Home Blog Page 128

সেনাপ্রধানের বিষয়ে পোস্ট করা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নয়

0

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতিকে দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সতর্ক করে একটি বক্তব্য প্রদান করেন৷ এরই প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নাম ও ছবি সম্বলিত Hussain Saddam নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ‘প্রিয় আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ, আপনারা এই মুহুর্ত সেনা প্রধানকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না প্লিজ। যদি তাঁকে প্রতিপক্ষ বানান তাহলে ধরে নিব, আপনি রাজনীতির ‘র’ লেভেলেও পৌঁছাতে পারেন নি।…..’’ শীর্ষক একটি পোস্ট সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

ছাত্রলীগ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধানের বিষয়ে পোস্ট করা ‘Hussain Saddam’ নামের অ্যাকাউন্টটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নয় বরং, এটি সাদ্দাম হোসেনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে পরিচালিত একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত পোস্টটির সূত্র ধরে সাদ্দাম হোসেনের নামে পরিচালিত অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। অ্যাকাউন্টটির বায়োতে ‘ভেরিফাই আইডি ষরযন্ত্র কারীরা নষ্ট করে দেয়। এটি আমার নতুন ID এই ID তে সকলকে স্বাগতম।’ লেখা থাকতে দেখা যায়। এই লেখাটির বানানে কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়, যা একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতির অ্যাকাউন্টের বায়ো হওয়ার মতো মানানসই নয়।

Screenshot: Facebook 

পরবর্তীতে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট থেকে জানা যায়, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ভেরিফাইড পেজ এবং ব্যক্তিগত আইডি  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টিং এর কারণে এখনো সক্রিয় করা সম্ভব হয়নি। ফেসবুক পেজ বা আইডি চালু হলে জানিয়ে দেয়া হবে। বিভিন্ন ফেক পেজ ও আইডির বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। ফেক আইডি বা পেজের পোস্টের আলোকে ভুল তথ্য না ছড়ানোর জন্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।”

উক্ত পোস্টে সাদ্দাম হোসেনের বর্তমানে ব্যবহৃত ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের লিংকও শেয়ার করা হয়।

Screenshot: Facebook 

পাশাপাশি, সংগঠনটির ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্টে সাদ্দামের পূর্বের ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানানো হয়। উক্ত পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি কিছুদিন আগে একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট চালু করেছিলেন। তবে সেটিও বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

Screenshot: Facebook 

উক্ত পোস্টগুলো থেকে এটা নিশ্চিত যে, আলোচিত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সাদ্দাম হোসেনের নয় বরং এটি তার নামে পরিচালিত একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট। বর্তমানে ফেসবুকে সাদ্দাম হোসেনের কোনো অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজ চালু নেই।

সুতরাং, আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধানের বিষয়ে পোস্ট করা ‘Hussain Saddam’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পোস্টকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রকৃত অ্যাকাউন্টের পোস্ট দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বাইনান্স অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা দাবিতে ভুয়া স্ক্রিনশট প্রচার

0

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা,প্রেস সচিব  এবং জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের নামে থাকা বাইনান্স (Binance) নামক আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন প্ল্যাটফর্মের কিছু অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভাইরাল স্ক্রিনশটের বরাতে দাবি করা হচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোতে বিপুল পরিমাণ বিটকয়েন জমা রয়েছে, যার বাজারমূল্য শত শত কোটি টাকা।

স্ক্রিনশটের তথ্যমতে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নামে থাকা অ্যাকাউন্টে ৯৩.০৬ বিটকয়েন রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার (১০০ কোটি টাকা)। একইভাবে, সদ্য পদত্যাগ করা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নামে থাকা অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েন থাকার দাবি করা হয়েছে, যার মূল্য ১৯ মিলিয়ন ডলার (২২০ কোটি টাকা)। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিব ভূঁইয়ার নামে থাকা অ্যাকাউন্টে ১১৩ বিটকয়েন রয়েছে, যা আনুমানিক ১২ মিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি টাকা) সমমূল্যের। তালিকায় আরও রয়েছে সরজিস আলমের নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্ট, যেখানে ৭৭.৬৯ বিটকয়েন থাকার কথা বলা হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার (৯০ কোটি টাকা)। অন্যদিকে, খান তালাত মাহমুদ রাফির নামে থাকা অ্যাকাউন্টে ১১.০৯ বিটকয়েন থাকার দাবিও উঠে এসেছে, যার আনুমানিক মূল্য ১.১ মিলিয়ন ডলার (১৩ কোটি টাকা)।

