Home Blog Page 141

ডিবি হেফাজতে অভিনেত্রী শাওনের অসুস্থ হওয়ার ভুয়া দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার 

0

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনয়শিল্পী মেহের আফরোজ শাওনকে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই প্রেক্ষিতে ‘ডিবি হেফাজতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী শাওন’ শীর্ষক দাবিতে মেহের আফরোজ শাওনের হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহের আফরোজ শাওনের ডিবি হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়ার দাবিটি সত্য নয় বরং, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ২০১৬ সালের। তাছাড়া, উক্ত দাবিটি সঠিক নয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মেহের আফরোজ শাওনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের একটি ছবির সাথে আলোচিত আলোচিত ছবিটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, সে সময়ে অ্যালার্জিজনিত সমস্যার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত ছবিগুলো ধারণ করা হয়েছিলো৷ 

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

শাওনের ডিবির হেফাজত থেকে মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমেও এসেছে।  

সুতরাং, ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

রূপগঞ্জে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনাকে জামায়াতের ঘটনা দাবিতে যমুনা টিভির নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, মূল ধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ডে “রূপগঞ্জে জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৮” শিরোনামে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে।   

উক্ত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “রূপগঞ্জে জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৮” শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, যমুনা টিভি কর্তৃক প্রকাশিত ভিন্ন শিরোনামের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভি’র নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘২৮ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে গত ২৮ জানুয়ারি গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৮” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন, ফন্ট এবং ছবির মিল রয়েছে। কিন্তু এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদনা করে “বিএনপি” শব্দটি পরিবর্তন করে “জামাতের” করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner 

যমুনা টিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সুতরাং, “রূপগঞ্জে জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৮” শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জাবিতে ছাত্রলীগ প্রবেশ করেছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর অডিওটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি “জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করল ছাত্রলীগ। হা*মলা- মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের “দাবায় রাখতে পারবে না”।” শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে “শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, শেখ হাসিনার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই, লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই, এই লড়াইয়ে জিতবে কারা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত টিকটক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ইউটিউব পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যের নয় বরং, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘Dewan Alauddin Hosen’ ফেসবুক এ্যাকাউন্টে  গত ১লা ফেব্রুয়ারি ‘জাকসু সংস্কারের দাবীতে আজকে #জাহাঙ্গীরনগর_বিশ্ববিদ্যালয়_ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচী’ শীর্ষক ক্যাপশনে 

প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

তবে ভিডিওটির অডিওতে মিছিলকারীদের শেখ হাসিনার পক্ষে নয় বরং বিপক্ষে নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। শ্লোগানগুলো হলো – ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, খুনী হাসিনার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, গুন্ডালীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ছাত্রলীগের গুন্ডারা হুঁশিয়ার সাবধান, ফ্যাসিবাদের গুন্ডারা সাবধান হুঁশিয়ার, কে বলেরে জিয়া নাই, জিয়া সারা বাংলায়, আমরা সবাই জিয়ার সেনা, ভয় করিনা বুলেট বোমা..’। 

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটির স্লোগান এডিট করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে, মোঃ আফফান আলী নামক একটি ফেসবুক এ্যাকাউন্টে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল’ ক্যাপশনে একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

উপরোক্ত পোস্টগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে গত ১লা ফেব্রুয়ারি ‘জাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে জাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাবি ছাত্রদল। ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দুপুর ৩ টার দিকে পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি প্রধান সড়ক হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সাথে এসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সুতরাং, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ প্রবেশ করেছে দাবিতে প্রচারিত  ভিডিওর অডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।  

তথ্যসূত্র

বৃদ্ধের সঙ্গে নারীর অশোভন আচরণ, ভাইরাল ভিডিওর নারী হান্নান মাসুদের মা নন

0

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক নারীকে এক বৃদ্ধের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতে দেখা যায়। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদের মা।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এক্স পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ভিডিওতে বৃদ্ধের সাথে অশোভন আচরণকারী নারী আবদুল হান্নান মাসুদের মা নন। উক্ত ভিডিওটি  ধারণকারী ব্যক্তিই বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।।

ভিডিওটির সূত্র খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারি ‘Sirajul Islam’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ভিডিওর ক্যাপশন অনুযায়ী, এটি একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা। ভিডিওতে থাকা নারী প্রকৃতপক্ষে ভবন নির্মাণের ঠিকাদারের স্ত্রী।

Comparison: Rumor Scanner.

