Home Blog Page 8

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়োগের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি 

0

সম্প্রতি, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দাবিতে কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গত ২১ মে এর তারিখে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পদে আবেদন করতে আহ্বান জানিয়ে [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আবেদনের সময়সীমা ২৯ মে দুপুর ১২ টা।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি বরং ভিন্ন একটি হাসপাতালের ২০২২ সালের পুরোনো বিজ্ঞপ্তি সম্পাদনা করে ভুয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে স্টাডি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওয়েবসাইটে (, ) ২০২২ সালের আগস্টে প্রকাশিত চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির খোঁজ মেলে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সূত্র নং ছিল ০৩.০৬.১৫৩৫.৩৩৫.১১.০২৯.১০-৪৬৪৬। একই সূত্র নং দেখা যায় সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামে প্রচারিত কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও। দুইটি বিজ্ঞপ্তির ছবির ডিজাইন, কালার গ্রেডিং এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করে সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তির ছবিটি ২০২২ সালের চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি থেকে সম্পাদনা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। পুরোনো বিজ্ঞপ্তিটির ছবিতে তারিখ, ঠিকানা, পদের বিষয়, আবেদনের মাধ্যম ও সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা বদলে দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে।  

Comparison: Rumor Scanner 

অনুসন্ধানে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়েবসাইট এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন কিওয়ার্ড সার্চ করে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। 

তাছাড়া, হাসপাতালটির একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রচলিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য কোনো ইমেইল ঠিকানা নয় বরং আগ্রহী প্রার্থীকে সাদা কাগজে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, মানবসম্পদ বিভাগ, হলি সিলেট হোল্ডিং লিঃ, মীরবক্সটুলা, সিলেট-৩১০০।

Image: Facebook 

অন্যদিকে, প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে দেওয়া ইমেইল ঠিকানাটি ([email protected]) জিমেইল পরিষেবার, যা কথিত বিজ্ঞপ্তিটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সক্ষম।

এই বিষয়ে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। 

ভুয়া নিয়োগের এই ধরনটি খুব সাধারণ। গেল কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করে আসছেন প্রতারকরা। রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গত বছর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরে। দেখুন এখানে। 

সুতরাং, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি বানোয়াট ও প্রতারণামূলক। 

তথ্যসূত্র 

বিএনপি দিন দিন বেশি অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে শীর্ষক মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, একাত্তর টিভির নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী “বিএনপি দিন দিন বেশি অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একাত্তর টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আলোচিত মন্তব্যটি করেননি এবং উক্ত শিরোনামে একাত্তর টিভিও কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত একাত্তর টিভির ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে একাত্তর টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ ০৯ জুন, ২০২৫ উল্লেখ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজে গত ০৯ জুন ‘বোরো ধান ১৫ লাখ টন বেশি আবাদ, আমদানি নাও লাগতে পারে: উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Photocard Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। একাত্তর টিভির মূল ফটোকার্ডটিতে ‘বোরো ধান ১৫ লাখ টন বেশি আবাদ, আমদানি নাও লাগতে পারে: উপদেষ্টা’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘বিএনপি দিন দিন বেশি অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে একাত্তর টিভির ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত একাত্তর টিভির পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৯ জুন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী এলাকায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারটান) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তবে তার বক্তব্যে তাকে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

সুতরাং, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ‘বিএনপি দিন দিন বেশি অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একাত্তর টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

কারাগারে আটক নারী মাদকসেবীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যকে গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রচার 

সম্প্রতি ‘সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড প্রচার করেছে।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত শীর্ষক মন্তব্য করেননি, বরং কারাগারে আটক মাদকসেবী নারীদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া তার মন্তব্যকে সমাজের সকল নারীর উদ্দেশ্যে তার মন্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বার্তা বাজারের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে দেখে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়- এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “মেয়েরা দেখলাম, দেখেন—সুন্দর ড্রেস পরে আছে। অথচ এদের ম্যাক্সিমাম মাদকের সঙ্গে জড়িত।”

উক্ত সংবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোন অনুষ্ঠানে বা কোন প্রেক্ষিতে উক্ত মন্তব্যটি করেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ১০ জুন প্রকাশিত ‘কারাবন্দীদের খাবার নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | Home Adviser | Jahangir Alam | Somoy TV’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ড অংশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে দেখা যায়, “আটক যারা এরাও বেশিরভাগই মাদকের। এই যে মেয়েরা দেখলাম.. দেখেন যে, সুন্দর ড্রেস ট্রেস পরা আছে.. ম্যাক্সিমাম মাদকের সাথে জড়িত।”

