Home Blog Page 11

বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ২০২৩ সালের

0

সম্প্রতি, সিঙ্গাপুর থেকে আগত এক ব্যক্তি তার স্বর্ণ চুরির অভিযোগ তুলে আর্তনাদ করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পোস্টগুলোতে ঘটনাটির নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ না করায় ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের বলেই ধরে নিচ্ছেন নেটিজেনরা৷ 

উক্ত ভিডিওটি যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সিঙ্গাপুর থেকে আগত এক ব্যক্তি তার স্বর্ণ চুরির অভিযোগে আর্তনাদ করার ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, এটি ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ভিডিও।

অনুসন্ধানে যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি এবং দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি এবং দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, আর্তনাদ করা ব্যক্তি সিঙ্গাপুর প্রবাসী। সেসময় বিমানবন্দরে তার স্বর্ণ রেখে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলে তিনি। 

এছাড়া, সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে একই তারিখে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আসা একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার সহ দামী জিনিসপত্র রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় যাত্রীরা আর্তনাদ করতে থাকেন। সেই সময়কার দৃশ্য এটি। 

অর্থাৎ, বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের দৃশ্যটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

উল্লেখ্য, গত ০৩ জুন দিবাগত রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর হট্টগোল, গালিগালাজ ও উত্তেজনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। যদিও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাবি ঐ ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে।

সুতরাং, ২০২৩ সালে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের লাগেজ থেকে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ তুলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তির আর্তনাদের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

নির্বাচন ইস্যুতে যমুনা টিভির সম্পাদিত ফটোকার্ডে ভারতকে জড়িয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা হয়েছে, এতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি কারণ ইন্ডিয়া ডিসেম্বর নির্বাচন চায়’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর চায় দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে পারার দাবি সংক্রান্ত তার ভিন্ন আরেকটি মন্তব্য সম্বলিত যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার এতে যমুনা টিভির লোগো দেখতে পায়। তবে এতে ফটোকার্ডটি প্রকাশের কোনো তারিখের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি দেশের অন্য গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।

তবে, গত ৬ জুন যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে, এত জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি; সরকার চাইলে জানুয়ারির মধ্যে ভোট দিতে পারতো শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে শিরোনাম ব্যতীত উক্ত ফটোকার্ডের সকল উপাদানের মিল রয়েছে। উভয় ফটোকার্ডে থাকা সালাহউদ্দিন আহমদের মন্তব্যের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। মূলত, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে মূল ফটোকার্ডের পুরো মন্তব্যের অংশ ভিন্ন ফন্টে নতুন করে লেখা হলেও তার মন্তব্যের ‘নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে, এত জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি’ শীর্ষক প্রথম অংশ ঠিক রেখে শেষের অংশ পরিবর্তন করে ‘সরকার চাইলে জানুয়ারির মধ্যে ভোট দিতে পারতো’ স্থলে ‘কারণ ইন্ডিয়া ডিসেম্বর নির্বাচন চায়’ শীর্ষক অংশ যুক্ত করা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টেলিভিশন-এর এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের মন্তব্যের ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর কোথাও এই বিএনপি নেতাকে ভারত ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন চায় শীর্ষক কোনো মন্তব্যটি করতে শোনা যায়নি। 

সুতরাং, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে উদ্ধৃত করে ‘নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা হয়েছে, এতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি কারণ ইন্ডিয়া ডিসেম্বর নির্বাচন চায়’ শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না শীর্ষক মন্তব্য করেননি শামসুজ্জামান দুদু 

সম্প্রতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু “ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না’ মন্তব্যটি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের মন্তব্য। ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শামসুজ্জামান দুদু একটি ভিডিওতে বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি জয়শঙ্করের মন্তব্যটি উদ্ধৃত করেন। পরবর্তীতে ভিডিওর সেই খণ্ডিত অংশ বিচ্ছিন্নভাবে প্রচার করে উক্তিটি তার নিজের বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে শামসুজ্জামান দুদুর ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে গত ১০ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। এক মিনিটের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, “মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি, তাকে কী বলে? ডায়নি। মি. জয়শঙ্কর, এমন একটা উক্তি করেছেন ‘ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না।’ মি. জয়শঙ্কর, তিনটা নির্বাচন আপনি যা খুশি, আপনার দেশ করেছে। সেটা কি ভালো কাজ হয়েছে? কক্ষণো না। তারপরও আমরা কিছু বলিনি, বলেছি গণতন্ত্রে ফেরার জন্য। আপনারা ততই ফ্যাসিজমকে সমর্থন করেছেন….”

