Home Blog Page 339

কোটা আন্দোলনে বগুড়ায় জেরিন নামের এই শিক্ষার্থী নিহতের গুজব

0

অন্তত গতকাল থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছোটাছুটি করছেন। এর মধ্যেই কালো পোশাক পরা এক নারী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এই ফুটেজটি কোন স্থানের, কত তারিখের এবং উক্ত নারীর বিষয়ে অনেকেই রিউমর স্ক্যানারের কাছে জানতে চেয়েছেন। একই দৃশ্য গত জুলাইয়েও প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। সেসময় এই নারী মারা গেছেন বলেও দাবি প্রচার করা হয়৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জুলাইয়ে বগুড়ায় কোটা আন্দোলনে গিয়ে আহত জেরিন নামের শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে নিজেই রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভয়েস অফ বগুড়া নামে একটি ফেসবুক পেজে গত ৩০ আগস্ট একই ভিডিও প্রকাশ করা হয়। মূলত এরপরই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই এই ঘটনাটি বগুড়ার সাত মাথার মোড় এলাকার বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে ফুটেজটি বিশ্লেষণ করে স্থানটি নিশ্চিত হতে কাজ শুরু করে রিউমর স্ক্যানার। গুগল ম্যাপে একই স্থানের সাথে মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, এটি বগুড়ার সাত মাথা মোড় এলাকারই দৃশ্য।

Image Comparison: Rumor Scanner 

ঘটনাটি কবের তা জানতে কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখা যায়, গত ১৮ জুলাই উক্ত নারীকে নিয়ে একাধিক পোস্ট (, ) হয় ফেসবুকে। এসব পোস্টে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। জানানো হয়, তার নাম নুসরাত জেরিন। এসবের সূত্র ধরে নুসরাত জেরিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার, যেখানে ৩১ জুলাইয়ের একটি পোস্টে ১৮ জুলাইয়ের ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। জেরিন ২৪ জুলাই এক পোস্টে জানান, “কেউ গুজবে কান দিবেন না আমি বেঁচে আছি। আগের চেয়ে আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি।”

রিউমর স্ক্যানার জেরিনের সাথে কথা বলেছে। তিনি বলছিলেন, ১৮ জুলাই বগুড়ার সাত মাথা মোড়ে তাদের সাথে পুলিশের তর্ক বিতর্ক হয়। সে সময় তিনি আহত হন। 

রাজধানীর শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির সাবেক এই শিক্ষার্থী জানান, আহত হওয়ার পর প্রথমে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও পরে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা নেন তিনি। এখন তিনি সুস্থ আছেন। তবে শরীরে এখনও ক্ষত এবং ব্যথা রয়েছে। 

জেরিন বলছেন, ঠিক কীভাবে তিনি আহত হয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না তিনি। তবে তার কাছে মনে হয়েছে, এটি রাবার বুলেটের আঘাত হতে পারে। জেরিন আমাদের কাছে তার মেডিকেল রিপোর্টগুলো (ব্যক্তিগত তথ্য হিসেবে এই প্রতিবেদনে রিপোর্টের কোনো ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে না) পাঠিয়েছেন। 

দেশের একাধিক চিকিৎসকের কাছে আমরা জেরিনের মেডিকেল রিপোর্টগুলো পাঠিয়েছিলাম। তারা রিপোর্ট দেখে রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন, জেরিনের শরীরে রাবার বুলেট লাগে বলেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে৷ 

সুতরাং, গত জুলাইয়ে বগুড়ায় কোটা আন্দোলনে গিয়ে আহত জেরিন নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Statement from Nusrat Jerin
  • Jerin: Medical Report Analysis 
  • Rumor Scanner’s own analysis 

সাম্প্রতিক বন্যায় মৃত গরুর দৃশ্য দাবিতে নাইজেরিয়ায় ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এই বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর করুণ চিত্র তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