এই দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এই দাবিতে একটি পোস্ট করেছেন। এছাড়া, ভারতের একাধিক গণমাধ্যমেও এই দাবির ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

এই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন: আজতক বাংলা, রিপাবলিক বাংলা, কলকাতা টিভি

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব  ও জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনের নেতাদের নামে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া। প্রযুক্তির কারসাজিতে এসব স্ক্রিনশট তৈরি করা হয়েছে এবং একটি অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে প্রচারিত হচ্ছে।

ভাইরাল এই দাবির সূত্র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এটি ‘দ্য এশিয়াপোস্ট নিউজ’ নামের একটি কথিত অনলাইন পোর্টালের বরাতে প্রচারিত হচ্ছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পোর্টালটিতে “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: ঘুষ ও অবৈধ অর্থ বিটকয়েনে সংরক্ষিত” (ইংরেজি থেকে অনূদিত) শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উক্ত দাবি করা হয়।

উক্ত পোর্টালটি নিয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এটি প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর। এর নামের সঙ্গে ‘এশিয়া’ শব্দটি যুক্ত থাকলেও পোর্টালটি বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়ার অন্য কোনো দেশ নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। এছাড়া, এর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমও অত্যন্ত সীমিত। ফেসবুক পেজে মাত্র ৩৩ জন ফলোয়ার, আর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৮ জন  ফলোয়ার। ওয়েবসাইটটিও একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে কোনো সম্পাদক, প্রকাশক বা পরিচালকের নাম-পরিচয় নেই, এমনকি অফিসের ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়নি।

ডোমেইন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এটি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে, ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর নিবন্ধিত হয়েছে।

‘দ্য এশিয়াপোস্ট নিউজ’ অনির্ভরযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার পর প্রতিবেদনের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলোও যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এগুলো সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে লগইন করা অবস্থায় তোলা হয়েছে। স্ক্রিনশটগুলোতে ‘ডিপোজিট’ ও ‘লগ-আউট’ অপশন দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণত শুধু লগইন করার পরই দৃশ্যমান হয়। এছাড়া বাইনান্সের নিয়ম অনুযায়ী, কেবল ব্যবহারকারীর আইডি দিয়ে কারও অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স দেখা সম্ভব নয়। ব্যালেন্স দেখতে হলে অ্যাকাউন্টে লগইন করে “ওয়ালেট” অপশনে গিয়ে “ওভারভিউ” দেখতে হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযুক্তি বিশ্লেষক রিউমর স্ক্যানারকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স স্ক্রিনশটগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া। তার ভাষায়, “যারা বাইনান্স, ক্রিপ্টো বা প্রযুক্তি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখে, তারা দেখলেই বুঝতে পারবে—এটি বানানো। কারণ, শুধু ইউজার আইডি ব্যবহার করে কারও অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স জানা সম্ভব নয়।”

এই স্ক্রিনশট তৈরির পদ্ধতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই স্ক্রিনশটগুলো আসলে ব্রাউজারের ‘ইন্সপেক্ট টুল’ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি এমন একটি টুল, যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কোড সাময়িকভাবে বদলে ফেলা যায়। ফলে, যেকোনো ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট সম্পাদনা করে ইচ্ছেমতো ভুয়া তথ্য দেখানো সম্ভব, যা স্ক্রিনশটে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও বাস্তবে সঠিক তথ্য নয়।”

ভুয়া স্ক্রিনশট তৈরির কৌশল বোঝাতে গিয়ে ওই বিশ্লেষক রিউমর স্ক্যানারের টিমকে একটি নমুনা তৈরি করে দেখান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নামে ছড়ানো স্ক্রিনশটের মতোই আরেকটি স্ক্রিনশট তৈরি করেন। এতে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য অপরিবর্তিত রেখে শুধু নাম বদলে সজীব ওয়াজেদের নাম বসানো হয়।

Comparison: Rumor Scanner. 