Comparison: Rumor Scanner

তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপট জানতে গিয়ে গত ১০ এপ্রিল ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে রাইজিং ইন্ডিয়া সম্মেলনে নিউজ১৮ টিভি আয়োজিত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ অধিবেশনে অংশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের ভালো ভারতের চেয়ে বেশি আর কোনো দেশ চায় না।”

অর্থাৎ, “ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না” শীর্ষক মন্তব্যটি শামসুজ্জামান দুদুর নিজস্ব মন্তব্য নয়; বরং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের দেওয়া একটি মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে তার সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সুতরাং, শামসুজ্জামান দুদু ‘ভারতের থেকে আর কেউ বেশি বাংলাদেশের ভালো চায় না’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

লন্ডনে ড. ইউনূসকে জুতাপেটা করা হয়েছে দাবিতে কালবেলার সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

গত ৯ জুন যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই প্রেক্ষিতে “লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাকে জুতা পেটা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলার ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে  (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জুতাপেটা করা হয়েছে দাবিতে কালবেলা কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে কালবেলার ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে কালবেলার লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১০জুন, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

কালবেলার লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, কালবেলার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ১০ জুন গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক সরকার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। কালবেলার মূল ফটোকার্ডটিতে ‘মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক সরকার’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাকে জুতা পেটা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

Photocard Comparison By Rumor Scanner

অর্থাৎ, কালবেলার এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত কালবেলার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে রোববার (০৮ জুন) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।”

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাকে জুতা পেটা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ” শিরোনামে কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে রুহুল কবির রিজভীকে উদ্ধৃত করে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে ‘সালাউদ্দিন সাহেব ভারতে থাকাকালীন; তিনি ‘র’ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সালাহউদ্দিন সম্পর্কে রুহুল কবির রিজভী আলোচিত মন্তব্যটি করেননি। এছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রচার করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, রুহুল কবির রিজভীর ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত বিএনপির ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপির নামক, লোগো এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখতে পায়। এছাড়াও এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৫ জুন ২০২৫ এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে গত ৫ জুন রুহুল কবির রিজভীর শীর্ষক মন্তব্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২২ মে বিএনপির ফেসবুক পেজে রুহুল কবির রিজভীর ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ সুকৌশলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনকে অনিরাপদ করে তুলতে চায়’ শীর্ষক মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের রিজভীর ছবি ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যাকগ্রাউন্ডের হুবহু মিল রয়েছে। পাশাপাশি উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্ট ও প্রকাশের তারিখের ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ, এ থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, উক্ত ফটোকার্ডের নাম ও প্রকাশের তারিখ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিবর্তন করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজ থেকে গত ৭ জুন প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। রুহুল কবির রিজভী এমন কোনো মন্তব্য করেননি বলেও বিজ্ঞপ্তিটির মাধ্যমে জানানো হয়।

এছাড়া, রুহুল কবির রিজভী সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেছেন কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, রুহুল কবির রিজভীকে উদ্ধৃত করে ‘সালাউদ্দিন সাহেব ভারতে থাকাকালীন; তিনি ‘র’ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ শীর্ষক দাবিতে  বিএনপির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথসূত্র