অর্থাৎ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজের সকল নারীদের উদ্দেশ্যে করে সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেননি। তিনি কারাগারে আটক নারী মাদকসেবীদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি উক্ত মন্তব্য করেন। 

সুতরাং, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কারাগারে আটক নারীমাদকসেবীদের সম্পর্কে করা মন্তব্যকে তিনি সমাজের সকল নারীদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছেন  দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি পুরোনো ভিডিও প্রচার

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলা এখনো চলমান রয়েছে।

এরই মধ্যে, ইসরায়েলের লোগো সম্বলিত যুদ্ধবিমানগুলোর বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ ইরানের হামলায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস পরবর্তী ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের হামলায় ইসলায়েলের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসের ভিডিও নয়। বরং, এআই দ্বারা তৈরি পুরোনো ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘3amelyon’ নামক ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২২ মে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, ভিডিওটি চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগ থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে। যা থেকে নিশ্চিত যে ভিডিওটি চলমান ইরান ইসরায়েল সংঘাতের নয়।

তাছাড়া, ভিডিওটিতে ক্ষতিগ্রস্থ বিমান এবং আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করে এটি এআই দ্বারা তৈরি বলে প্রতীয়মান হয়।

পরবর্তীতে, অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে এমন অনেক ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। দেখুন – এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এছাড়াও, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিতে টিকটক অ্যাকাউন্ট লিংক সংযুক্ত পাওয়া যায়। টিকটক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করেও একই ধরনের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি Cantilux.com নামক এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) দ্বারা তৈরি ছবি ও ভিডিও শনাক্তকরণ ওয়েবসাইটে যাচাই করা হলে ৫৮% এআই দ্বারা তৈরি বলে মত দিয়েছে। 

Screenshot: Cantilux.com

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি পুরোনো ভিডিওকে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস পরবর্তী ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইসরায়েলি স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে মেক্সিকোর ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য প্রচার

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, প্রচারিত দৃশ্যটি ইসরায়েলের।


আলোচিত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নয় এবং দৃশ্যটিও ইসরায়েলের নয়৷ প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি গত ১৬ জানুয়ারিতে মেক্সিকোর কুলিয়াকানের ক্যাসিনো পার্কের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধারণকৃত।

এ বিষয়ে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে যু্‌ক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ এর ওয়েবসাইটে Unbelievably tiny cause of massive explosion that blew apart casino revealed” শীর্ষক শিরোনামে গত ১৭ জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷ উক্ত প্রতিবেদনে একটি ভিডিও ও একাধিক ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটি সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি ক্যাসিনো এবং একটি ইনডোর শিশু পার্ক ধ্বংসকারী অগ্নিকাণ্ডের  কারণ ছিল শর্ট সার্কিট — এমনটাই জানিয়েছে সিনালোয়া রাজ্যের কর্তৃপক্ষ।… আগুনটি (গত ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার কিছু পরে শুরু হয় এবং দুই ঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কুলিয়াকান দমকল বিভাগ, রেড ক্রস এবং সিভিল ডিফেন্সের মোট ৮৮ জন সদস্য এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে অংশ নেন, এবং আগুন নেভাতে ৫ লক্ষ লিটার পানি ব্যবহার করা হয়।” (অনূদিত)

এছাড়াও, অনুসন্ধানে মেক্সিকো ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘এল হেরাল্ডো দে মেক্সিকো’ এর ওয়েবসাইটে ‘Revelan causa del incendio de Casino en Culiacán’ শীর্ষক শিরোনামে গত ১৬ জানুয়ারিতে এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি বিকেলে কুলিয়াকানের সিনেপোলিস প্লাজায় একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন মূলত ক্যাসিনো রয়্যাল পার্ক এবং ট্রাম্পোলিন পার্কের স্থাপনাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঘটনাটি পেদ্রো ইনফান্তে বুলেভার্দে, রাজ্য কংগ্রেস ভবন থেকে কয়েকটি রাস্তা দূরে ঘটেছে।” (স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত)

এছাড়াও, আরো একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায় যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি মেক্সিকোর।