পরবর্তীতে, ওই একই ফেসবুক আইডি থেকে ফেব্রুয়ারি একই ঘটনা নিয়ে আরও দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেখানে আলোচিত ভিডিওতে থাকা বৃদ্ধকে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওগুলোতে তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিচয় দেন এবং ভবন নির্মাণে ঠিকাদারের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। ভিডিওগুলোর বিবরণ অনুযায়ী, ঠিকাদারকে ডাকার পর তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে আসেন এবং এরপরই বিরোধের সূত্রপাত হয়।

এই ঘটনা ঘিরে পোস্ট করা দুটি ভিডিওতেই ‘লক্ষ্মীপুর’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম সরাসরি সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, ভিডিওর ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলার এবং ভিডিওতে থাকা নারী এক ঠিকাদারের স্ত্রী। এছাড়া ভিডিওটি তার নিজের মোবাইলে ধারণ করা বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

এছাড়া, এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম আবদুল হান্নান মাসুদের সাথে কথা বলেছে। তিনি জানান, ভিডিওতে থাকা নারী তার মা নন এবং তার পারিবারিক ঠিকানা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়।

উল্লেখ্য, হাতিয়া নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা, আর লক্ষ্মীপুর চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি পৃথক জেলা। মেঘনা নদী দ্বারা বিভক্ত হওয়ায় এই দুই স্থানের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। তবে নৌপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ভৌগোলিকভাবে তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি হলেও নদীপথের কারণে দুই স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দূরত্ব বিদ্যমান।

সুতরাং, আলোচিত ভিডিওতে থাকা নারী আবদুল হান্নান মাসুদের মা দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s analysis.
  • Facebook posts by Sirajul Islam: 1,2,3.
  • Statement from Sirajul Islam.
  • Statement from Abdul Hannan Masud.



স্কুলছাত্রীকে ষাটোর্ধ্ব দপ্তরির বিয়ের দাবিটি ভুয়া 

0

সম্প্রতি ‘চাচায় কামডা করছে কি.!’ ক্যাপশনে স্কুলছাত্রীকে ষাটোর্ধ্ব দপ্তরির বিয়ে করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে৷ যেখানে দেখানো হচ্ছে একজন বালিকা এবং বয়স্ক পুরুষ পাশাপাশি বসে আছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি কোনো স্কুলছাত্রীকে দপ্তরী বিয়ে করার নয় বরং, এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে বানানো একটি ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Mkd Cd Tv’ নামে একটি ফেসবুক পেজে একই ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওটি গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে।

Comparison: rumor scanner

Mkd Cd Tv ফেসবুক পেজটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পেজটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের ভিডিও বানিয়ে তারা আপলোড করে থাকে। প্রচারিত ভিডিওর মেয়েকেও একাধিক কন্টেন্ট এ অভিনয় করতে দেখা যায়। 

Collage: rumor scanner 

উল্লেখ্য, Mkd Cd Tv এর ইউটিউব চ্যানেলেও একই ধারার বিনোদনমূলক ভিডিও আপলোড করতে দেখা যায়। 

তাছাড়া, স্কুলছাত্রীকে ষাটোর্ধ্ব দপ্তরির বিয়ে বিষয়ক কোনো তথ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, স্কুলছাত্রীকে ষাটোর্ধ্ব দপ্তরির বিয়ের ভিডিও দাবিতে বিনোদনের উদ্দেশ্যে বানানো ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন ক্ষমতাসীনদের হামলার ভিডিওকে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা দাবিতে অপপ্রচার 