ডিবিসির নকল ফটোকার্ডে নির্বাচন ইস্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে সেইটা সরকার বুঝেনা – সালাউদ্দীন কাদের’ শীর্ষক শিরোনামে এই বক্তব্যদাতা হিসেবে জনৈক সালাউদ্দিন কাদেরের নাম উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর ছবি এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচন নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি বিএনপিতে বর্তমানে সালাউদ্দিন কাদের নামে কোনো নেতৃস্থানীয় নেই যিনি এমন মন্তব্য করেছেন এবং উক্ত শিরোনামে বা তথ্যে ডিবিসি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিবিসি নিউজ এর ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে  ডিবিসি নিউজ এর লোগো দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ডিবিসি নিউজ এর এর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, ডিবিসি নিউজ এর ফেসবুক পেজে গত ৩০ মে ‘শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। ডিবিসি এর মূল ফটোকার্ডটিতে ‘শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে সেইটা সরকার বুঝেনা – সালাউদ্দীন কাদের’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। তাছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে ডিবিসি নিউজ এর ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের অমিল রয়েছে। এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সালাউদ্দিন কাদের হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ডিবিসি নিউজ এর এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত ফটোকার্ড সম্বলিত ডিবিসি নিউজ এর পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘পুরো জাতি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা কেন বিএনপিকে নির্বাচন নিয়ে দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ৩০ মে রাজধানীর খামারবাড়ির টি এন্ড টি মাঠের সামনে দুস্থদের সহায়তা প্রদান শেষে একথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সকল দলই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই বিএনপি নেতা।’

সুতরাং, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে সেইটা সরকার বুঝেনা’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ডিবিসি নিউজ এর নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ড. ইউনূসের সাথে তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না দাবিতে সংবাদ দেয়নি ইনকিলাব

0

১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বৈঠকে হওয়ার কথা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে, ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না! নির্বাচন ইস্যুতে অনড় অবস্থানে তারেক রহমান: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাব এর লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না! নির্বাচন ইস্যুতে অনড় অবস্থানে তারেক রহমান: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাব কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় দৈনিক ইনকিলাব এর ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে দৈনিক ইনকিলাব এর লোগো দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে দৈনিক ইনকিলাব এর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে ’তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না’ দাবিটি বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, দৈনিক ইনকিলাব এর ফেসবুক পেজে গত ১০ জুন ‘নির্বাচন ইস্যুতে অনড় অবস্থানে তারেক রহমান: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনামের ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না!’ শীর্ষক অংশ ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে।

দৈনিক ইনকিলাব এর মূল ফটোকার্ডটিতে ‘নির্বাচন ইস্যুতে অনড় অবস্থানে তারেক রহমান: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এং অংশ ছাড়াও ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না!’ অংশটুকু যুক্ত করা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে দৈনিক ইনকিলাব এর ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত ফটোকার্ড সম্বলিত দৈনিক ইনকিলাবের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচন ইস্যুতে কোন ছাড় দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবশালী অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারা কুকের মধ্যস্থতায় তদবির করেছেন বলে বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায়। উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে ঈদুল আজহার ভাষণের আগ হতেই সালেহ্উদ্দিনের সাথে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা চলছিল বলে সূত্র উল্লেখ করে। হঠাৎ করেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের সময় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণার পরপরই বিএনপি অনুধাবন করে আলোচনার ফলাফল ‘শূন্য’! তবে বিএনপির শীর্ষ নেতা ও প্রধান উপদেষ্টা দুজনেই আলোচনার মাধ্যমে দিনক্ষণ পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে তারেক রহমানের আসন্ন বৈঠকে ফলাফল ‘পজেটিভ’ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।’

এছাড়াও উল্লেখ করা হয়, ‘লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আগামী ১৩ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। মির্জা ফখরুল জানান, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যে হোটেলে থাকবেন সেখানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।’

তবে, প্রতিবেদনটিতে ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না’ এমন কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘তারেক রহমান সাক্ষাৎ করবেন না! নির্বাচন ইস্যুতে অনড় অবস্থানে তারেক রহমান: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবের নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

নেতা কর্মীর ভোটেই জিতে যাবে বিএনপি শীর্ষক মন্তব্য করেননি শামসুজ্জামান দুদু

0

সম্প্রতি, ‘জনগন বিএনপিকে ভোট না দিলেও বিএনপির নেতা কর্মীর ভোটেই জিতে যাবে বিএনপি – দুদু’ শীর্ষক শিরোনামে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এর ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ‘জনগন বিএনপিকে ভোট না দিলেও বিএনপির নেতা কর্মীর ভোটেই জিতে যাবে বিএনপি’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং, কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই শামসুজ্জামান দুদুকে উদ্ধৃত করে তার ছবি যুক্ত আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট পর্যবেক্ষণ করলে তাতে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো বা নামেরও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে৷ তবে, প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটিতে এমন কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোর উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

