নতুন শিক্ষা কারিকুলাম: ভুল তথ্য যাচাইয়ে স্বীকৃতি পেল রিউমর স্ক্যানার

বাংলাদেশে চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে নতুন একটি শিক্ষা কারিকুলাম বা পাঠ্যক্রম চালু করেছে সরকার। আগামী বছর থেকে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণিতে এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতেও এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেশকিছু পরিবর্তন আসবে, নতুনত্ব আসবে পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।  

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে পড়ানোর পাশাপাশি মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শেখাতেই নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে। 

কিন্তু এ নিয়ে আলোচনা থামছে না। শিক্ষাক্রম বিষয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে গত নভেম্বর থেকে ভুল তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম৷ বিশেষ করে নভেম্বরের শেষ দিকে এসে বেশ কিছু ভিডিও ইন্টারনেটে রীতিমতো ভাইরাল আকার ধারণ করেছিল যেগুলোকে নতুন শিক্ষা কারিকুলামের অধীনে শিক্ষক প্রশিক্ষণের দৃশ্য বলে দাবি করা হচ্ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক গ্রুপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়ে যাচাইয়ের অনুরোধ আসার প্রেক্ষিতে আমরা ভিডিওগুলো নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। 

ফেসবুকের মনিটরিং টুল এবং ম্যানুয়াল অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার টিম দেখেছে, নভেম্বরের শেষদিক থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সর্বাধিক ভাইরাল হয়েছে। টিলিং টিলিং সাইকেল চলাই শিরোনামের এই ভিডিওতে একটি শ্রেণীকক্ষে একদল নারী-পুরুষের টিলিং টিলিং ছাইকেল চলাই শীর্ষক একটি ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যাচ্ছিল৷ আমরা ০৪ ডিসেম্বর সকালে যখন এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক ভিডিও প্রকাশ করি সেসময়ের মধ্যেই আলোচিত এই ভিডিওটি ফেসবুকেই প্রায় এক কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন। বিশাল সংখ্যক এই মানুষের কাছে ভিডিওটি নতুন শিক্ষা কারিকুলামের অধীনে শিক্ষক প্রশিক্ষণের দৃশ্য হিসেবেই ভিডিওটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। 

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম
Screenshot: Facebook

আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পাই, ভিডিওটি বাংলাদেশেরই নয়। গত ১৭ নভেম্বর ভারতের আসামের শিক্ষক রতন লাল সাহা তার ফেসবুক পেজে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট টিলিং টিলিং চাইকেল চলাই শীর্ষক একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। উক্ত ভিডিওকে সম্প্রতি বাংলাদেশের নতুন শিক্ষা কারিকুলামের প্রশিক্ষণের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

আমাদের প্রচারিত এ সংক্রান্ত ফ্যাক্টচেক ভিডিওটি ফেসবুকে রিউমর স্ক্যানারের পেজসহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে রি-পোস্টের মাধ্যমে এখন অবধি প্রায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষ দেখেছেন৷ 

এই ফ্যাক্টচেক প্রকাশের পর রিউমর স্ক্যানার টিম এ বিষয়ে আরো একাধিক ভিডিও যাচাইয়ের অনুরোধ পেয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ভিডিও আলাদাভাবে অনুসন্ধান করে আমরা দেখেছি, দুটোই কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানের এবং নিশ্চিতভাবেই এগুলোর সাথেও নতুন শিক্ষা কারিকুলামের কোনো সম্পর্কই নেই। 

প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, একদল নারী-পুরুষের ব্যাঙ নৃত্যের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

Screenshot: Facebook

আমরা যখন এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করি, তখন এই ভিডিও সম্বলিত একটি পোস্টই প্রায় ৩১ লক্ষাধিক মানুষ দেখেছেন। আমরা ভিডিওতে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় থাকা ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মনতলী সরকারি প্রাথমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইয়াছিন। আমরা তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি এবং প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধানের পর নিশ্চিত হয়েছি যে, গত ২৮ নভেম্বর কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে (পিটিআই) কাব স্কাউটের এক প্রশিক্ষণে  আলোচিত একটি ব্যাঙ নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। এই প্রশিক্ষণেরই দৃশ্য এটি। 

