Home Blog Page 129

ডাকাত ছিনতাইকারী দেখামাত্র গুলি শীর্ষক মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, কালের কন্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড 

0

সারাদেশে ছিনতাই-ডাকাতি-ধর্ষণসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করেন৷ এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছবি সংযুক্ত করে ‘সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর প্যাট্রলিং ডাকাত আর ছিনতাইকারী দেখামাত্র গুলি’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম কালের কন্ঠের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কালের কন্ঠের লোগোযুক্ত ফটোকার্ড পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ড পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডাকাত আর ছিনতাইকারী দেখামাত্র গুলি শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং কালের কণ্ঠও এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, কালের কণ্ঠের আদলে নকল ফটোকার্ড তৈরি করে ভুয়া এই দাবি প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে কালের কন্ঠের লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা রয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে কালের কন্ঠের ফেসবুক পেজইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে কালের কন্ঠের প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে। মূলত, কালের কন্ঠের ফটোকার্ডের আদলে লোগো ও নাম ব্যবহার করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner 

২৫ ফেব্রুয়ারি কালের কন্ঠের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে নিশ্চিত করা হয় যে, আলোচিত ভাইরাল ফটোকার্ডটি কালের কন্ঠের নয়। 

পরবর্তীতে, কালের কন্ঠের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর প্যাট্রলিং’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে যৌথ বাহিনীর কম্বাইন্ড প্যাট্রলিং চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। উক্ত প্রতিবেদনে ডাকাত আর ছিনতাইকারী দেখামাত্র গুলি করার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর প্যাট্রলিং ডাকাত আর ছিনতাইকারী দেখামাত্র গুলি’ শীর্ষক শিরোনামে কালের কন্ঠের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

দক্ষিণ আফ্রিকার মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোবাইল ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে ছিনতাইকারী মাইনকা চিপায়।’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের মোহাম্মদপুরে মোবাইল ছিনতাইকারী আটকের কোনো ঘটনার নয় বরং এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ছিনতাইকারী আটকের ঘটনার ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘MDN NEWS’ নামের দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অনলাইন গণমাধ্যমে ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি “A cellphone snatcher addressed properly by taxi drivers at the Kort Street rank in Johannesburg.” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্ট থেকে জানা যায়, সম্প্রতিজোহানেসবার্গের কোর্ট স্ট্রিট র‍্যাঙ্কে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের দ্বারা একজন মোবাইল ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এটি সেই ঘটনারই ভিডিও।

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া একই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক ‘Sihle Mavuso’ এর একটি এক্স পোস্টেও উক্ত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, ছিনতাইকারী আটকের আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

সুতরাং, দক্ষিণ আফ্রিকার ছিনতাইকারী আটকের ঘটনাকে বাংলাদেশের মোহাম্মদপুরে মোবাইল ছিনতাইকারী আটকের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সাভার-আশুলিয়ায় ৩৩ জন নিহতের পুরোনো সংবাদ সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “ব্রেকিং নিউজ : ব্যাপক গোলাগু..লি, ৩৩ জন নি..হত শুধু সাভার-আশুলিয়াতেই — বিস্তারিত কমেন্টে”।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাভার-আশুলিয়ায় গুলাগুলিতে ৩৩ জন নিহত হওয়ার খবরটি ব্রেকিং নিউজ বা সম্প্রতি ঘটেনি বরং প্রায় ৭ মাস আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার-আশুলিয়ায় ৩৩ জন নিহতের পুরোনো সংবাদ সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোর মন্তব্য সেকশন পর্যবেক্ষণ করলে তাতে দাবিটির সপক্ষে তথ্যসূত্র হিসেবে ‘কারেন্টনিউজ২৪’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ‘সাভার ও আশুলিয়ায় গুলি ও সহিংসতায় নিহত ৩৩’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক সংযুক্ত করতে দেখা যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনটি পড়লে জানা যায়, “সাভার-আশুলিয়ায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সাভারে পুলিশসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ৬ জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।”

অর্থাৎ, প্রচারিত দাবিটিতে দাবিটির সপক্ষে সংযুক্ত প্রতিবেদনটিতেই বলা হয়েছে সংবাদটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় ৭ মাস পুরোনো সংবাদ। কিন্তু ফেসবুকে সংবাদটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এরই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে মূলধারার সংবাদমাধ্যম মানবজমিনের ওয়েবসাইটে গত ৬ আগস্টে ‘সাভার-আশুলিয়ায় গুলি ও সহিংসতায় নিহত ৩৩’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটিতে একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

এছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, “খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার [৬ আগস্ট] সকালে আশুলিয়ার বাইপাইলের কাছে ফুটওভারব্রিজে দুইজনের লাশ ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে উল্টো করে ঝুলানো রয়েছে। ঝুলন্ত লাশ দুটি আশুলিয়া থানা-পুলিশের বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়া বাইপাইলে একটি পোড়া লেগুনা গাড়িতে তিনটি লাশও রয়েছে যা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এর আগে সোমবার সাভারের এনাম মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩ জন, নারী ও শিশু হাসপাতালে ৩ জন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ৯ জন ও হাবিব ক্লিনিকে ২ জনসহ মোট ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আশুলিয়া থানার সামনে ৪ জন ও আশুলিয়া থানার লাশ ঘরের সামনে ২ জনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোট ৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।… ” উক্ত তথ্যের সাথেও কারেন্টনিউজ২৪ নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির তথ্যের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া এ বিষয়ে বাংলানিউজ২৪ নামক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে গত ০৬ আগস্টে ‘সাভারে সহিংসতায় পুলিশসহ নিহত ৩৩’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকেও একইরকম তথ্য জানা যায়। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত সংবাদটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং প্রায় ৭ মাস পুরোনো।

এছাড়া, আলোচিত দাবির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে সাম্প্রতিক সময়ে সাভার-আশুলিয়ায় গুলি ও সহিংসতায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে কোনো সংবাদ গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, প্রায় ৭ মাস আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার-আশুলিয়ায় ৩৩ জন নিহতের পুরোনো সংবাদ সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ভারতের অভিনেত্রীর বক্ষ উন্মুক্তের ভিডিও বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি দেশে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন অভিযোগে সমালোচনা চলছে সর্বত্র। এরই প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও এবং স্থির চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যাতে দেখা যায়, এক নারী তার বক্ষ উন্মুক্ত করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। দাবি করা হচ্ছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এই ঘটনাটি বাংলাদেশের। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ইউটিউবের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বক্ষ উন্মুক্তের ঘটনা দাবির এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং ২০২০ সালে ভারতের এই নারী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করেন। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কিনকিনি সেনগুপ্তা সরকার নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ১০ মে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor scanner 

কিনকিনির ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি ভারতের একজন অভিনেত্রী। থাকেন কলকাতায়। এই ভিডিওটি তিনি করোনার লকডাউন চলাকালীন করেছিলেন। 

অর্থাৎ, ভিডিওটি যে বাংলাদেশের নয় তা নিশ্চিত। 

সুতরাং, ধর্ষণের প্রতিবাদের ভারতের অভিনেত্রীর বক্ষ উন্মুক্তের ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ৩ দিনে ৩২৬ জন নিহতের সংবাদ সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “ব্রেকিং নিউজ : দেশে সেদিন ব্যাপক গোলাগু..লি ও সংঘ..র্ষে ৩ দিনেই ৩২৬ জন নি..হত —বিস্তারিত কমেন্টে”।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩ দিনে ৩২৬ জন নিহত হওয়ার খবরটি ব্রেকিং নিউজ বা সম্প্রতি ঘটেনি বরং গত ৪-৬ আগস্টে বিগত সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় ৩২৬ জন নিহত হওয়ার খবরটি সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোর মন্তব্য সেকশন পর্যবেক্ষণ করলে তাতে দাবিটির সপক্ষে তথ্যসূত্র হিসেবে ‘প্রিয়বাংলা২৪’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ‘তিন দিনেই নিহত ৩২৬ জন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক সংযুক্ত করতে দেখা যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনটি পড়লে জানা যায়, “সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় তিন দিনেই (৪-৬ আগস্ট) অন্তত ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক, পুলিশের সদস্য, শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মী বেশি। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই তিন দিনে পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার পুলিশকেও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। আবার বিক্ষোভকারী ও প্রতিপক্ষের হামলা এবং অগ্নিসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।” এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসেবে প্রথম আলো উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, প্রচারিত দাবিটিতে দাবিটির সপক্ষে সংযুক্ত প্রতিবেদনটিতেই বলা হয়েছে সংবাদটি ৪-৬ আগস্টে নিহতের সংখ্যার। কিন্তু ফেসবুকে সংবাদটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এরই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে মূলধারার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে গত ১২ আগস্টে ‘৪-৬ আগস্ট: তিন দিনেই নিহত ৩২৬ জন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনটিতে একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, “মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪ থেকে ৬ আগস্ট (রবি থেকে মঙ্গলবার) সময়ে নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলটির নেতা, কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন অন্তত ৮৭ জন। পুলিশ সদস্য রয়েছেন ৩৬ জন। বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার সদস্য রয়েছেন একজন করে।