তবে, পরবর্তী ফটোকার্ডটির ডিজাইন এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বার্তা বাজার এর ফেসবুক পেজে গত ২৯ মে ‘নির্বাচনের ডেট না দিলে, বিএনপিই ডেট দিয়ে দেবে : দুদু’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটির ডিজাইনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ড এর ডিজাইনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে বার্তা বাজারের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত ফটোকার্ড সম্বলিত বার্তা বাজারের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নেতা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। আপনি যদি ডেট দিতে না পারেন, আরেকটু অপেক্ষা করেন, আমরাই ডেট দিয়ে দেবো।’ গত ২৯ মে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান শীর্ষক খুলনা মহানগর বিএনপির আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আপনাদের যারা কর্মচারী-এখানে পুলিশ, প্রশাসন যারা দেশের মানুষের অর্থে চলে, আর সেখানে আপনি যদি নববধূর মতো আচরণ করেন; তাহলে আমরা কী করবো। আমাদের তো একটা ডেট দরকার, দরকার না। এখন পাত্রী আমরা দেখতে গেছি, পছন্দ হইছে। একটা দিন বলতে হবে না।”

পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘জনগন বিএনপিকে ভোট না দিলেও বিএনপির নেতা কর্মীর ভোটেই জিতে যাবে বিএনপি’ শীর্ষক মন্তব্য শামসুজ্জামান দুদু করেছে কিনা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে উদ্ধৃত করে ‘জনগন বিএনপিকে ভোট না দিলেও বিএনপির নেতা কর্মীর ভোটেই জিতে যাবে বিএনপি’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী চায় এনসিপি শীর্ষক দাবিতে সংবাদ দেয়নি বাংলা ট্রিবিউন, সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী চায় NCP’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনের প্রচলিত ডিজাইনের আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংক্রান্ত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বাংলা ট্রিবিউনের লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ ০৩ জুন, ২০২৫ উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে গত ০৩ জুন ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সভাপতি বিরোধী দল থেকে চায় এনসিপি’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনের মূল ফটোকার্ডটিতে ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সভাপতি বিরোধী দল থেকে চায় এনসিপি’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী চায় NCP’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত বাংলা ট্রিবিউনের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রস্তাবিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাইরে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর সভাপতি পদ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ৩ জুন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে এসব কথা জানান এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী চায় NCP’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

যে কোনো সময় দেশে ঢুকতে পারেন শেখ হাসিনা শীর্ষক দাবিতে সংবাদ প্রচার করেনি চ্যানেল২৪, প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি, ‘যে কোন সময় দেশ এ ডুকতে পারেন শেখ হাসিনা তাই দেশ ত্যাগ করতে চাইছেন ড.ইউনূস’ শিরোনামে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানেএখানেএখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত শিরোনামে চ্যানেল২৪ কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, শেখ হাসিনা সংক্রান্ত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে চ্যানেল২৪ এর লোগো এবং এটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে চ্যানেল২৪ এর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, চ্যানেল২৪ এর ফেসবুক পেজে গত ০৫ জুন ‘যে রায়ের পর পতন হয় শেখ হাসিনার’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। চ্যানেল২৪ এর মূল ফটোকার্ডটিতে ‘যে রায়ের পর পতন হয় শেখ হাসিনার’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘যে কোন সময় দেশ এ ডুকতে পারেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চ্যানেল২৪ এর ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত চ্যানেল২৪ এর পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, প্রতিবেদনটিতে মূলত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের পক্ষে রায় ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘যে কোন সময় দেশ এ ডুকতে পারেন শেখ হাসিনা তাই দেশ ত্যাগ করতে চাইছেন ড.ইউনূস’ শিরোনামে চ্যানেল২৪ এর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র