Home Blog Page 38

৪ আগস্ট বরগুনায় মাজারে হামলা দাবিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে মাজারে হামলার ভিডিও প্রচার

গত ৪ আগস্ট আবারও বরগুনায় মাজারে হামলা, লুটপাট,ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ এবং মারধরের মতো ঘটনা ঘটে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত ৪ আগস্ট বরগুনায় কোনো মাজারে হামলার ঘটনা নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় একটি মাজারে হামলার ঘটনার ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Voice of Dhaka’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ ফেব্রয়ারি ‘দিনাজপুর, ঘোড়াঘাটের মাজারে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠানে আগুন দিয়েছে তৌহিদী জনতা!’ ক্যাপশনে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একটি দীর্ঘতম সংষ্করণ খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়াও, ডিবিসি নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শর্টস আকারে ‘দিনাজপুরে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ’ ক্যাপশনে প্রচারিত সংবাদে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ঘটনার সাথে সাদৃশ্য আছে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪.কম -এর ওয়েবসাইটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘দিনাজপুরে মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ’ শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামের রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজারে ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে হামলার ঘটনা ঘটে। 

প্রতিবেদনটিতে স্থানীয় সাংবাদিক লোটাস কামালের বরাতে বলা হয়, ‘মাজারের ওরসের আয়োজন নিয়ে ওই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে মাজারের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

এর মধ্যে শুক্রবার (২৮ ফেব্রয়ারি) মাজার পক্ষের লোকজন ওরশ আয়োজন করলে সন্ধ্যায় ‘তৌহিদি জনতার’ ব্যানারে একদল মানুষ সেখানে হামলা চালায়। তারা ওরশের জন্য তৈরি করা প্যান্ডলসহ মাজারের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

প্রথম আলো এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত ‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজার’ নামের একটি মাজারে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এলাকায় লাঠিমিছিল কর্মসূচির পর এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ইসমাইল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে, সম্প্রতি অর্থাৎ গত ৪ আগস্ট বরগুনায় মাজারে পুনরায় হামলার কোনো তথ্য মূলধারার গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজার’ নামের একটি মাজারে হামলার ঘটনাকে গত ৪ আগস্ট বরগুনায় মাজারে হামলা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

জুলাই সনদ সংক্রান্ত আওয়ামী লীগের মিছিল দাবিতে ৭ বছর পুরোনো ভিডিও প্রচার

গতকাল (০৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এর একদিন আগে ০৪ আগস্ট জুলাই সনদ সংক্রান্ত আওয়ামি লীগের বিক্ষোভ মিছিল করেছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘পথচলার গল্প’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ০৭ ফেব্রুয়ারি ‘ছাত্রলীগের মিছিল’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে।

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণীতে এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য বলে জানানো হয়। 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে Mohammad Manik নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একই তারিখে প্রচারিত কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ছবিগুলোর সাথে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে।

এই পোস্টটির ক্যাপশনে ছবিগুলো সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের মিছিলের বলে জানানো হয়।  

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে যে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত জুলাই সনদ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কোনো মিছিলের দৃশ্য নয়। 

সুতরাং, ২০১৮ সালের ছাত্রলীগের একটি মিছিলের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই সনদের বিষয়ে আওয়ামিলীগের বিক্ষোভ মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আ’লীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় প্রবেশের দৃশ্য দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটি ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশের দৃশ্য।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় প্রবেশের দৃশ্য নয় বরং, প্রচারিত ভিডিওটি গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের কর্তৃক শাহবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার দৃশ্য। 

অনুসন্ধানে দেশ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ১১ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি শাহবাগে শিক্ষার্থী কর্তৃক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার দৃশ্য। 

এছাড়া, উক্ত ভিডিওতে সাংবাদিককে বলতে শোনা যায় ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কারওয়ান বাজারের দিকে যাওয়ার দৃশ্য এটি।’

এছাড়া একই তারিখে একটি ঘটনার ভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও প্রথম আলো তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছিল। 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে “পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ জুলাই বিকাল ৫ টার দিকে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শাহবাগে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। শিক্ষার্থীরা আসার আগেই পুলিশ শাহবাগে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

