Home Blog Page 142

গার্সিয়ার প্রেমিকার মায়ের ছবি দাবিতে লুনিনের স্ত্রীর পুরোনো ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ফ্রান গার্সিয়ার সাথে একজন মহিলার ছবি ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, উক্ত নারী গার্সিয়ার প্রেমিকার মা এবং বর্তমানে গার্সিয়া সেই প্রেমিকাকে ছেড়ে প্রেমিকার মায়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আলোচিত ছবির নারী গার্সিয়ার প্রেমিকার মা নয়, বরং রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনের স্ত্রী আনাস্তাসিয়া লুনিনের সাথে ফ্রান গার্সিয়ার পুরোনো ছবিকে আলোচিত দাবিতে ছড়ানো হচ্ছে।

অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ১৩ জুন ‘Madrid Xtra’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এক্স পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা – ‘Fran García with Lunin’s wife at Louis Vuitton’s event’।  এর থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় ছবির নারী রিয়েল মাদ্রিদের গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন এর স্ত্রী আনাস্তাসিয়া লুনিন।

 Comparison: Rumor Scanner  

পরবর্তী অনুসন্ধানে আনাস্তাসিয়া লুনিন এর স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি পোস্টে পাওয়া কিছু ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আলোচিত ছবিটি তারই। ছবিগুলো এবং পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, লুইস ভুইটনের একই ইভেন্টেই তোলা ছবি।

Screenshot: Instagram 

সুতরাং, রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনের স্ত্রী আনাস্তাসিয়া লুনিনের সাথে ফ্রান গার্সিয়ার পুরোনো ছবিকে গার্সিয়ার প্রেমিকার মা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

এটি মাইক্রোস্কোপে ধারণকৃত মৌমাছির ছবি নয়

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, মাইক্রোস্কোপ ক্যামেরায় মৌমাছির মুখমণ্ডল।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উল্লিখিত ছবিটি মাইক্রোস্কোপে মৌমাছির ছবি নয় বরং এটি লংহর্ন বিটলস এর ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তোলা ছবি।

অনুসন্ধানে reddit এর একটি পোস্ট থেকে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। যেখান থেকে জানা যায় এটি একটি ছবিটি একটি লংহর্ণ বিটলস এর ক্লোজ আপ ছবি।

Comparison: rumor scanner 

উল্লেখ্য, পূর্বেও  একই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

ভারতের ঘটনাকে বাংলাদেশে ছাত্রশিবির কর্তৃক হিন্দু নারীদের মারধরের দৃশ্য দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘হিন্দু মহিলাদের উপর হামলা করলেন শিবিরের কর্মী’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘হিন্দু মহিলাদের উপর হামলা করলেন শিবিরের কর্মী’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ছাত্রশিবির কর্তৃক হিন্দু নারীদের ওপর হামলার নয়। এমনকি ভিডিওটি বাংলাদেশেরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের একটি পার্কে সরস্বতী পূজার দিনে তৃতীয় লিঙ্গের নারীরা টাকা চেয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগে এক ছেলে মারধর করেন। সেইসময়কার দৃশ্য এটি। 

অনুসন্ধানে ‘বেকার ছেলে সায়ন’ নামক একটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর গত ০৩ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, দৃশ্যটি গঙ্গারামপুর কালদিঘি পার্কের। 

উক্ত স্থানের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম Times Now খবর এর ওয়েবসাইটে গত ০৪ ফেব্রুয়ারি “সরস্বতী পুজোয় বৃহন্নলা বনাম যুগল! শুয়ে ফেলে ঘুষি, পাল্টা বাঁশ দিয়ে মার, ভাইরাল হল ভিডিও” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের গঙ্গারামপুর কালদিঘি পার্কে এক যুগলের সাথে তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের মারধরের দৃশ্য। 

এছাড়া, জিও লোকেশনে যুক্ত একটি ভিডিওতে থাকা পুকুরের দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা পুকুরের দৃশ্যেও মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Google Map 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

সুতরাং, ভারতে যুবক কর্তৃক তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের মারধরের দৃশ্যকে বাংলাদেশে ছাত্রশিবির কর্তৃক হিন্দু নারীদের মারধরের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ছাত্রশিবিরকে পাকিস্তানের দালাল বলে জনৈক ছাত্রদল নেতার মন্তব্য দাবিতে কালবেলার নামে ভুয়া ফটোকার্ড