এরই মধ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় মৃত গরুর ভিডিও দাবিতেি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্যায় গরু মারা গেছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের বন্যার ফলে মৃত গরুর ভিডিও নয় বরং, নাইজেরিয়ার ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে নাইজেরিয়ান গণমাধ্যম ‘Tori News’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ আগস্ট ‘Gunmen In Military Uniform Kill 3 Persons & 100 Cows In Kaduna (Photo)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যে ‘Sabon Birnin Daji’ নামক একটি গবাদি পশুর হাটে সামরিক পোশাক পরা বন্দুকধারীরা গবাদি পশুর হাটে ঢুকে গুলি চালিয়ে শতাধিক গরুকে হত্যা করেছে এবং এতে তিনজন ব্যক্তিও মারা যায়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন যে সন্দেহভাজন সৈন্যরা বাজারে ঢুকে পশুর বাজারে গুলি চালায়, যার ফলে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার জন্য হুড়োহুড়ি করার সময় কমপক্ষে তিনজন মারা যায়।’

নাইজেরিয়ার ‘Punch newspapers’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ আগস্ট ‘Gunmen in military uniform kill three, 100 cows in Kaduna’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ফলে মৃত গরুর ভিডিও নয়। 

সুতরাং, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় মৃত গরুর ভিডিও দাবিতে নাইজেরিয়ার ভিন্ন ঘটনায় মারা যাওয়া গরুর ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ মিছিলটি শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতের পূর্বের, পরের নয়

0

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে বিক্ষোবকারীরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার

উক্ত দাবিতে কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরবর্তী সময়ের নয় বরং এটি তার পতদ্যাগের ১ দিন আগের অর্থাৎ ৪ আগস্টের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ৪ আগস্ট “ময়মনসিংহে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহে ‘জামাত-শিবির বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে’ ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গত ৪ আগস্ট নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বিজয় টিভির ফেসবুক পেজেও গত ৪ আগস্টে প্রচারিত একই ভিডিও পাওয়া যায়।

এছাড়া, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজনের তথ্য স্থানীয় ও জাতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে দাবিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পূর্বের কর্মসূচির ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সালওয়ারের উপর গেঞ্জি নিষিদ্ধ করে ঢাবিতে সম্প্রতি কোনো নিয়ম জারি হয়নি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি প্রচার করা হচ্ছে, ছাত্রী হলে সালওয়ারের ওপর গেঞ্জি পরিধান নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে দাবিকৃত বেশ কিছু পোস্টে ক্যাম্পাস টাইমস নামের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন : বাংলাদেশ বুলেটিন

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি পরিধান নিষিদ্ধ করে কোনো নোটিশ বা নিয়ম জারি করা হয়নি বরং প্রচারিত সংবাদের স্ক্রিনশটটি ২০১৭ সালের এবং সেসময়ও এরকম নিয়ম জারির বিষয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি মূলত ক্যাম্পাস টাইমস প্রেস নামের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রচার করা হচ্ছে। উল্লিখিত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, উক্ত প্রতিবেদনটি মূলত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে গতকাল (৩০ আগস্ট) ও আজ (৩১ আগস্ট) প্রতিবেদনটি হালনাগাদ করা হয়। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো নিয়ম জারির বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তবে ২০১৭ সালে একই বিষয়ে বেশ কিছু মূলধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ হতে দেখা যায়। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট “হলের ভেতর ‘সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি’ নয়” শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষের নোটিশে বলা হয়েছে, হলের ভেতর দিন বা রাত হোক, কখনোই ছাত্রীদের অশালীন পোশাক (সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি) পরা যাবে না। এ পোশাকে হলের কার্যালয়ে কোনো কাজের জন্য ঢোকা যাবে না। কেউ যদি তা করেন, তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হল কর্তৃপক্ষ বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।”

উল্লেখ্য, গতকাল (৩০ আগস্ট) “ছাত্রী হলে সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি পরিধান নিষিদ্ধ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” শিরোনামে বাংলাদেশ বুলেটিন নামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রতিবেদনটিতে তারা আলোচিত নোটিশটি সাম্প্রতিক মর্মেই প্রকাশ করে। তাদের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে তারা আলোচিত নোটিশটির একটি ছবিও সংযুক্ত করে। সংযুক্ত ছবিতে প্রদর্শিত নোটিশের সাথে ২০১৭ সালে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে সংযুক্ত নোটিশের মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