সুতরাং, গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শাহবাগে শিক্ষার্থীদের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার  দৃশ্যকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় প্রবেশের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

৫ আগস্টের নয়, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওটি গত মে মাসের

সম্প্রতি, “৫/৮/২৫/ব্রেকিং নিউজ কিছুক্ষণ আগে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের মিছিল আজ ৫ই আগস্ট জঙ্গি হামলা হয়েছিল বাংলাদেশে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ৫৭ হাজার বার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত ০৫ আগস্টের নয় বরং এটি গত ৪ মে নয়াবাজারে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য। 


এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে দেশের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ৪ মে  “আওয়ামী লীগ এর মিছিল | Desher Kantha” ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

একই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও ‘রাজধানীর নয়াবাজারে বংশাল থানা আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল’ ক্যাপশনে উক্ত ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়। 

এছাড়া, সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একই তথ্যসংবলিত আলোচিত ভিডিওটি (,,) খুঁজে পাওয়া যায়।

সুতরাং, গত ৪ মে নয়াবাজারে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে গত ০৫ আগস্টের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

পুলিশ হত্যার বিচার হবে জানিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য সম্বলিত ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি

গতকাল ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে সেনাপ্রধানকে বলতে শোনা যায়, “আজ ৫ই আগস্ট, পুলিশ হত্যা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদ পুলিশ ভাইদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।”


এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “৫ই আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবসে সকল শহীদ পুলিশ ভাইদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা” জানিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের ভিডিওটি আসল নয় বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এরূপ কোনো বক্তব্য প্রদান করলে তা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচার করা হতো।

এছাড়া, প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয় যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়।

পাশাপাশি প্রচারিত ভিডিওটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম “Cantilux” এ পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৪ শতাংশ।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে “৫ই আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবসে সকল শহীদ পুলিশ ভাইদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা” জানিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আসল দৃশ্য দাবি করে অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় কেউ মারা যায়নি

0

০৬ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আগুনে লেগে একজন মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। কতিপয় পোস্টে দুইজন মারা গেছেন শীর্ষক দাবিও প্রচার করা হয়েছে।

একজন মৃত্যু দাবিতে ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে

দুইজন মৃত্যু দাবিতে ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ০৬ আগস্ট আগুন লাগার ঘটনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বরং, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় কিছু শিক্ষার্থী আহত হলেও তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে ০৬ আগস্ট প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ল্যাবে আগুন লাগার পর সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এসময় সিড়ির রেলিং ভেঙে পড়ে। ০৬ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে হট গ্লুগান ব্যবহারের সময় ভুলবশত পানি ভেবে পেট্রোল ব্যবহার করে। এতে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। তবে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশের মূলধারার প্রায় বেশিরভাগ গণমাধ্যমেই এই খবরটি প্রকাশ হলেও কোনোটিতেই মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়নি। 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. সামিউল হুদার বক্তব্য পাওয়া যায়। তিনি জানাচ্ছেন, সাকেরা আক্তার সৌমিয়া (১৩), বারিয়া সুলতানা (১৫), তানজিনা আক্তার (১৪), নূহা ইসরাত (১৪), ফারিয়া আক্তারকে (১৪) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য রোহান (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

পরবর্তীতে বিদ্যালয়টির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি জরুরি নোটিশ থেকে একই তথ্য জানা যাচ্ছে।

সুতরাং, ০৬ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র 

ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলা দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি আয়োজন করে। গত ৫ আগস্ট সেই আয়োজনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়। বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের ক্ষোভের মুখে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রদর্শনীতে থাকা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবি সরিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতে বামপন্থী সংগঠন ও শিবিরের সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিয়েছে বলেও জানা যায়।

