কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লা পলিটেকনিকের ছাত্র পারভেজ নিহত হননি, ফিরে আসার দাবিটি অবান্তর

সম্প্রতি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কুমিল্লায় নিহত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র হাসান আল পারভেজ জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন দাবিতে শরিফ আল ইসলাস নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট প্রচার করা হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি পারভেজ নামের ওই শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যবহার করেছেন। তার বিপরীতে পারভেজের ফিরে আসা বা বেঁচে থাকার দাবি স্বরূপ তিনি পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে পারভেজের ফেসবুক আইডি শেয়ার করেছেন।  

ফেসুবকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

একই ব্যক্তির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় হাসান আল পারভেজ নামের কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার দাবিটি মিথ্যা। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে পারভেজের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত হয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করা হয়। 

হাসান আল পারভেজের মৃত্যুর বিষয়ে অনুসন্ধানে সেসময় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে হাসান আল পারভেজের করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যেখান তার মৃত্যুর দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্টের স্ক্রিনশট প্রচার করে তিনি জানান তার দাবিটি গুজব। তিনি সুস্থ আছেন। 

Screenshot: Facebook

পরবর্তীতে উক্ত ফেসবুক আইডিটি পারভেজের নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার তার সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এছাড়াও তখনও পর্যন্ত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কেউই আন্দোলনে নিহত হননি বলেও পারভেজ রিউমর স্ক্যানারকে জানায়। তাই সেসময় পারভেজের মৃত্যুর দাবিটি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশও করে রিউমর স্ক্যানার।

এছাড়াও হাসান আল পারভেজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের একাধিক পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র হাসান আল পারভেজ নিহতই হননি। তার মৃত্যুর পর ফিরে আসার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img