তাছাড়া, এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৭ সালে আলোচিত নোটিশটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হলে হল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, নোটিশটি হল কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কালের কণ্ঠে “সালোয়ার-গেঞ্জির নোটিশ হল কর্তৃপক্ষের নয়!” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে ‘অশালীন পোশাক’ পরে ঘোরাফেরা বা হল অফিসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি নোটিশ নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর হল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নোটিশটি তাদের নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান দাবি করেন, নোটিশটি হল কর্তৃপক্ষের নয়। তিনি বলেন, ‘বিকেলে অফিস সময়ের পর এ নোটিশ টানানো হয়েছে। এটা হল কর্তৃপক্ষের নয়। আর এটাতে আমাদের কারো স্বাক্ষরও নেই। এ কাজ কে বা কারা করছে, তা এখনো জানা যায়নি। হলটি ক্যাম্পাসের একেবারে বাইরের দিকে আর এটি কেউ অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও করতে পারে। তবে এটা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’”

তাছাড়া, নোটিশ টানানোর দায়িত্বে থাকা হলের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস সে সময় বলেন, ‘হলের যাবতীয় নোটিশ আমার মাধ্যমেই বোর্ডে যায়। এ নোটিশটি হল কর্তৃপক্ষের নয়। সাধারণত হলের নোটিশগুলো যে ফরমেটে করা হয়, এটি সে রকম নয়। এটা কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টানিয়ে থাকতে পারে।’

এছাড়া, এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট জাগোনিউজ২৪ এ “সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি’” শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হল কর্তৃপক্ষ, স্বাক্ষর ও সিল ছাড়া উক্ত নোটিশটিকে ‘বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে অভিহিত করে দাবি করেছে, এটি তাদের দেওয়া নয়। ঘটনা তদন্তে হল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে। তবে হলের ছাত্রীদের কেউ কেউ বলছেন, হলের সাধারণ নোটিশ বরাবরই এমন সিল-স্বাক্ষর ছাড়া নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়। এখন বিতর্কের কারণে তারা নোটিশটি অস্বীকার করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, হল কর্তৃপক্ষ সিল-স্বাক্ষর ছাড়া একটি নোটিশ দিয়েছিল বটে, যাতে যথাযথ পোশাক পরে হল অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে নির্দিষ্ট কোনো পোশাকের কথা বলা হয়নি। কিন্তু যে নোটিশ নিয়ে তোলপাড়, তাতে লেখা ছিল ‘হলের অভ্যন্তরে দিনের বেলা অথবা রাতের বেলা কখনোই অশালীন পোশাক (সালোয়ার এর ওপর গেঞ্জি) পরে ঘোরা ফেরা অথবা হল অফিসে কোন কাজের জন্য প্রবেশ করা যাবে না। অন্যথায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য হল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের নোটিশটিও হল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল কি না তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে মূলত সেই সময়কার সংবাদকেই নতুন করে আবার প্রচার করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ এরকম কোনো নোটিশ দিয়েছে কি না এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার যোগাযোগ করে চ্যানেল২৪ এর ঢাবি প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন এবং আমাদের সময়ের ঢাবি প্রতিনিধি আশিকুল হক রিফাতের সাথে। তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাবিতে এরকম কোনো নোটিশের বিষয়ে কোনোকিছু শোনা যায়নি। তবে, ২০১৭ সালে এরকম কিছু শোনা গিয়েছিল, তবে সেটি হল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। দেশ রূপান্তরের ঢাবি প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন সাম্প্রতিক সময়ে এরকম কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।

সুতরাং, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

মেজর ডালিমের স্ত্রী নয়, এই ছবিগুলো পাকিস্তানি এক মডেলের 

0

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত মেজর ডালিম এর স্ত্রী’র ছবি দাবিতে সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভিডিও আকারে কিছু ছবি প্রচার করা হয়েছে। 