…৪ থেকে ৬ আগস্ট সময়ে নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়তেন। এ সময়ে নিহতদের মধ্যে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ জন নেতা, কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন। ৩২৬ জনের মধ্যে বাকি ১৬৮ জনের সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই অথবা জানা যায়নি। ৪২ জনের পরিচয়ই এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।”

এছাড়া, আলোচিত দাবির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে সাম্প্রতিক সময়ে ৩ দিনে ৩২৬ জন নিহত হওয়ার কোনো সংবাদ গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, গত ৪-৬ আগস্টে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় ৩২৬ জন নিহত হওয়ার খবরটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সময়ের সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

পতিতা পল্লী থেকে জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারের ছবি প্রচার 

0

সম্প্রতি, পতিতা পল্লী থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গ্রেফতার হয়েছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পতিতা পল্লী থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গ্রেফতার হওয়ার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, পতিতা পল্লীতে আত্মগোপনে থাকা জামালপুরের আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার আটক হওয়ার ঘটনার ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক কালের কণ্ঠ-এর ওয়েবসাইটে গত ৩১ জানুয়ারি পতিতা পল্লী থেকে ২ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ব্যক্তিদের ছবির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত আটক ব্যক্তিদের চেহারা ও ছবির পারিপার্শ্বিক বিষয়বস্তুর  মিল রয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সম্পৃক্ততা থাকার ঘটনায় করা মামলায় জামালপুরের পতিতা পল্লীতে আত্মগোপনে ছিলেন মেলান্দহ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ পারভেজ মুকুল এবং জামালপুর পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সাল মো. আতিক জানান, তাদের দুজনকে পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ATN News এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩১ জানুয়ারি একই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওতেও একই ব্যক্তিদের দেখতে পাওয়া যায় এবং তাদের সম্পর্কে একই তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পতিতা পল্লী থেকে আটকের ঘটনাকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকে পতিতা পল্লী থেকে আটক করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

ভারতের গয়নার ওয়ার্কশপে ডাকাতির পুরোনো ভিডিও বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার

0

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গয়নার ওয়ার্কশপে রেইনকোট ও মুখোশ পরিহিত দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রবেশ করে এবং কর্মীদের বন্দুক ও কাস্তের মুখে ভয় দেখিয়ে লুটপাট চালায়।

তবে প্রচারিত ভিডিওতে সিসিটিভির তারিখ ইমোজি দিয়ে ঢেকে দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দুকের মুখে গয়নার দোকানে ডাকাতির এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং গত বছরের (২০২৪) জুলাইয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি গয়নার ওয়ার্কশপে ডাকাতির পুরোনো ভিডিও বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Vivek Gupta’ নামের একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই প্রকাশিত একটি পোস্টে একই সিসিটিভি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের হিন্দি ভাষার ক্যাপশন অনুবাদ করলে জানা যায়, এটি ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারায় বন্দুক ও কুঠার হাতে সংঘটিত ডাকাতির সিসিটিভি ফুটেজ। ডাকাতরা ২৬ লাখ রুপির গয়না লুট করে নিয়ে যায়, এবং পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে।

এই পোস্টে সংযুক্ত সিসিটিভি ফুটেজে ২০২৪ সালের ২৮ জুলাইয়ের তারিখ দেখা যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

ভারতের লোকমাত পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার লক্ষ্মীনারায়ণ মার্কেটের একটি গয়নার কর্মশালায় ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই রাতে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সঞ্জয় ও মৃত্যুঞ্জয় মায়ান্তি নামের অলংকার নির্মাতা দুই ভাইয়ের ওয়ার্কশপে রেইনকোট ও মুখোশ পরিহিত দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি প্রবেশ করে এবং কর্মীদের বন্দুকের মুখে জিম্মি করে ৩৭৮ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না লুট করে, যার বাজারমূল্য ২৫ লাখ রুপিরও বেশি। লুটপাটের পর ডাকাতরা কর্মীদের ওয়ার্কশপের ভেতরে আটকে রেখে বাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

সুতরাং, ভারতে গয়নার ওয়ার্কশপে ডাকাতির পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামে এতিম কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধারণামূলক ফটোশুটের ছবি ভাইরাল

0

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ১৩ বছর বয়সী এক এতিম কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক কিশোরীর ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা ভুক্তভোগী কিশোরীর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। তবে কিছু পোস্টে ওই কিশোরীর বয়স ১১ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যম এইদিন-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রামের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং, এগুলো একজন আলোকচিত্রীর পরিকল্পিত ফটোশুটের অংশ।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অনিন্দ্য দে নামের একজন আলোকচিত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একই ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner.