এছাড়া, সজীব ওয়াজেদের ফেসবুক পেজে পোস্টটি প্রকাশের পর থেকেই রিউমর স্ক্যানার টিম এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। পোস্টের পরপরই মন্তব্য ঘরে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী স্ক্রিনশটগুলোকে ভুয়া বলে দাবি করেন। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্লেষকও স্ক্রিনশটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর প্রেক্ষিতে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে জনাব সজীব ওয়াজেদ পোস্টটি মুছে ফেলেন।

সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব এবং জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনের নেতাদের নামে বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট সংক্রান্ত প্রচারিত দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন।

তথ্যসূত্র

সিলেট এমসি কলেজে গোলাগুলি ও আগুন দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওটি প্রচার

0

সম্প্রতি, সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থী ওপর ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার অভিযোগের ঘটনার পরবর্তী সময়ে এম সি কলেজে মধ‍্যেরাতে গোলাগুলি চলছে এবং প্রশাসনিক ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। কিছু কিছু পোস্টে এই ভিডিওকে এমসি কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের গোলাগুলি বলেও দাবি করা হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যনার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সিলেট এমসি কলেজের কোনো ঘটনার নয় বরং, পুরোনো ভিন্ন ঘটনার ভিডিও দিয়ে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশন বর্ণনায়, #পুলিশ #ছাত্রলীগ #সন্ত্রাসী #জাবি #জাহাঙ্গীর_নগর #বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্র_বিক্ষোভ #হামলা হ্যাশট্যাগগুলো ব্যবহার করে বলা হয়, গভীর রাতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলিবর্ষণ।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায়, দফায় পুলিশি সহযোগিতায় হামলা করছে ছাত্রলীগ। হামলার এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় তখনই পুলিশ এসে অতর্কিত ভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

ভিডিওটি সেই সময় ‘দাদা ভাই 2.0’ নামের ফেসবুক অ্যকাউন্টেও একই দাবিতে পোস্ট হতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এটি একটি পুরোনো ভিডিও যার সাথে সিলেট এমসি কলেজের কোনোসম্পর্ক নেই।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার গণমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে এমজি কলেজে এমন কোনো ঘটনার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট এম সি কলেজে মধ‍্যেরাতে গোলাগুলি ও প্রশাসনিক ভবনে আগুনের ঘটনা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের জুলাইয়ের ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Bangladesh Nationalist Party-BNP: Facebook Post
  • দাদা ভাই 2.0 : Facebook Post

সুইজারল্যান্ডে শেখ হাসিনার দায়ের করা কথিত মামলার শুনানি দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া

0

সম্প্রতি ‘আজ ২৫/২/২০২৫ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়ের করা মামলার ১২ তম শুনানিতে সুইজারল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে অংশগ্রহণ করছে ২৭ জন লবিস্ট, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ ঘটিকায় শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার ১২ তম শুনানি সবাই দোয়া করবেন সুবিচারের আশায় আমরা জয় বাংলা।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে শেখ হাসিনার দায়ের করা কোনো মামলার শুনানির ছিল না বরং ভিন্ন ঘটনার ভিডিও আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আমেরিকান গণমাধ্যম 11Alive এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘Donald Trump indicted: Former president’s motorcade arrives to Newark, NJ’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ইউটিউব ভিডিও থেকে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের জর্জিয়া নির্বাচনে র‌্যাকেটিয়ারিং (RICO)-এর  অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০২৩ সালে তিনি ফাল্টন কাউন্টি জেলে আত্মসমর্পণ করতে আটলান্টায় যান। এটি সেসময় নিউ জার্সি থেকে জর্জিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ট্রাম্পের যাত্রাবহরের ভিডিও। দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সেসময়ে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

তাছাড়া সুইজারল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে শেখ হাসিনার দায়ের করা মামলা কিংবা মামলার শুনানিতে কোনো লবিস্ট এর অংশগ্রহনের বিষয়ে কোনো গনমাধ্যমে এবং International Court of Justice -এর ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার দায়ের করা মামলার ১২ তম শুনানিতে সুইজারল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে ২৭ জন লবিস্ট অংশগ্রহণ করেছে” শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া। 

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশে কারফিউ জারির তথ্যটি গুজব 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে- শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে কারফিউ জারির দাবিটি মিথ্যা বরং, ভারতের আসামের একটি এলাকায় কারফিউ জারির ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোর মন্তব্যের ঘরে Time News নামক একটি নিউজ ওয়েবসাইটে “ব্রেকিং নিউজঃ হঠাৎ বাংলাদেতশে কারফিউ জারি”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয় “ভারতের আসাম রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে হঠাৎ করে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সীমান্ত জটিলতা নিরসনে যখন দিল্লিতে বৈঠক চলছে, তখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত রয়েছেন। ঢাকা আগেই জানিয়েছিল, এবার ভিন্ন সুরে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে তারা।

আসামের কাছার জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকানোর জন্যই সীমান্তে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

