সম্প্রতি, সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থী ওপর ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার অভিযোগের ঘটনার পরবর্তী সময়ে এম সি কলেজে মধ্যেরাতে গোলাগুলি চলছে এবং প্রশাসনিক ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। কিছু কিছু পোস্টে এই ভিডিওকে এমসি কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের গোলাগুলি বলেও দাবি করা হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যনার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সিলেট এমসি কলেজের কোনো ঘটনার নয় বরং, পুরোনো ভিন্ন ঘটনার ভিডিও দিয়ে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশন বর্ণনায়, #পুলিশ #ছাত্রলীগ #সন্ত্রাসী #জাবি #জাহাঙ্গীর_নগর #বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্র_বিক্ষোভ #হামলা হ্যাশট্যাগগুলো ব্যবহার করে বলা হয়, গভীর রাতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলিবর্ষণ।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায়, দফায় পুলিশি সহযোগিতায় হামলা করছে ছাত্রলীগ। হামলার এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় তখনই পুলিশ এসে অতর্কিত ভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে।
ভিডিওটি সেই সময় ‘দাদা ভাই 2.0’ নামের ফেসবুক অ্যকাউন্টেও একই দাবিতে পোস্ট হতে দেখা যায়।
অর্থাৎ, এটি একটি পুরোনো ভিডিও যার সাথে সিলেট এমসি কলেজের কোনোসম্পর্ক নেই।
এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার গণমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে এমজি কলেজে এমন কোনো ঘটনার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট এম সি কলেজে মধ্যেরাতে গোলাগুলি ও প্রশাসনিক ভবনে আগুনের ঘটনা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের জুলাইয়ের ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।