এ বিষয়ে জানতে আলোকচিত্রি জনাব অনিন্দ্য দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, এটি কনসেপচুয়াল ফটোগ্রাফি বা ধারণামূলক আলোকচিত্র। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি শিশু অপহরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি ছবিগুলো তুলেছিলেন এবং সে সময় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ছবিগুলো নতুন করে পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ছবিতে ধর্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অন্তু, আর ভুক্তভোগী কিশোরীর ভূমিকায় রয়েছেন অর্পিতা। তারা দুজনই অনিন্দ্য দে’র ছোট ভাই-বোন।

পরবর্তীতে, অনিন্দ্য দে’র ফেসবুক আইডি থেকে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টে একই ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। 

সুতরাং, চট্টগ্রামে এতিম কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে একজন আলোকচিত্রীর পুরোনো মঞ্চস্থ ফটোশুটের ছবি প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

হালনাগাদ/ Update

২৫ এপ্রিল, ২০২৫ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে দাবিটি এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হলো।

রমজান উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিকাশে ৭০০০ টাকা ভাতা দিবেন শীর্ষক দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রমজান মাস উপলক্ষে মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশে ৭০০০ টাকা ভাতা দিচ্ছেন দাবিতে একটি লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রমজান উপলক্ষ্যে ডঃ ইউনূসের পক্ষ থেকে সবাইকে ৭০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বরং ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভাতা প্রদানের এই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত লিঙ্কটি পর্যবেক্ষণ করলে, উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশের শুরুতে পেজের ভেতরে “রমজান মাসের বিশেষ ভাতা ড. ইউনুস দেশের সকল নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন ৭০০০ টাকা রমজান ভাতা।” শীর্ষক ঘোষণাটি লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার।

পরবর্তীতে একটু নিচে স্ক্রল করলেই ভাতা আবেদনের নিয়মাবলি ও টাকা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। ফর্মটিতে নাম ও জেলা তথ্য আবেদনকারীর কাছে জানতে চাওয়া হয়।

Screenshot : Scamming website

রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন অনুসন্ধানকারী নিরাপত্তাজনিত কারণে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে এটি আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে যায়।

Screenshot : Scamming website

নতুন পেজের শুরুতেই লেখা থাকে “অভিনন্দন, প্রিয় গ্রাহক! আপনি টাকা বোনাস পেয়েছেন। আপনি যে বিকাশে বোনাসের টাকা নিতে চান, নিচে সেই বিকাশ নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দিন।’’। 

কিন্তু, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী এর পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করেননি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে, রমজান মাস উপলক্ষ্যে ৭০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার কোনো ঘোষনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে Chief Adviser GOB ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, রমজান মাস উপলক্ষ্যে ৭০০০ টাকা ভাতা দিবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

হিন্দু নারীদের হাত থেকে শাখা খুলে নেওয়ার দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

0

সম্প্রতি, হিন্দু নারীদের হাত থেকে শাঁখা পলা খুলে নেওয়া হচ্ছে। নারী শিশুদের নির্যাতন করা হচ্ছে! গত ১৬ বছর কী এ বাংলাদেশ দেখেছিলেন, এ কেমন বাংলাদেশ? দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি হিন্দু নারীদের হাত থেকে শাঁখা পলা খুলে নেওয়ার কিংবা নারী শিশুদের নির্যাতন করার কোনো দৃশ্য নয় বরং, ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে আলোচিত দাবিটি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে মূল ধারার গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী কি-ওয়ার্ড সার্চ করে, গত ১০ ফেব্রুয়ারী বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত, ‘শাহবাগে সড়ক অবরোধ করা প্রাথমিকের আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সরাতে পুলিশের জলকামান ও লা’ঠি’চা’র্জ’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারী, আন্দোলনকারী প্রাথমিকের শিক্ষকেরা শাহবাগে জড়ো হলে সড়ক অবরোধ করা প্রাথমিকের আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সরাতে পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। এ বিষয়ে ডেইলি স্টারে একইদিনে প্রকাশিত ‘শাহবাগে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের জলকামান’ প্রতিবেদন থেকেও ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

অর্থাৎ, এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে হিন্দু নারী শিশু অত্যাচারের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র