0

সম্প্রতি ‘ছাত্রশিবির পাকিস্তানের দালাল তাদেরকে বাংলাদেশে কোন প্রকার রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত নয়। ছাত্রদল নেতা।’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলারর লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জনৈক ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধৃত করে ‘ছাত্রশিবির পাকিস্তানের দালাল তাদেরকে বাংলাদেশে কোন প্রকার রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত নয়।’ শিরোনামে কালবেলা কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে কালবেলার লোগো ব্যবহার করে  উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে কালবেলার লোগো দেখা যায়; তবে এটি প্রকাশের তারিখ উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা কালবেলার প্রচলিত ফটোকার্ডে থাকে। পরবর্তীতে কালবেলার ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Comparison: Rumor Scanner 

আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কালবেলার লোগো ব্যবহার করে তাদের প্রচলিত ফটোকার্ডের আদলে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে৷ এছাড়া, কালবেলার প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্টেরও পার্থক্য রয়েছে।

এই বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে কালবেলার ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ফটোকার্ড ও সংবাদ পর্যবেক্ষণ করা হয়, তবে সেখানে আলোচিত দাবির শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, কালবেলা ব্যতীত অন্যান্য গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘ছাত্রশিবির পাকিস্তানের দালাল তাদেরকে বাংলাদেশে কোন প্রকার রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত নয়। ছাত্রদল নেতা।’ শীর্ষক শিরোনামে কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের ছবি দাবিতে সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বাড়ির নামফলকের ছবি প্রচার করা হয়েছে। নামফলকটিতে “ডাক্তার বাড়ী | ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য | ইউটিউব চ্যানেল মালিক (৩টি) ভ্লগার, লেখক চিন্তাবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ফেইসবুক পেইজের মালিক (১২টি) গ্রাম: নেয়ামতপুর পো: দেওগ্রাম, থানা: কাহালু, জেলা বগুড়া” শীর্ষক লেখা দেখা যায়। উক্ত নামফলকটি অনলাইন একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং ভিন্ন একজন ব্যক্তির বাড়ির নামফলকের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির পক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘এএনএম ইশতিয়াক আহাম্মেদ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তারিখে “একজন পিওর অলরাউন্ডার ব্যক্তি! যার মধ্যে সব গুণই আছে।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টে একটি নামফলকের ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায় যেখানে লেখা রয়েছে: “ডাক্তার বাড়ি-১ | লায়ন ডাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন (সম্রাট) | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা | বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, ফিল্ম নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা, ইউটিউব চ্যানেল মালিক (৩টি), লেখক, চিন্তাবিদ ইত্যাদি | গ্রাম: নিয়ামতপুর, পোঃ দেওগ্রাম, থানা: কাহালু, জেলা: বগুড়া। | প্রয়োজনে: ০১৯৯৯৫৫৫৬৬৬”। উক্ত নামফলকটির ছবির পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে নামফলকের লেখা ব্যতীত সবকিছুর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

এ থেকে বুঝা যায় যে উক্ত নামফলকটির লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে পিনাকীর নামে ভুয়া নামফলকের লেখা তথা “ডাক্তার বাড়ী ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য ইউটিউব চ্যানেল মালিক (৩টি) ভ্লগার, লেখক চিন্তাবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ফেইসবুক পেইজের মালিক (১২টি) গ্রাম: নেয়ামতপুর পো: দেওগ্রাম, থানা: কাহালু, জেলা বগুড়া” বসানো হয়েছে।

উক্ত আসল ছবিটি ২০২৩ সালে আরো একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট হতে দেখা যায়। এছাড়া, স্যাটায়ার প্ল্যাটফর্ম ইয়ার্কির ফেসবুক পেজেও উক্ত মূল নামফলকটি নিয়ে ২০২৩ সালে স্যাটায়ার বা মিম প্রচার হতেও দেখা যায়।

সুতরাং, ডাক্তার বাড়ী নামে পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিল দাবিতে ছাত্রদলের পুরোনো মিছিলের দৃশ্য প্রচার

