Home Blog Page 34

মাসুদ কামাল গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন শীর্ষক দাবিটি ভুয়া, প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক মাসুদ কামালকে জড়িয়ে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “আমি সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলছি, আমি হয়তো গ্রেফতার হতে পারি, আমি আপনাদেরকে একটা কথাই বলবো, আমি নিরপেক্ষভাবে সারা জীবন কথা বলে যাব, এ বাংলাদেশ এ বাংলাদেশের ইতিহাস যাকে নিয়ে লেখা সেই বঙ্গবন্ধুকে আমি কখনো অপমানিত হতে দেবো না, আমি যদি গ্রেফতার হয়ে যাই আপনারা সবাই এই দেশের  পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন, এই বাংলাদেশ আমার আপনার সবার, অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করিনি।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত কথাগুলো সাংবাদিক মাসুদ কামালের কণ্ঠে মাসুদ কামালের বলার অবস্থায় ধারণকৃত প্রায় ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওও অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত এরূপ পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে এরূপ দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত ২৮ সেকেন্ডের কথাগুলোসহ ‘ড. ইউনূস আমাকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে : মাসুদ কামাল’ শীর্ষক শিরোনামে মাসুদ কামালের ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের কথা বলার একটি ভিডিও অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে মাসুদ কামালকে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশসহ আরো কিছু বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উল্লেখ্য, টিকটক ও ফেসবুকে মাসুদ কামালের গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকাশের উপরোল্লিখিত ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্টের নানা পোস্টে উক্ত ইউটিউব ভিডিওটির থাম্বনেলের ছবির সংযুক্তিও পাওয়া যায়।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারের আশঙ্কা জানিয়ে সাংবাদিক মাসুদ কামাল কোনো বক্তব্য দেননি। বিষয়টি মাসুদ কামাল নিজেই তার ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’ ও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মাসুদ কামালের নিজ মুখে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকাশের ভিডিওটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ৮ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’য় তাকে নিয়ে ছড়ানো ভুয়া তথ্যগুলো শনাক্ত করে পড়ে শুনিয়ে একটি ভিডিও প্রচার করেন মাসুদ কামাল। এমনই একটু ভুল তথ্য পড়ে শোনানোর  অংশ কাটছাঁট করে ব্যকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে মাসুদ কামালের নিজ মুখে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকাশের ভিডিও ফুটেজ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে মাসুদ কামালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মাসুদ কামালের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’ এবং ‘অন্য মঞ্চ মাসুদ কামাল’ পর্যবেক্ষণ করলে আলোচিত দাবির অনুরূপ গ্রেফতারের আশঙ্কা জানিয়ে মাসুদ কামালকে কোনো বক্তব্য দিতে বা পোস্ট করতে দেখা যায়নি। এছাড়া, অন্য কোথাও মাসুদ কামালের এরূপ মন্তব্য করার সপক্ষেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মাসুদ কামালের গ্রেফতারের আশঙ্কা জানানোর ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে মাসুদ কামালের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’য় গত ৮ আগস্টে ‘গ্রেপ্তার কিংবা দেশ ছাড়ার কথা আসছে কেন?’ শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে আলোচিত দাবির বিষয়ে মাসুদ কামালকে কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিওটিতে মাসুদ কামাল বলেন, তিনি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহর গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক ও কলামলেখক আনিস আলমগীরের সাথে একটি আলোচনায় কথা প্রসঙ্গে কলিমুল্লাহর কথা ওঠে এবং গ্রেফতারের বিষয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, কলিমুল্লাহর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি দুর্নীতি মামলার ভিত্তিতে হলেও, অনেকেই মনে করছেন এটি রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাসুদ কামালও গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন আশঙ্কা ছড়িয়েছে এবং তার প্রেক্ষিতে অনেকে মাসুদ কামালের সাথেও যোগাযোগ করেছেন। ভিডিওটিতে মাসুদ কামাল বলেন, তিনি চিন্তিত নন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং তার গ্রেপ্তারের আশঙ্কা নেই। এছাড়া, দেশ ছাড়ারও কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

