Home Blog Page 11

অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের ছবি দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের ছবি দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবসময় সক্রিয় থাকেন। তিনি নতুন কোনো ফটোশুট করে থাকলে সেগুলো সাধারণত সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে থাকেন। তাই উক্ত ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে পর্যবেক্ষণে রিউমর স্ক্যানার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো অ্যাকাউন্টে-ই উক্ত ছবির অস্থিত্ব খুঁজে পায়নি।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Cinemalogy : সিনেমালোজি নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২১ জুন প্রচারিত একই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির শিরোনামে উল্লেখ করা হয় উক্ত ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে পরবর্তীতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Hive Moderation এ ছবিটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯ শতাংশ।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ছবিকে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের আসল ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Cinemalogy : সিনেমালোজি Facebook Page Post
  • Hive Moderation

নবাবগঞ্জের কথিত সমন্বয়ক নাছিমা বিন্তে আনিকার এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় মডেলের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘নবাবগঞ্জের ২৪ এর পায়ু যোদ্ধা সমন্বয়ক নাছিমা বিন্তে আনিকার বলি বল দেখুন’ ক্যাপশনে একটি নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওর নারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবাবগঞ্জ কিংবা অন্য কোনো স্থানের সমন্বয়ক নন। বরং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক মডেলের ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Heya Das’ নামক ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ০৬ জুনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

পরবর্তীতে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওর নারীর নাম হিয়া দাস। তিনি একজন বিউটি কেয়ার স্পেশালিস্ট ও মডেল। পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একাধিক ভিডিও পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, তিনি একজন ভারতীয়।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাছিমা বিন্তে আনিকা নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবাবগঞ্জের নাছিমা বিন্তে আনিকা নামক কথিত নারী সমন্বয়কের এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় নারীর ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

বরিশালে পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মুসলিম নারীকে হিন্দু দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘বরিশালে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা: ভোলা রোডের তালুকদার মার্কেটের কাছে জঙ্গল থেকে এক বিবাহিত হিন্দু নারীকে হাত-পা বাঁধা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের সন্দেহ করা হচ্ছে। হিন্দুদের জীবন ক্রমাগত হামলার মুখে। বিশ্ব কবে জাগবে?’- শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

একই দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ দেখুন টিভি নাইন বাংলা

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বরিশালের ভোলায় পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নন। বরং, তিনি মুসলিম। নাম মারিয়া বেগম। 

অনুসন্ধানে ‘খবরের কথা’ নামক একটি সংবাদভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটে গতকাল (২৯ জুন) “বরিশালে পলিথিন প্যাঁচানো হাত পা বাঁধা নারী উদ্ধার”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুন বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাধা ও পলিথিনে পেচানো অবস্থায় এসিডদগ্ধ এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বরিশাল বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই নারীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম আজকের পত্রিকা এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওয়েবসাইটে গতকাল (২৯ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বরিশালে পলিথিনের বস্তার মধ্যে হাত-পা-চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে তালুকদার হাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার গৃহবধূর নাম মারিয়া আক্তার। সে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাকরাল গ্রামের বাসিন্দা ও ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের স্ত্রী।

অর্থাৎ, হাত-পা বাঁধা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারী ও তার পরিবারের সদস্যের নাম দেখে এটা নিশ্চিত যে,তিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

সুতরাং, বরিশালে পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক মুসলিম নারীকে এক্সে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

ওয়ারীর কথিত মুখ্য সমন্বয়ক দাবিতে ভিনদেশি নারীর এডাল্ট ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি ওয়ারীর মুখ্য সমন্বয়ক সুচনা তাসনিম বিন্তির ভিডিও।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওয়ারী কিংবা অন্য কোনো এলাকার নারী সমন্বয়কের নয় বরং, ইন্টারনেট থেকে ‘বিনি’ নামের ভিনদেশি এক নারীর ভিডিও সংগ্রহ করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘binnie__here’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৮ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত নারীর আরো অনেক ছবিভিডিও পাওয়া যায়। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি ‘বিনি’ নামক উক্ত নারীর। 

পরবর্তীতে উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির অ্যাবাউট সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় অ্যাকাউন্টটি মূলত কানাডা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আলোচিত ভিডিওটিসহ উক্ত নারীর নানা ভিডিওতে “নেপালি” হ্যাশট্যাগটিও দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rumor Scanner/Instagram

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি জুলাই আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুচনা তাসনিম বিন্তি নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ‘বিনি’ নামের ভিনদেশি এক নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা ওয়ারীর কথিত মুখ্য সমন্বয়ক সুচনা তাসনিম বিন্তির ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