এই বিষয়ে অনুসন্ধান চলাকালীনই আরেকটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে দেখা যায়, যেখানে একদল নারী-পুরুষের ঝিংগা লালা হু শীর্ষক শব্দগুচ্ছ উচ্চারণের মাধ্যমে জংলী সদৃশ পোশাকে নৃত্য করছেন।

Screenshot: Facebook

একটি পোস্টের মাধ্যমেই এই ভিডিওটি প্রায় ১০ লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে, শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বার।

আমরা যাচাই করে দেখেছি, কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে (পিটিআই) কাব স্কাউটের গত নভেম্বরের একই প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠানের দৃশ্য এটি৷ 

ভাইরাল এই ভিডিওতে থাকা আব্দুর রহিম স্বপন নামের এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম। জনাব স্বপন আমাদের কাছে ঐ দিনের অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে কোনো প্রশিক্ষণের ঘটনা নয়।

আমাদের নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিংয়ে মাধ্যমে আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কতিপয় নারী-পুরুষ প্যাঁক প্যাঁক শীর্ষক হাঁসের ডাকের শব্দগুচ্ছ উচ্চারণের মাধ্যমে হাঁসের চলার মতো ভঙ্গি করছেন, এমন একটি দৃশ্য ছিল এই ভিডিওতে। দাবি করা হচ্ছিল, এটিও বাংলাদেশ সরকারের নতুন শিক্ষা কারিকুলামের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দৃশ্য।

Screenshot: Facebook

আমরা যাচাই করে দেখেছি, ২০২২ সালের শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল গণিত বইয়ের বিষয়গুলো সহজ ও আনন্দের সাথে শিক্ষার্থীদের শেখাতে গণিত অলিম্পিয়াডের আদলে এই শিখন কৌশলটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল৷ তবে এটি এখন আর দেওয়া হচ্ছে না, আর নতুন শিক্ষা কারিকুলামেও এই বিষয়টির উল্লেখ নেই। নওগাঁর বদলগাছিতে উক্ত প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এমন একজন শিক্ষকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তাছাড়া, চতুর্থ শ্রেণির ‘আনন্দে গণিত শিখি-কনটেন্ট ডেলিভারি বুক’-এ প্যাকঁ প্যাকেঁর এই শিখন কৌশলের বিষয়ে (৮৩ পৃষ্ঠায়) উল্লেখ রয়েছে। তবে এটি মূল পাঠ্যবইয়ের অংশ নয়৷ চতুর্থ শ্রেণির গণিত বইয়েও এই বিষয়টির উল্লেখ নেই। মজার বিষয় হচ্ছে, এই শ্রেণিতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী বছর। তাই ২০২২ সালে এটির প্রশিক্ষণ হওয়াও অবান্তর। 

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে শুধু যে বাংলা ভাষা কেন্দ্রিক ভিডিও-ই বিভ্রান্তির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে তা নয়, কতিপয় নারী-পুরুষ একটি হিন্দি ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে গোল হয়ে নৃত্য করছেন এমন দৃশ্যের একটি ভিডিও প্রচার করে এটিকেও বাংলাদেশের সরকারের নতুন শিক্ষা কারিকুলামের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দৃশ্য বলে দাবি করা হয়েছে। 

Screenshot: Facebook

আমরা এই ভিডিও নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান করেছি, পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি ভিডিওটির মূল সূত্রে। এই ভিডিও গেল কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানে প্রচার হয়ে আসতে দেখা গেছে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক ফ্যাক্টচেকারের সাথে। পাকিস্তানের একজন ফ্যাক্টচেকার আমাদের বলেছেন, তারা নিশ্চিত যে এটা পাকিস্তানের কোনো দৃশ্য নয়৷ 