মেজর ডালিম

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে মেজর ডালিমের স্ত্রীর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো মেজর ডালিমের স্ত্রীর ছবি নয়। বরং, ছবিগুলো ফাওজিয়া সায়েদ হাই নামের পাকিস্তানি এক মডেলের যিনি ষাটের দশকে মারা যান।

অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি থেকে ছবিগুলোর আলাদা আলাদা কী-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবি ও  ভিডিও হোস্টিংয়ের মাধ্যম ফ্লিকারের ওয়েবসাইটে ‘Dr Ghulam Nabi Kazi’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোডকৃত ছবি অ্যালবাম ‘Khwaja Saeed Hai and Fawzia Saeed Hai’ এ আলোচিত ছবির কয়েকটি পাওয়া যায়।

Screenshot comparison: Rumor Scanner

এখানে প্রত্যেকটা ছবির আলাদা আলাদা বর্ণনা পাওয়া যায়, একটি ছবির বর্ণনায় লেখা রয়েছে, ফাওজিয়া ১৯৬০ সালের জানুয়ারিতে টেনিস লিজেন্ড খাজা সায়েদ হাইকে বিয়ে করেন। এছাড়াও, ছবির অ্যালবামটিতে ফাওজিয়া সায়েদ হাই এর আরও একাধিক ছবি দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে ‘Khwaja Saeed Hai with his wife and child in the USA shortly before Fawzia’s sudden death in 1967 – at the age of 28 – she left behind three beautiful daughters and a son’ ক্যাপশন যুক্ত একটি ছবিতে তাকে স্বামী সন্তানসহ দেখতে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে ছবি শেয়ারিং ওয়েবসাইট পিন্টারেস্টে আরেকটি ছবি ছবি পাওয়া যায়। 

Screenshot comparison: Rumor Scanner

এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ‘Fawzia Saeed Hai’ নামক ফেসবুক পেজেও উক্ত ছবিগুলো পাওয়া যায়। ফেসবুক পেজটির ইন্ট্রোতে ‘This page is dedicated to my mother, Fawzia, to keep her memory alive through family, friends and ac’ লেখা রয়েছে।

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে মেজর ডালিমের স্ত্রী দাবিতে প্রচারিত এই ছবিগুলো ফাওজিয়া সায়েদ হাই নামের পাকিস্তানি এক মডেলের।

পরবর্তীতে ‘purana_pakistan’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ফিচার লেখা থেকে জানা যায়, ফাওজিয়া সায়েদ হাই ১৯৪২ সালের ১৪ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৮ সালের ২৩ জুন মারা যান। তিনি পাকিস্তানের টেনিস কিংবদন্তি খাজা সায়েদ হাইয়ের প্রথম স্ত্রী ছিলেন। এবং জানা যায়, ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের প্রথম লাক্স লেডি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।

সুতরাং, মেজর ডালিমের স্ত্রী দাবিতে প্রয়াত পাকিস্তানি অভিনেত্রীর ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বন্যা পরিস্থিতিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সকলকে ৬৯৯৯ টাকা প্রদানের ভুয়া প্রচারণা

0

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র জনতা মিলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে বন্যার্তদের সহায়তার জন্যে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষ বন্যার্তদের সহায়তার জন্যে ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকেও নগদ অর্থ প্রদান করছেন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল নাগরিককে বিকাশে ৬৯৯৯ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

আস-সুন্নাহ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের সকল নাগরিককে ৬৯৯৯ টাকা দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এমন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

অনুসন্ধানে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ৬৯৯৯ টাকা পাওয়ার প্রলোভন দেখানো ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্যে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের সকল নাগরিককে উক্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে অনুসন্ধানে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট পর্যলোচনার পাশপাশি গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বিকাশে ৬৯৯৯ টাকা দিচ্ছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া ও প্রতারণামূলক।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis

উপবৃত্তি এবং বিভিন্ন ভাতা বন্ধের গুজব

0

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ০৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ  ইউনূস। বাংলাদেশে সম্প্রতি এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে, শিক্ষার্থীদের সব ধরনের উপবৃত্তি বন্ধ এবং বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য সবধরনের ভাতা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবিকরা হয়েছে।

উপবৃত্তি

ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

অন্যান্য সব ভাতা বন্ধ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত শিক্ষার্থীদের সব ধরনের উপবৃত্তি বন্ধ এবং সরকারের সামাজিক সুরক্ষা খাতের সকল ভাতা আপাতত বন্ধ করার তথ্যটি সঠিক নয়। বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে আলোচিত দাবিগুলোর সপক্ষে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, সমাজসেবা অধিদফতর ওয়েবসাইট, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিগুলোর সপক্ষে কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের উপবৃত্তি বন্ধ দাবির সত্যতা যাচাইয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সচিবের একান্ত সচিব, মোঃ জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের উপবৃত্তি বন্ধ হওয়ার দাবিটি সত্য নয় বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন।

এছাড়া, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য সবধরনের ভাতা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে কিনা জানতে তেজগাঁও সার্কেল, ঢাকা, সমাজসেবা অফিসার মো: বাহাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র। 

সুতরাং, শিক্ষার্থীদের সব ধরনের উপবৃত্তি বন্ধ এবং বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য সব ধরনের ভাতা আপাতত বন্ধ দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত দাবিগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • স্টেটমেন্ট: মোঃ জাকির হোসেন, সচিবের একান্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
  • স্টেটমেন্ট: মো: বাহাউদ্দিন, সমাজসেবা অফিসার, তেজগাঁও সার্কেল, ঢাকা।
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

নওগাঁয় জোরপূর্বক পদত্যাগের পর অসুস্থ শিক্ষক মারা যাননি

0

গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ নেয়। গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ০৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চাপে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, এই শিক্ষক মারা গেছেন। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

কালের কণ্ঠকে সূত্র হিসেবে দেখিয়ে এ সংক্রান্ত আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পদত্যাগের পর অসুস্থ নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মারা যাননি বরং তিনি বর্তমানে ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে, Tuhin Talukder নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৩০ আগস্ট রাত ০১টা ৩৫ মিনিটে করা সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook 

তবে এর প্রায় সাড়ে ১৯ ঘন্টা পর একইদিন রাত ০৮টা ৫৭ মিনিটে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে “জবরদস্তিতে পদত্যাগ, স্ট্রোক করে অধ্যক্ষ ‘ভালো নেই’” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চাপে সাদা কাগজের পদত্যাগপত্রে সই করেন নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা তিনি স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করেছেন। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে দুইদিন পর ৩০ আগস্ট সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। 

অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম এর মৃত্যুর দাবি প্রচার করার পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত সংবাদে তার মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়াও, একই বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব সংবাদের কোথাও তার পরবর্তী শারীরিক অবস্থা বা মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, মূলধারার গণমাধ্যম কালের কন্ঠ এর নামের আদলে ‘দৈনিক কালের কন্ঠ’ নামের একটি পেজ থেকে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার বিষয়ে গত ০১ সেপ্টেম্বর একটি পোস্ট প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত পোস্টটি সত্য মনে করে ফেসবুকে কালের কন্ঠ’র সূত্রে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার দাবিটি পুনরায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত পেজটি কালের কন্ঠ’র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ নয় বরং কালের কন্ঠ’র নামে খোলা ফেইক পেজ। এছাড়াও, কালের কন্ঠ’র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে প্রচারিত দাবি সংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম রবীন শিষ এর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার। অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসারত আছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অধ্যক্ষের মৃত্যুর খবরটি মিথ্যা বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন তিনি। 

সুতরাং, নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে অসুস্থ হওয়ার পর মারা গেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

হালনাগাদ/ Update

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকাকে জড়িয়েও একই দাবি সম্বলিত পোস্ট আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত বিষয়ে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অফিসে সিগারেট থাকার অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তি হিন্দু নন