তারেক রহমানকে বাটপার বলেননি নুরুল হক নুর, জনকণ্ঠের নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর “মানুষ এত বড় বাটপার হয়, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে দৈনিক জনকণ্ঠের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নুরুল হক নুর আলোচিত মন্তব্যটি করেননি এবং উক্ত শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠও কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, নুরুল হক নুরের ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত জনকণ্ঠের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে জনকণ্ঠের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ ২২ জুন ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে।

তবে জনকণ্ঠের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদের অস্তিত্ব মেলেনি। পাশাপাশি কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম থেকেও এ ধরনের মন্তব্যের তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে, ওই দিন জনকণ্ঠের ফেসবুক পেজে “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না: নুরুল হক নূর” শীর্ষক একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। এই ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ছবি আলোচিত ফটোকার্ডের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। মূল ফটোকার্ডের শিরোনামে “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে” অংশটির পরিবর্তে “মানুষ এত বড় বাটপার হয়” বসিয়ে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner.

এ বিষয়ে জনকণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে নুরুল হক নুর বলেন, “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না।”  

সুতরাং, নুরুল হক নুর “মানুষ এত বড় বাটপার হয়, তারেক রাহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে জনকণ্ঠের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

জামায়াত ও শিবির নেতার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দাবিতে পাকিস্তানের মাদ্রাসা শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের ভিডিও প্রচার 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নেতার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আপত্তিকর অবস্থার ভিডিওটি জামায়াতও ছাত্রশিবির  নেতার নয় বরং, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২১ সালে পাকিস্তানের এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও।

অনুসন্ধানে Muhbir নামক একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২২ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর চারটি ছবি যুক্ত করে প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিগুলোতে থাকা ব্যক্তি, স্থান এবং পোশাকের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টে বলা হয়, দৃশ্যটি পাকিস্তানের এক ধর্মীয় নেতা কর্তৃক তার শিষ্যর সাথে সমকামির দৃশ্য এটি। 

এই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে পাকিস্তানের গণমাধ্যম The Express Tribune এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ১৫ জুন “70-year-old madrassa teacher under fire after student leaks ‘molestation’ video”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথেও আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Screenshot: The Express Tribune

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ জুন রাতে ৭০ বছর বয়সী ধর্মীয় নেতা এবং লাহোরের জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের ভাইস-আমির মুফতি আজিজুর রহমান কর্তৃক তার শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে মুফতি আজিজুর রহমানের দাবি এটি তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি পাকিস্তানের।

সুতরাং, ২০২১ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের লাহোরে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক তার শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতার অন্তরঙ্গ অবস্থার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

পারিবারিক কলহের ভিডিও চাঁদা না দেওয়ায় ভবন মালিকের ওপর জামায়াত ক্যাডারের হামলার দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, কক্সবাজারের রামুতে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে বিল্ডিং থেকে ফেলে দিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু দাবি দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার কর্তৃক বাড়ির মালিককে ভবন থেকে ফেলে দেওয়ার কোনো ঘটনার নয়। বরং, এটি চলতি বছরের মার্চে কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজা শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে জানানো হয়, রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর শ্রীকুল এলাকায় সন্তোষ বড়ুয়া ও তার সৎভাই রনোতোষ বড়ুয়ার মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের একপর্যায়ে ৮ মার্চ সকালে সন্তোষ বড়ুয়ার জাপানপ্রবাসী ছেলে শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এতে রনোতোষ বড়ুয়া গুরুতর আহত হন। এটিএন নিউজের প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner.

একই বিষয়ে কক্সবাজারভিত্তিক দ্য টেরিটোরিয়াল নিউজ (টিটিএন)-এর ফেসবুক পেজে ৯ মার্চ প্রকাশিত আরেকটি ভিডিও প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী রনোতোষ বড়ুয়া, তার স্ত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়। কেউই ঘটনাটির সঙ্গে কোনো জামায়াত ক্যাডারের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। বরং, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি একটি পারিবারিক বিরোধের ঘটনা।

রামুর স্থানীয় গণমাধ্যম ‘রামু খবর ২৪’-এর ফেসবুক পেজেও একই দিন এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