তবে এরই মধ্যে ‘সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ছাত্রীদের উপর শিবিরের হামলা।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলা নয়। বরং, এটি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও।
এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে থাকা বাংলানিউজ২৪.কম -এর লোগোর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে গত ২৭ জানুয়ারি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সং-ঘর্ষ’ ক্যাপশনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে একই ঘটনার বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেদিন পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী সন্ধ্যা থেকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁরা নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এই ধাওয়ার মধ্যে রাত ১২টার পর পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তখন চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

অর্থাৎ, প্রচারিত সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিরও কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের একটি ভিডিওকে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাদিয়া আয়মানের জন্মদিনের ছবিকে সম্পাদনার মাধ্যমে এডাল্ট ছবি বানিয়ে অপপ্রচার

0

সম্প্রতি, অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান কেক সামনে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছেন এমন একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

সাদিয়া আয়মানে

উক্ত ছবি সম্বলিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাদিয়া আয়মানের প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং গত মার্চে নিজের জন্মদিনে কেক নিয়ে কিছু ছবি প্রকাশ করেন সাদিয়া। উক্ত ছবিগুলোর একটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আপত্তিকর কনটেন্ট হিসেবে বানিয়ে সম্প্রতি প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে পেজে গত ২০ মার্চ প্রকাশিত কিছু ছবি পাওয়া যায়। সেসব ছবির একটির সাথে আলোচিত ছবিটির কিছু অংশ বাদে পারিপার্শ্বিক মিল পাওয়া যায়। সাদিয়া সেদিন তার পোস্টে জানান, সে সময় তার জন্মদিনের কেক সাথে নিয়ে তোলা ছবি এগুলো। 

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, সাদিয়া আয়মানের পুরোনো ছবি ব্যবহার করে সম্পাদনার মাধ্যমে এডাল্ট ছবি বানিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

৫ই আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবসে শ্রদ্ধা ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশের আইজিপির বক্তব্য সম্বলিত ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি

গতকাল ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের বক্তব্য দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাহারুল আলম বলছেন, “৫ই আগস্ট জাতীয় পুলিশ হত্যা দিবসে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। হত্যার বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে কেউ রেহাই পাবে না।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উপরোল্লিখিত ভিডিও পোস্টগুলো সম্মিলিতভাবে ২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ৯ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ই আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবসে শ্রদ্ধা ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলমের বক্তব্যের ভিডিওটি আসল নয় বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে আইজিপি বাহারুল আলম এরূপ কোনো বক্তব্য প্রদান করলে তা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচার করা হতো।

এছাড়া, প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয় যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে গত ৫ আগস্টে আইজিপির বিষয়ে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটিতে বলা হয়, “সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের ছবি ব্যবহার করে এ আই জেনারেটেড ভয়েসে একটি ভুয়া ভিডিও ষ্টেটমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে আইজিপির স্থিরচিত্রের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে একটি বিভ্রান্তিকর বার্তা প্রচার করা হয়েছে।..” তবে, পোস্টটিতে কোন ভিডিওটির বিষয়ে বলা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে ৫ই আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবসে শ্রদ্ধা ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলমের বক্তব্যের আসল দৃশ্য দাবি করে অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Bangladesh Police – Facebook Post 
  • Rumor Scanner’s analysis

বাংলাদেশের দোকানে ডাকাতির ভিডিও দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, “সুদি ইউনুসের সংস্কার,মুদি দোকান ডা’কাত দল লু’ট করার জন্য ভাং’চু’র করছে…! ২৯/০৭/২০২৫” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডাকাতির এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি ভারতের মধ্য প্রদেশের ঘটনার ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় সাংবাদিক ‘Narendra Nath Mishra’ এর এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২৫ সালের ৩ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, এটি ভারতের মধ্য প্রদেশের শিবপুরীর ঘটনা। 

পরবর্তীতে, আরেক ভারতীয় সাংবাদিক ‘Abhimanyu Singh Journalist’ এর এক্স অ্যাকাউন্টেও একই দাবিতে ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়। 

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্টে একই তথ্যসংবলিত আলোচিত ভিডিওটি (,,) খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

সুতরাং, ভারতের মধ্য প্রদেশে দোকানে ডাকাতির দৃশ্যকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

  • Narendra Nath Mishra – X post