ভিডিওটি প্রথম ছড়াতে শুরু করে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ভারতের হায়দারাবাদ ভিত্তিক কিছু ফেসবুক পেজ থেকে। ভিডিওতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ‘মাম্মি কি রুটি গোল গোল‘ নামে যে ছড়াটি আবৃত্তি করছেন সেটি ভারতে বহুল প্রচলিত একটি শিশু ছড়া হলেও এটি পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভূক্ত নেই বলে ভারতের একজন ফ্যাক্টচেকার রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন। আমরা ভিডিওর মূল সূত্র নিশ্চিত হতে না পারলেও এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এটি বাংলাদেশের ভিডিও নয়৷ 

নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বিষয়ে ভিন্ন দেশ এবং পুরোনো ঘটনার ভিডিওগুলো অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ মানুষের পৌঁছে যেতে দেখেছি আমরা৷ এত বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে এই ভুল তথ্যগুলো পৌঁছানোর ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে যেমন ভুল বার্তা গিয়েছে তেমনি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তথা সরকারকেও পড়তে হয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আমরা এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ওয়েবসাইটে ফ্যাক্টচেক প্রকাশের পাশাপাশি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, টিকটক) ফ্যাক্টচেক ভিডিও-ও প্রকাশ করেছি। আমাদের ধারণা ছিল, এর মাধ্যমে আরও অধিক মানুষের কাছে সঠিক তথ্যটি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন অবধি রিউমর স্ক্যানারের নিজস্ব পেজ এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো থেকে প্রায় ২২ লক্ষ বা ২.২ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই ভিডিওগুলো। সোশাল মিডিয়া মনিটরিং টুলগুলোর ডাটা বিশ্লেষণ করে আমাদের অনুমান, এই ভিডিওগুলো আরো অন্তত ২ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে। 

এই কাজের তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিও মেলেছে। গেল ০৯ ডিসেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে ইন্টারনেটে ছড়ানো গুজব প্রতিরোধে ভূমিকা রাখায় ‘পজেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। সেদিন লিডসউইন লিমিটেডের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী বিশ্ব নাগরিক গঠনে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন শীর্ষক সম্মেলন- ২০২৩ এ রিউমর স্ক্যানারের পাঁচ সদস্যের হাতে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এবং নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান। দেশব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছে প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লিডসউইন লিমিটেডের এডুম্যান প্রজেক্ট।

Image: Rumor Scanner 

রিউমর স্ক্যানার টিম বিশ্বাস করে, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য প্রতিরোধ এবং তার স্বীকৃতি পাওয়া এই কাজ চলমান রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। সে দায়িত্ব পালনে রিউমর স্ক্যানার টিম কাজ করে যাবে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রের বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করি আমরা।

এক নজরে নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বিষয়ে এখন অবধি প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক 

১. ‘টিলিং টিলিং সাইকেল চলাই’ ভিডিওটি নতুন কারিকুলামের অধীন শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ নয় 
২. শিক্ষা কারিকুলামের নয়, ব্যাঙের ছড়ার নৃত্য প্রশিক্ষণের ভিডিওটি কাব স্কাউটের ট্রেনিংয়ের দৃশ্য 
৩. নতুন শিক্ষা কারিকুলামের নয়, ঝিংগা লালা হু শীর্ষক ভিডিওটি কাব স্কাউটের প্রশিক্ষণের দৃশ্য 
৪. নতুন শিক্ষা কারিকুলামের নয়, প্যাঁক প্যাঁক শীর্ষক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ভিডিওটি ২০২২ সালের 
৫. নতুন শিক্ষা কারিকুলামের প্রশিক্ষণ দাবিতে হিন্দি ছড়া আবৃত্তি করে শিক্ষকদের গোল নৃত্যের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় 

ফ্যাক্টচেক ভিডিও 

আরও পড়ুন

spot_img