0

সম্প্রতি “চট্টগ্রামে নির্ভয়ে ছাত্রলীগের স্মরণকালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল.!” শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে একটি মিছিলের দৃশ্য প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩ লক্ষ বার দেখা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যের নয় বরং ২০২৩ সালে ঢাকার নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ এর ইউটিউব চ্যানেলে “নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল || 18 may, 2023” শীর্ষক শিরোনামে ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

উক্ত ইউটিউব ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। ইউটিউব ভিডিওটির বর্ণনা অংশে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, “১৮ মে, ২০২৩  | দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল।”

এছাড়াও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে “রক্তে আগুন লেগেছে। দিয়েছি তো রক্ত” শীর্ষক স্লোগান শোনা গেলেও মূল ভিডিওটিতে “আমাদের নেত্রী আছে..” শীর্ষক স্লোগান শোনা যায়৷ এ থেকে বুঝা যায় যে প্রচারিত ভিডিওটির মূল অডিওটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন অডিও দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

তাছাড়া, প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে ‘মুঘল কাবাব হাউজ’ নামের একটি দোকান দেখা যায়। গুগল ম্যাপে অনুসন্ধান করে জানা যায় এটি ঢাকার নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডে অবস্থিত৷ পাশাপাশি, পারিপার্শ্বিক অবস্থারও সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এ থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি চট্টগ্রামে নয় বরং ঢাকার নয়াপল্টনে ধারণকৃত।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির শুরুতে মূলধারার গণমাধ্যম বৈশাখী টিভির লোগোসহ একটি সংবাদের ফুটেজও সংযুক্ত করা হয় যেখানে সংবাদ শিরোনাম হিসেবে দেখা যায়, “BREAKING NEWS চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের স্মরণকালের বিক্ষোভ মিছিল”। তবে, উক্ত সংবাদ শিরোনামে বৈশাখী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে বা ওয়েবসাইটে কোনো সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, দাবিকৃত সংবাদের সাথে সংবাদ উপস্থাপকের ঠোঁটের নাড়াচাড়ারও অসামঞ্জস্যতা দেখা যায় যা থেকে বুঝা যায় যে সংবাদ উপস্থাপকের বলা মূল সংবাদটির বদলে ভিন্ন একটি অডিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৩ সালে ঢাকায় ছাত্রদলের মিছিলের হলেও গত ৩০ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে মিছিল করেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান।

সুতরাং, ২০২৩ সালে ঢাকার নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে সম্প্রতি চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে জড়িয়ে একুশে টিভি’র নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “বিশ্বসেরা গুজববাজ এওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস”- শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, একুশে টিভি “বিশ্বসেরা গুজববাজ এওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস”- শীর্ষক শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, একুশে টিভি’র ডিজাইন নকল করে উক্ত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি’র লোগো দেখা যায় এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে একুশে টিভি’র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি একুশে টিভি’র ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Etv Facebook Page 

উক্ত পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি ইটিভি প্রকাশ করেছি বলে নিশ্চিত করা হয়। 

সুতরাং, “বিশ্বসেরা গুজববাজ এওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস”- শীর্ষক শিরোনামে একুশ টিভি’র নামে ইন্টারনেটে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

মুসলমান ব্যক্তি কর্তৃক মন্দিরের হাতি নির্যাতন দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি ‘একদল মুসলমান একটি মন্দিরের হাতিকে পায়ে শেকল বেঁধে লাঠিপেটা করছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একাধিক ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

উক্ত দাবিতে এক্স-এ প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি মুসলমান কর্তৃক মন্দিরের হাতিকে পায়ে শেকল বেঁধে লাঠিপেটা করার ঘটনার ভিডিও নয় বরং, ২০২৪ সালের ভিন্ন একটি ঘটনার ভিডিও উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট ‘কুমিল্লায় নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হাতিটিকে বাঁচাতে আসলো না কেউ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সামনে একজন মাহুত ও তার সহযোগী একটি হাতিকে নির্যাতন করে এবং এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কুমিল্লা জেলার বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির জানান, ভিডিও দেখার পর থেকে তাদের টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাতিটি ও তার মাহুতকে খুঁজতে৷ ইতোমধ্যে ঢাকা থেকেও একটি বিশেষ টিম এসেছে। 

