সম্প্রতি “থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের” শিরোনামে ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আরটিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের’ শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আরটিভি কোনো প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন প্রযুক্তির সহায়তায় নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবং ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৭ আগস্ট, ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে।
আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ এবং লোগোর সূত্র ধরে আরটিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আরটিভির ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া, আরটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রচলিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ডিজাইনে মিল থাকলেও ফন্টে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

পাশাপাশি, অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এবং নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেও আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, আজমেরী হক বাঁধনকে উদ্ধৃত করে ‘থাইল্যান্ডে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুচলেকা দিয়ে মুক্তি অভিনেত্রী বাঁধনের’ শিরোনামে আরটিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া।