সুতরাং, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের একটি ভিডিওকে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে ফেলে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গাজায় চার ইসরায়েলি সৈনিক আটকের দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, ফিলিস্তিনের গাজায় মুজাহিদীনরা চারজন ইসরায়েলি সৈনিককে আটক করেছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজায় চারজন ইসরায়েলি সৈনিক আটক হওয়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয়। প্রকৃতপক্ষে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করা যায়, ইসরায়েলি সৈনিক দাবিতে যাদের উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের ভেস্টের দৃশ্যমান অংশের লেখাগুলো অসামঞ্জ্যপূর্ণ। লেখাগুলো কোন ভাষায় লেখা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। সাধারণত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় কোনো ছবি তৈরি করা হলে সেখানে লেখা সংক্রান্ত এই জটিলতা দেখা যায়। এছাড়াও ছবিটিতে আটক ব্যক্তিদের হাত ব্লার করে দেওয়া হয়েছে। এআই জেনারেটেড মানুষের ছবিগুলোতে সাধারণত হাতের বিকৃতি লক্ষ্য করা যায়। যা থেকে ছবিটি এআইয়ের সহায়তায় তৈরি কিনা তা সহজেই যাচাই করা সম্ভব হয়ে থাকে। তবে ছবিটির উক্ত অংশ ব্লার থাকায় ছবিটি এআই সম্ভাব্যতা বাড়িয়ে তোলে।

বিষয়টি আরও নিশ্চিতের জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Hugging Face AI এ ছবিটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।

পরবর্তীতে সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলি সৈনিক আটক হওয়ার বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ছবিকে গাজায় ইসরায়েলি সৈনিক আটকের হওয়ার ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Hugging Face AI
  • Rumor Scanner’s Analysis

মেয়েকে বাঁচানোর জন্য বাবার আর্তনাদের ঘটনা দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাজানো

সম্প্রতি “বরগুনার পাথরঘাটা গোলচাত্তরে হঠাৎ এই দৃশ্য। সকলে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউব পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি উক্ত দাবিতে ফেসবুক সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় ৩৬ লক্ষবার দেখা হয়েছে। প্রায় ৭১ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট বা পেজ থেকে ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজারবার।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আর্তনাদের দৃশ্যের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য কোনো ঘটনার নয় বরং, স্ক্রিপ্টেড বা অভিনীত ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘NOYON FUNNY TV’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ২০ জুন ‘মুন্নি | Munni | Noyon | Tabassum | Web Series 2025 | Bangla Natok 2025 | Noyon Funny Tv’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড থেকে ৩৩ মিনিট ৫ সেকেন্ড অংশের হুবুহু মিল রয়েছে৷

এছাড়া, উক্ত ভিডিও প্রচারকারী চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এটি একটি কনটেন্ট ক্রিয়েশন চ্যানেল। তারা বিভিন্ন ধরণের বিনোদনমূলক ভিডিও (,,)  বানিয়ে থাকেন। আলোচিত ভিডিওটিও নাটকের জন্য ধারণকৃত অভিনয়ের অংশ।

সুতরাং, মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আর্তনাদের বাস্তব ঘটনা দাবিতে একটি স্ক্রিপ্টেড বা সাজানো ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

হামজা চৌধুরী দাবিতে করিম আদেয়েমির পারফরম্যান্সের ভিডিও প্রচার


সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর ফুটবল খেলার দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি হামজা চৌধুরীর নয়। বরং, এটি চলতি বছরের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে জার্মান ফুটবলার করিম আদেয়েমির পারফরম্যান্সের ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘FULL TIME’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৮ জুন তারিখে ‘Karim Adeyemi Frustrated vs Barcelona | UCL Quarter-Final 2025’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলির সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই ভিডিওর ০০:০২ থেকে ০০:১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশ আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই দৃশ্যে দেখা যায়, বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ২৭ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় করিম আদেয়েমি বার্সেলোনার ফরাসি ডিফেন্ডার জুল কুন্দের বিপক্ষে খেলছেন।

ভিডিওটির বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, এটি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নসলিগ কোয়ার্টার ফাইনালের একটি মুহূর্ত, যেখানে বার্সেলোনা ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে। উক্ত দাবির ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়নসলিগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া ম্যাচ রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ম্যাচে করিম আদেয়েমি ও জুল কুন্দে উভয়ই অংশগ্রহণ করেছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মধ্যকার ম্যাচে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর হামজা চৌধুরীর খেলার সম্ভাবনা নেই। তাদের চেহারা এবং চুলের স্টাইলে কিছুটা সাদৃশ্য থাকায় এই দাবির সূত্রপাত ঘটেছে বলে অনুমেয়।

সুতরাং, হামজা চৌধুরীর পারফরম্যান্সের দৃশ্য দাবিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে করিম আদেয়েমির পারফরম্যান্সের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র