উক্ত ভিডিওটির ৪ মিনিট ১৩ সেকেন্ড থেকে ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত মাসুদ কামালকে একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে শুনাতে দেখা যায় যেখানে তিনি পোস্টে থাকা লেখা পড়েন। পোস্টটিতে লেখা ছিল, “আমি সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলছি, আমি হয়তো গ্রেফতার হতে পারি, আমি আপনাদেরকে একটা কথাই বলবো, আমি নিরপেক্ষভাবে সারা জীবন কথা বলে যাব, এ বাংলাদেশ এ বাংলাদেশের ইতিহাস যাকে নিয়ে লেখা সেই বঙ্গবন্ধুকে আমি কখনো অপমানিত হতে দেবো না, আমি যদি গ্রেফতার হয়ে যাই আপনারা সবাই এই দেশের  পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন, এই বাংলাদেশ আমার আপনার সবার,অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করিনি।”

Comparison : Rumor Scanner

উল্লিখিত নির্দিষ্ট অংশের সাথে মাসুদ কামালের গ্রেফতারের আশঙ্কা জানানোর ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও এর তুলনা করলে ব্যকগ্রাউন্ড ছাড়া সবকিছুর হুবহু মিল পাওয়া যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত উক্ত ভিডিওর এই সুনির্দিষ্ট অংশ নিয়ে বানানো হয়েছে। ভিডিওটিতে আলোচিত লেখা পড়ার পর মাসুদ কামাল বলেন, “এইযে কথাগুলি লেখা হয়েছে না, কথাগুলি ঠিকই আছে কিন্তু। কথাগুলি ঠিকই আছে। আমি যদি কখনো স্ট্যাটাস দেই অথবা পোস্ট করি হয়তো এরকমই হবে। কিন্তু আমার কথাটা হলো এটা তো আমি লিখিনি। এই যে আমার নামে যে সবার ছবি দিয়ে আমার নামে লেখা বলা হয়েছে আমি সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলছি, আমি যদি এ কথাটা করে বলে থাকি তাহলে তো আমি আমার ফেসবুকে দিব। আরেকজন লোক কেন লিখবে? সেটা আমি, এটা কিভাবে হয়। তো এটা আমি করিনি ভাই। যিনি এই কাজটা করেছেন তার প্রতি আমার অনুরোধ। হয়তো উনি আমাকে ভালোবাসেন হয়তো উনি আমাকে নিরাপদে দেখতে চান এজন্য করেছেন। কিন্তু আমি যেটা বলিনি সেটা আমার মুখ দিয়ে আপনারা চালাবেন না প্লিজ।”

এছাড়াও, মাসুদ কামালের গ্রেফতারের আশঙ্কা নিয়ে ‘ড. ইউনূস আমাকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে : মাসুদ কামাল’ শীর্ষক শিরোনামে ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার হয়েছে যার শুরুতে আলোচিত ২৮ সেকেন্ডের আশঙ্কা প্রকাশের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি রয়েছে৷ উক্ত ভিডিওটির সাথে ‘কথা’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত উপরোল্লিখিত ভিডিওটি তুলনা করলে দেখা যায়, ‘কথা’ চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওটির ব্যকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কথা চ্যানেলে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটিতে মাসুদ কামালের 00:00-2:01, 2:18-3:28, 5:51-5:58, 6:29-7:14, 7:24-7:54, 7:56- 8:32, 9:01-9:21, 10:30-11:11 টাইমস্ট্যাম্পে বলা কথাগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কেটে নিয়ে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ৬ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। নানা জায়গায় মাসুদ কামাল নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সঠিক তথ্য দিলেও তা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বাদ দেওয়া হয়েছে। যেমন ২:০১ সেকেন্ডের পর আসল ভিডিওতে মাসুদ কামাল বলেন, তিনি চিন্তিত নন। কিন্তু ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। মূলত, ‘কথা’ ইউটিউব চ্যানেলে মাসুদ কামাল তাকে জড়িয়ে প্রচার করা ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পড়ার পর তার বিভ্রান্তি ও তার প্রেক্ষিতে আসল ঘটনা নিয়ে আলোচনা করলেও ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের প্রচারিত ভিডিওটিতে সেসব নানা অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কাটছাঁট করে ব্যকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়াও, অনুসন্ধানে মাসুদ কামালের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’য় গত ১০ আগস্টে ‘ভূয়া অডিও ভিডিও আর পোস্টে বিপর্যস্ত আমি’ শিরোনামে প্রচারিত আরেকটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতেও তাকে নিয়ে প্রচারিত আলোচিত দাবিকে ভুয়া জানান তিনি।

