facebook

পরবর্তীতে উক্ত ফেসবুক আইডিটি পারভেজের নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার তার সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এছাড়াও তখনও পর্যন্ত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কেউই আন্দোলনে নিহত হননি বলেও পারভেজ রিউমর স্ক্যানারকে জানায়। তাই সেসময় পারভেজের মৃত্যুর দাবিটি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশও করে রিউমর স্ক্যানার।

এছাড়াও হাসান আল পারভেজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের একাধিক পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র হাসান আল পারভেজ নিহতই হননি। তার মৃত্যুর পর ফিরে আসার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুঞ্জনে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুঞ্জনের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বিমানবন্দরে র‌্যাব ও বিমানবাহিনীসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা যায়।  

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুঞ্জনের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের নয়। প্রকৃতপক্ষে, লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে গত মে মাসে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করার ভিডিও ফুটেজকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে এটির কয়েকটি কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম The Daily News এর ফেসবুক পেজে গত ৬ মে প্রচারিত একটি ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও হুবহু মিল রয়েছে। উভয় ভিডিওতেই একই স্থানে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিডিও দুটি একইভাবে প্যানশট নিয়ে ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, The Daily News এর ভিডিওটিকে ক্রপ করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুঞ্জনে নয়, বরং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার ভিডিও এটি। 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের আরেকটি ডোন শট ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

আরেক গণমাধ্যম The Financial Express এর বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে চিকিৎসার শেষে সেদিন অর্থাৎ, গত ৬ মে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার নিরাপত্তার স্বার্থে সেদিন বিমানবন্দরের ফটকে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয় বলেও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়। 

সুতরাং, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের ভিডিওকে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুঞ্জনে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র