জেলা শাসক মৃদুল যাদব মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেন। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারার আওতায় এই কারফিউ কার্যকর হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো ব্যক্তি চলাচল করতে পারবেন না। পাশাপাশি, সীমান্ত লাগোয়া সুরমা নদীতে নৌযান চলাচল ও মাছ ধরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় রাতে চিনি, চাল, গম, ভোজ্যতেল ও লবণবাহী যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাছার জেলার পুলিশ সুপার নোমাল মাহাট্টা জানিয়েছেন, সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সহযোগিতায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

হঠাৎ করে এই কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসব নিয়ম আগে থেকেই কার্যকর ছিল, এখন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।”

অর্থাৎ, প্রতিবেদনটিতে কোথাও বাংলাদেশে কারফিউ জারির কথা উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া, ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশে কারফিউ জারি হওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

সুতরাং, বাংলাদেশে কারফিউ জারি হওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

সংস্থাটির আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামে স্কুল পরিদর্শক পদে ৯৮ জন এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৭২৫ জন নিয়োগ করা হবে জানিয়ে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবিতে আগ্রহী প্রার্থীগণকে আগামী ১০ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে [email protected] এই ঠিকানায় মেইল করার বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়।  

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করেনি বরং, আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের জবস সেকশনে ডিজাইনার -চরকা হস্তশিল্প প্রকল্প এবং ম্যানেজার (প্রকিউরমেন্ট) – জেসিএফ কোর প্রোগাম নামক প্রকল্পে দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সন্ধান মেলে। তবে এসব বিজ্ঞপ্তিতে আলোচিত দুই পদে নিয়োগের কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে ফেসবুক পেজে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক পোস্ট থেকে জানা যায়, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নাম ব্যবহার করে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। 

সংস্থাটি বলছে, সম্প্রতি ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামে’নিয়োগ দেবার নাম করে একটি প্রতারক চক্রের তৈরি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সকল চাকরিপ্রার্থীকে অনুরোধ করা হচ্ছে, এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে যেন না পড়েন। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন প্রকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেবল মাত্র জাতীয় ও স্থানীয় স্বনামধন্য সংবাদপত্রে, বিডিজবস এবং জেসিএফ ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রকাশ করা হয়। সুতরাং, আবেদন করার আগে সব সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উৎস যাচাই করে নিতে সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে। 

প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কখনও আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অর্থ দাবি করে না।

সুতরাং, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবির ক্যাপশন বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, তথ্য প্রদান, পুরুষ কাউন্টার, মহিলা কাউন্টার, স্পেশাল কাউন্টারা (মহিলা), পাসপোর্ট ডেলিভারী কাউন্টার ইত্যাদি পদে নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীগন আগামী ২১ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং দুপুর ১২ টা’র মধ্যে। এবং যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন। পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে হবে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নরসিংদীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত পাসপোর্ট অফিসের নাম ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে শুরুতেই কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নরসিংদীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। নরসিংদীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছে, তারা এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেননি।

তাছাড়া, রিউমর স্ক্যানারের বিশেষায়িত শাখা রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গেল বছর এই ধরণের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একই ফর্মেট ব্যবহার একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

২০২২ সালে চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসের নামে এ সংক্রান্ত ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রেক্ষিতে এটিকে ভুয়া উল্লেখ করে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক ও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জানান, “পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। যেখানে নিয়োগের যাবতীয় তথ্যসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার নাম ও স্বাক্ষর থাকবে। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টারটি তৈরি করা হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইলের ফ্রন্ট।”

সুতরাং, নরসিংদীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s own analysis 

ম্যানিব্যাগে টাকা না পেয়ে যুবককে  ছিনতাইকারীদের দলে ভিড়ানোর দাবিতে প্রথম আলোর নামে নকল ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “মানিব্যাগে টাকা না পেয়ে যুবক কে দলে নিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা” শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “মানিব্যাগে টাকা না পেয়ে যুবক কে দলে নিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা” শীর্ষক দাবিতে প্রথম আলো কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, প্রথম আলো কর্তৃক প্রকাশিত ভিন্ন শিরোনামের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলো’র নাম, লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলো‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, প্রথম আলো’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “হার না মানা মেয়েদের কথা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন, ফন্ট এবং তারিখের মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘মানিব্যাগে টাকা না পেয়ে যুবক কে দলে নিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা’ শীর্ষক বাক্যের পরিবর্তে ‘হার না মানা মেয়েদের কথা’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। পাশাপাশি ফটোকার্ডে সংযুক্ত ছবিটিও পরিবর্তন করা হয়েছে।