গত জুলাই মাসের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ নেয়। গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ০৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক শিক্ষক হেনস্তার খবর আসে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শিক্ষকদের পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় বিভিন্ন অফিসের সরকারি কর্মকর্তারাও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে, সম্প্রতি অফিসে সিগারেটের প্যাকেট থাকায় এক শিক্ষককে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়,  সিগারেটের কারণে যে ব্যক্তিকে পদত্যাগের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনি হিন্দু নন এবং শিক্ষকও নন বরং তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তৌফিকুল ইসলাম, যিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

অনুসন্ধানে গত ২১ আগস্ট দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে “সিগারেটের প্যাকেট থাকায় ‘পদত্যাগ’ করতে চাপ, কর্মকর্তা অসুস্থ” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের ফিচারে ব্যবহৃত স্থিরচিত্রের সাথে প্রচারিত ভিডিওর বেশ কিছু অংশের মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, ভিডিওতে পদত্যাগে যাকে চাপ দেওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে ঐ ব্যক্তির নাম মো: তৌফিকুল ইসলাম। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ১৯ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া ইসমাইল হোসেন সিরাজীর নেতৃত্বে একদল তরুণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় গিয়ে তার অফিস কক্ষে সিগারেটের প্যাকেট পাওয়ায় তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একদিন পর তিনি বাসায় ফিরেন। ঐ তরুণেরা অফিসের আরো দুই কর্মকর্তাকে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখতে বাধ্য করেছিল। মূলত, দেশের সকল পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করা হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অফিসে থাকার খবর শুনে তারা পৌরসভা অফিসে প্রবেশ করে। 

গত ১৯ আগস্ট স্বদেশ প্রতিদিন এর ফেসবুক পেজে “চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদত্যাগ” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদন থেকেও আলোচিত ভিডিওর ব্যক্তির পরিচয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তৌফিকুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

এছাড়াও, একই বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, অফিসে সিগারেট থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলামকে পদত্যাগে চাপ দেয়ার ভিডিওকে একজন শিক্ষককে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

প্রথমবার নয়, পূর্বে একাধিক স্টার ওয়ার্সের ভিডিও গেম এসেছে

গতকাল (৩০ আগস্ট) মুক্তি পেয়েছে ভিডিও গেম স্টার ওয়ার্স আউটলস। এরই প্রেক্ষিতে, প্রথমবারের মত স্টার ওয়ার্স ভিডিও গেম বাজারে আসছে দাবিতে একটি তথ্য গণমাধ্যমের সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন সময় টিভি (ইউটিউব), সময় টিভি (ফেসবুক)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘স্টার ওয়ার্স আউটলস’ স্টার ওয়ার্স ভিডিও গেমস সিরিজের প্রথম ভিডিও গেম নয় বরং পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে স্টার ওয়ার্স এর একাধিক ভিডিও গেম প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ (আইএমডিবি) এর ওয়েবসাইটে ভিডিও গেম ‘Star Wars: The Empire Strikes Back’ বিষয়ে একটি নিবন্ধ (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য এমপায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক’ নামক ভিডিও গেমটি ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়।

এছাড়া স্টার ওয়ার্স এর ওয়েবসাইটে গত ৪ জুন তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘Star Wars: Hunters’ নামক গেমটি গত ৪ জুন মুক্তি পায়। এটি Star Wars: Outlaws এর পূর্বে মুক্তি পায়।

অনুসন্ধানে স্টার ওয়ার্স এর ওয়েবসাইট থেকে এটি ‘Star Wars: Outlaws’ এর পূর্বে Star Wars Jedi: Survivor, LEGO Star Wars: The Skywalker Saga, Star Wars Eclipse, Star Wars Jedi: Fallen Order, Star Wars: Galaxy of Heroes ছাড়াও একাধিক গেম মুক্তি পাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

সুতরাং, প্রথমবারের মত স্টার ওয়ার্স ভিডিও গেম বাজারে আসছে দাবিতে কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র