মাসুদ কামালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করলে আলোচিত দাবির বিষয়ে গতকাল (১১ আগস্ট) প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটিতে তিনি বলেন, “খুব একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেছি। ফেসবুক-ইউটিউবে আমার নামে বেশ কিছু পোস্ট ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নাকি গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছি, আমাকে গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দেশ ছেড়ে পালাচ্ছি, জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে– এরকম অনেক কিছু। আসলে এসবই ভূয়া। যে ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে, শুনতে অনেকটা আমার কণ্ঠের মতোই মনে হয়, সেটাও এআই দিয়ে তৈরি। আমি ওরকম কিছু বলিনি। এধরনের কোনও ফেসবুক পোস্টও আমি দিইনি। যারা এই কাজ করেছেন, তারা অনৈতিক কাজ করেছেন। আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন, আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন।..”

উল্লেখ্য, মাসুদ কামাল প্রচারিত ভিডিওকে এআই বললেও প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি তারই গত ৮ আগস্টের ভিডিওতে কোট করে বলা কথার ব্যকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়েছে। 

সুতরাং, মাসুদ কামাল গ্রেফতারের আশঙ্কা জানিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

সিলেটে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে টানাটানি ও গায়ে হাত দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর

0

সম্প্রতি, সিলেটের কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার হলে এক শিক্ষক ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে টানাটানির পাশাপাশি মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসুবকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে শিক্ষকের টানাটানি কিংবা তাদের গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালে ওই বিদ্যালয়ে এসএসসির গণিত পরীক্ষার দিন ১৫ মিনিট দেরিতে প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে শিক্ষকের নিকট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশকালে ধারণ করা ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে এসএসসির গণিত পরীক্ষার দিন সিলেট নগরীর দি এইডেড হাই স্কুলের উপকেন্দ্র কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া এবং ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্র প্রদানের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্র দেরিতে দেওয়ায় ঐ কক্ষগুলোর পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় চাইলে তাদের সময় না দিয়ে উল্টো খারাপ আচরণ করে উত্তরপত্র পর্যবেক্ষকরা তুলে নেন বলে জানান তারা। মেয়ে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে নেওয়া, ছেলেদের টাই খুলে নেওয়াসহ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। এসব বিষয় নিয়ে পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। ঐ ক্ষোভ প্রকাশকালীন সময়ে ধারণকৃত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে শিক্ষকের টানাটানি ও তাদের গায়ে হাত দেওয়ার দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সিলেটে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের হিজাব নিয়ে টানাটানি করার দাবিতে একই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় তথ্যটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগানের এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ২০২২ সালের

গত ২৩ জুলাই “আলহামদুলিল্লাহ আজকের প্রোগ্রাম শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ আসবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ১১ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচির  নয় বরং এটি ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ইডেন কলেজ শাখা নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিয়ে দেওয়া স্লোগানের ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে ‘rj dolon’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হয় ভিডিওতে স্লোগানরত তরুণীরা ইডেন কলেজের।

Claim video analysis: Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

উক্ত ভিডিওতে থাকা একটি ব্যানারে ৭৪তম লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এসব তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। সংগঠনটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে ৫দিনব্যাপি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

অর্থাৎ, প্রচারিত স্লোগানের ভিডিওটি ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের এবং এটি ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারির ঘটনা। 

সুতরাং, ২০২২ সালে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগানের ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কেএফসির কথিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অফার দাবিতে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল

0

সম্প্রতি KFC Fans নামের একাধিক ফেসবুক পেজের (, , , , ) পোস্টে দাবি করা হয়, “কেএফসির ৭৪তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য ১০ আগস্ট পর্যন্ত ‘শুভ জন্মদিন’ টেক্সট করলে যে কেউ বিনামূল্যে খাবার ভাউচার পাঠানো হবে। প্রতিটি ভাউচার ব্যবহার করে যেকোনো KFC রেস্তোরাঁয় পাঁচটি বিনামূল্যে মুরগির মাংস পাওয়া যাবে! নগদ টাকা এবং একটি গাড়ি।”

এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

এখানে উল্লিখিত এ সংক্রান্ত পোস্টগুলো সাড়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি বার শেয়ার হয়েছে। 