সুতরাং, গত জানুয়ারিতে মেক্সিকোর কুলিয়াকানের ক্যাসিনো পার্কের অগ্নিকাণ্ডের  দৃশ্যকে সম্প্রতি ইসরায়েলের স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইরানের ভয়ে দেশ ত্যাগ করে নেহানিয়াহুর পুতিনের সাথে সাক্ষাতের দাবিটি ভুয়া 

0

গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রাগারে হামলা চালায় ইসরায়েল। যার প্রতিশোধ স্বরূপ একইদিন রাতে ইসরায়েলের তেল আবিব ও জেরুজালেমকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, পুনরায় ইরানের হামলার ভয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। উভয় রাষ্ট্র প্রধানের সাক্ষাতের ছবি দাবিতে পোস্টগুলোতে একটি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে নেতানিয়াহুকে হিজাব পরিহিত একজন নারীর সাথে হ্যান্ডশেক করতে দেখা যাচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ায় প্রেসিডেন্টের কাছে সহায়তা চাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সঠিক নয়। এছাড়াও আলোচিত ছবিটিও ইরান-ইসরায়লের সংঘাত বিষয়ক কোনো সাক্ষাতের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের সময় আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমীর সাথে তোলা তার ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদ সংস্থা Wam-এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর Abdullah bin Zayed meets Benjamin Netanyahu শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত ছবিগুলোর মধ্যে একটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। যেখানে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমীর সাথে হ্যান্ডশেক করতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, এটি ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে ততকালীন ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের মুহুর্তে ধারণ করা। এসময় আল নাহিয়ান এবং রিম আল হাশিমী ব্যতীতও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে তাদের সাথে নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের ছবিও রয়েছে। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরেক গণমাধ্যম Al Khaleej এর ওয়েবসাইটে একই ঘটনায় প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনেও আলোচিত ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকেও ছবিটির বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।

পরবর্তীতে নেতানিয়াহুর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার প্র্রেসিডেন্টের নিকট সাহায্য প্রার্থনার দাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমীর সাথে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের পুরোনো ছবিকে নেতানিয়াহুর দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে সহায়তা চাওয়ার ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

দুবাইয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

এই ঘটনাকে ঘিরে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পার্লামেন্টের অফিস কক্ষ টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান—এমন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি আকাশচুম্বী ভবনে আগুন জ্বলছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়লে ইরানের হামলার কোনো ঘটনার নয়; এমনকি বহুতল ভবনে আগুনের এই ভিডিওটি ইসরায়েলের কোনো স্থানেরও নয়। বরং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মেরিনা এলাকায় অবস্থিত ৬৭ তলা ‘মেরিনা পিনাকল’-এ গত ১৩ জুন সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে পাকিস্তানি বেসরকারি টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেল ‘Geo News’ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ জুন ‘Massive Fire in Dubai Marina Building Extinquished – Breaking News’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি শর্টস ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মারিনা এলাকায় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।

Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে প্রাপ্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) এর সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস (Khaleej Times) এর ওয়েবসাইটে গত ১৩ জুন ‘Dubai: Fire breaks out at high-rise building in Marina; 3,800 residents evacuated’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মেরিনা এলাকায় অবস্থিত ৬৭ তলা ‘মেরিনা পিনাকল’-এ গত ১৩ জুন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি (NDTV) এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, দুবাইয়ের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিওকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পার্লামেন্টের অফিস কক্ষ টার্গেট করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি 

0

সম্প্রতি, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দাবিতে কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গত ২০ মে এর তারিখে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পদে আবেদন করতে আহ্বান জানিয়ে [email protected] এই ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আবেদনের সময়সীমা ২৭ মে দুপুর ১২ টা।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি বরং ভিন্ন একটি হাসপাতালের ২০২২ সালের পুরোনো বিজ্ঞপ্তি সম্পাদনা করে ভুয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে স্টাডি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওয়েবসাইটে (, ) ২০২২ সালের আগস্টে প্রকাশিত চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির খোঁজ মেলে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সূত্র নং ছিল ০৩.০৬.১৫৩৫.৩৩৫.১১.০২৯.১০-৪৬৪৬। একই সূত্র নং দেখা যায় সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নামে প্রচারিত কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও। দুইটি বিজ্ঞপ্তির ছবির ডিজাইন, কালার গ্রেডিং এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করে সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তির ছবিটি ২০২২ সালের চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি থেকে সম্পাদনা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। পুরোনো বিজ্ঞপ্তিটির ছবিতে তারিখ, ঠিকানা, পদের বিষয়, আবেদনের মাধ্যম ও সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা বদলে দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