পরবর্তীতে একই বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর এর ওয়েবসাইটে সে বছরের ৩১ আগস্ট ‘নির্যাতনের শিকার সেই হাতিটির ঠাঁই হলো গাজীপুর সাফারি পার্কে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সোনাই উল্ল্যাহ এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়, তবে মাহুতরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারের পর হাতিটিকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে। আরো জানা যায়, তিনজন মাহুত দোকানপাটে ঘুরে ঘুরে হাতিটিকে দিয়ে টাকা তুলতেন। টাকা তোলার সময় হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তাণ্ডব চালায়। পরে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মাহুতরা সেটিকে পায়ে শেকল বেঁধে আঘাত করতে থাকে। 

সুতরাং, কুমিল্লায় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত হাতিকে নির্যাতনের ভিডিওকে মুসলমান ব্যক্তি কর্তৃক মন্দিরের হাতি নির্যাতন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ছবি দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, নারী ও মদের সাথে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের আপত্তিকর ছবি দাবিতে কয়েকটি ছবির একটি কোলাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের নয়। প্রকৃতপক্ষে, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর একটি ভাইরাল ভিডিওর কয়েকটি স্ক্রিনশটের সমন্বয়ে তৈরি কোলাজকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানের VIRAL DRAMA নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাথে উক্ত ভিডিওর বেশকিছু অংশের মিল পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির নাম আশুতোষ বেপারী। তিনি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্রে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৫ জুন নারীর সঙ্গে আ.লীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Jugantor 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি দৃশ্যের মিল রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছবিকে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এছাড়াও হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রাপ্ত তার ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বেশ মিল পাওয়া গেলেও তাদের মধ্যে কিছুটা সূক্ষ্ম পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

Face Comparison by Rumor Scanner 

সুতরাং, নারী ও মদ নিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের উল্লাসের ছবি দাবিতে ফেসবুক একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

একুশে টিভির ফটোকার্ড নকল করে পিনাকী ভট্টাচার্যের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, “ইতিহাসের সেরা মিথ্যাক মিথ্যা গল্পের রাজা পিনিক” শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুক প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ইতিহাসের সেরা মিথ্যাক মিথ্যা গল্পের রাজা পিনিক” শীর্ষক দাবিতে একুশে টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, একুশে টিভি কর্তৃক প্রকাশিত ভিন্ন শিরোনামের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে একুশে টিভি’র নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘২৬  জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে একুশে টিভির লোগো ও প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে ‘ইতিহাসের সেরা মিথ্যাক মিথ্যা গল্পের রাজা পিনিক’ শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, একুশে এর ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ২৬ জানুয়ারি গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘গণহত্যায় জড়িত এক পুলিশকে গ্রেপ্তারের খবর দিলেন পিনাকী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইনের মিল রয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনাম ও শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে একুশে টিভির ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। উভয় ফটোকার্ডের পিনাকী ভট্টাচার্যের ছবির মিল থাকলেও শিরোনামে পরিবর্তন দেখা যায়।

এছাড়া, সাধারণত গণমাধ্যমের ফটোকার্ডে বানান ভুল পরিলক্ষিত হয় না যা উক্ত ফটোকার্ডটিতে লক্ষ্য করা গেছে। 

অর্থাৎ, একুশে টিভির এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে একুশে টিভির ওয়েবসাইটে ২৬ জানুয়ারি “গণহত্যায় জড়িত এক পুলিশকে গ্রেপ্তারের খবর দিলেন পিনাকী!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে রামপুরা-বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে গুলি চালায় পুলিশ। অনেকে চলে যেতে পারলেও এক কিশোর একটি নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের ৪ তলা কার্ণিশে ঝুলেছিলেন। কিন্তু উপর থেকে তাকে দেখে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। রোববার পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে জানিয়েছেন ওই পুুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, মনে আছে রামপুরায় ছাদে ঝুলে লুকিয়ে ছিল একজন ছাত্র। ওপর থেকে গুলি করেছিল পুলিশ। সেই পুলিশের এসআই চঞ্চল সরকারকে ধাওয়া করে ধরা হয়েছে খাগড়াছড়িতে।

সুতরাং, ‘ইতিহাসের সেরা মিথ্যাক মিথ্যা গল্পের রাজা পিনিক’ শীর্ষক শিরোনামে একুশে টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র