একই নামের আরেকটি পেজে স্প্যানিশ ভাষাতেও একই প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কেএফসির কথিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ কুপনের মাধ্যমে সবাইকে বিনামূল্যে খাবার ভাউচার, নগদ টাকা, গাড়ি ইত্যাদি উপহার দেওয়ার কোনো অফার কেএফসি দেয়নি, বরং ভুয়া একাধিক পেজ থেকে এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো যে ফেসবুক পেজগুলো থেকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, গত ৪-৬ আগস্টের মধ্যে এসব পেজ খোলা হয়েছে এবং এসব পেজে উক্ত অফারের পোস্ট ব্যতিত অন্য কোনো পোস্টও নেই। 

এ সংক্রান্ত ভাইরাল একটি পোস্টের কমেন্টে পোস্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন সদস্য ‘শুভ জন্মদিন’ লিখে কমেন্ট করার পরপরই উক্ত সদস্যকে পেজটি থেকে একটি মেসেজ পাঠানো হয় ইনবক্সে যাতে লেখা রয়েছে, “👋হ্যালো ____ অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ এবং আপনি কোন শহরে থাকেন তা আমাদের জানান🎁🎁🎂💰💵!!” পরবর্তীতে একটি শহরের নাম বলা হলে ফিরতি মেসেজে জানানো হয়, “👋হ্যালো পুরস্কার পাওয়ার প্রধান শর্ত হল অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে আমাদের পোস্টটি আপনার ১০-১৫টি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করুন। আমরা আপনাকে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ১৫ মিনিট সময় দেব। শেয়ার করা শেষ করার পরে, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন কারণ আমাদের টিম আপনার কতগুলি শেয়ার আছে তা পরীক্ষা করবে। এখনই শেয়ার করুন!🎁🎁🎁🎂💰💵!!” এরপর এটি করা হয়েছে বলা হলেও এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কোনো ফিরতি মেসেজ আসেনি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কেএফসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ধরনের কোনো অফারের খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, কেএফসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী কেএফসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০ মার্চ ১৯৩০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির নর্থ করবিন এলাকায় “Sanders Court & Café” নামে। প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫২ সালে, উটাহ অঙ্গরাজ্যের সল্ট লেক কাউন্টিতে। অর্থাৎ চলতি আগস্টে কেএফসি চালু হয়নি। তাই আগস্টে এ সংক্রান্ত বিশেষ কোনো অফার দেওয়া দাবিটিও অবান্তর।

গত ডিসেম্বরেও সমজাতীয় দাবি কেএফসির ৭৩তম জন্মদিন উল্লেখ করে প্রচার করা হয়েছিল। তখন এ বিষয়ে KFC Bangladesh এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করা হলে তারাও রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করে যে, এ ধরণের কোন অফার তারা দেয়নি।

সুতরাং, কেএফসির কথিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ কুপনের মাধ্যমে সবাইকে বিনামূল্যে খাবার ভাউচার, নগদ টাকা, গাড়ি ইত্যাদি উপহার দেওয়ার অফারটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s own analysis 

আরটিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে অভিনেত্রী বাঁধনকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার 

0

সম্প্রতি “থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের” শিরোনামে ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আরটিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের’ শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আরটিভি কোনো প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন প্রযুক্তির সহায়তায় নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবং ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৭ আগস্ট, ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে। 

আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ এবং লোগোর সূত্র ধরে আরটিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আরটিভির ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, আরটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রচলিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ডিজাইনে মিল থাকলেও ফন্টে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। 

Comparison: Rumor Scanner

পাশাপাশি, অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এবং নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেও আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, আজমেরী হক বাঁধনকে উদ্ধৃত করে ‘থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের’ শিরোনামে আরটিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। 

তথ্যসূত্র 

ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে অন্তত তিন বছর পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একটি মিছিলের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “আজকের ইউনিয়ন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয় বাংলা স্লোগান”। 

ভিডিওটিতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টটি ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ৯ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ইউনিয়ন কলেজ নামে কোনো কলেজের অস্তিত্ব নেই। প্রকৃতপক্ষে, অন্তত ৩ বছর পুরোনো ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের মিছিলের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে ‘rj dolon’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইডেন কলেজ আসছে রাজপথ কাঁপছে বলে স্লোগান দিল ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ’ শিরোনামে ২০২২ সালের ২৫ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়াও, অনুসন্ধানে ‘7 College News’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ‘ইডেন কলেজ আসছে ,রাজপথ কাঁপছে || রিভা – রাজিয়ার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল’ ক্যাপশনে ২০২২ সালের ২১ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে এক পর্যায়ে প্রদর্শিত দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত মিছিলরত নারী, পোশাক ও তাদের পারস্পরিক অবস্থানের মিল পাওয়া যায়।

তবে, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এটি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ভিডিওটি ঠিক কবেকার এবং মিছিলটি কোন উপলক্ষের সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া, অনুসন্ধানে ইউনিয়ন কলেজ নামে কোনো বাংলাদেশি কলেজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে ইউনিয়ন শব্দসমেত নানা কলেজ এবং নানা উপজেলার ইউনিয়নে ছাত্রলীগের শাখা বা কমিটি থাকার সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়।

সুতরাং, অন্তত ৩ বছর পুরোনো ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের মিছিলের ভিডিওকে কথিত ইউনিয়ন কলেজ ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক সময়ের মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

জায়েদ খানের সাথে তোলা দীঘির ছবি বিকৃত করে প্রচার 

0

নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সাথে নায়ক জায়েদ খানের একটি ছবি প্রকাশ করে তাতে দীঘিকে আপত্তিকর দৃশ্যে দেখা গেছে দাবি করে তার পক্ষে ক্যাপশন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। এই দুই পোস্টেই প্রায় ২০ হাজার রিয়েক্ট পড়েছে। 

একই দাবির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে

একই দাবির ইউটিউব ভিডিও দেখুন এখানে। 

একই দাবির টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি প্রার্থনা ফারদিন দীঘির আসল ছবি নয় বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে দীঘির শারীরিক গড়নকে সম্পাদনা করে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রার্থনা ফারদিন দীঘির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ৩০ জুলাই একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ছবিতে দীঘির শারীরিক গড়নের সাথে প্রচারিত ছবিতে থাকা দীঘির শারীরিক গড়নের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। 

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, দীঘির প্রকাশ করা ছবিটিকে সম্পাদনা করে আপত্তিকর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

সময় টিভির এক সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, ৩০ জুলাই ছিল জায়েদ খানের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দীঘি এই পোস্টটি করেন। কিন্তু এই ছবিটিকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিনোদন অঙ্গনের একাধিক নারী তারকা এমন ভুয়া এডাল্ট কনটেন্টের মাধ্যমে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। এই তালিকায় দীঘি ছাড়াও আরো যারা আছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাদিয়া আয়মান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়া, পরী মণি।  

সুতরাং, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সাথে সেনাবাহিনীর উত্তেজনা দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সাথে সেনাবাহিনীর চরম উত্তেজনা চলছে দাবিতে দুইটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে প্রচারিত দ্বিতীয় ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, এটি চলতি বছরের মে মাসে সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরি ফিরে পাওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে করা বিক্ষোভ সেনাবাহিনী কর্তৃক ছত্রভঙ্গ করার ভিডিও।

ভিডিও যাচাই ০১ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে থাকা প্রথম ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ‘Awaz News’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের ১৯ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিও যাচাই ০২ 

একই দাবিতে প্রচারিত দ্বিতীয় ভিডিওটি যাচাইয়ে ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ‘NEWS NOW বাংলা’ এর ফেসবুক পেজে চলতি বছরের ১৮ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

পাশাপাশি, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘Global TV Bangladesh’ এর ফেসবুক পেজে গত ১৮ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটির ক্যাপশন থেকে জানা যায় এটি বর’খা’স্ত সেনা সদস্যদের সাথে সেনাবাহিনীর ধস্তাধস্তির দৃশ্য। 

পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ১৯ মে “বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from Prothom Alo by Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বক্ত.ব্য সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ১৮ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্য তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। পরপর দুবার সফল বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বরখাস্ত সেনাসদস্যের উসকানি ওই প্রতিনিধিদলের গাড়ির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহঅশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুসংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সাথে সেনাবাহিনীর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার নয় তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে। 

এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর দেশিয় সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, চলতি বছরের মে মাসে বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরি ফিরে পাওয়াসহ বিভিন্ন দাবির বিক্ষোভ কর্মসূচি সেনবাহিনী কর্তৃক ছত্রভঙ্গের সময়কার দৃশ্যকে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের সাথে সেনাবাহিনীর উত্তেজনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের ঘোরাফেরার দৃশ্য দাবিতে ফিলিপাইনের ভিডিও প্রচার 

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানের রুমা এলাকায় অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে সামরিক পোশাক পরা বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তিকে দেখা যায়।

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার দৃশ্য নয়। বরং, এটি ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ)-এর একটি ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে, ‘Shooter Channel’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৯ জুলাই হুবহু একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির শিরোনামে ইংরেজিতে ‘Philippines’ শব্দ উল্লেখ রয়েছে। চ্যানেলটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে একই ধরনের পোশাক পরা ব্যক্তিদের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রসহ ঘোরাফেরার আরও একাধিক ভিডিও (,,) রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner. 

গত ৩১ জুলাই ‘Basilan Biaf’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও একই ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে ফিলিপিনো ভাষায় লেখা হয়, ‘নিজেকে এমন মানুষ দিয়ে ঘিরে রাখো যারা তোমাকে সম্মান করে, যারা তোমার ব্যক্তিত্বকে ছোট করে তাদের কাছে আসতে দেওয়া উচিত নয়।’ অ্যাকাউন্টের ট্রান্সপারেন্সি সেকশনে দেখা যায়, এটি ফিলিপাইন থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

ভিডিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের পোশাকে দুই ধরনের ব্যাজ রয়েছে। একটি আয়তাকার এবং অপরটি গোলাকার। এসব ব্যাজের সঙ্গে ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ)-এর ব্যাজের (,) মিল পাওয়া গেছে।

Comparison: Rumor Scanner. 

সুতরাং, ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী এমআইএলএফের একটি ভিডিওকে বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভারতে নির্যাতনের শিকার এই ব্যক্তি অমুসলিম, তিনি বেঁচে আছেন

সম্প্রতি ‘আহ ভারতে মুসলিম হত্যা কতই না সহজ’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এক ব্যক্তিকে আরেক ব্যক্তির সাথে মিলে একজনকে রাস্তায় পেলে এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখা যায়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম বলবিন্দর সিং। তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী নন এবং তিনি মারাও যাননি। এছাড়া, এই ঘটনায় ধর্মীয় বিষয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না বলেও প্রতীয়মান হয়। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে গত ০৭ আগস্ট ‘Repeatedly punched and kicked’: 2 Punjab commandos assault journalist; suspended’ শিরোনামে হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ০১ আগস্ট ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাটালায় বলবিন্দর সিং নামের এক সাংবাদিককে দুজন পুলিশ সদস্য মারধর করে। 

বাটালার সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সুহেল কাসিম মীর জানিয়েছেন, “হামলাকারী সাব-ইন্সপেক্টর মনদীপ সিং এবং সুরজিৎ বাথিন্ডায় নিযুক্ত পাঞ্জাব পুলিশ কমান্ডোদের ৫ম ব্যাটালিয়নের সদস্য। স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের বাটালায় মোতায়েন করা হয়েছিল”।

বাটালা শহরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সঞ্জীব কুমার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে দুই অফিসার তাদের মোতায়েনের সময় বাটালার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই সাংবাদিক বলবিন্দর তাদের কাছে যান এবং কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন যা তাদের উপস্থিতির সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে”।

কথোপকথনের সঠিক প্রকৃতি তদন্তাধীন, তবে মনে হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের ধরণ অফিসারদের সাথে ভালোভাবে মানানসই ছিল না যার ফলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী বলবিন্দর সিংয়ের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয় এবং ০২ আগস্ট সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করে। হামলাকারী সাব-ইন্সপেক্টর মনদীপ সিং এবং সুরজিৎকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

একই বিষয়ে আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের ওয়েবসাইটে গত ০৯ আগস্ট ‘Punjab: Two cops suspended for assaulting journalist in Batala’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, ভারতে দুইজন পুলিশ সদস্যের দ্বারা নির্যাতিত এই ব্যক্তি মুসলিম নয় এবং তিনি বেঁচে আছেন। 

সুতরাং, ভারতে মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যার ভিডিও দাবিতে অমুসলিম ব্যক্তিকে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র