অর্থাৎ, প্রথম আলো এর এই ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

সুতরাং, “মানিব্যাগে টাকা না পেয়ে যুবক কে দলে নিয়ে নিল ছিনতাইকারীরা” শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো’র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে জাতীয় দৈনিক ‘আমার দেশ’র লোগো ব্যবহার করে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির ছবির ক্যাপশন বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়,

“১.আগ্রহী প্রার্থীগন আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং দুপুর ১২ টা’র মধ্যে। এবং যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদন দাখিল করতে পারবেন।
২. পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে
[email protected] মেইল করতে হবে।
৩. উল্লেখিত তারিখ এবং সময়ের পর আর কোনো আবেদন গ্রহন করা হবে না।
৪. ব্যাংক ড্রাফট্ করতে হবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট যাদের মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। মেসেজ পাওয়ার ৪ ঘন্টার মধ্যে।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আমার দেশের লোগোসহ প্রচারিত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আমার দেশ বা সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি বরং, আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি উক্ত পাসপোর্ট অফিসের নাম ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে শুরুতেই কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ছবির উপরে আমার দেশ পত্রিকার লোগো যুক্ত আছে।

এছাড়াও, আগামী ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং দুপুর ১২ টা’র মধ্যে যে কোনো একটি পদে বা প্রযোজ্য যোগ্যতা থাকলে একাধিক পদে আবেদনের জন্য পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত PDF আকারে [email protected] মেইল করতে হবে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আমার দেশ পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা জানতে চলতি মাসের আমার দেশ এর প্রিন্ট সংস্করণগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। তবে কথিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির সন্ধান মেলেনি।

এছাড়াও, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, রিউমর স্ক্যানারের বিশেষায়িত শাখা রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট গেল বছর এই ধরণের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, কথিত বিজ্ঞপ্তিটির একই ফর্মেট ব্যবহার একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

২০২২ সালে চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসের নামে এ সংক্রান্ত ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রেক্ষিতে এটিকে ভুয়া উল্লেখ করে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক ও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জানান, “পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। যেখানে নিয়োগের যাবতীয় তথ্যসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার নাম ও স্বাক্ষর থাকবে। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টারটি তৈরি করা হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইলের ফ্রন্ট।”

সুতরাং, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে আমার দেশ’র লোগো সম্বলিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s own analysis 

বিমান বাংলাদেশের লোগো ব্যবহার করে বিমানবন্দরে ২৯৩ পদে নিয়োগের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রচার

0

অন্তত গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ফেসবু্কে টেক্সট আকারে এবং অন্তত ২৮ জানুয়ারি থেকে ছবি আকারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দাবিতে কিছু পোস্ট প্রচার হচ্ছে। এসব পোস্টে ছয়টি পদে (কোনো কোনো পোস্টে পাঁচটি পদ উল্লেখ) ২৯৩ জন নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের যোগাযোগের জন্য একাধিক ফোন নম্বর (+8801401035187, +8801925196927) দেওয়া হয়েছে।  

ফেসবুকের এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশের লোগো ব্যবহার করে বিমানবন্দরে ২৯৩ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি আসল নয় বরং আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে গত বছরের ১৬ নভেম্বরের এক পোস্ট থেকে জানা যায়, “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ে ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রতারণা থেকে সাবধানে থাকুন। 

এধরণের ভূয়া ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ে ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টের মাধ্যমে নিরীহ সাধারণ মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে একটি অসাধু চত্র।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সকল পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট : www.biman-airlines.com এবং www.biman.gov.bd তে প্রকাশিত হয়।” 

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পাসপোর্ট চেকার  এবং চেকপোস্ট অফিসার নামের কোন পদই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর নেই।

অর্থাৎ, এই ধরণের কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি পূর্বেই সতর্কবাণী দিয়েছে। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে গত জানুয়ারি থেকে প্রচারিত সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো বিশ্লেষণ করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির অস্তিত্ব মেলেনি। এমনকি উক্ত পদগুলোর বিষয়েও প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতেও কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিমানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর আবেদন সাধারণত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হয়। ফোনে যোগাযোগ করে আবেদন করার কোনো উপায় নেই। 

অর্থাৎ, ফোন নম্বর দিয়ে আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই ধরণের কথিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

সুতরাং, বিমান বাংলাদেশের লোগো ব্যবহার করে বিমানবন্দরে ২৯৩ পদে নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র