অনুসন্ধানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইট এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন কিওয়ার্ড সার্চ করে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। 

তাছাড়া, হাসপাতালটির একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রচলিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য দেওয়া ইমেইল ঠিকানা [email protected]। এটি হাসপাতালটির ওয়েবসাইটের অধীনে থাকা একটি ইমেইল পরিষেবা। অন্যদিকে, প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে দেওয়া ইমেইল ঠিকানাটি ([email protected]) জিমেইল পরিষেবার, যা বিজ্ঞপ্তিটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সক্ষম। 

এই বিষয়ে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। 

ভুয়া নিয়োগের এই ধরনটি খুব সাধারণ। গেল কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করে আসছেন প্রতারকরা। রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গত বছর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরে। দেখুন এখানে। 

সুতরাং, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তিটি বানোয়াট ও প্রতারণামূলক। 

তথ্যসূত্র 

  • Khulna City Medical College Hospital Cardiac Unit: Facebook Post 

ইসরায়েলের অস্ত্রাগারে ইরানের হামলার দৃশ্য দাবিতে চীনের ভিন্ন ঘটনার পুরোনো দৃশ্য প্রচার

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ইরান ইজরায়েলের অস্ত্রাগারে ভয়াবহ হামলা চালানোর দৃশ্য” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

আলোচিত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের অস্ত্রাগারে ইরানের হামলার দৃশ্যের নয় বরং, এটি ২০১৫ সালে চীনের তিয়ানজিন শহরের একটি গুদামে আগুন লাগার পর হওয়া বিস্ফোরণের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘Tianjin explosion video captures fear of eyewitnesses – BBC News’ শীর্ষক শিরোনামে ২০১৫ সালের ১৪ আগস্টে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির বর্ণনা অংশে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, “চীনের তিয়ানজিন শহরে দুটি বিশাল বিস্ফোরণের ফুটেজ, যা এক হতভম্ব প্রত্যক্ষদর্শী ধারণ করেছিলেন, সেখানকার মানুষের ভয় ও আতঙ্ককে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক সামগ্রী সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির মালিকানাধীন গুদামে আগুন লাগার পর ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহু মানুষ নিহত হন এবং শত শত আহত হন।

শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় গুদামে কী ধরনের পদার্থ ছিল বা বিস্ফোরণের সঠিক কারণ কী—তা এখনো তারা জানেন না। প্রত্যক্ষদর্শী ড্যান ভ্যান ডিউরেন বিস্ফোরণের মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধারণ করেন, এরপর তিনি ও অন্যরা বিপদ এড়াতে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।” (অনূদিত)

এছাড়াও, “Dan Witting” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলেও “Tianjin Chemical plant explosion in China INSANE!!!” শীর্ষক শিরোনামে একই দৃশ্যটি ২০১৫ সালের ১৪ আগস্টে প্রচার হতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত ২০১৫ সালের এবং চীনের।

সুতরাং, ২০১৫ সালে চীনের তিয়ানজিন শহরে হওয়া বিস্ফোরণের দৃশ্যকে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের অস্ত্রাগারে ইরানের হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া দাবিতে ভারতীয় অভিনেত্রীর সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবি দেখুন এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো অর্চিতা স্পর্শিয়ার নয়। বরং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক অভিনেত্রীর ছবি সংগ্রহ করে তাতে প্রযুক্তির সাহায্যে অর্চিতা স্পর্শিয়ার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ছবিগুলো প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে Naina Ganguly নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ০৩ জুন প্রকাশিত কিছু ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ছবিগুলোতে উক্ত নারীর মূখমণ্ডলে পার্থক্য ছাড়া অন্য সব উপাদানে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভারতে বসবাসকারী এই নারী একজন অভিনেত্রী। 

অর্থাৎ, মূল ছবিগুলো নায়না গাঙ্গুলি নামের ভিন্ন এক নারীর। 

অনুসন্ধানের স্বার্থে রিউমর স্ক্যানার বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নায়না গাঙ্গুলির ছবির ওপর অর্চিতা স্পর্শিয়ার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এতে সম্পাদিত ছবির মতোই অনুরূপ ফলাফল পাওয়া গেছে।

সুতরাং, অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত এই ছবিগুলো সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র