0

সম্প্রতি ‘বর্তমানে দেশে তান্ডব আর গজব চলছে।’ ক্যাপশনে কিছু যুবকের লাঠি, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা ও ধাওয়া করা এবং এরমধ্যে একজনের  আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয় বরং, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের হামলার ঘটনার ভিডিও উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Arif Miahzi’ নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ভিডিওচিত্রটি ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট সকাল ১১ টায় কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় নিউ মার্কেট এলাকার৷ 

উক্ত তথ্যাদির সূত্রে সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার কাগজ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট ‘কুমিল্লার দেবীদ্বারে রুবেল নামে একজন নিহত।’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: YouTube

পরবর্তীতে একই বিষয়ে জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট ‘কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, নিহত ২’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওইদিন দুপুরে কুমিল্লার দেবীদ্বারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের একজনের নাম মো. রুবেল (৩৩), অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।

সুতরাং, ২০২৪ সালের ০৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের ওপর তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার ভিডিওকে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে প্রতিমা ভাঙচুর করা ব্যক্তি হিন্দু ধর্মাবলম্বী নন

0

সম্প্রতি, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সরস্বতী পূজার প্রতিমা ভাঙচুর ও পূজায় দেওয়া শিক্ষার্থীদের বই পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। 

আটককৃত ব্যক্তি হিন্দু ধর্মাবলম্বী দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে সরস্বতী পূজার প্রতিমা ভাঙচুর ও পূজায় দেওয়া শিক্ষার্থীদের বই পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তি হিন্দু নন বরং, তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। উক্ত ব্যক্তির নাম আজিজুল হক রানা বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মোঃ তারেক আজিজ।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক সবুজ বাংলা এর ওয়েবসাইটে গত ০৪ ফেব্রুয়ারি “চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রতিমা ভাংচুর আটক ১” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ব্যক্তির ছবির সাথে আলোচিত ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলা সদরের ৫নং ফটিকা সেন বাড়িতে সরস্বতী প্রতিমা ভাংচুর করেছে এক ব্যক্তি। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে।

এছাড়া, স্থানীয় গণমাধ্যম চট্টগ্রাম খবর এর ওয়েবসাইটে একই দিনে “হাটহাজারীতে প্রতিমা ভাংচুর, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি গ্রেপ্তার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর রাত ৪টা থেকে সাড়ে চারটার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেন বাড়িতে সরস্বতী পূজার প্রতিমা ভাংচুর ও শিক্ষার্থীদের বই পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। 

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন জানান, চিকিৎসকরা আটক ব্যক্তিকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মোঃ তারেক আজিজের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আজিজুল হক রানা। তার বাসা কিশোরগঞ্জ। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। 

উক্ত নামের সূত্রে, Mohammad Ripon নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৩১ জানুয়ারি প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ব্যক্তির সাথে আলোচিত ব্যক্তির মিল রয়েছে। 

Screenshot: Facebook 

উক্ত পোস্ট থেকে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থেকে হারিয়ে গিয়েছে এই ছেলেটি। ছোলেটির নাম আজিজুল হক রানা। বাড়ি কিশোরগঞ্জ নিকলী থানায়।

সুতরাং, চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত মুসলিম ব্যক্তিকে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভাঙা বাড়ি থেকে প্রাচীন শিবলিঙ্গ উদ্ধারের দাবিটি ভুয়া

0

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। একপর্যায়ে এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা হয়। 

এর মধ্যেই, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ওই বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: জুম বাংলা, বার্তা বাজার, জনকণ্ঠ

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের পর ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন। কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র বা প্রমাণ ছাড়াই, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের একটি মন্দিরের শিবলিঙ্গের ছবি ব্যবহার করে এই দাবিটি ছড়ানো হচ্ছে।

আলোচিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘Bharat Temples 🇮🇳’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ৮ মে প্রকাশিত একটি পোস্টে হুবহু একই ছবি পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশন অনুযায়ী, ছবিটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের গুদিমাল্লাম পারাশুরামেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ।

Comparison by Rumor Scanner.

এছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডট কমের ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরের একটি প্রতিবেদনেও একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত গুদিমাল্লাম পারাশুরামেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শিবলিঙ্গ। প্রায় ১.৫ মিটার উঁচু এই শিবলিঙ্গের বয়স নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ মনে করেন এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকের, আবার কেউ মনে করেন এটি খ্রিষ্টীয় ১ম শতকের।

তাছাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উপস্থিত জনতার বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে, বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো  শিবলিঙ্গ পাওয়ার কোনো প্রমাণ বা তথ্য এসব গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে ৩০০ বছর পুরোনো শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সারজিস দম্পতির সম্পাদিত ছবি প্রচার 

0

গত ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিয়ে করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরই প্রেক্ষিতে বিটিভি ভবনের সামনে সারজিস আলমের সাথে বোরকা পরিহিত এক নারীর ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি সারজিস দম্পতির। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিটিভি ভবনের সামনে সারজিস দম্পতির ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং সারজিস আলমের একটি ছবির সাথে অজ্ঞাত  এক নারীর ছবি যুক্ত করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সারজিস আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ও আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তর  সাথে আলোচিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ছবিতে সার্জিস আলমের পাশে কোন নারীর উপস্থিতি নেই।  

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, সারজিস আলমের এই ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনা করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে সারজিস আলমের বিয়ের ছবির বিষয়ে  প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনে এর ওয়েবসাইটে ‘সারজিসের স্ত্রীর ছবি কেন প্রকাশ্যে আসেনি, জানা গেল কারণ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সারজিসের স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার রাইতা। তিনি একজন পবিত্র কোরআনের হাফেজ। একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে হাফেজা রাইতা সবার বড়। সবসময় তিনি পর্দা মেনে চলেন। যার কারণে তার ছবি বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সুতরাং, বিটিভি ভবনের সামনে সারজিস দম্পতির ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

জুলাই আন্দোলনের দৃশ্য দাবিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের পুরোনো ছবি প্রচার

0

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত থেকে ধানমন্ডি–৩২ এ অগ্নিকাণ্ডের একটি দৃশ্যসহ আরেকটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “১নাম্বার ছবি টা জুলাই এর | ২ নাম্বার ছবি টা আজকের…”।

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে যে, ধানমন্ডি–৩২ এ অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যের সাথে সংযুক্ত প্রথম ছবিটি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ২০২৪ সালের জুলাইয়ের নয় বরং, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এক ব্যক্তির অন্তত দুই বছরের পুরোনো ছবি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মেক্সিকান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ হিরাম জেরোনিমো’র এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবরে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টে তিনি এই ছবি যুক্ত করেন এবং ছবিটি সম্পর্কে পোস্টের ক্যাপশনে বলেন, “২৫০টিরও বেশি ক্ষত ও অতিরিক্ত সংক্রমণসহ VS-এর একটি গুরুতর ঘটনা।” (স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাষান্তরিত) 

Comparison : Rumor Scanner

উক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে হুবহু সাদৃশ্য পাওয়া যায় এবং এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত উক্ত ছবিটি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের নয় বরং তারও আগের। 

উল্লেখ্য যে, “Viruela Símica” এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে “VS” ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা স্প্যানিশ ভাষায় মাংকিপক্স (Monkeypox) বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, ছবিটি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত একজনের ছবি। উক্ত পোস্টের মন্তব্য বিভাগে তিনি বলেন, ঘটনাটি মেক্সিকোর এবং এই রোগী ইমিউনোকমপ্রোমাইজড (দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন)।

এছাড়াও, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের বিষয়ে মেক্সিকো ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পাবলিমেট্রোইনফোলিটেরাসে ২০২২ সালে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনেও উক্ত ছবিটি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের রেফারেন্স হিসেবে সংযুক্ত করতে দেখা যায়৷ পাশাপাশি, ২০২২ সালে একাধিক ফেসবুক পেজেও মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত বিষয়ক সংবাদ বা লেখায় উক্ত ছবিটির সংযুক্তি পাওয়া যায়।

সুতরাং, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলনকারীর ছবি দাবিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্তত দুই বছরের পুরোনো এক ব্যক্তির ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র